< আদিপুস্তক 16 >

1 অব্রামের স্ত্রী সারী, তাঁর জন্য কোনও সন্তানের জন্ম দেননি। কিন্তু সারীর এক মিশরীয় ক্রীতদাসী ছিল, যার নাম হাগার;
অব্রামের স্ত্রী সারী নিঃসন্তানা ছিলেন এবং হাগার নামে তাঁর এক মিশরীয় দাসী ছিল।
2 তাই সারী অব্রামকে বললেন, “সদাপ্রভু আমাকে নিঃসন্তান করে রেখেছেন। যাও, আমার ক্রীতদাসীর সঙ্গে গিয়ে শোও; হয়তো তার মাধ্যমে আমি এক পরিবার গড়ে তুলতে পারব।” সারীর কথায় অব্রাম সম্মত হলেন।
তাতে সারী অব্রামকে বললেন, “দেখ, সদাপ্রভু আমাকে বন্ধ্যা করেছেন; অনুরোধ করি, তুমি আমার দাসীর কাছে যাও; কি জানি, এর দ্বারা আমি সন্তান লাভ করতে পারব।” তখন অব্রাম সারীর বাক্যে রাজি হলেন।
3 অতএব অব্রাম কনানে দশ বছর বসবাস করার পর, তাঁর স্ত্রী সারী মিশরীয় ক্রীতদাসী হাগারকে নিয়ে তাকে নিজের স্বামীর স্ত্রী হওয়ার জন্য তাঁর হাতে তুলে দিলেন।
এই ভাবে কনান দেশে অব্রাম দশ বছর বাস করলে পর অব্রামের স্ত্রী সারী নিজের দাসী মিশরীয় হাগারকে নিয়ে নিজের স্বামী অব্রামের সঙ্গে বিবাহ দিলেন।
4 অব্রাম হাগারের সঙ্গে সহবাস করলেন, এবং সে গর্ভবতী হল। হাগার যখন জানতে পারল যে সে গর্ভবতী হয়েছে, তখন সে তার মালকিনকে অবজ্ঞা করতে লাগল।
পরে অব্রাম হাগারের কাছে গেলে সে গর্ভবতী হল এবং নিজের গর্ভ হয়েছে দেখে নিজ কর্ত্রীকে তুচ্ছ জ্ঞান করতে লাগল।
5 তখন সারী অব্রামকে বললেন, “আমি যে অন্যায় ভোগ করছি, তার জন্য তুমিই দায়ী। আমি আমার ক্রীতদাসীকে তোমার হাতে তুলে দিয়েছি, আর এখন সে যখন জানতে পেরেছে যে সে গর্ভবতী হয়েছে, সে আমাকেই অবজ্ঞা করছে। সদাপ্রভুই তোমার ও আমার মধ্যে বিচারক হোন।”
তাতে সারী অব্রামকে বললেন, “আমার উপরে করা এই অন্যায় তোমার উপরেই ফলুক; আমিই নিজের দাসীকে তোমার হাতে দিয়েছিলাম, সে নিজেকে গর্ভবতী দেখে আমাকে তুচ্ছজ্ঞান করছে; সদাপ্রভুই তোমার ও আমার বিচার করুন!”
6 “তোমার ক্রীতদাসী তোমারই হাতে আছে,” অব্রাম বললেন, “তোমার যা ভালো মনে হয়, তুমি তার সাথে তাই করো।” তখন সারী হাগারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলেন; তাই সে তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গেল।
তখন অব্রাম সারীকে বললেন, “দেখ, তোমার দাসী তোমারই হাতে; তোমার যা ভাল মনে হয়, তার প্রতি তাই কর।” তাতে সারী হাগারকে দুঃখ দিলেন, আর সে তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গেল।
7 মরুভূমিতে একটি জলের উৎসের কাছে সদাপ্রভুর দূত হাগারকে খুঁজে পেলেন; এটি সেই জলের উৎস, যা শূরের দিকে যাওয়ার পথের ধারে অবস্থিত।
পরে সদাপ্রভুর দূত মরুপ্রান্তের মধ্যে এক জলের উনুইয়ের কাছে, শুরের পথে যে উনুই আছে,
8 আর দূত হাগারকে বললেন, “হে সারীর ক্রীতদাসী হাগার, তুমি কোথা থেকে এসেছ, ও কোথায় যাচ্ছ?” “আমি আমার মালকিন সারীর কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছি,” সে উত্তর দিল।
তার কাছে তাকে পেয়ে বললেন, “হে সারীর দাসী হাগার, তুমি কোথা থেকে আসলে? এবং কোথায় যাবে?” তাতে সে বলল, “আমি নিজের কর্ত্রী”
9 তখন সদাপ্রভুর দূত তাকে বললেন, “তোমার মালকিনের কাছে ফিরে যাও ও তার বশ্যতাস্বীকার করো।”
সারীর কাছ থেকে পালাচ্ছি। তখন সদাপ্রভুর দূত তাকে বললেন, “তুমি নিজের কর্ত্রীর কাছে ফিরে যাও এবং নিজেকে সমর্পণ করে তার অধীনে থাক।”
10 সদাপ্রভুর দূত আরও বললেন, “আমি তোমার বংশধরদের সংখ্যা এত বৃদ্ধি করব যে গোনার পক্ষে তারা বহুসংখ্যক হয়ে উঠবে।”
১০সদাপ্রভুর দূত তাকে আরও বললেন, “আমি তোমার বংশের এমন বৃদ্ধি করব যে, গণনা করা যাবে না।”
11 সদাপ্রভুর দূত তাকে আরও বললেন: “এখন তুমি গর্ভবতী হয়েছ আর তুমি এক ছেলের জন্ম দেবে। তুমি তার নাম দেবে ইশ্মায়েল, কারণ সদাপ্রভু তোমার দুর্দশার কথা শুনেছেন।
১১সদাপ্রভুর দূত তাকে আরও বললেন, “দেখ, তোমার গর্ভ হয়েছে, তুমি ছেলে জন্ম দেবে ও তার নাম ইশ্মায়েল [ঈশ্বর শুনেন] রাখবে, কারণ সদাপ্রভু তোমার দুঃখ শুনলেন।”
12 সে বন্য গাধার মতো এক মানুষ হবে; প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তার হাত উঠবে আর প্রত্যেকের হাত তার বিরুদ্ধে উঠবে, আর তার সব ভাইয়ের প্রতি শত্রুতা বজায় রেখে সে বসবাস করবে।”
১২আর সে বন্য গাধার মতো মানুষ হবে; তার হাত সবার বিরুদ্ধ ও সবার হাত তার বিরুদ্ধ হবে; সে তার সব ভাইদের সামনে বাস করবে।
13 যে সদাপ্রভু হাগারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, সে তাঁর এই নাম দিল: “তুমি দর্শনকারী ঈশ্বর,” কারণ সে বলল, “আমি এখন এমন একজনকে দেখেছি, যিনি আমাকে দেখেছেন।”
১৩পরে হাগার, যিনি তার সঙ্গে কথা বললেন, “সেই সদাপ্রভুর এই নাম রাখল, তুমি দর্শনকারী ঈশ্বর;” কারণ সে বলল, “যিনি আমাকে দেখেন, আমি কি এই জায়গাতেই তাঁর দর্শন করেছি?”
14 সেইজন্য সেই কুয়োর নাম হল বের-লহয়-রোয়ী; কাদেশ ও বেরদের মাঝখানে এটি এখনও আছে।
১৪এই কারণে সেই কূপের নাম বের-লহয়-রয়ী হল; দেখ, তা কাদেশ ও বেরদের মধ্যে রয়েছে।
15 অতএব হাগার অব্রামের জন্য এক ছেলের জন্ম দিল, এবং সে যে ছেলের জন্ম দিল, অব্রাম তার নাম দিলেন ইশ্মায়েল।
১৫পরে হাগার অব্রামের জন্য ছেলের জন্ম দিল; আর অব্রাম হাগারের গর্ভে জন্মানো নিজের সেই ছেলের নাম ইশ্মায়েল রাখলেন।
16 হাগার যখন অব্রামের জন্য ইশ্মায়েলের জন্ম দিল, তখন অব্রামের বয়স ছিয়াশি বছর।
১৬অব্রামের ছিয়াশি বছর বয়সে হাগার অব্রামের জন্য ইশ্মায়েলকে জন্ম দিল।

< আদিপুস্তক 16 >