< যাত্রাপুস্তক 32 >

1 লোকেরা যখন দেখেছিল যে মোশি পর্বত থেকে নিচে নামতে খুব দেরি করছেন, তখন তারা হারোণের চারপাশে একত্রিত হয়ে বলল, “আসুন, আমাদের জন্য এমন সব দেবতা তৈরি করে দিন, যারা আমাদের অগ্রগামী হবেন। যে মোশি আমাদের মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছেন, তার কী হল তা আমরা জানি না।”
পর্বত থেকে নামতে মোশির দেরী হচ্ছে দেখে লোকেরা হারোণের কাছে জড়ো হয়ে তাঁকে বলল, “উঠুন, আমাদের এগিয়ে যাবার জন্য আমাদের দেবতা তৈরী করুন, কারণ যে মোশি মিশর দেশ থেকে আমাদেরকে বের করে এনেছেন, তাঁর কি হল, তা আমরা জানি না।”
2 হারোণ তাদের উত্তর দিলেন, “তোমাদের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েরা যেসব সোনার কানের দুল পরে আছে, সেগুলি খুলে ফেলো ও আমার কাছে নিয়ে এসো।”
তখন হারোণ তাদেরকে বললেন, “তোমরা তোমাদের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের কানের সোনা খুলে আমার কাছে আনো”।
3 অতএব সব লোকজন তাদের সোনার কানের দুল খুলে ফেলল ও হারোণের কাছে এনে দিল।
তাতে সমস্ত লোক তাদের কান থেকে সোনা খুলে হারোণের কাছে আনল।
4 তারা তাঁর হাতে যা সঁপে দিল, সেগুলি তিনি গ্রহণ করলেন এবং ঢালাই করে এক যন্ত্রের সাহায্যে তিনি বাছুরের আকৃতিবিশিষ্ট একটি প্রতিমা তৈরি করে দিলেন। তখন তারা বলল, “হে ইস্রায়েল, এরাই তোমাদের সেই দেবতা, যারা মিশর থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন।”
তখন তিনি তাদের হাত থেকে সোনা গ্রহণ করে কারুকার্য করলেন এবং একটি ছাঁচে ঢালা বাছুর তৈরী করলেন; তখন লোকেরা বলতে লাগল, “হে ইস্রায়েল, এই তোমার দেবতা, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন”।
5 হারোণ যখন তা দেখলেন, তখন তিনি সেই বাছুরের সামনে একটি বেদি নির্মাণ করে দিলেন ও ঘোষণা করলেন, “আগামীকাল সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটি উৎসব হবে।”
আর হারোণ তা দেখে তার সামনে একটি বেদি তৈরী করলেন এবং হারোণ ঘোষণা করে বললেন, “কাল সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসব হবে।”
6 অতএব লোকজন পরদিন ভোরবেলায় উঠে পড়ল এবং হোমবলি উৎসর্গ করল ও মঙ্গলার্থক বলি নিবেদন করল। পরে তারা ভোজনপান করার জন্য বসে পড়ল, তারপর উঠে পরজাতীয়দের মতো হুল্লোড়ে মত্ত হল।
আর লোকেরা পরদিন ভোরে উঠে হোমবলি উৎসর্গ করল এবং মঙ্গলার্থক নৈবেদ্য আনল; আর লোকেরা ভোজন পান করতে বসল, পরে উল্লাস করতে উঠল।
7 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “নিচে নেমে যাও, কারণ তোমার যে লোকদের তুমি মিশর থেকে বের করে এনেছ, তারা নীতিভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে।
তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি নেমে যাও, কারণ তোমার যে লোকদেরকে তুমি মিশর থেকে বের করে এনেছ, তারা নষ্ট হয়েছে।
8 আমি তাদের যে আদেশ দিয়েছিলাম তা থেকে তারা খুব তাড়াতাড়ি বিপথগামী হয়ে পড়েছে এবং নিজেদের জন্য তারা ঢালাই করে বাছুরের আকৃতিবিশিষ্ট একটি প্রতিমা তৈরি করেছে। সেটির সামনে তারা নতজানু হয়েছে এবং সেটির উদ্দেশে বলি উৎসর্গ করে বলেছে, ‘হে ইস্রায়েল, এরাই তোমার সেইসব দেবতা, যারা মিশর থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন।’
আমি তাদেরকে যে পথে চলার আদেশ দিয়েছি তারা শীঘ্রই সেই পথ থেকে ফিরেছে; তারা তাদের জন্য এক ছাঁচে ঢালা বাছুর তৈরী করে তার কাছে প্রণাম করেছে এবং তার উদ্দেশ্যে বলিদান করেছে ও বলেছে, ‘হে ইস্রায়েল, এই তোমার দেবতা, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন’।”
9 “আমি এই লোকদের দেখেছি,” সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আর এরা খুব একগুঁয়ে লোক।
সদাপ্রভু মোশিকে আরও বললেন, “আমি সেই লোকেদেরকে দেখলাম; দেখ, তারা একগুঁয়ে জাতি।
10 এখন আমার কাজে হস্তক্ষেপ কোরো না, যেন এদের বিরুদ্ধে আমি ক্রোধে ফেটে পড়তে পারি ও যেন এদের আমি ধ্বংস করে ফেলতে পারি। পরে আমি তোমাকে এক মহাজাতিতে পরিণত করব।”
১০এখন তুমি আমাকে থামাতে চেষ্টা কর না, তাদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ প্রকট হোক, আমি তাদেরকে হত্যা করব, তখন আমি তোমার থেকে এক বড় জাতি তৈরী করব।”
11 কিন্তু মোশি তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগ্রহ চাইলেন, “হে সদাপ্রভু,” তিনি বললেন, “তুমি কেন তোমার সেই প্রজাদের বিরুদ্ধে ক্রোধে ফেটে পড়বে, যাদের তুমি মহাশক্তিতে ও বলশালী এক হাত দিয়ে মিশর থেকে বের করে এনেছ?
১১কিন্তু মোশি তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অনুরোধ করে বললেন, “হে সদাপ্রভু, তোমার যে প্রজাদেরকে তুমি ক্ষমতাবান ও শক্তিশালী হাত দিয়ে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছ, তাদের বিরুদ্ধে তোমার ক্রোধ কেন প্রকট হবে?
12 মিশরীয়রা কেন বলবে, ‘মন্দ উদ্দেশ্য নিয়ে, পাহাড়-পর্বতে তাদের হত্যা করার এবং পৃথিবীর বুক থেকে তাদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলার জন্যই তিনি তাদের বের করে এনেছেন’? তোমার প্রচণ্ড ক্রোধ প্রশমিত করো; কোমল হও ও তোমার এই প্রজাদের উপর বিপর্যয় ডেকে এনো না।
১২মিশরীয়েরা কেন বলবে, ক্ষতি করার জন্য, পার্বত্য অঞ্চলে তাদেরকে নষ্ট করতে ও পৃথিবী থেকে লোপ করতে, তিনি তাদেরকে বের করে এনেছেন? তুমি নিজের প্রচণ্ড ক্রোধ থামাও ও তোমার প্রজাদের শাস্তির বিষয়ে ক্ষান্ত হও।
13 তোমার সেই দাস অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে স্মরণ করো, যাদের কাছে তুমি নিজের নামে শপথ করে বলেছিলে: ‘আমি তোমার বংশধরদের আকাশের তারার মতো অসংখ্য করে তুলব এবং আমি তোমার বংশধরদের এই সমগ্র দেশটি দেব, যেটি আমি তাদের দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করলাম, এবং চিরকালের জন্য এই দেশটি তাদের উত্তরাধিকার হবে।’”
১৩তুমি নিজের দাস অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে স্মরণ কর, যাদের কাছে তুমি নিজের নামের শপথ করে বলেছিলে, ‘আমি আকাশের তারাদের মত তোমাদের বংশ বৃদ্ধি করব এবং এই যে সমস্ত দেশের কথা বললাম এগুলি তোমাদের বংশকে দেব, তারা চিরকালের জন্য এটা অধিকার করবে’।”
14 তখন সদাপ্রভু কোমল হলেন এবং তাঁর প্রজাদের উপর যে বিপর্যয় ডেকে আনার হুমকি তিনি দিয়েছিলেন, তা আর আনেননি।
১৪তখন সদাপ্রভু তাঁর প্রজাদের যে অনিষ্ট করার কথা বলেছিলেন, তা আর করলেন না।
15 মোশি ঘুরে দাঁড়ালেন এবং বিধিনিয়মের সেই দুটি ফলক হাতে নিয়ে পাহাড় থেকে নিচে নেমে এলেন। সেই ফলকগুলির সামনে ও পিছনে, দুই দিকেই বিধিনিয়ম খোদাই করা ছিল।
১৫পরে মোশি মুখ ফেরালেন, সাক্ষ্যের সেই দুই পাথরের ফলক হাতে নিয়ে পর্বত থেকে নামলেন; সেই পাথরের ফলকের এপিঠ ওপিঠ দুপিঠেই লেখা ছিল।
16 ফলকগুলি ছিল ঈশ্বরের কাজ; রচনাটি ছিল ফলকগুলির উপর খোদাই করা ঈশ্বরের রচনা।
১৬সেই পাথরের ফলক ঈশ্বরের তৈরী এবং সেই লেখা ঈশ্বরের লেখা, ফলকে খোদাই করা।
17 যিহোশূয় যখন লোকজনের চিৎকার শুনলেন, তখন তিনি মোশিকে বললেন, “শিবিরে যুদ্ধের শব্দ হচ্ছে।”
১৭পরে যিহোশূয় কোলাহলকারী লোকেদের রব শুনে মোশিকে বললেন, “শিবিরে যুদ্ধের শব্দ হচ্ছে”।
18 মোশি উত্তর দিলেন: “এটি জয়ধ্বনির শব্দ নয়, এটি পরাজয়ের শব্দ নয়; আমি গানের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।”
১৮তিনি বললেন, “ওটা তো জয়ধ্বনির শব্দ নয়, পরাজয়ধ্বনিরও শব্দ নয়; আমি গানের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।”
19 মোশি যখন শিবিরের কাছাকাছি এলেন, এবং সেই বাছুরটিকে ও নাচানাচি দেখলেন, তখন তিনি ক্রোধে ফেটে পড়লেন এবং তিনি ফলকগুলি হাত থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে পর্বতের পাদদেশে সেগুলি ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিলেন।
১৯পরে তিনি শিবিরের কাছাকাছি এলে ঐ বাছুর এবং নাচ দেখতে পেলেন; তাতে মোশি ক্রোধে জ্বলে উঠে পর্বতের নিচে তাঁর হাত থেকে সেই দুটি পাথরের ফলক ছুঁড়ে ভেঙে ফেললেন।
20 আর তিনি লোকদের তৈরি করা সেই বাছুরটি নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন; পরে তিনি সেটি পিষে গুঁড়ো করে, তা জলের উপর ছড়িয়ে দিলেন এবং ইস্রায়েলীদের তা পান করতে বাধ্য করলেন।
২০আর তাদের তৈরী বাছুর নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন এবং তা ধূলোর মত পিষে জলের উপরে ছড়িয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের পান করালেন।
21 তিনি হারোণকে বললেন, “এই লোকেরা তোমার কী করেছিল, যে তুমি তাদের দিয়ে এত বড়ো পাপ করালে?”
২১পরে মোশি হারোণকে বললেন, “ঐ লোকেরা তোমার কি করেছিল যে, তুমি তাদের দিয়ে এত বড় পাপ করালে?”
22 “হে আমার প্রভু, ক্রুদ্ধ হবেন না,” হারোণ উত্তর দিলেন। “আপনি তো জানেন এই লোকেরা কত দুষ্টতাপ্রবণ।
২২হারোণ বললেন, “আমার প্রভুর ক্রোধ প্রকট না হোক। আপনি লোকেদেরকে জানেন যে, তারা দুষ্টতায় পূর্ণ।
23 তারা আমাকে বলল, ‘আমাদের জন্য এমন সব দেবতা তৈরি করে দিন, যারা আমাদের অগ্রগামী হবেন। যে মোশি আমাদের মিশর থেকে বের করে এনেছেন, তার কী হয়েছে তা আমরা জানি না।’
২৩তারা আমাকে বলল, ‘আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আমাদের দেবতা তৈরী করুন, কারণ যে মোশি মিশর দেশ থেকে আমাদেরকে বের করে এনেছিল, তাঁর কি হল, তা আমরা জানি না’।”
24 তাই আমি তাদের বললাম, ‘যার যার কাছে সোনার অলংকার আছে, সেগুলি খুলে ফেলো।’ তখন তারা আমাকে সেই সোনা দিয়েছিল, আর আমি সেগুলি আগুনে ফেলে দিয়েছিলাম, ও সেখান থেকে এই বাছুরটি বেরিয়ে এসেছে!”
২৪তখন আমি বললাম, “তোমাদের মধ্যে যার যে সোনা আছে, সে তা খুলে দিক; তারা আমাকে দিল; পরে আমি তা আগুনে ছুঁড়ে ফেললে ঐ বাছুরটি বেরিয়ে এল।”
25 মোশি দেখলেন যে, লোকেরা যা খুশি তাই করছে এবং হারোণও তাদের লাগামছাড়া হতে দিয়েছেন ও এভাবে তাদের শত্রুদের কাছে উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছেন।
২৫পরে মোশি দেখলেন, লোকেরা স্বেচ্ছাচারী হয়েছে, কারণ হারোণ শত্রুদের মধ্যে বিদ্রূপের জন্য তাদেরকে স্বেচ্ছাচারী হতে দিয়েছিলেন।
26 অতএব তিনি শিবিরের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে বললেন, “যে কেউ সদাপ্রভুর স্বপক্ষে, সে আমার কাছে চলে এসো।” আর লেবীয়রা সবাই তাঁর কাছে এসে একত্রিত হল।
২৬তখন মোশি শিবিরের দরজায় দাঁড়িয়ে বললেন, “সদাপ্রভুর পক্ষে কে? সে আমার কাছে আসুক।” তাতে লেবির সন্তানেরা সবাই তাঁর কাছে জড়ো হল।
27 তখন তিনি তাদের বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘প্রত্যেকে নিজের নিজের দেহের পাশে একটি করে তরোয়াল বেঁধে নিক। শিবিরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত সে আসা যাওয়া করুক, এবং প্রত্যেকে তার ভাই ও বন্ধু ও প্রতিবেশীকে হত্যা করুক।’”
২৭তিনি তাদের বললেন, “সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেক জন নিজেদের ঊরুতে তরোয়াল বাঁধ, শিবিরের মধ্যে দিয়ে এক দরজা থেকে অন্য দরজা পর্যন্ত যাতায়াত করো এবং প্রতিজন নিজের নিজের ভাই, বন্ধু ও প্রতিবেশীকে হত্যা কর’।”
28 লেবীয়রা মোশির আদেশানুসারেই কাজ করল, আর সেদিন প্রায় 3,000 লোক মারা গেল।
২৮তাতে লেবির সন্তানেরা মোশির বাক্য অনুসারে সেই রকম করল, আর সেই দিন লোকদের মধ্যে কমপক্ষে তিন হাজার লোক মারা পড়ল।
29 তখন মোশি বললেন, “আজ তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে পৃথক হলে, কারণ তোমরা তোমাদের নিজের ছেলে ও ভাইদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছ, এবং এই দিনে তিনি তোমাদের আশীর্বাদ করেছেন।”
২৯কারণ মোশি বলেছিলেন, “আজ তোমরা প্রত্যেক জন নিজেদের ছেলে ও ভাইয়ের বিপক্ষ হয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজেদের হস্তপূরণ কর, তাতে তিনি এই দিনের তোমাদেরকে আশীর্বাদ করবেন।”
30 পরদিন মোশি লোকদের বললেন, “তোমরা মহাপাপ করেছ। কিন্তু আমি সদাপ্রভুর কাছে যাব; হয়তো আমি তোমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারব।”
৩০পরদিন মোশি লোকদেরকে বললেন, “তোমরা খুব বড় পাপ করলে, এখন আমি সদাপ্রভুর কাছে উঠে যাচ্ছি; যদি সম্ভব হয়, তোমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করব।”
31 অতএব মোশি সদাপ্রভুর কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, “হায়, হায়, এই লোকেরা কী মহাপাপই না করেছে! তারা নিজেদের জন্য সোনার দেবতা তৈরি করেছে।
৩১পরে মোশি সদাপ্রভুর কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, “হায় হায়, এই লোকেরা খুব পাপ করেছে, নিজেদের জন্য সোনার দেবতা তৈরী করেছে।
32 কিন্তু এখন, দয়া করে এদের পাপ ক্ষমা করো—কিন্তু যদি না করো, তবে তোমার লেখা বই থেকে আমার নামটি মুছে ফেলো।”
৩২আহা। এখন এদের পাপ ক্ষমা কর; আর যদি না কর, তবে আমি অনুরোধ করছি, তোমার লেখা বই থেকে আমার নাম কেটে ফেল।”
33 সদাপ্রভু মোশিকে উত্তর দিলেন, “যে কেউ আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে, তারই নাম আমি আমার বই থেকে মুছে ফেলব।
৩৩তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “যে ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে, তারই নাম আমি নিজের বই থেকে কেটে ফেলব।
34 এখন যাও, যে স্থানের কথা আমি বলেছিলাম, লোকদের সেখানে নিয়ে যাও এবং আমার দূত তোমার অগ্রগামী হবেন। অবশ্য, যখন শাস্তি দেওয়ার সময় আসবে, তখন তাদের পাপের জন্য আমি তাদের শাস্তি দেব।”
৩৪এখন যাও, আমি যে দেশের বিষয়ে তোমাকে বলেছি, সেই দেশে লোকেদের নিয়ে যাও; দেখ, আমার দূত তোমার আগে আগে যাবেন, কিন্তু যেদিন আমি তাদের শাস্তি দেব, আমি তাদের পাপের জন্য শাস্তি দেব।”
35 আর হারোণের তৈরি করা সেই বাছুরটিকে নিয়ে লোকেরা যা করেছিল সেজন্য সদাপ্রভু এক সংক্রামক মহামারি দ্বারা লোকদের আঘাত করলেন।
৩৫সদাপ্রভু লোকেদেরকে আঘাত করলেন, কারণ লোকেরা হারোণকে দিয়ে সেই বাছুর তৈরী করিয়েছিল।

< যাত্রাপুস্তক 32 >