< দ্বিতীয় বিবরণ 18 >

1 লেবীয় যাজকদের—বাস্তবিক, লেবির সমস্ত গোষ্ঠীর—ইস্রায়েলের সঙ্গে কোনও অংশ বা উত্তরাধিকার থাকবে না। তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুন দ্বারা যে উপহার উৎসর্গ করবে তার উপরেই তারা নির্ভর করবে, কারণ সেটিই তাদের উত্তরাধিকার।
«لَا يَكُونُ لِلْكَهَنَةِ ٱللَّاوِيِّينَ، كُلِّ سِبْطِ لَاوِي، قِسْمٌ وَلَا نَصِيبٌ مَعَ إِسْرَائِيلَ. يَأْكُلُونَ وَقَائِدَ ٱلرَّبِّ وَنَصِيبَهُ.١
2 তাদের ইস্রায়েলী ভাইদের মধ্যে কোনও উত্তরাধিকার থাকবে না; সদাপ্রভুই তাদের উত্তরাধিকার, যেমন তিনি তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
فَلَا يَكُونُ لَهُ نَصِيبٌ فِي وَسَطِ إِخْوَتِهِ. ٱلرَّبُّ هُوَ نَصِيبُهُ كَمَا قَالَ لَهُ.٢
3 লোকেরা গরু বা মেষ উৎসর্গ করলে তার থেকে এগুলি হল যাজকদের প্রাপ্য: কাঁধ, পাকস্থলী এবং মাথা থেকে মাংস।
«وَهَذَا يَكُونُ حَقُّ ٱلْكَهَنَةِ مِنَ ٱلشَّعْبِ، مِنَ ٱلَّذِينَ يَذْبَحُونَ ٱلذَّبَائِحَ بَقَرًا كَانَتْ أَوْ غَنَمًا. يُعْطُونَ ٱلْكَاهِنَ ٱلسَّاعِدَ وَٱلْفَكَّيْنِ وَٱلْكِرْشَ.٣
4 তোমরা তাদের তোমাদের শস্যের, নতুন দ্রাক্ষারসের ও জলপাই তেলের অগ্রিমাংশ, এবং তোমাদের মেষদের গা থেকে ছেঁটে নেওয়া প্রথম লোম দেবে,
وَتُعْطِيهِ أَوَّلَ حِنْطَتِكَ وَخَمْرِكَ وَزَيْتِكَ، وَأَوَّلَ جَزَازِ غَنَمِكَ.٤
5 কারণ সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্য থেকে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদের ও তাদের বংশধরদের মনোনীত করেছেন যেন তারা সবসময় সদাপ্রভুর নামে দাঁড়িয়ে তাঁর সেবা করে।
لِأَنَّ ٱلرَّبَّ إِلَهَكَ قَدِ ٱخْتَارَهُ مِنْ جَمِيعِ أَسْبَاطِكَ لِكَيْ يَقِفَ لِيَخْدِمَ بِٱسْمِ ٱلرَّبِّ، هُوَ وَبَنُوهُ كُلَّ ٱلْأَيَّامِ.٥
6 যদি কোনও লেবীয় তার বাসস্থান ছেড়ে ইস্রায়েলের যে কোনো নগরে চলে যায়, এবং সত্যিকারের ইচ্ছা নিয়ে সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় যায়,
«وَإِذَا جَاءَ لَاوِيٌّ مِنْ أَحَدِ أَبْوَابِكَ مِنْ جَمِيعِ إِسْرَائِيلَ حَيْثُ هُوَ مُتَغَرِّبٌ، وَجَاءَ بِكُلِّ رَغْبَةِ نَفْسِهِ إِلَى ٱلْمَكَانِ ٱلَّذِي يَخْتَارُهُ ٱلرَّبُّ،٦
7 তবে অন্যান্য লেবীয় ভাইদের মতো সেও সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে সেখানে তার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে সেবাকাজ করতে পারবে।
وَخَدَمَ بِٱسْمِ ٱلرَّبِّ إِلَهِكَ مِثْلَ جَمِيعِ إِخْوَتِهِ ٱللَّاوِيِّينَ ٱلْوَاقِفِينَ هُنَاكَ أَمَامَ ٱلرَّبِّ،٧
8 তার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির মূল্য পেলেও সেখানকার লেবীয়দের সঙ্গে সে সমান ভাগের অধিকারী হবে।
يَأْكُلُونَ أَقْسَامًا مُتَسَاوِيَةً، عَدَا مَا يَبِيعُهُ عَنْ آبَائِهِ.٨
9 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যে দেশ দিতে যাচ্ছেন, সেখানে গিয়ে সেখানকার জাতিগুলির সব ঘৃণ্য কাজ তোমরা অনুকরণ করে শিখবে না।
«مَتَى دَخَلْتَ ٱلْأَرْضَ ٱلَّتِي يُعْطِيكَ ٱلرَّبُّ إِلَهُكَ، لَا تَتَعَلَّمْ أَنْ تَفْعَلَ مِثْلَ رِجْسِ أُولَئِكَ ٱلْأُمَمِ.٩
10 তোমাদের মধ্যে যেন একজনকেও পাওয়া না যায় যারা তাদের ছেলেমেয়েদের আগুনে উৎসর্গ করে, যারা ভবিষ্যৎ-কথন বা মায়াবিদ্যা অনুশীলন করে, লক্ষণ দেখে ভবিষ্যতের কথা বলে, যাদু করে,
لَا يُوجَدْ فِيكَ مَنْ يُجِيزُ ٱبْنَهُ أَوِ ٱبْنَتَهُ فِي ٱلنَّارِ، وَلَا مَنْ يَعْرُفُ عِرَافَةً، وَلَا عَائِفٌ وَلَا مُتَفَائِلٌ وَلَا سَاحِرٌ،١٠
11 মন্ত্রতন্ত্র খাটায় বা আত্মার মাধ্যম বা প্রেতসাধক হয়।
وَلَا مَنْ يَرْقِي رُقْيَةً، وَلَا مَنْ يَسْأَلُ جَانًّا أَوْ تَابِعَةً، وَلَا مَنْ يَسْتَشِيرُ ٱلْمَوْتَى.١١
12 যে কেউ এসব কাজ করে সে সদাপ্রভুর কাছে ঘৃণ্য; কেননা এসব ঘৃণ্য কাজের জন্যই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই সমস্ত জাতিকে তোমাদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেবেন।
لِأَنَّ كُلَّ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ عِنْدَ ٱلرَّبِّ. وَبِسَبَبِ هَذِهِ ٱلْأَرْجَاسِ، ٱلرَّبُّ إِلَهُكَ طَارِدُهُمْ مِنْ أَمَامِكَ.١٢
13 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের নির্দোষ থাকতে হবে।
تَكُونُ كَامِلًا لَدَى ٱلرَّبِّ إِلَهِكَ.١٣
14 তোমরা যে জাতিদের অধিকারচ্যুত করবে তারা গণক কিংবা মায়াবিদ্যা ব্যবহারকারীদের কথা শোনে। কিন্তু তোমাদের ক্ষেত্রে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের তা করার অনুমতি দেননি।
إِنَّ هَؤُلَاءِ ٱلْأُمَمَ ٱلَّذِينَ تَخْلُفُهُمْ يَسْمَعُونَ لِلْعَائِفِينَ وَٱلْعَرَّافِينَ. وَأَمَّا أَنْتَ فَلَمْ يَسْمَحْ لَكَ ٱلرَّبُّ إِلَهُكَ هَكَذَا.١٤
15 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের ইস্রায়েলী ভাইদের মধ্য থেকে আমার মতো একজন ভাববাদীর উত্থান ঘটাবেন। তোমরা নিশ্চয়ই তাঁর কথা শুনবে।
«يُقِيمُ لَكَ ٱلرَّبُّ إِلَهُكَ نَبِيًّا مِنْ وَسَطِكَ مِنْ إِخْوَتِكَ مِثْلِي. لَهُ تَسْمَعُونَ.١٥
16 কেননা হোরেবে যেদিন তোমরা সবাই সদাপ্রভুর সামনে সমবেত হয়েছিলে সেদিন তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তাই চেয়েছিলে যখন তোমরা বলেছিলে, “আমরা আর আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব শুনতে কিংবা এই মহান আগুন দেখতে চাই না, তাহলে আমরা মরে যাব।”
حَسَبَ كُلِّ مَا طَلَبْتَ مِنَ ٱلرَّبِّ إِلَهِكَ فِي حُورِيبَ يَوْمَ ٱلِٱجْتِمَاعِ قَائِلًا: لَا أَعُودُ أَسْمَعُ صَوْتَ ٱلرَّبِّ إِلَهِي وَلَا أَرَى هَذِهِ ٱلنَّارَ ٱلْعَظِيمَةَ أَيْضًا لِئَلَّا أَمُوتَ.١٦
17 সদাপ্রভু আমাকে বলেছিলেন, “তারা ঠিকই বলেছে।
قَالَ لِيَ ٱلرَّبُّ: قَدْ أَحْسَنُوا فِي مَا تَكَلَّمُوا.١٧
18 আমি তাদের ইস্রায়েলী ভাইদের মধ্য থেকে তাদের জন্য তোমার মতো একজন ভাববাদী উঠাব, এবং আমি তার মুখে আমার বাক্য দেব। তাকে আমি যা বলতে আদেশ দেব সে তাই বলবে।
أُقِيمُ لَهُمْ نَبِيًّا مِنْ وَسَطِ إِخْوَتِهِمْ مِثْلَكَ، وَأَجْعَلُ كَلَامِي فِي فَمِهِ، فَيُكَلِّمُهُمْ بِكُلِّ مَا أُوصِيهِ بِهِ.١٨
19 সেই ভাববাদী আমার নাম করে যে কথা বলবে কেউ আমার সেই কথা যদি না শোনে, তবে আমি নিজেই সেই লোককে প্রতিফল দেব।
وَيَكُونُ أَنَّ ٱلْإِنْسَانَ ٱلَّذِي لَا يَسْمَعُ لِكَلَامِي ٱلَّذِي يَتَكَلَّمُ بِهِ بِٱسْمِي أَنَا أُطَالِبُهُ.١٩
20 কিন্তু আমি আদেশ করিনি এমন কোনও কথা যদি কোনও ভাববাদী আমার নাম করে বলে কিংবা সে যদি অন্য দেবতার নামে কথা বলে, তবে তাকে মেরে ফেলতে হবে।”
وَأَمَّا ٱلنَّبِيُّ ٱلَّذِي يُطْغِي، فَيَتَكَلَّمُ بِٱسْمِي كَلَامًا لَمْ أُوصِهِ أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ، أَوِ ٱلَّذِي يَتَكَلَّمُ بِٱسْمِ آلِهَةٍ أُخْرَى، فَيَمُوتُ ذَلِكَ ٱلنَّبِيُّ.٢٠
21 তোমরা মনে মনে বলতে পারো, “সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন কি না তা আমরা কেমন করে জানব?”
وَإِنْ قُلْتَ فِي قَلْبِكَ: كَيْفَ نَعْرِفُ ٱلْكَلَامَ ٱلَّذِي لَمْ يَتَكَلَّمْ بِهِ ٱلرَّبُّ؟٢١
22 কোনও ভাববাদী যদি সদাপ্রভুর নাম করে কোনও কথা বলে আর তা যদি অসত্য হয় কিংবা না ঘটে, তবে বুঝতে হবে সেই কথা সদাপ্রভু বলেননি। সেই ভাববাদী নিজের ধারণার উপর ভিত্তি করে বলেছে, সুতরাং ভয় পেয়ো না।
فَمَا تَكَلَّمَ بِهِ ٱلنَّبِيُّ بِٱسْمِ ٱلرَّبِّ وَلَمْ يَحْدُثْ وَلَمْ يَصِرْ، فَهُوَ ٱلْكَلَامُ ٱلَّذِي لَمْ يَتَكَلَّمْ بِهِ ٱلرَّبُّ، بَلْ بِطُغْيَانٍ تَكَلَّمَ بِهِ ٱلنَّبِيُّ، فَلَا تَخَفْ مِنْهُ.٢٢

< দ্বিতীয় বিবরণ 18 >