< ইফিষীয় 5 >
1 অতএব, যেহেতু তোমরা ঈশ্বরের প্রিয় সন্তান, তোমরা ঈশ্বরেরই অনুকরণ করো
2 এবং প্রেমে জীবনযাপন করো, যেমন খ্রীষ্ট আমাদের ভালোবেসেছেন এবং নিজেকে সুরভিত নৈবেদ্য ও বলিরূপে ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন।
3 কিন্তু, তোমাদের মধ্যে যেন বিবাহ-বহির্ভূত যৌনাচার, কোনও ধরনের কলুষতা বা লোভের লেশমাত্র না থাকে। কারণ ঈশ্বরের পবিত্রগণের পক্ষে এ সমস্ত আচরণ অনুচিত।
4 কোনও রকম অশ্লীলতা, নির্বোধের মতো কথাবার্তা বা স্থূল রসিকতা যেন শোনা না যায়, কারণ এসবই অসংগত; বরং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করো।
5 কারণ এ ব্যাপারে তোমরা নিশ্চিত হতে পারো যে, ব্যভিচারী, অশুদ্ধাচারী বা লোভী ব্যক্তি—সে তো এক প্রতিমাপূজক—খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে তাদের কোনো অধিকার নেই।
6 অসার বাক্যের দ্বারা কেউ যেন তোমাদের প্রতারিত না করে, কারণ এসব বিষয়ের জন্যই অবাধ্য ব্যক্তিদের উপরে ঈশ্বরের ক্রোধ নেমে আসে।
7 অতএব, তাদের সঙ্গে তোমরা অংশীদার হোয়ো না।
8 এক সময়ে তোমরা ছিলে অন্ধকার, কিন্তু এখন তোমরা প্রভুতে আলো হয়ে উঠেছ। আলোর সন্তানদের মতো চলো।
9 কারণ এই আলো তোমাদের মধ্যে কেবলমাত্র উত্তম ও নৈতিক ও সত্য বিষয় উৎপন্ন করে।
10 প্রভু কোন কাজে সন্তুষ্ট হন, তা বোঝার চেষ্টা করো।
11 অন্ধকারের নিষ্ফল কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত হোয়ো না, বরং সেগুলিকে আলোতে প্রকাশ করো।
12 কারণ যারা অবাধ্য, তারা গোপনে যা করে, তা উল্লেখ করাও লজ্জাজনক।
13 কিন্তু আলোকে প্রকাশিত সবকিছুই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে,
14 কারণ আলোই সবকিছু দৃশ্যমান করে। এজন্যই লেখা আছে: “ওহে নিদ্রামগ্ন ব্যক্তি, জাগো, মৃতদের মধ্য থেকে উত্থিত হও, তাহলে খ্রীষ্ট তোমার উপর আলোক বিকিরণ করবেন।”
15 তাই, কীভাবে জীবনযাপন করবে সে সম্বন্ধে অত্যন্ত সতর্ক থেকো। জ্ঞানবানের মতো চলো, মূর্খের মতো নয়।
16 সব সুযোগের সর্বাধিক সদব্যবহার করো, কারণ এই যুগ মন্দ।
17 এই জন্য নির্বোধ হোয়ো না, প্রভুর ইচ্ছা কী, তা উপলব্ধি করো।
18 সুরা পান করে মত্ত হোয়ো না, তা ভ্রষ্টাচারের পথে নিয়ে যায়; তার পরিবর্তে আত্মায় পরিপূর্ণ হও।
19 গীত, স্তুতি ও আত্মিক সংকীর্তনে পরস্পর ভাব বিনিময় করো। প্রভুর উদ্দেশে গীত গাও, হৃদয়ে সুরের ঝংকার তোলো।
20 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে সব বিষয়ের জন্য সবসময় পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দাও।
21 খ্রীষ্টের জন্য সম্ভ্রমবশত একে অপরের বশীভূত হও।
22 স্ত্রীরা, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনই স্বামীর বশ্যতাধীন হও।
23 কারণ স্বামী হল স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্ট মণ্ডলীর মস্তক, যে মণ্ডলী তাঁর দেহ, যার তিনি পরিত্রাতা।
24 মণ্ডলী যেমন খ্রীষ্টের বশ্যতাধীন থাকে, স্ত্রীরাও তেমনই সমস্ত বিষয়ে নিজের নিজের স্বামীর বশ্যতাধীন থাকুক।
25 স্বামীরা, তোমরা নিজের নিজের স্ত্রীকে ভালোবেসো, যেমন খ্রীষ্ট মণ্ডলীকে ভালোবেসেছেন এবং তার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন,
26 যেন তাকে পবিত্র করেন, বাক্যের মাধ্যমে জলে স্নান করিয়ে তাকে শুচি করেন,
27 এবং তাকে সব রকম কলঙ্ক, বিকৃতি এবং কলুষতা থেকে মুক্ত করে পবিত্র ও অনিন্দনীয়ভাবে এক প্রদীপ্ত মণ্ডলী করে নিজের কাছে উপস্থিত করেন।
28 স্বামীদেরও সেভাবে নিজের নিজের দেহের মতোই স্ত্রীদের ভালোবাসা উচিত। যে তার স্ত্রীকে ভালোবাসে, সে নিজেকেই ভালোবাসে।
29 সর্বোপরি, কেউ কখনও তার নিজের দেহকে ঘৃণা করে না, বরং সে তার ভরণ-পোষণ ও তত্ত্বাবধান করে, যেমন খ্রীষ্ট তাঁর মণ্ডলীর প্রতি করেন,
30 কারণ আমরা তো তাঁরই দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
31 “এই কারণে একজন পুরুষ তার পিতা ও মাতাকে ত্যাগ করবে, তার স্ত্রীর সাথে সংযুক্ত হবে ও সেই দুজন একাঙ্গ হবে।”
32 এ এক বিশাল রহস্য, কিন্তু আমি খ্রীষ্ট ও তাঁর মণ্ডলী সম্বন্ধে একথা বলছি।
33 যাই হোক, তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকে যেমন নিজেকে ভালোবাসে, তেমনই স্ত্রীকে অবশ্যই ভালোবাসবে এবং স্ত্রী অবশ্যই তার স্বামীকে শ্রদ্ধা করবে।