< যাত্রাপুস্তক 11 >
1 এদিকে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি ফরৌণের ও মিশরের উপর আরও একটি আঘাত নিয়ে আসব। পরে, সে তোমাদের এখান থেকে যেতে দেবে, এবং যখন সে তা করবে, তখন সম্পূর্ণরূপে সে তোমাদের তাড়িয়ে দেবে।
2 লোকদের বলো, স্ত্রী-পুরুষ সবাই যেন তাদের প্রতিবেশীদের কাছে রুপো ও সোনার তৈরি জিনিসপত্র চেয়ে নেয়।”
3 (সদাপ্রভু লোকজনের প্রতি মিশরীয়দের অনুগ্রহকারী করে তুলেছিলেন, এবং স্বয়ং মোশি মিশরে ফরৌণের কর্মকর্তাদের ও তাঁর প্রজাদের দৃষ্টিতে খুব শ্রদ্ধাভাজন হয়ে উঠেছিলেন।)
4 অতএব মোশি বললেন, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘মাঝরাত নাগাদ আমি মিশরের মধ্যে দিয়ে যাব।
5 মিশরের প্রত্যেক প্রথমজাত পুত্রসন্তান মারা যাবে, যে সিংহাসনে বসতে চলেছে, ফরৌণের সেই প্রথমজাত ছেলেটি থেকে শুরু করে, ক্রীতদাসীর যাঁতার কাছে বসে থাকা তার প্রথমজাত ছেলে, এবং গবাদি পশুপালের প্রথমজাত সব শাবকও মারা যাবে।
6 মিশরের সর্বত্র প্রবল হাহাকার উঠবে—এত প্রবল হাহাকার আগে কখনও শোনা যায়নি বা আর কখনও শোনাও যাবে না।
7 কিন্তু ইস্রায়েলীদের মধ্যে কোনও মানুষের বা পশুর বিরুদ্ধে একটি কুকুরও ঘেউ ঘেউ করবে না।’ তখন আপনি জানতে পারবেন যে সদাপ্রভু মিশরের ও ইস্রায়েলীদের মধ্যে এক পার্থক্য রচনা করেছেন।
8 আপনার এইসব কর্মকর্তা আমার কাছে আসবে, আমার সামনে মাথা নত করবে ও বলবে, ‘যাও, তুমি ও তোমার অনুগামী সব লোকজন চলে যাও!’ পরে আমি চলে যাব।” এরপর মোশি প্রচণ্ড রেগে গিয়ে, ফরৌণকে ছেড়ে চলে গেলেন।
9 সদাপ্রভু মোশিকে বলে দিয়েছিলেন, “ফরৌণ তোমার কথা শুনতে চাইবে না—যেন মিশরে আমার অলৌকিক কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়।”
10 মোশি ও হারোণ ফরৌণের সামনে এইসব অলৌকিক কাজ সম্পন্ন করলেন, কিন্তু সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করে দিলেন, এবং তিনি তাঁর দেশ থেকে ইস্রায়েলীদের চলে যেতে দিলেন না।