< দ্বিতীয় বিবরণ 19 >

1 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাদের অধিকার করবার জন্য দেবেন সেখানকার জাতিদের যখন তিনি ধ্বংস করে ফেলবেন এবং তোমরা তাদের নগরে এবং বাড়িতে বসবাস করবে,
ἐὰν δὲ ἀφανίσῃ κύριος ὁ θεός σου τὰ ἔθνη ἃ ὁ θεός σου δίδωσίν σοι τὴν γῆν αὐτῶν καὶ κατακληρονομήσητε αὐτοὺς καὶ κατοικήσητε ἐν ταῖς πόλεσιν αὐτῶν καὶ ἐν τοῖς οἴκοις αὐτῶν
2 তখন যে দেশ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের অধিকার করবার জন্য দেবেন সেখান থেকে তিনটি নগর তোমরা আলাদা করে রাখবে।
τρεῖς πόλεις διαστελεῖς σεαυτῷ ἐν μέσῳ τῆς γῆς σου ἧς κύριος ὁ θεός σου δίδωσίν σοι
3 তোমরা নিজেদের জন্য পথ প্রস্তুত করবে এবং সদাপ্রভু যে দেশের অধিকার দেবেন, তোমরা সেটি তিন ভাগ করবে, যেন যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করে তাহলে সে কোনও একটি নগরে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে।
στόχασαί σοι τὴν ὁδὸν καὶ τριμεριεῖς τὰ ὅρια τῆς γῆς σου ἣν καταμερίζει σοι κύριος ὁ θεός σου καὶ ἔσται καταφυγὴ ἐκεῖ παντὶ φονευτῇ
4 যে হত্যা করেছে সে সেখানে পালিয়ে বাঁচতে পারে, তার অনুশাসন এইরকম—কোনও হিংসা না করে যদি কেউ তার প্রতিবেশীকে অনিচ্ছাবশত হত্যা করে।
τοῦτο δὲ ἔσται τὸ πρόσταγμα τοῦ φονευτοῦ ὃς ἂν φύγῃ ἐκεῖ καὶ ζήσεται ὃς ἂν πατάξῃ τὸν πλησίον αὐτοῦ ἀκουσίως καὶ οὗτος οὐ μισῶν αὐτὸν πρὸ τῆς ἐχθὲς καὶ πρὸ τῆς τρίτης
5 যেমন, একজন লোক অন্য একজনের সঙ্গে বনে কাঠ কাটতে গেল, আর সেখানে গাছ কাটতে গিয়ে কোপ দেবার সময় কুড়ুলের ফলাটি ফসকিয়ে গিয়ে অন্য লোকটিকে আঘাত করল এবং তাতে সে মারা গেল। সেই লোকটি কোনও একটি আশ্রয়-নগরে গিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারে।
καὶ ὃς ἂν εἰσέλθῃ μετὰ τοῦ πλησίον εἰς τὸν δρυμὸν συναγαγεῖν ξύλα καὶ ἐκκρουσθῇ ἡ χεὶρ αὐτοῦ τῇ ἀξίνῃ κόπτοντος τὸ ξύλον καὶ ἐκπεσὸν τὸ σιδήριον ἀπὸ τοῦ ξύλου τύχῃ τοῦ πλησίον καὶ ἀποθάνῃ οὗτος καταφεύξεται εἰς μίαν τῶν πόλεων τούτων καὶ ζήσεται
6 তা না হলে রক্তের প্রতিশোধ যার নেওয়ার কথা সে রাগের বশে তাকে তাড়া করতে পারে আর আশ্রয়-নগর কাছে না হলে তাকে মেরে ফেলতে পারে, যদিও মনে হিংসা নিয়ে মেরে ফেলেনি বলে মৃত্যু তার প্রাপ্য শাস্তি নয়।
ἵνα μὴ διώξας ὁ ἀγχιστεύων τοῦ αἵματος ὀπίσω τοῦ φονεύσαντος ὅτι παρατεθέρμανται τῇ καρδίᾳ καὶ καταλάβῃ αὐτόν ἐὰν μακροτέρα ᾖ ἡ ὁδός καὶ πατάξῃ αὐτοῦ τὴν ψυχήν καὶ ἀποθάνῃ καὶ τούτῳ οὐκ ἔστιν κρίσις θανάτου ὅτι οὐ μισῶν ἦν αὐτὸν πρὸ τῆς ἐχθὲς καὶ πρὸ τῆς τρίτης
7 সেইজন্য আমি তোমাদের নিজেদের জন্য তিনটি নগর আলাদা করে রাখবার আদেশ দিচ্ছি।
διὰ τοῦτο ἐγώ σοι ἐντέλλομαι τὸ ῥῆμα τοῦτο λέγων τρεῖς πόλεις διαστελεῖς σεαυτῷ
8 যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের এলাকা বৃদ্ধি করেন, যেমন তিনি তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করে শপথ করেছিলেন, এবং তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা অনুসারে তোমাদের সম্পূর্ণ দেশটিই দেবেন,
ἐὰν δὲ ἐμπλατύνῃ κύριος ὁ θεός σου τὰ ὅριά σου ὃν τρόπον ὤμοσεν τοῖς πατράσιν σου καὶ δῷ σοι κύριος πᾶσαν τὴν γῆν ἣν εἶπεν δοῦναι τοῖς πατράσιν σου
9 কারণ আমি যেসব আজ্ঞা আজ তোমাদের দিচ্ছি সেগুলি যত্নের সঙ্গে পালন করবে—তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালোবাসবে এবং তাঁর বাধ্য হয়ে চলবে—তাহলে আরও তিনটি নগর আলাদা করবে।
ἐὰν ἀκούσῃς ποιεῖν πάσας τὰς ἐντολὰς ταύτας ἃς ἐγὼ ἐντέλλομαί σοι σήμερον ἀγαπᾶν κύριον τὸν θεόν σου πορεύεσθαι ἐν πάσαις ταῖς ὁδοῖς αὐτοῦ πάσας τὰς ἡμέρας καὶ προσθήσεις σεαυτῷ ἔτι τρεῖς πόλεις πρὸς τὰς τρεῖς ταύτας
10 তোমরা এটি করবে যাতে সম্পত্তি হিসেবে যে দেশটি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেই দেশের উপর নির্দোষ লোকের রক্তপাত না হয় এবং রক্তপাতের দোষে তোমরা দোষী না হও।
καὶ οὐκ ἐκχυθήσεται αἷμα ἀναίτιον ἐν τῇ γῇ σου ᾗ κύριος ὁ θεός σου δίδωσίν σοι ἐν κλήρῳ καὶ οὐκ ἔσται ἐν σοὶ αἵματι ἔνοχος
11 কিন্তু যদি কেউ হিংসা করে প্রতিবেশীর উপর হামলা করে মেরে ফেলবার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকে এবং তাকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে আর তার কাছের আশ্রয়-নগরে পালিয়ে যায়,
ἐὰν δὲ γένηται ἄνθρωπος μισῶν τὸν πλησίον καὶ ἐνεδρεύσῃ αὐτὸν καὶ ἐπαναστῇ ἐπ’ αὐτὸν καὶ πατάξῃ αὐτοῦ ψυχήν καὶ ἀπεθάνῃ καὶ φύγῃ εἰς μίαν τῶν πόλεων τούτων
12 তবে তার নগরের প্রবীণ নেতারা লোক পাঠিয়ে সেই নগর থেকে তাকে ধরে আনবে এবং রক্তের প্রতিশোধ যার নেওয়ার কথা তার হাতে তাকে মেরে ফেলার জন্য তুলে দেবে।
καὶ ἀποστελοῦσιν ἡ γερουσία τῆς πόλεως αὐτοῦ καὶ λήμψονται αὐτὸν ἐκεῖθεν καὶ παραδώσουσιν αὐτὸν εἰς χεῖρας τῷ ἀγχιστεύοντι τοῦ αἵματος καὶ ἀποθανεῖται
13 তাকে কোনও দয়া দেখাবে না। তোমরা ইস্রায়েলীদের মধ্য থেকে নির্দোষ লোকের রক্তপাতের দোষ মুছে ফেলবে, তাতে তোমাদের মঙ্গল হবে।
οὐ φείσεται ὁ ὀφθαλμός σου ἐπ’ αὐτῷ καὶ καθαριεῖς τὸ αἷμα τὸ ἀναίτιον ἐξ Ισραηλ καὶ εὖ σοι ἔσται
14 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ অধিকার করার জন্য তোমাদের দিচ্ছেন সেই দেশে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা চিহ্ন দিয়ে যে সীমানা চিহ্নিত করেছে, তোমাদের প্রতিবেশীর সেই সীমানা সরাবে না।
οὐ μετακινήσεις ὅρια τοῦ πλησίον σου ἃ ἔστησαν οἱ πατέρες σου ἐν τῇ κληρονομίᾳ σου ᾗ κατεκληρονομήθης ἐν τῇ γῇ ᾗ κύριος ὁ θεός σου δίδωσίν σοι ἐν κλήρῳ
15 কেউ কোনো দোষ বা অপরাধ করলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে তার বিরুদ্ধে মাত্র একজন সাক্ষী দাঁড়ালে হবে না। দুই বা তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে কোনো বিষয় সত্যি বলে প্রমাণিত হবে।
οὐκ ἐμμενεῖ μάρτυς εἷς μαρτυρῆσαι κατὰ ἀνθρώπου κατὰ πᾶσαν ἀδικίαν καὶ κατὰ πᾶν ἁμάρτημα καὶ κατὰ πᾶσαν ἁμαρτίαν ἣν ἂν ἁμάρτῃ ἐπὶ στόματος δύο μαρτύρων καὶ ἐπὶ στόματος τριῶν μαρτύρων σταθήσεται πᾶν ῥῆμα
16 যদি কোনও বিদ্বেষপরায়ণ সাক্ষী কারও বিরুদ্ধে অন্যায় কাজের নালিশ করে,
ἐὰν δὲ καταστῇ μάρτυς ἄδικος κατὰ ἀνθρώπου καταλέγων αὐτοῦ ἀσέβειαν
17 তবে সেই বিতর্কে লিপ্ত দুজনকে সেই সময়কার যাজকদের ও বিচারকদের কাছে গিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়াতে হবে।
καὶ στήσονται οἱ δύο ἄνθρωποι οἷς ἐστιν αὐτοῖς ἡ ἀντιλογία ἔναντι κυρίου καὶ ἔναντι τῶν ἱερέων καὶ ἔναντι τῶν κριτῶν οἳ ἐὰν ὦσιν ἐν ταῖς ἡμέραις ἐκείναις
18 বিচারকেরা ভালো করে তদন্ত করবে, আর যদি সে তার ইস্রায়েলী ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেবার দরুন মিথ্যাবাদী বলে ধরা পড়ে,
καὶ ἐξετάσωσιν οἱ κριταὶ ἀκριβῶς καὶ ἰδοὺ μάρτυς ἄδικος ἐμαρτύρησεν ἄδικα ἀντέστη κατὰ τοῦ ἀδελφοῦ αὐτοῦ
19 তবে সে তার ভাইয়ের যা করতে চেয়েছিল তাই তার প্রতি করতে হবে। তোমাদের মধ্য থেকে এই রকমের দুষ্টতা শেষ করে দেবে।
καὶ ποιήσετε αὐτῷ ὃν τρόπον ἐπονηρεύσατο ποιῆσαι κατὰ τοῦ ἀδελφοῦ αὐτοῦ καὶ ἐξαρεῖς τὸν πονηρὸν ἐξ ὑμῶν αὐτῶν
20 এই কথা শুনে অন্য সব লোক ভয় পাবে এবং তোমাদের মধ্যে এরকম মন্দ কাজ আর কখনও তারা করবে না।
καὶ οἱ ἐπίλοιποι ἀκούσαντες φοβηθήσονται καὶ οὐ προσθήσουσιν ἔτι ποιῆσαι κατὰ τὸ ῥῆμα τὸ πονηρὸν τοῦτο ἐν ὑμῖν
21 কোনও দয়া দেখাবে না: প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের পরিবর্তে চোখ, দাঁতের পরিবর্তে দাঁত, হাতের পরিবর্তে হাত, পায়ের পরিবর্তে পা।
οὐ φείσεται ὁ ὀφθαλμός σου ἐπ’ αὐτῷ ψυχὴν ἀντὶ ψυχῆς ὀφθαλμὸν ἀντὶ ὀφθαλμοῦ ὀδόντα ἀντὶ ὀδόντος χεῖρα ἀντὶ χειρός πόδα ἀντὶ ποδός

< দ্বিতীয় বিবরণ 19 >