< দ্বিতীয় বিবরণ 1 >

1 মোশি জর্ডন নদীর পূর্বদিকের মরুএলাকায় অর্থাৎ অরাবাতে সূফের সামনে, পারণ ও তোফল, লাবন, হৎসেরোৎ ও দীষাহবের মাঝখানে ইস্রায়েলীদের কাছে এসব কথা বলেছিলেন।
هَذِهِ هِيَ الأَقْوَالُ الَّتِي خَاطَبَ بِها مُوسَى جَمِيعَ الإِسْرَائِيلِيِّينَ الْمُخَيِّمِينَ فِي وَادِي الْعَرَبَةِ، فِي صَحْرَاءِ مُوآبَ شَرْقِيَّ نَهْرِ الأُرْدُنِّ، مُقَابِلَ سُوفٍ، مَا بَيْنَ فَارَانَ وَتُوفَلَ وَلابَانَ وَحَضَيْرُوتَ وَذِي ذَهَبٍ.١
2 (হোরেব থেকে সেয়ীর পাহাড়ের রাস্তা ধরে কাদেশ-বর্ণেয় পর্যন্ত যেতে এগারো দিন লাগে।)
وَكَانَتِ الرِّحْلَةُ تَسْتَغْرِقُ مِنْ حُورِيبَ عَبْرَ طَرِيقِ جَبَلِ سِعِيرَ إِلَى قَادَشَ بَرْنِيعَ أَحَدَ عَشَرَ يَوْماً.٢
3 সদাপ্রভু ইস্রায়েলীদের সম্বন্ধে মোশিকে যেসব নির্দেশ দিয়েছিলেন তা তিনি চল্লিশতম বছরের একাদশ মাসের প্রথম দিনে তাদের কাছে প্রকাশ করেছিলেন।
فَفِي الْيَوْمِ الأَوَّلِ مِنَ الشَّهْرِ الْحَادِي عَشَرَ، فِي السَّنَةِ الأَرْبَعِينَ، خَاطَبَ مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ بِكُلِّ مَا أَوْصَاهُ بِهِ الرَّبُّ إِلَيْهِمْ،٣
4 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে এবং ইদ্রিয়ীতে বাশনের রাজা ওগকে হারিয়ে দেবার পর এই ঘটনা ঘটেছিল। সীহোন রাজত্ব করতেন হিষ্‌বোনে এবং ওগ রাজত্ব করতেন অষ্টারোতে।
وَذَلِكَ بَعْدَ هَزِيمَةِ سِيحُونَ مَلِكِ الأَمُورِيِّينَ الْمُقِيمِ فِي حَشْبُونَ، وَعُوجَ مَلِكِ بَاشَانَ السَّاكِنِ فِي عَشْتَارُوثَ فِي إِذْرَعِي.٤
5 জর্ডনের পূর্বদিকে মোয়াব দেশে মোশি এই বিধান ব্যাখ্যা করতে লাগলেন, তিনি বললেন:
وَابْتَدَأَ مُوسَى فِي أَرْضِ مُوآبَ شَرْقِيَّ نَهْرِ الأُرْدُنِّ يَشْرَحُ الشَّرِيعَةَ قَائِلاً:٥
6 আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু হোরেবে আমাদের বলেছিলেন, “তোমরা অনেক দিন পাহাড়ে থেকেছ।
«لَقَدْ قَالَ الرَّبُّ إِلَهُنَا لَنَا فِي جَبَلِ حُورِيبَ: كَفَاكُمُ الْمُقَامُ فِي هَذَا الْجَبَلِ.٦
7 এখন তোমরা ছাউনি তুলে নিয়ে ইমোরীয়দের পাহাড়ি এলাকা এবং তার নিকটবর্তী জায়গার লোকদের কাছে যাও যারা অরাবাতে, উঁচু পাহাড়ি এলাকায়, পশ্চিম প্রদেশের নিচের পাহাড়ি এলাকায়, নেগেভে এবং সমুদ্রের তীরে, মহানদী ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত কনানীয়দের দেশে ও লেবাননে বসবাস করে।
تَحَوَّلُوا وَتَقَدَّمُوا وَادْخُلُوا جَبَلَ الأَمُورِيِّينَ وَكُلَّ مَا يَلِيهِ مِنْ وَادِي الْعَرَبَةِ وَالْجَبَلِ وَالسَّهْلِ وَالنَّقَبِ وَسَاحِلِ بَحْرِ أَرْضِ الْكَنْعَانِيِّينَ وَلُبْنَانَ، إِلَى النَّهْرِ الْكَبِيرِ نَهْرِ الْفُرَاتِ.٧
8 দেখো, আমি তোমাদের এই দেশ দিয়েছি। তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোব এবং তাঁদের বংশধরদের কাছে যে দেশ দিতে সদাপ্রভু শপথ করেছিলেন তোমরা সেখানে গিয়ে সেই দেশ অধিকার করো।”
وَانْظُرُوا، فَهَا أَنَا قَدْ وَهَبْتُكُمُ الأَرْضَ، فَادْخُلُوا وَتَمَلَّكُوهَا لأَنِّي أَقْسَمْتُ أَنْ أُعْطِيَهَا لِآبَائِكُمْ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَلِنَسْلِهِمْ مِنْ بَعْدِهِمْ».٨
9 সেই সময় আমি তোমাদের বলেছিলাম, “আমার একার পক্ষে তোমাদের ভার বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
وَقَالَ مُوسَى لِلشَّعْبِ: «لا أَقْدِرُ وَحْدِي أَنْ أَتَحَمَّلَ مَسْؤولِيَّتَكُمْ،٩
10 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের এত বৃদ্ধি করেছেন যে আজকে তোমরা আকাশের তারার মতো অসংখ্য হয়ে উঠেছ।
فَقَدْ كَثَّرَكُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ، وَهَا أَنْتُمْ قَدْ أَصْبَحْتُمُ الْيَوْمَ فِي كَثْرَةِ نُجُومِ السَّمَاءِ.١٠
11 তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সংখ্যা আরও হাজার গুণ বাড়িয়ে দিন এবং তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারেই তিনি তোমাদের আশীর্বাদ করুন!
فَلْيَزِدْكُمُ الرَّبُّ إِلَهُ آبَائِكُمْ أَلْفَ مَرَّةٍ وَيُبَارِكْكُمْ كَمَا وَعَدَكُمْ.١١
12 কিন্তু আমি একা কী করে তোমাদের সব সমস্যা ও তোমাদের বোঝা এবং তোমাদের ঝগড়া বহন করব?
وَلَكِنْ كَيْفَ يُمْكِنُ أَنْ أَحْمِلَ وَحْدِي مَشَاكِلَكُمْ وَأَثْقَالَكُمْ وَخُصُومَاتِكُمْ؟١٢
13 তোমরা তোমাদের প্রত্যেকটি গোষ্ঠী থেকে কয়েকজন করে জ্ঞানবান, বুদ্ধিমান ও সম্মানীয় লোক বেছে নাও, আমি তাদের উপর তোমাদের দেখাশোনার ভার দেব।”
فَاخْتَارُوا مِنْ أَسْبَاطِكُمْ رِجَالاً حُكَمَاءَ عُقَلاءَ مِنْ ذَوِي الْمَقَامِ، فَأَجْعَلَهُمْ قَادَةً لَكُمْ.»١٣
14 তোমরা আমাকে উত্তর দিয়েছিলে, “আপনি যা বলেছেন তাই করা ভালো।”
فَأَجَبْتُمُونِي قَائِلِينَ: «إِنَّ مَا تَقْتَرِحُ عَلَيْنَا أَنْ نَفْعَلَهُ أَمْرٌ صَائِبٌ».١٤
15 সেইজন্য আমি তোমাদের গোষ্ঠীর প্রধানদের, জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান লোকদের নিয়ে তোমাদের উপরে নিযুক্ত করেছিলাম—সহস্রপতি, শতপতি, পঞ্চাশৎপতি, দশপতি এবং গোষ্ঠীগত কর্মকর্তাদের।
فَاخْتَرْتُ رُؤَسَاءَ أَسْبَاطِكُمْ رِجَالاً حُكَمَاءَ مِنْ ذَوِي الْمَقَامِ، وَأَقَمْتُهُمْ قَادَةً عَلَيْكُمْ، فَكَانُوا رُؤَسَاءَ أُلُوفٍ وَمِئَاتٍ وَخَمَاسِينَ وَعَشَرَاتٍ، وَعُرَفَاءَ لأَسْبَاطِكُمْ.١٥
16 আর সেই বিচারকদের তখন আমি বলেছিলাম, “তোমরা ঝগড়া-বিবাদের সময়ে দুই পক্ষের কথা শুনে ন্যায়পূর্বক বিচার করবে, সেই ঝগড়া ইস্রায়েলী ভাইদের মধ্যেই হোক কিংবা ইস্রায়েলী এবং ভিন্ন জাতির লোকদের মধ্যেই হোক।
وَأَمَرْتُ قُضَاتَكُمْ آنَئِذٍ قَائِلاً: اسْتَمِعُوا إِلَى الْخُصُومَاتِ النَّاشِبَةِ بَيْنَ إِخْوَتِكُمْ وَاقْضُوا بِالْعَدْلِ بَيْنَ الإِسْرَائِيلِيِّ وَأَخِيهِ أَوْ بَيْنَ الإِسْرَائِيلِيِّ وَالنَّزِيلِ.١٦
17 বিচারের ব্যাপারে তোমরা কারও পক্ষ নেবে না এবং বড়ো-ছোটো সবার কথাই শুনবে। কোনো মানুষকে ভয় পাবে না, কেননা বিচার ঈশ্বরের। যদি কোনো বিচার তোমাদের কাছে কঠিন বলে মনে হয় তবে তোমরা তা আমার কাছে নিয়ে আসবে, আমি সেই বিচার করব।”
لَا تُحَابُوا فِي الْقَضَاءِ وَاسْتَمِعُوا لِلصَّغِيرِ كَمَا تَسْتَمِعُونَ لِلْكَبِيرِ. لَا تَهَابُوا إِنْسَاناً، لأَنَّ الْقَضَاءَ لِلهِ. وَمَا يَصْعُبُ عَلَيْكُمْ مِنْ أَمْرٍ تَرْفَعُونَهُ إِلَيَّ فَأَقْضِي فِيهِ.١٧
18 আর তোমাদের যা করতে হবে তাও আমি তখন তোমাদের বলে দিয়েছিলাম।
وَأَوْصَيْتُكُمْ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ بِجَمِيعِ الأُمُورِ الَّتِي يَجِبُ أَنْ تُجْرُوهَا.١٨
19 এরপর, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে, আমরা হোরেব ছেড়ে ইমোরীয়দের পাহাড়ি এলাকার দিকে যাওয়ার পথে তোমরা সেই বড়ো ও ভয়ংকর মরুএলাকা দেখেছিলে, এবং আমরা কাদেশ-বর্ণেয় পৌঁছালাম।
ثُمَّ ارْتَحَلْنَا بِمُوْجِبِ أَمْرِ الرَّبِّ مِنْ جَبَلِ حُورِيبَ مُجْتَازِينَ تِلْكَ الصَّحْرَاءَ الْعَظِيمَةَ الْمَخُوفَةَ الَّتِي رَأَيْتُمُوهَا، مُتَّجِهِينَ نَحْوَ بِلادِ الأَمُورِيِّينَ الْجَبَلِيَّةِ، إِلَى أَنْ أَقْبَلْنَا عَلَى قَادَشَ بَرْنِيعَ.١٩
20 তারপর আমি তোমাদের বলেছিলাম, “তোমরা ইমোরীয়দের পাহাড়ি এলাকায় এসে গিয়েছ, যেটি আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের দিচ্ছেন।
فَقُلْتُ لَكُمْ: هَا قَدْ جِئْتُمْ إِلَى بِلادِ الأَمُورِيِّينَ الْجَبَلِيَّةِ الَّتِي وَهَبَهَا لَنَا الرَّبُّ إِلَهُنَا،٢٠
21 দেখো, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই দেশ তোমাদের দিয়েছেন। উঠে গিয়ে সেটি অধিকার করো যেমন সদাপ্রভু, তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, তোমাদের বলেছিলেন। ভয় পেয়ো না; হতাশ হোয়ো না।”
فَانْظُرُوا لأَنَّ الرَّبَّ إِلَهَكُمْ قَدْ أَعْطَاكُمُ الأَرْضَ، فَاصْعَدُوا وَاسْتَوْلُوا عَلَيْهَا كَمَا وَعَدَ الرَّبُّ إِلَهُ آبَائِكُمْ. لَا تَخَافُوا وَلا تَرْتَعِبُوا.٢١
22 তখন তোমরা সবাই এসে আমাকে বলেছিলে, “কয়েকজন লোককে আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হোক যেন তারা দেশটি দেখে এসে আমাদের বলতে পারে কোন পথে আমাদের সেখানে যেতে হবে এবং কোন কোন নগর আমাদের সামনে পড়বে।”
فَتَقَدَّمْتُمْ إِلَيَّ جَمِيعُكُمْ وَقُلْتُمْ: دَعْنَا نُرْسِلُ قَوْماً لِيَتَجَسَّسُوا الأَرْضَ لَنَا، ثُمَّ يُوَافُونَا بِنَبَإِ الطَّرِيقِ الَّتِي نَسْلُكُهَا وَالْمُدُنِ الَّتِي نَجْتَازُ بِها.٢٢
23 তোমাদের কথাটি আমার ভালো মনে হয়েছিল; সেইজন্য আমি তোমাদের মধ্যে বারোজনকে মনোনীত করেছিলাম, একজন করে প্রত্যেক গোষ্ঠীর।
فَرَاقَنِي الاقْتِرَاحُ، وَانْتَخَبْتُ مِنْكُمُ اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلاً، وَاحِداً مِنْ كُلِّ سِبْطٍ.٢٣
24 তারা যাত্রা করে পাহাড়ি এলাকায় উঠে গেল এবং ইষ্কোল উপত্যকায় গিয়ে ভালো করে সবকিছু দেখে আসল।
فَاخْتَرَقُوا مَسَالِكَ الْجِبَالِ حَتَّى وَصَلُوا وَادِي أَشْكُولَ، فَاسْتَكْشَفُوهُ،٢٤
25 তারা সেই দেশের কিছু ফল সঙ্গে করে নিয়ে এসে বলেছিল, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশটি আমাদের দিচ্ছেন তা সত্যিই চমৎকার।”
وَقَطَفُوا مِنْ ثِمَارِ الأَرْضِ وَحَمَلُوهَا إِلَيْنَا، وَقَالُوا: الأَرْضُ الَّتِي وَهَبَهَا لَنَا الرَّبُّ إِلَهُنَا أَرْضٌ جَيِّدَةٌ.٢٥
26 কিন্তু তোমরা সেই দেশে যেতে চাইলে না; তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করেছিলে।
لَكِنَّكُمْ تَقَاعَسْتُمْ عَنِ الصُّعُودِ إِلَيْهَا وَعَصَيْتُمْ أَمْرَ الرَّبِّ إِلَهِكُمْ،٢٦
27 তোমাদের তাঁবুতে তোমরা দোষারোপ করে বলেছিল, “সদাপ্রভু আমাদের ঘৃণা করেন; সেইজন্য তিনি ইমোরীয়দের হাতে তুলে দিয়ে ধ্বংস করার জন্য আমাদের মিশর থেকে বের করে এনেছেন।
وَتَذَمَّرْتُمْ فِي خِيَامِكُمْ قَائِلِينَ: لأَنَّ الرَّبَّ يَكْرَهُنَا أَخْرَجَنَا مِنْ أَرْضِ مِصْرَ لِيُوْقِعَنَا فِي أَيْدِي الأَمُورِيِّينَ وَيُهْلِكَنَا.٢٧
28 আমরা কোথায় যাব? আমাদের ভাইয়েরা আমাদের মন ভেঙে দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘সেখানকার লোকেরা আমাদের থেকে শক্তিশালী এবং লম্বা; নগরগুলি খুব বড়ো ও তাদের প্রাচীর গগনচুম্বী। আমরা সেখানে অনাকীয়দেরও দেখেছি।’”
فَإِلَى أَيْنَ نَذْهَبُ؟ لَقَدْ أَوْهَنَ إِخْوَتُنَا قُلُوبَنَا عِنْدَمَا أَخْبَرُونَا أَنَّ أَهْلَ الأَرْضِ أَعْظَمُ مِنَّا وَأَكْثَرُ طُولاً، وَمُدُنَهُمْ عَظِيمَةٌ تَبْلُغُ حُصُونُهَا عَنَانَ السَّمَاءِ، وَقَدْ شَاهَدْنَا هُنَاكَ بَنِي عَنَاقَ أَيْضاً.٢٨
29 তখন আমি তোমাদের বলেছিলাম, “আতঙ্কগ্রস্ত হোয়ো না; তাদের ভয় পেয়ো না।
فَقُلْتُ لَكُمْ: لَا تَجْزَعُوا وَلا تَخَافُوا مِنْهُمْ،٢٩
30 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি তোমাদের আগে যাচ্ছেন, তিনি তোমাদের হয়ে যুদ্ধ করবেন, যেমন তিনি তোমাদের হয়ে মিশরে করেছিলেন, তোমাদের চোখের সামনে,
لأَنَّ الرَّبَّ إِلَهَكُمُ السَّائِرَ أَمَامَكُمْ هُوَ يُحَارِبُ عَنْكُمْ كَمَا رَأَيْتُمُوهُ مَعَكُمْ فِي مِصْرَ.٣٠
31 মরুএলাকায়। সেখানে তোমরা দেখেছিলে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কেমন করে তোমাদের বহন করেছিলেন, যেমন করে একজন বাবা তার ছেলেকে বহন করে, তেমনি করে তিনি নিয়ে এসেছেন যতক্ষণ না তোমরা এই জায়গায় পৌঁছেছ।”
كَذَلِكَ شَهِدْتُمْ فِي الصَّحْرَاءِ كَيْفَ حَمَلَكُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ كَمَا يَحْمِلُ الإِنْسَانُ ابْنَهُ، فِي كُلِّ الطَّرِيقِ الَّتِي سَلَكْتُمُوهَا، حَتَّى أَقْبَلْتُمْ إِلَى هَذَا الْمَكَانِ.٣١
32 তবুও তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে বিশ্বাস করোনি,
وَلَكِنْ عَلَى الرَّغْمِ مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّكُمْ لَمْ تَثِقُوا بِالَّربِّ إِلَهِكُمُ٣٢
33 যিনি যাত্রাপথে রাতে আগুনের মধ্যে ও দিনে মেঘের মধ্যে তোমাদের আগে আগে গিয়েছিলেন, তোমাদের তাঁবু ফেলার জায়গার খোঁজে এবং পথ দেখাবার জন্য যেখান দিয়ে তোমাদের যেতে হবে।
السَّائِرِ أَمَامَكُمْ فِي رِحْلَتِكُمْ، لِيَلْتَمِسَ لَكُمْ مَكَاناً تَنْزِلُونَ فِيهِ. فَكَانَ يَقُودُكُمْ فِي عَمُودِ نَارٍ لَيْلاً وَفِي عَمُودِ سَحَابٍ نَهَاراً.٣٣
34 তোমরা যা বলেছ তা সদাপ্রভু যখন শুনলেন, তিনি ভীষণ অসন্তুষ্ট হলেন এবং এই শপথ করলেন
وَسَمِعَ الرَّبُّ تَذَمُّرَكُمْ فَسَخَطَ عَلَيْكُمْ وَأَقْسَمَ قَائِلاً:٣٤
35 “এই দুষ্ট বংশের কোনো লোক সেই চমৎকার দেশ দেখতে পাবে না যা আমি তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম,
لَنْ يَرَى إِنْسَانٌ مِنْ هَذَا الْجِيلِ الشِّرِّيرِ الأَرْضَ الْجَيِّدَةَ الَّتِي أَقْسَمْتُ أَنْ أَهَبَهَا لِآبَائِكُمْ.٣٥
36 কেবল যিফূন্নির ছেলে কালেব ছাড়া। সে তা দেখবে, এবং আমি তাকে ও তার বংশধরদের সেই জায়গা দেব যেখানে সে পা রেখেছিল, কেননা সে পুরোপুরিভাবে সদাপ্রভুর কথা অনুসারে চলেছে।”
إِلّا كَالِبَ بْنَ يَفُنَّةَ، فَهُوَ يَرَاهَا وَأُوَرِّثُهُ هُوَ وَبَنِيهِ الأَرْضَ الَّتِي وَطِئَهَا، لأَنَّهُ أَطَاعَ الرَّبَّ مِنْ كُلِّ قَلْبِهِ.٣٦
37 তোমাদের দরুন সদাপ্রভু আমার উপরেও ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়ে বলেছিলেন, “তোমারও, ওই দেশে ঢোকা হবে না।
كَمَا غَضِبَ الرَّبُّ عَلَيَّ بِسَبَبِكُمْ قَائِلاً: وَأَنْتَ أَيْضاً لَنْ تَدْخُلَ الأَرْضَ.٣٧
38 কিন্তু তোমার সাহায্যকারী নূনের ছেলে যিহোশূয় ঢুকবে। তাকে উৎসাহ দাও, কারণ সেই ইস্রায়েলকে দেশটি অধিকার করতে নেতৃত্ব দেবে।
إِنَّمَا يَشُوعُ بْنُ نُونٍ الْمَاثِلُ أَمَامَكَ هُوَ يَدْخُلُهَا فَشَجِّعْهُ لأَنَّهُ هُوَ الَّذِي يُوَزِّعُهَا عَلَى الإِسْرَائيِليِّينَ.٣٨
39 যেসব ছেলেমেয়েকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হবে বলে তোমরা বলেছিলে তোমাদের সেইসব ছেলেমেয়ে, যাদের ভালোমন্দের জ্ঞান হয়নি তারাই সেই দেশে ঢুকবে। আমি দেশটি তাদেরই দেব এবং তারা তা অধিকার করবে।
أَمَّا أَطْفَالُكُمُ الَّذِينَ ادَّعَيْتُمْ أَنَّهُمْ يُصْبِحُونَ غَنِيمَةً، وَصِغَارُكُمُ الَّذِينَ لَا يُمَيِّزُونَ بَعْدُ الْخَيْرَ وَالشَّرَّ، فَهُمْ يَدْخُلُونَ إِلَى هُنَاكَ وَلَهُمْ أَهَبُ الأَرْضَ وَهُمْ يَرِثُونَهَا.٣٩
40 কিন্তু তোমরা ফেরো এবং সূফসাগরের পথ দিয়ে মরুএলাকার দিকে যাও।”
وَأَمَّا أَنْتُمْ فَتَحَوَّلُوا وَارْتَحِلُوا إِلَى الصَّحْرَاءِ عَلَى مُحَاذَاةِ طَرِيقِ الْبَحْرِ الأَحْمَرِ.٤٠
41 তখন তোমরা উত্তর দিয়েছিলে, “আমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছি। আমরা উঠে যাব এবং যুদ্ধ করব, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের যেমন আদেশ করেছেন।” অতএব তোমরা সবাই অস্ত্রশস্ত্র নিয়েছিলে, ভেবেছিলে পাহাড়ি এলাকায় উঠে যাওয়া খুব সহজ।
فَأَجَبْتُمْ وَقُلْتُمْ لِي: لَقْدْ أَخْطَأْنَا إِلَى الرَّبِّ، وَنَحْنُ صَاعِدُونَ إِلَى الْحَرْبِ حَسَبَ كُلِّ مَا أَمَرَنَا بِهِ الرَّبُّ إِلَهُنَا. وَحَمَلَ كُلُّ وَاحِدٍ سِلاحَهُ، مَسْتَخِفّاً بِمَصَاعِبِ ارْتِقَاءِ الْجِبَالِ.٤١
42 কিন্তু সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তাদের বলো, ‘উপরে উঠে যুদ্ধ কোরো না, কেননা আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব না। তোমরা শত্রুদের দ্বারা পরাজিত হবে।’”
فَأَمَرَنِي الرَّبُّ: قُلْ لَهُمْ لَا تَصْعَدُوا وَلا تُحَارِبُوا، لأَنِّي لَسْتُ فِي وَسَطِكُمْ، لِئَلّا تَنْهَزِمُوا أَمَامَ أَعْدَائِكُمْ.٤٢
43 আমি তোমাদের সেই কথা জানালাম, কিন্তু তোমরা শুনলে না। তোমরা সদাপ্রভুর আদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে এবং অহংকারের সঙ্গে পর্বতে অবস্থিত নগরে উঠে গেলে।
فَكَلَّمْتُكُمْ وَلَكِنَّكُمْ لَمْ تَسْمَعُوا، بَلْ عَصَيْتُمْ أَمْرَ الرَّبِّ وَتَمَرَّدْتُمْ وَصَعِدْتُمْ إِلَى الأَرَاضِي الْجَبَلِيَّةِ.٤٣
44 সেই পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী ইমোরীয়েরা তোমাদের বিরুদ্ধে বের হয়ে এসে এক ঝাঁক মৌমাছির মতো তোমাদের তাড়া করে সেয়ীর থেকে হর্মা পর্যন্ত মারতে মারতে নিয়ে গিয়েছিল।
فَانْدَفَعَ الأَمُورِيُّونَ الْمُسْتَوْطِنُونَ فِي الأَرَاضِي الْجَبَلِيَّةِ لِلِقَائِكُمْ، وَطَارَدُوكُمْ كَمَا يُطَارِدُ النَّحْلُ، وَهَزَمُوكُمْ فِي سِعِيرَ حَتَّى تُخُومِ حُرْمَةَ.٤٤
45 তোমরা ফিরে এসে সদাপ্রভুর কাছে কেঁদেছিলে, কিন্তু তিনি তোমাদের কান্নায় কোনও মনোযোগ দিলেন না এবং তিনি কান বন্ধ করেছিলেন।
فَرَجَعْتُمْ وَنُحْتُمْ أَمَامَ الرَّبِّ، وَلَمْ يَسْمَعِ الرَّبُّ لِصَوْتِكُمْ وَلا أَنْصَتَ إِلَيْكُمْ.٤٥
46 আর তোমরা অনেক দিন কাদেশে থাকলে—সেখানেই তোমাদের সময় কাটল।
وَمَكَثْتُمْ فِي قَادَشَ أَيَّاماً كَثِيرَةً، أَيْ طَوَالَ الْفَتْرَةِ الَّتِي بَقِيتُمْ فِيهَا هُنَاكَ.٤٦

< দ্বিতীয় বিবরণ 1 >