< ইফিষীয় 2 >
1 তোমাদের কথা বলতে হলে, তোমরা নিজের নিজের অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলে,
2 যেগুলির মধ্যে তোমরা জীবনযাপন করতে। তখন তোমরা এই জগতের ও আকাশের রাজ্যশাসকের পথ অনুসরণ করতে, যে আত্মা এখন যারা অবাধ্য, তাদের মধ্যে কার্যকরী রয়েছে। (aiōn )
3 আমরাও সকলে এক সময় তাদেরই মধ্যে জীবনযাপন করতাম। আমাদের পাপময় প্রকৃতির বাসনাকে চরিতার্থ করার জন্য আমরা তার কামনা ও ভাবনার বশে চলতাম। অন্য সকলের মতো, স্বভাবগতভাবে আমরা ছিলাম (ঈশ্বরের) ক্রোধের পাত্র।
4 কিন্তু আমাদের প্রতি মহাপ্রেমের জন্য ঈশ্বর, যিনি অপার করুণাময়,
5 আমরা যখন অপরাধের ফলে মৃত হয়েছিলাম, তখনই তিনি খ্রীষ্টের সঙ্গে আমাদের জীবিত করলেন। আর তোমরা অনুগ্রহেই পরিত্রাণ লাভ করেছ।
6 ঈশ্বর খ্রীষ্টের সঙ্গে আমাদের পুনরুত্থিত করে তাঁরই সঙ্গে আমাদের স্বর্গীয় স্থানে বসিয়েছেন,
7 যেন খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের প্রতি তাঁর যে করুণা প্রকাশ পেয়েছে, আগামী দিনেও তিনি তাঁর সেই অতুলনীয় অনুগ্রহের ঐশ্বর্য প্রদর্শন করতে পারেন। (aiōn )
8 কারণ বিশ্বাসের মাধ্যমে অনুগ্রহের দ্বারাই তোমরা পরিত্রাণ লাভ করেছ। তা তোমাদের থেকে হয়নি, কিন্তু ঈশ্বরেরই দান।
9 তা কোনো কাজের ফল নয় যে তা নিয়ে কেউ গর্ববোধ করবে।
10 কারণ আমরা ঈশ্বরের রচনা, সৎকর্ম করার জন্য খ্রীষ্ট যীশুতে সৃষ্ট, যা তিনি পূর্ব থেকেই আমাদের করার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন।
11 অতএব স্মরণ করো, এক সময় তোমরা, যারা জন্মসূত্রে অইহুদি ছিলে, মানুষের হাতে করা “সুন্নতপ্রাপ্ত” ব্যক্তিরা তোমাদের “সুন্নতহীন” বলে অভিহিত করত।
12 স্মরণ করো, সেই সময় তোমরা খ্রীষ্টের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলে, ইস্রায়েলের নাগরিকত্বের সঙ্গে তোমরা ছিলে সম্পর্কহীন এবং প্রতিশ্রুতির নিয়মের কাছে ছিলে অসম্পর্কিত। তোমাদের কোনও আশা ছিল না এবং পৃথিবীতে তোমরা ছিলে ঈশ্বরবিহীন।
13 কিন্তু তোমরা যারা এক সময় বহু দূরবর্তী ছিলে, এখন খ্রীষ্ট যীশুতে তাঁর রক্তের মাধ্যমে নিকটবর্তী হয়েছ।
14 কারণ তিনি স্বয়ং আমাদের শান্তি। তিনি উভয়কে এক করেছেন এবং প্রতিবন্ধকতাকে ধ্বংস করেছেন, বিদ্বেষের প্রাচীর ভেঙে ফেলেছেন,
15 বিধান ও তার নির্দেশমালা, নিয়ন্ত্রণবিধি, সব নিজের শরীরে বিলোপ করেই তা করেছেন। উভয়কে নিয়ে নিজের মধ্যে এক নতুন মানুষ গড়ে তোলা এবং এভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য।
16 আর এই এক দেহে, ক্রুশের মাধ্যমে তিনি উভয়কে ঈশ্বরের সঙ্গে সম্মিলিত করেছেন, যার দ্বারা তিনি দু-পক্ষের শত্রুতার অবসান ঘটিয়েছেন।
17 তোমরা যারা ছিলে বহুদূরে, আর যারা ছিলে কাছে, তোমাদের সকলের কাছে তিনি এসে শান্তির বাণী প্রচার করেছেন।
18 কারণ তাঁরই মাধ্যমে আমরা দু-পক্ষ একই আত্মার দ্বারা পিতার সান্নিধ্যে আসার অধিকার লাভ করেছি।
19 অতএব, তোমরা আর অসম্পর্কিত ও বহিরাগত নও, তোমরা এখন ঈশ্বরের প্রজাদের সহনাগরিক এবং ঈশ্বরের পরিবারের সদস্য।
20 প্রেরিতশিষ্যবর্গ ও ভাববাদীদের ভিত্তিমূলের উপর তোমাদের গেঁথে তোলা হয়েছে, স্বয়ং খ্রীষ্ট যীশু যার কোণের প্রধান পাথর।
21 তাঁরই মধ্যে সমগ্র কাঠামো একত্রে সন্নিবদ্ধ এবং প্রভুতে তা এক পবিত্র মন্দিররূপে গড়ে উঠছে।
22 তাঁতে তোমাদেরও একসঙ্গে একটি আবাসরূপে গঠন করা হচ্ছে, যেখানে ঈশ্বর তাঁর আত্মায় অধিষ্ঠান করেন।