< আদিপুস্তক 12 >
1 সদাপ্রভু অব্রামকে বললেন, “তোমার দেশ, তোমার আত্মীয়স্বজন ও তোমার পৈত্রিক পরিবার ছেড়ে সেই দেশে চলে যাও, যা আমি তোমাকে দেখাতে চলেছি।
2 “আমি তোমাকে এক মহাজাতিতে পরিণত করব, আর আমি তোমাকে আশীর্বাদ করব; আমি তোমার নাম মহান করে তুলব, আর তুমি এক আশীর্বাদ হবে।
3 যারা তোমাকে আশীর্বাদ করবে, আমি তাদের আশীর্বাদ করব, আর যারা তোমাকে অভিশাপ দেবে, আমি তাদের অভিশাপ দেব; আর পৃথিবীর সব লোকজন তোমার মাধ্যমে আশীর্বাদ লাভ করবে।”
4 অতএব সদাপ্রভুর কথামতো অব্রাম চলে গেলেন; এবং লোট তাঁর সাথে গেলেন। 75 বছর বয়সে অব্রাম হারণ ছেড়ে বেরিয়ে এলেন।
5 তিনি তাঁর স্ত্রী সারী, ভাইপো লোট, ও হারণে উপার্জিত সব বিষয়সম্পত্তি ও অর্জিত লোকজন সাথে নিয়ে কনান দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে সেখানে পৌঁছে গেলেন।
6 অব্রাম সেই দেশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে শিখিমে মোরির সেই বিশাল গাছটির কাছে পৌঁছে গেলেন। সেই সময় কনানীয়েরা সেই দেশে বসবাস করত।
7 সদাপ্রভু অব্রামকে দর্শন দিয়ে বললেন, “তোমার সন্তানসন্ততিকে আমি এই দেশ দেব।” তাই তিনি সেখানে সেই সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন, যিনি তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন।
8 সেখান থেকে তিনি বেথেলের পূর্বদিকে অবস্থিত পাহাড়ের দিকে চলে গেলেন এবং বেথেলকে পশ্চিমদিকে ও অয়কে পূর্বদিকে রেখে তিনি তাঁর তাঁবু খাটালেন। সেখানে তিনি সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটি যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন এবং সদাপ্রভুর আরাধনা করলেন।
9 পরে অব্রাম যাত্রা শুরু করে নেগেভের দিকে এগিয়ে গেলেন।
10 এদিকে সেই দেশে এক দুর্ভিক্ষ হল, এবং অব্রাম মিশরে কিছুদিন বসবাস করার জন্য সেখানে নেমে গেলেন, কারণ দুর্ভিক্ষটি বেশ দুঃসহ হল।
11 মিশরে প্রবেশ করার ঠিক আগে তিনি তাঁর স্ত্রী সারীকে বললেন, “আমি জানি তুমি খুব সুন্দরী।
12 মিশরীয়রা যখন তোমায় দেখে বলবে, ‘এ তো এই লোকটির স্ত্রী।’ তখন তারা আমায় হত্যা করবে কিন্তু তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।
13 তুমি বোলো, তুমি আমার বোন, যেন তোমার খাতিরে আমি ভালো ব্যবহার পাই ও তোমার জন্য আমার প্রাণরক্ষা হয়।”
14 অব্রাম যখন মিশরে এলেন, তখন মিশরীয়রা দেখল যে সারী পরম সুন্দরী।
15 আর ফরৌণের কর্মকর্তারা সারীকে দেখে ফরৌণের কাছে তাঁর প্রশংসা করলেন, এবং সারীকে ফরৌণের রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হল।
16 সারীর খাতিরে তিনি অব্রামের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করলেন, এবং অব্রাম প্রচুর মেষ ও গবাদি পশু, গাধা ও গাধি, দাস-দাসী ও উট অর্জন করলেন।
17 কিন্তু অব্রামের স্ত্রী সারীর কারণে সদাপ্রভু ফরৌণ ও তাঁর পরিবারের উপর সংকটজনক রোগব্যাধি চাপিয়ে দিলেন।
18 তাই ফরৌণ অব্রামকে ডেকে পাঠালেন, “আপনি আমার প্রতি এ কী করলেন?” তিনি বললেন, “আপনি কেন আমায় বলেননি যে ইনি আপনার স্ত্রী?
19 আপনি কেন বললেন, ‘এ আমার বোন,’ তাইতো আমি তাঁকে আমার স্ত্রীরূপে গ্রহণ করেছি? তবে এখন, এই রইল আপনার স্ত্রী। তাঁকে নিন আর চলে যান!”
20 পরে ফরৌণ তাঁর লোকজনকে অব্রামের বিষয়ে আদেশ দিলেন, এবং তারা তাঁর স্ত্রী ও তাঁর অধিকারে থাকা সবকিছু সমেত তাঁকে বিদায় করে দিলেন।