< উপদেশক 12 >

1 তোমার যৌবনকালে তোমার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করো, দুঃখের দিনগুলি আসার আগে আর সেই বছর সকল কাছে আসার সময় তুমি যখন বলবে, “এই সবে আমার কোনো আনন্দ নেই”—
তোমার যৌবনকালে তোমার সৃষ্টিকর্ত্তাকে স্মরণ কর, সমস্যার দিন আসার আগে এবং সেই বছর আসার আগে যখন তুমি বলবে, “এতে আমার কোন আনন্দ নেই,”
2 তখন সূর্য ও আলো আর চাঁদ ও তারা যখন অন্ধকার হবে, আর বৃষ্টির পরে মেঘ ফিরে আসে;
সূর্য্যের, চাঁদের এবং তারাদের আলোর আগে অন্ধকার বৃদ্ধি পাবে এবং বৃষ্টির পরে কালো মেঘ ফিরে আসবে।
3 সেদিনে বাড়ির রক্ষাকারীরা কাঁপবে, আর শক্তিশালী লোকেরা নত হবে, যারা পেষণ করে তারা অল্প সংখ্যক বলে কাজ ছেড়ে দেবে। আর যারা জানালার ভিতর থেকে দেখে তাদের দৃষ্টি অস্পষ্ট হবে;
সেই দিনের যখন প্রাসাদের রক্ষীরা কাঁপবে এবং শক্তিশালী লোক নত হবে এবং সেই মহিলারা যারা পেষণ করা বন্ধ করে কারণ তারা সংখ্যা কম এবং যারা জানলা দিয়ে দেখত তারা আর পরিষ্কার দেখতে পায় না।
4 যখন রাস্তার দিকের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে আর জাঁতার আওয়াজ কমে যাবে; যখন পাখির আওয়াজে লোকে উঠবে, কিন্তু তাদের সব গান ক্ষীণ হয়ে যাবে;
সেই দিন হবে যখন রাস্তার দরজা বন্ধ থাকবে এবং পেষণের শব্দ বন্ধ হবে, যখন লোকেরা পাখির আওয়াজে চমকে উঠবে এবং মেয়েদের গানের আওয়াজ কমে যাবে মৃত্যুর মধ্যে সমস্ত কর্মের অবসান, অথবা জীবনের এমন একটা সময় যখন একজন ব্যক্তি ভালো করে আওয়াজ আর শুনতে পারে না কিন্তু অদ্ভুতভাবে উচ্চ তীক্ষ্ণ কন্ঠের দ্বারা বিঘ্নিত হয়।
5 যখন লোকেরা উঁচু জায়গাকে আর রাস্তার বিপদকে ভয় পাবে; যখন কাঠবাদাম গাছে ফুল ফুটবে আর ফড়িং টেনে টেনে হাঁটবে এবং বাসনা আর উত্তেজিত হবে না। তখন লোকে তাদের অনন্তকালের বাড়িতে চলে যাবে আর বিলাপকারীরা পথে পথে ঘুরবে।
সেই দিন হবে যখন মানুষ উঁচু জায়গা ভয় পাবে এবং রাস্তার ভয়ে ভয় পাবে এবং যখন বাদাম গাছে ফুল ফুটবে এবং যখন ফড়িং নিজেকে জোর করে নিয়ে চলবে এবং যখন স্বাভাবিক ইচ্ছা ব্যর্থ হবে। তখন মানুষ তার অনন্ত ঘরে যাবে এবং শোকার্তরা রাস্তায় যাবে।
6 রুপোর তার ছিঁড়ে যাওয়ার আগে, কিংবা সোনার পাত্র ভেঙে যাওয়ার আগে; ফোয়ারার কাছে কলশি চুরমার করার আগে, কিংবা কুয়োর জল তোলার চাকা ভেঙে যাওয়ার আগে—তাকে স্মরণ করো।
রূপার তার ছেঁড়ার আগে বা সোনার বাটি চূর্ণ হওয়ার আগে বা উনুইয়ের ধরে কলসি ভাঙার আগে বা কুয়োর জল তোলার চাকা ভাঙার আগে তোমার সৃষ্টিকর্ত্তাকে স্মণ কর।
7 আর ধুলো মাটিতেই ফিরে যাবে যেখান থেকে সে এসেছে, এবং আত্মা যাঁর দান, সেই ঈশ্বরের কাছেই ফিরে যাবে।
ধূলো মাটিতে ফিরে যাওয়ার আগে যেখান থেকে তা এসেছিল এবং আত্মা ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাবে যিনি তা দিয়েছিলেন।
8 উপদেশক বললেন, “অসার! অসার! সবকিছুই অসার!”
শিক্ষক বলেছেন, “অসারের অসার,” সব কিছুই অসার।
9 উপদেশক নিজেই কেবল জ্ঞানবান ছিলেন না, কিন্তু তিনি লোকদের জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি চিন্তা করে ও পরীক্ষা করে অনেক প্রবাদ সাজিয়েছেন।
শিক্ষক জ্ঞানী ছিলেন এবং তিনি লোকেদের জ্ঞান শিক্ষা দিতেন। তিনি অনুশীলন এবং গভীর চিন্তা করতেন এবং অনেক নীতিকথা লিখতেন।
10 উপদেশক উপযুক্ত শব্দের খোঁজ করেছেন, আর তিনি যা লিখেছেন তা খাঁটি ও সত্যিকথা।
১০শিক্ষক উপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করে লিখতে চাইছেন, সত্যের ন্যায্য কথা লিখতে চাইছেন।
11 জ্ঞানবান লোকদের কথা রাখালের অঙ্কুশের মতো, তাদের কথাগুলি একত্র করলে মনে হয় যেন সেগুলি সব শক্ত করে গাঁথা পেরেক—যা একজন রাখাল বলেছেন।
১১জ্ঞানীদের কথা সূঁচালো লাঠির মত। মালিকদের নীতি কথা সকল পেরেকের মত গভীরে যায়, যা একজন পালকের দ্বারা শেখানো হয়েছে।
12 হে আমার সন্তান, এর সঙ্গে কিছু যোগ করা হচ্ছে কি না সেই বিষয় সতর্ক থেকো। বই লেখার শেষ নেই আর অনেক পড়াশোনায় শরীর ক্লান্ত হয়।
১২আমার ছেলে, কিছু বিষয়ে বেশি সাবধান হও: অনেক বই তৈরী করা, যার শেষ নেই। অনেক অনুশীলন শরীরে ক্লান্তি নিয়ে আসে।
13 এখন সবকিছু তো শোনা হল; তবে শেষ কথা এই যে ঈশ্বরকে ভয় করো এবং তাঁর আজ্ঞাসকল পালন করো, কেননা এটাই সমস্ত মানুষের কর্তব্য।
১৩শেষ বিষয় হল, সবকিছু শোনার পর, তোমরা অবশ্যই ঈশ্বরকে ভয় কর এবং তাঁর আদেশ পালন কর, কারণ এটাই মানবজাতির সমস্ত কর্তব্য।
14 কারণ ঈশ্বর প্রত্যেকটি কাজের বিচার করবেন, এমনকি সমস্ত গুপ্ত বিষয়, তা ভালো হোক বা মন্দ হোক।
১৪কারণ ঈশ্বর প্রত্যেকটি কাজ বিচারে আনবেন, সমস্ত গোপন বিষয় আনবেন, ভালো কি খারাপ সব আনবেন।

< উপদেশক 12 >