< যাত্রাপুস্তক 11 >

1 এদিকে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি ফরৌণের ও মিশরের উপর আরও একটি আঘাত নিয়ে আসব। পরে, সে তোমাদের এখান থেকে যেতে দেবে, এবং যখন সে তা করবে, তখন সম্পূর্ণরূপে সে তোমাদের তাড়িয়ে দেবে।
আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি ফরৌণের ও মিশরের উপরে আর এক মহামারী আনব, তারপরে সে তোমাদেরকে এই স্থান থেকে ছেড়ে দেবে এবং ছেড়ে দেবার দিনের তোমাদেরকে নিশ্চয়ই এখান থেকে একেবারে তাড়িয়ে দেবে।
2 লোকদের বলো, স্ত্রী-পুরুষ সবাই যেন তাদের প্রতিবেশীদের কাছে রুপো ও সোনার তৈরি জিনিসপত্র চেয়ে নেয়।”
তুমি লোকেদেরকে নির্দেশ দাও, আর প্রত্যেক পুরুষ তার প্রতিবেশীর থেকে ও প্রত্যেক স্ত্রী তার প্রতিবাসিনী থেকে রূপার ও সোনার গয়না চেয়ে নিক।”
3 (সদাপ্রভু লোকজনের প্রতি মিশরীয়দের অনুগ্রহকারী করে তুলেছিলেন, এবং স্বয়ং মোশি মিশরে ফরৌণের কর্মকর্তাদের ও তাঁর প্রজাদের দৃষ্টিতে খুব শ্রদ্ধাভাজন হয়ে উঠেছিলেন।)
আর সদাপ্রভু মিশরীয়দের চোখে লোকদেরকে অনুগ্রহের পাত্র করলেন। আবার মিশর দেশে মোশি ফরৌণের দাসেদের ও প্রজাদের চোখে খুব মহান ব্যক্তি হয়ে উঠলেন।
4 অতএব মোশি বললেন, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘মাঝরাত নাগাদ আমি মিশরের মধ্যে দিয়ে যাব।
মোশি আরও বললেন, “সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি মাঝরাতে মিশরের মধ্যে দিয়ে যাব।
5 মিশরের প্রত্যেক প্রথমজাত পুত্রসন্তান মারা যাবে, যে সিংহাসনে বসতে চলেছে, ফরৌণের সেই প্রথমজাত ছেলেটি থেকে শুরু করে, ক্রীতদাসীর যাঁতার কাছে বসে থাকা তার প্রথমজাত ছেলে, এবং গবাদি পশুপালের প্রথমজাত সব শাবকও মারা যাবে।
তাতে সিংহাসনে বসা ফরৌণের প্রথমজাত থেকে যাঁতা পেষণকারিণী দাসীর প্রথমজাত পর্যন্ত মিশর দেশের সকল প্রথমজাত মরবে।
6 মিশরের সর্বত্র প্রবল হাহাকার উঠবে—এত প্রবল হাহাকার আগে কখনও শোনা যায়নি বা আর কখনও শোনাও যাবে না।
আর যেরকম কখনও হয়নি ও হবে না, সমস্ত মিশর দেশে এমন মহাকোলাহল হবে।
7 কিন্তু ইস্রায়েলীদের মধ্যে কোনও মানুষের বা পশুর বিরুদ্ধে একটি কুকুরও ঘেউ ঘেউ করবে না।’ তখন আপনি জানতে পারবেন যে সদাপ্রভু মিশরের ও ইস্রায়েলীদের মধ্যে এক পার্থক্য রচনা করেছেন।
কিন্তু সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানের মধ্যে মানুষের কি পশুর বিরুদ্ধে একটা কুকুরও চিত্কার করবে না, যেন আপনারা জানতে পারেন যে, সদাপ্রভু মিশরীয় ও ইস্রায়েলীয়ের মধ্যে প্রভেদ করেন।’
8 আপনার এইসব কর্মকর্তা আমার কাছে আসবে, আমার সামনে মাথা নত করবে ও বলবে, ‘যাও, তুমি ও তোমার অনুগামী সব লোকজন চলে যাও!’ পরে আমি চলে যাব।” এরপর মোশি প্রচণ্ড রেগে গিয়ে, ফরৌণকে ছেড়ে চলে গেলেন।
আর তোমার এই দাসেরা সবাই আমার কাছে নেমে আসবে ও প্রণাম করে আমাকে বলবে, ‘তুমি ও তোমার অনুগামী সব লোকেরা যাও,’ তারপর আমি বেরিয়ে আসব।” তখন তিনি খুব রেগে গিয়ে ফরৌণের কাছ থেকে বেরিয়ে গেলেন।
9 সদাপ্রভু মোশিকে বলে দিয়েছিলেন, “ফরৌণ তোমার কথা শুনতে চাইবে না—যেন মিশরে আমার অলৌকিক কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়।”
আর সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন, “ফরৌণ তোমাদের কথায় মনোযোগ দেবে না, আমি অনেক অদ্ভুত জিনিস মিশর দেশে করব।”
10 মোশি ও হারোণ ফরৌণের সামনে এইসব অলৌকিক কাজ সম্পন্ন করলেন, কিন্তু সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করে দিলেন, এবং তিনি তাঁর দেশ থেকে ইস্রায়েলীদের চলে যেতে দিলেন না।
১০মোশি ও হারোণ ফরৌণের সামনে এই সব অদ্ভুত কাজ করেছিলেন; আর সদাপ্রভু ফরৌণের অন্তর কঠিন করলেন, আর তিনি তাঁর দেশ থেকে ইস্রায়েলের লোকদের ছাড়লেন না।

< যাত্রাপুস্তক 11 >