< দ্বিতীয় বিবরণ 22 >

1 তোমার ইস্রায়েলী ভাইয়ের কোনও গরু বা মেষকে পথ হারিয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে দেখলে তুমি চুপ করে বসে থাকবে না কিন্তু তাকে তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
তোমার কোনো ভাইয়ের বলদ কিংবা মেষকে বিপথগামী হতে দেখলে তুমি তাদের থেকে গা ঢাকা দিও না; অবশ্য নিজের ভাইয়ের কাছে তাদেরকে ফিরিয়ে আনবে।
2 যদি তারা তোমার বাড়ির কাছে না থাকে অথবা তুমি না জানতে পারো যে আসল মালিক কে, তাহলে সেটির বাড়িতে নিয়ে যাবে আর সেখানে রাখবে যতক্ষণ না তারা সেটার খোঁজে আসে। তখন সেটি ফিরিয়ে দেবে।
যদি তোমার সেই ভাই তোমার কাছে অবস্থিত কিংবা পরিচিত না হয়, তবে তুমি সেই পশুকে নিজের বাড়িতে এনে যতক্ষণ সেই ভাই তার খোঁজ না করে, ততক্ষণ নিজের কাছে রাখবে, পরে তা ফিরিয়ে দেবে।
3 গাধা কিংবা গায়ের কাপড় কিংবা হারিয়ে যাওয়া অন্য কিছুর ক্ষেত্রে একইরকম করবে। চুপ করে বসে থাকবে না।
তুমি তার গাধার বিষয়েও সেরকম করবে এবং তার কাপড়ের বিষয়েও সেরকম করবে; তোমার ভাইয়ের হারিয়ে যাওয়া যে কোনো জিনিস তুমি পাও, সেই সবের বিষয়ে সেরকম করবে; তোমার গা ঢাকা দেওয়া উচিত না।
4 তুমি যদি দেখো তোমার ইস্রায়েলী ভাইয়ের গাধা কিংবা গরু রাস্তায় পড়ে গেছে, চুপ করে বসে থাকবে না। সেটি যাতে উঠে দাড়াতে পারে তার জন্য মালিককে সাহায্য করবে।
তোমার ভাই গাধা কিংবা বলদকে পথে পড়ে থাকতে দেখলে তাদের থেকে গা ঢাকা দিও না; অবশ্য তুমি তাদেরকে তুলতে তার সাহায্য করবে।
5 কোনও স্ত্রীলোক পুরুষের পোশাক কিংবা কোনও পুরুষ স্ত্রীলোকের পোশাক পরবে না, কারণ যে তা করে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাকে ঘৃণা করেন।
স্ত্রীলোক পুরুষের পরা কিংবা পুরুষ স্ত্রীলোকের পোশাক পরবে না; কারণ যে কেউ তা করে, সে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র।
6 তোমরা যদি পথের পাশে কোনও পাখির বাসা দেখো, তা গাছের উপরে কিংবা মাটিতে হতে পারে, এবং পাখির মা শাবকদের উপর বসে আছে কিংবা ডিমের উপর তা দিচ্ছে, তবে শাবক সমেত মাকে তোমরা ঘরে নিয়ে যাবে না।
যদি রাস্তার পাশে অবস্থিত কোনো গাছে কিংবা মাটির ওপরে তোমার সামনে কোনো পাখির বাসাতে বাচ্চা কিংবা ডিম থাকে এবং সেই বাচ্চার কিংবা ডিমের ওপরে মা পাখি বসে থাকে, তবে তুমি বাচ্চাদের সঙ্গে মা পাখিকে ধর না।
7 তোমরা শাবকগুলি নিতে পারো, কিন্তু মাকে অবশ্যই ছেড়ে দেবে, যেন তোমাদের মঙ্গল হয় এবং তোমরা অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারো।
তুমি নিজের জন্য বাচ্চাগুলিকে নিতে পার, কিন্তু নিশ্চয় মা পাখিকে ছেড়ে দেবে; যেন তোমার ভালো হয় ও দীর্ঘ দিন আয়ু হয়।
8 তোমরা যখন নতুন বাড়ি তৈরি করবে, তার ছাদের চারপাশে দেয়ালের মতো করে কিছুটা উঁচু করে দেবে যাতে কেউ ছাদের উপর থেকে পড়লে তোমরা যেন তোমাদের বাড়িতে রক্তপাতের দোষে দোষী না হও।
নতুন বাড়ি তৈরী করলে তার ছাদে পাঁচিল তৈরী করবে, পাছে তার ওপর থেকে কোনো মানুষ পড়ে গেলে তুমি নিজের বাড়িতে রক্তপাতের অপরাধ আনো।
9 তোমাদের দ্রাক্ষাক্ষেতে দুই জাতের বীজ লাগাবে না; যদি তোমরা তা করো, তাহলে সেই বীজের ফসল এবং দ্রাক্ষাক্ষেতের আঙুর দুই-ই উপাসনা গৃহের জন্য অপবিত্র হবে।
তোমার আঙ্গুর ক্ষেতে মিশ্রিত বীজ বপন করবে না; পাছে সব ফল তোমার বোনা বীজ ও আঙ্গুর ক্ষেত অপবিত্র হবে।
10 তোমরা বলদ আর গাধা একসঙ্গে জুড়ে চাষ করবে না।
১০বলদে ও গাধায় এক সঙ্গে জুড়ে চাষ করবে না।
11 তোমরা পশম আর মসিনা সুতো মিশিয়ে বোনা কাপড় পরবে না।
১১লোম ও মসীনা মেশানো সুতোর তৈরী পোশাক পর না।
12 তোমাদের গায়ের চাদরের চার কোনায় থোপ লাগাবে।
১২নিজের আবরণের জন্যে গায়ের পোশাকের চার কোণায় আঁচল দিও।
13 কোনও লোক যদি বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে শোবার পরে তাকে অপছন্দ করে
১৩কোনো পুরুষ যদি বিয়ে করে স্ত্রীর কাছে যায়, পরে তাকে ঘৃণা করে
14 এবং তার নিন্দা ও বদনাম করে, বলে, “আমি এই স্ত্রীলোককে বিয়ে করেছিলাম, কিন্তু সে যে কুমারী তার মধ্যে সেই প্রমাণ আমি পেলাম না,”
১৪এবং তার নামে অপবাদ করে ও তার অপমান করে বলে, “আমি এই স্ত্রীকে বিয়ে করেছি বটে, কিন্তু যখন আমি তার কাছে গেলাম, আমি তার মধ্যে কুমারীত্বের চিহ্ন পেলাম না;”
15 তবে সেই স্ত্রীলোকের বাবা-মা নগরের দ্বারে প্রবীণ নেতাদের কাছে তার কুমারী অবস্থার প্রমাণ নিয়ে যাবে।
১৫তবে সেই মেয়ের বাবা মা তার কুমারীত্বের চিহ্ন নিয়ে শহরের প্রাচীনদের কাছে শহরের দরজায় উপস্থিত করবে।
16 তার বাবা প্রবীণ নেতাদের বলবে, “আমি এই লোকের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু সে তাকে অপছন্দ করে।
১৬আর মেয়ের বাবা প্রাচীনদেরকে বলবে, “আমি এই লোকের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু এ তাকে ঘৃণা করে;
17 এখন সে তার নিন্দা করে বলছে, ‘আমি আপনার মেয়েকে কুমারী অবস্থায় পাইনি।’ কিন্তু এই দেখুন আমার মেয়ের কুমারী অবস্থার প্রমাণ।” পরে তারা সেই কাপড় নগরের প্রবীণ নেতাদের সামনে মেলে ধরবে,
১৭আর দেখ, এ অপবাদ দিয়ে বলে, আমি তোমার মেয়ের কুমারীত্বের চিহ্ন পাইনি; কিন্তু আমার মেয়ের কুমারীত্বের চিহ্ন এই দেখুন। আর তারা শহরের প্রাচীনদের সামনে সেই পোশাক বাড়িয়ে দেবে।”
18 আর নগরের প্রবীণ নেতারা তার স্বামীকে শাস্তি দেবে।
১৮পরে শহরের প্রাচীনরা সেই পুরুষকে ধরে শাস্তি দেবে।
19 তার কাছ থেকে তারা জরিমানা হিসেবে একশো শেকল রুপো আদায় করে মেয়েটির বাবাকে দেবে, কারণ এই লোকটি একজন ইস্রায়েলী কুমারী মেয়ের বদনাম করেছে। সে তার স্ত্রীই থাকবে; আর সে যতদিন বেঁচে থাকবে তাকে ছেড়ে দিতে পারবে না।
১৯আর তার একশো [শেকল] রূপা শাস্তি দিয়ে মেয়ের বাবাকে দেবে, কারণ সেই লোক ইস্রায়েলীয় এক কুমারীর উপরে বদনাম এনেছে; আর সে তার স্ত্রী হইবে, ঐ লোক সারাজীবন তাকে ত্যাগ করতে পারবে না।
20 কিন্তু, সেই অভিযোগ যদি সত্যি হয় এবং মেয়েটির কুমারী অবস্থার কোনও প্রমাণ পাওয়া না যায়,
২০কিন্তু সেই কথা যদি সত্য হয়, মেয়ের কুমারীত্বের চিহ্ন যদি না পাওয়া যায়;
21 তবে মেয়েটিকে তার বাবার বাড়ির দরজার কাছে নিয়ে যেতে হবে আর তার নগরের পুরুষেরা সেখানে তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলবে। বাবার বাড়িতে থাকবার সময় ব্যভিচার করে ইস্রায়েলীদের মধ্যে মর্যাদাহানিকর কাজ করেছে। তোমরা তোমাদের মধ্য থেকে এরকম দুষ্টতা শেষ করে দেবে।
২১তবে তারা সেই মেয়েকে বের করে তার বাবার বাড়ির দরজার কাছে আনবে এবং সেই মেয়ের শহরের লোকেরা পাথরের আঘাতে তাকে হত্যা করবে; কারণ বাবার বাড়িতে ব্যভিচার করাতে সে ইস্রায়েলের মধ্যে অসম্মানীয় কাজ করেছে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
22 কোনো লোককে যদি অন্য লোকের স্ত্রীর সঙ্গে শুতে দেখা যায়, তবে যে তার সঙ্গে শুয়েছে সেই পুরুষ ও সেই স্ত্রীলোক দুজনকেই মেরে ফেলবে। তোমরা তোমাদের মধ্য থেকে এরকম দুষ্টতা শেষ করে দেবে।
২২কোনো লোক যদি একজন পরস্ত্রীর সঙ্গে শোয়ার দিনের ধরা পড়ে, তবে পরস্ত্রীর সঙ্গে শুয়ে থাকা সেই পুরুষ ও সেই স্ত্রী উভয়ে মারা যাবে; এভাবে তুমি ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
23 বিয়ে ঠিক হয়ে আছে এমন কোনও কুমারী মেয়েকে নগরের মধ্যে পেয়ে যদি কেউ তার সঙ্গে শোয়,
২৩যদি কেউ পুরুষের প্রতি বাগদত্তা কোনো কুমারীকে শহরের মধ্যে পেয়ে তার সঙ্গে শোয়;
24 তোমরা দুজনকেই নগরের দ্বারের কাছে নিয়ে গিয়ে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলবে—মেয়েটিকে মেরে ফেলবে কারণ নগরের মধ্যে থেকেও সে সাহায্যের জন্য চিৎকার করেনি, আর পুরুষটিকে মেরে ফেলতে হবে কারণ সে অন্যের স্ত্রীকে নষ্ট করেছে। তোমরা তোমাদের মধ্য থেকে এরকম দুষ্টতা শেষ করে দেবে।
২৪তবে তোমরা সেই দুই জনকে বের করে শহরের দরজার কাছে এনে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; সেই মেয়েকে হত্যা করবে, কারণ শহরের মধ্যে থাকলেও সে চিৎকার করে নি এবং সেই লোককে হত্যা করবে, কারণ সে নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীকে অসম্মান করেছে; এভাবে তুমি নিজের মধ্যে থেকে খারাপ ব্যবহার বাদ দেবে।
25 কিন্তু বিয়ে ঠিক হয়ে আছে এমন কোনও মেয়েকে মাঠে পেয়ে যদি তাকে কোনও পুরুষ ধর্ষণ করে, তবে যে লোকটি তা করবে কেবল তাকেই মেরে ফেলবে।
২৫কিন্তু যদি কোনো লোক বাগদত্তা মেয়েকে মাঠে পেয়ে জোর করে তার সঙ্গে শোয়, তবে তার সঙ্গে যে শোয় সেই লোক মারা যাবে;
26 মেয়েটির প্রতি তোমরা কিছু করবে না; মৃত্যুর শাস্তি পাওয়ার মতো কোনও পাপ সে করেনি। এটি একজন তার প্রতিবেশীকে আক্রমণ করে মেরে ফেলবার মতোই,
২৬কিন্তু মেয়ের প্রতি তুমি কিছুই করবে না; সে মেয়েতে প্রাণদণ্ডের যোগ্য পাপ নেই; কারণ যেমন কোনো মানুষ নিজের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে উঠে তাকে প্রাণে হত্যা করে, এটাও সেরকম।
27 কারণ লোকটি মাঠে মেয়েটিকে পেয়েছিল, আর বাগদত্তা মেয়েটি যদিও চিৎকার করেছিল, তবুও তাকে রক্ষা করবার মতো কেউ সেখানে ছিল না।
২৭কারণ সেই লোক মাঠে তাকে পেয়েছিল; ওই বাগদত্তা মেয়ে চিৎকার করলেও তার উদ্ধারকর্তা কেউ ছিল না।
28 যদি কোনও পুরুষ অবিবাহিতা কোনও কুমারী মেয়েকে পেয়ে ধর্ষণ করে এবং তারা ধরা পড়ে,
২৮যদি কেউ অবাগদত্তা কুমারী মেয়েকে পেয়ে তাকে ধরে তার সঙ্গে শোয় ও তারা ধরা পড়ে,
29 তাকে মেয়েটির বাবাকে পঞ্চাশ শেকল রুপো দেবে। মেয়েটিকে নষ্ট করেছে বলে, সেই পুরুষকে বিয়ে করতে হবে। সে আজীবন তাকে ছেড়ে দিতে পারবে না।
২৯তবে তার সঙ্গে শুয়ে থাকা সেই লোক মেয়ের বাবাকে পঞ্চাশ [শেকল] রূপা দেবে এবং তাকে অসম্মানিত করেছে বলে সে তার স্ত্রী হবে; সেই লোক তাকে সারা জীবন ত্যাগ করতে পারবে না।
30 কোনও পুরুষ যেন তার বাবার স্ত্রীকে বিয়ে না করে; সে বাবার স্ত্রীর সঙ্গে শুয়ে তার বাবাকে যেন অসম্মান না করে।
৩০কোনো লোক নিজের বাবার স্ত্রীকে গ্রহণ করবে না ও নিজের বাবার বিয়ের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।

< দ্বিতীয় বিবরণ 22 >