< দ্বিতীয় বিবরণ 16 >

1 আবীব মাসে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা নিস্তারপর্ব পালন করবে, কারণ আবীব মাসেই রাতের বেলায় তিনি তোমাদের মিশর থেকে বের করে এনেছিলেন।
তুমি আবীব মাস পালন করবে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্ব্ব পালন করবে; কারণ আবীব মাসে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে রাতে মিশর থেকে বের করে এনেছিলেন।
2 সদাপ্রভু নিজের নামের জন্য যে বাসস্থান মনোনীত করবেন সেখানে তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমাদের গরু বা মেষের পাল থেকে পশু নিয়ে নিস্তারপর্বে উৎসর্গ করবে।
আর সদাপ্রভু নিজের নামের বসবাসের জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে মেষ পাল ও গরুর পাল থেকে কিছু পশু নিয়ে নিস্তারপর্ব্বের বলিদান করবে।
3 সেই পশুর মাংস তোমরা খামিরযুক্ত রুটির সঙ্গে খাবে না, কিন্তু সাত দিন খামিরবিহীন রুটি খাবে, তা দুঃখের সময়ের রুটি, কারণ তোমরা দ্রুত মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিলে—যেন সারা জীবন মিশর থেকে বেরিয়ে আসার সময় তোমরা মনে রাখতে পারো।
তুমি তার সঙ্গে তাড়ীযুক্ত রুটি খাবে না; কারণ তুমি তাড়াতাড়িই মিশর দেশ থেকে বের হয়েছিলে; এই জন্য সাত দিন সেই বলির সঙ্গে তাড়ীশূন্য রুটি, দুঃখাবস্থার রুটি খাবে; যেন মিশর দেশ থেকে তোমার বের হয়ে আসার দিন যাবজ্জীবন তোমার মনে থাকে।
4 এই সাত দিন সারা দেশে তোমাদের মধ্যে যেন খামির পাওয়া না যায়। প্রথম দিনের সন্ধ্যাবেলা তোমরা যে মাংস উৎসর্গ করবে তা যেন সকাল পর্যন্ত পড়ে না থাকে।
সাত দিন তোমার সীমার মধ্যে তাড়ী দেখা না যাক এবং প্রথম দিনের র সন্ধ্যাবেলায় তুমি যে বলিদান কর, তার মাংস কিছুই যেন সকাল পর্যন্ত বাকি না থাকুক।
5 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া আর কোনও নগরে তোমরা নিস্তারপর্বের পশু উৎসর্গ করবে না
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব শহর দেবেন, তার কোনো শহরের দরজার ভিতরে নিস্তারপর্ব্বের বলিদান করতে পারবে না;
6 যে জায়গাটি তিনি নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য তাঁর বাসস্থান হিসেবে মনোনীত করবেন কেবল সেখানেই তা উৎসর্গ করবে। যেদিন তোমরা মিশর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছ প্রত্যেক বছর সেদিনে সেখানে তোমরা সন্ধ্যাবেলায় নিস্তারপর্বের পশু উৎসর্গ করবে, যখন সূর্য ডুবে যাবে।
কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নামের বসবাসের জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় মিশর দেশ থেকে তোমার বের হয়ে আসার বছরে, সন্ধ্যাবেলায়, সূর্য্যাস্তের দিনের নিস্তারপর্ব্বের বলিদান করবে।
7 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় সেই মাংস রান্না করে খাবে। তারপর সকালে নিজেদের তাঁবুতে ফিরে যাবে।
আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় তা রান্না করে খাবে; পরে সকালে নিজের তাঁবুতে ফিরে যাবে।
8 ছয় দিন ধরে তোমরা খামিরবিহীন রুটি খাবে আর সাত দিনের দিন তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে শেষ দিনে পবিত্র সভার আয়োজন করবে এবং কোনও কাজ করবে না।
তুমি ছয় দিন তাড়ীশূন্য রুটি খাবে এবং সপ্তম দিনের তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পর্বসভা হবে; তুমি কোনো কাজ করবে না।
9 মাঠের ফসলে প্রথম কাস্তে দেওয়া আরম্ভ করা থেকে তোমরা সাত সপ্তাহ গণনা করবে।
তুমি সাত সপ্তাহ নিজের জন্য গণনা করবে; ক্ষেতে অবস্থিত শস্যে প্রথম কাস্তে দেওয়া থেকে সাত সপ্তাহ গণনা করতে শুরু করবে।
10 তারপর তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আশীর্বাদ অনুযায়ী সংগতি থেকে নিজের ইচ্ছায় উপহার দিয়ে সপ্তাহের উৎসব পালন করবে।
১০পরে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আশীর্বাদ অনুযায়ী সঙ্গতি থেকে নিজের ইচ্ছায় দেওয়া উপহারের মাধ্যমে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সাত সপ্তাহের উৎসব পালন করবে।
11 আর তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিজের নামের বাসস্থানের জন্য যে জায়গা মনোনীত করবেন সেখানে—তুমি, তোমার ছেলেমেয়ে, তোমার দাস-দাসীরা, তোমার নগরের লেবীয়রা ও বিদেশিরা, পিতৃহীনেরা ও বিধবারা যারা তোমাদের মধ্যে বাস করে সবাই আনন্দ করবে।
১১আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নামের বসবাসের জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তুমি, তোমার ছেলেমেয়ে, তোমার দাসদাসী, তোমার শহরের দরজার মাঝখানের লেবীয় ও তোমার সাথে বাসকারী বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবা সবাই আনন্দ করবে।
12 মনে রাখবে তোমরাও মিশরে দাস ছিলে, এবং এসব অনুশাসন যত্নের সঙ্গে পালন করবে।
১২আর তুমি মনে রাখবে যে, তুমি মিশর দেশে দাস ছিলে এবং এই সব বিধি যত্নসহকারে পালন করবে।
13 তোমাদের খামার এবং আঙুর মাড়াই করবার জায়গা থেকে সবকিছু তুলে রাখবার পরে তোমরা কুটিরবাস-পর্ব পালন করবে।
১৩তোমার খামার ও আঙ্গুর কুণ্ড থেকে যা সংগ্রহ করার, তা সংগ্রহ করার পর তুমি সাত দিন কুটিরের উৎসব পালন করবে।
14 তোমাদের উৎসবে আনন্দ করবে—তুমি, তোমার ছেলেমেয়ে, তোমার দাস-দাসীরা, তোমার নগরের লেবীয়রা ও বিদেশিরা, পিতৃহীনেরা ও বিধবারা যারা তোমাদের মধ্যে বসবাস করে সবাই।
১৪আর সেই উৎসবে তুমি, তোমার ছেলেময়ে, তোমার দাসদাসী ও তোমার শহরের দরজার মাঝখানের লেবীয় ও বিদেশী এবং পিতৃহীন ও বিধবা সবাই আনন্দ করবে।
15 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে জায়গা মনোনীত করবেন সেখানেই তোমরা তাঁর উদ্দেশে সাত দিন ধরে এই উৎসব পালন করবে। কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সমস্ত ফসলে ও হাতের সমস্ত কাজে আশীর্বাদ করবেন, এবং তোমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হবে।
১৫সদাপ্রভু মনোনীত জায়গায় তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সাত দিন উৎসব পালন করবে; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার উৎপন্ন জিনিসে ও হাতের সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন, আর তুমি সম্পূর্ণ আনন্দিত হবে।
16 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় তাঁর সামনে তোমাদের সব পুরুষ বছরে তিনবার উপস্থিত হবে খামিরবিহীন রুটির উৎসব, সপ্তাহের উৎসব এবং কুটিরবাস-পর্ব। সদাপ্রভুর সামনে কেউ খালি হাতে আসবে না
১৬তোমার প্রত্যেক পুরুষ বছরের মধ্যে তিন বার তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তাঁর মনোনীত জায়গায় দেখা দেবে; তাড়ীশূন্য রুটির উৎসবে, সাত সপ্তাহের উৎসবে ও কুটিরের উৎসবে; আর তারা সদাপ্রভুর সামনে খালি হাতে দেখা দেবে না;
17 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যে পরিমাণ আশীর্বাদ করছেন তা বুঝে তোমাদের প্রত্যেকেই যেন কিছু না কিছু নিয়ে আসে।
১৭প্রত্যেক জন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া আশীর্বাদ অনুসারে নিজেদের সঙ্গতি অনুযায়ী উপহার দেবে।
18 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যেসব নগর দিতে যাচ্ছেন তার প্রত্যেকটিতে প্রত্যেক গোষ্ঠীর জন্য তোমরা বিচারক ও কর্মকর্তা নিযুক্ত করবে, এবং তারা ন্যায়ভাবে লোকদের বিচার করবে।
১৮তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সকল বংশানুসারে তোমাকে যে সব শহর দেবেন, সেই সব শহরের দরজায় তুমি আপনার জন্য বিচারকর্তাদেরকে ও শাসনকর্তাদেরকে নিযুক্ত করবে; আর তারা সঠিক বিচারে লোকদের বিচার করবে।
19 অন্যায় বিচার করবে না কিংবা কারোর পক্ষ নেবে না। ঘুস নিয়ো না, কারণ ঘুস জ্ঞানীদের চোখ অন্ধ করে এবং নির্দোষ লোকদের কথা পরিবর্তন করে।
১৯তুমি জোর করে বিচার করতে পারো না, কারোর পক্ষপাত করবে না ও ঘুষ নেবে না; কারণ ঘুষ জ্ঞানীদের চোখ অন্ধ করে ও ধার্ম্মিকদের কথা বিপরীত করে।
20 ন্যায্য কেবল ন্যায্যরই অনুগামী হবে, যেন তোমরা বেঁচে থেকে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ দেবেন তা অধিকার করতে পারো।
২০সবভাবে যা সঠিক, তারই অনুগামী হবে, তাতে তুমি বেঁচে থেকে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া দেশ অধিকার করবে।
21 তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে যে যজ্ঞবেদি তৈরি করবে তার পাশে কোনোরকম কাঠের আশেরা-খুঁটি পুঁতবে না,
২১তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যে যজ্ঞবেদি তৈরী করবে, তার কাছে কোনো ধরনের থাম ও কাঠের আশেরা মূর্ত্তি স্থাপন করবে না।
22 এবং কোনো পবিত্র পাথর খাড়া করবে না, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এসব ঘৃণা করেন।
২২কখনো তুমি তোমার জন্য পবিত্র পাথর বসাবে না, যা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর ঘৃণাস্পদ।

< দ্বিতীয় বিবরণ 16 >