< দ্বিতীয় বিবরণ 15 >
1 প্রতি সপ্তম বছরের শেষে তোমরা ঋণ মকুব করবে।
১তুমি প্রত্যেক সাত বছরের শেষে ঋণ বাদ দেবে। সেই ঋণ ক্ষমার এই ব্যবস্থা;
2 এইভাবে এটি করতে হবে প্রত্যেক ঋণদাতা অন্য ইস্রায়েলীকে দেওয়া ঋণ মকুব করে দেবে। ঋণ মকুব করার জন্য সদাপ্রভু যে সময় ঠিক করে দিয়েছেন তা ঘোষণা করা হয়েছে বলে তাদের নিজের লোকদের কাছ থেকে ঋণ শোধের দাবি করবে না।
২যে কোনো মহাজন নিজের প্রতিবেশীকে ঋণ দিয়েছে, সে নিজের দেওয়া সেই ঋণ বাদ দেবে, নিজের প্রতিবেশী কিংবা ভাইয়ের কাছ থেকে ঋণ আদায় করবে না, কারণ সদাপ্রভুর আদেশ ঋণ বাদ দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে!
3 বিদেশিদের কাছ থেকে ঋণ শোধের দাবি করতে পারো, কিন্তু তোমাদের ইস্রায়েলী ভাইদের ঋণ তোমাদের মকুব করে দিতে হবে।
৩তুমি বিদেশীর কাছে আদায় করতে পার; কিন্তু তোমার ভাইয়ের কাছে তোমার যা আছে, তা তুমি ছেড়ে দেবে।
4 তবে, তোমাদের মধ্যে কারোর গরিব থাকার কথা নয়, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাদের অধিকার করার জন্য দিচ্ছেন, তিনি তোমাদের প্রচুর আশীর্বাদ করবেন,
৪প্রকৃত পক্ষে তোমাদের মধ্যে কেউ যেন গরিব না থাকে; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার অধিকারের জন্যে যে দেশ দিচ্ছেন, সেই দেশে সদাপ্রভু তোমাকে নিশ্চয়ই আশীর্বাদ করবেন;
5 কেবল আজ আমি তোমাদের যে সমস্ত আজ্ঞা দিচ্ছি সেগুলি যত্নের সঙ্গে পালন করার জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্পূর্ণ বাধ্য হোয়ো।
৫শুধু আমি আজ তোমাকে এই যে সব আদেশ দিচ্ছি, এটা যত্নসহকারে পালনের জন্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিতে হবে।
6 কেননা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞানুসারে তোমাদের আশীর্বাদ করবেন, এবং তোমরা অনেক জাতিকে ঋণ দেবে কিন্তু কারোর কাছ থেকে ঋণ নেবে না। তোমরা বহু জাতির উপর রাজত্ব করবে কিন্তু কেউ তোমাদের উপরে রাজত্ব করবে না।
৬কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন তোমার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তেমনি তোমাকে আশীর্বাদ করবেন; আর তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দেবে, কিন্তু নিজে ঋণ নেবে না এবং অনেক জাতির ওপরে শাসন করবে, কিন্তু তারা তোমার ওপরে শাসন করবে না।
7 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেই দেশের কোনো জায়গায় যদি তোমাদের কোনো ইস্রায়েলী ভাই গরিব হয়, তার প্রতি তোমাদের হৃদয় কঠিন কোরো না কিংবা তার জন্য তোমাদের হাত মুঠো কোরো না।
৭তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানকার কোনো শহরের দরজার ভিতরে যদি তোমার কাছে অবস্থিত কোনো ভাই গরিব হয়, তবে তুমি নিজের হৃদয় কঠিন কর না বা গরিব ভাইয়ের প্রতি নিজের হাত বন্ধ কর না;
8 বরং, তোমরা হাত খোলা রেখো এবং তাদের প্রয়োজন অনুসারে তাদের ঋণ দিয়ো।
৮কিন্তু তার প্রতি মুক্ত হাতে তার অভাবের জন্য প্রয়োজন অনুসারে তাকে অবশ্য ঋণ দিও।
9 সাবধান, তোমাদের মনে এই মন্দ চিন্তাকে আমল দিয়ো না “সপ্তম বছর, ঋণ মকুবের বছর, প্রায় এসে গেছে,” সেইজন্য তোমাদের সেই অভাবী ইস্রায়েলী ভাইয়ের প্রতি এই মনোভাব নিয়ে তাকে খালি হাতে বিদায় কোরো না। সে তখন সদাপ্রভুর কাছে তোমাদের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারে, এবং তোমরা এই পাপের জন্য দোষী হবে।
৯সাবধান, সপ্তম বছর অর্থাৎ ক্ষমার বছর কাছাকাছি, এটা বলে তোমার হৃদয়ে যেন খারাপ চিন্তা মনে না আসে; তুমি যদি নিজে গরিব ভাইয়ের প্রতি খারাপভাবে তাকিয়ে তাকে কিছু না দাও, তবে সে তোমার বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলে তোমার পাপ হবে।
10 মনে অনিচ্ছা না রেখে খোলা হাতে তাকে দেবে; তাহলে এর জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সব কাজে আশীর্বাদ করবেন এবং তোমরা যাতে হাত দেবে তাতেই আশীর্বাদ পাবে।
১০তুমি তাকে অবশ্যই দেবে, দেবার দিনের হৃদয়ে দুঃখিত হবে না; কারণ এই কাজের জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সব কাজে এবং তুমি যাতে যাতে হাত দেবে, সেই সব কিছুতে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
11 দেশের মধ্যে সবসময়ই গরিব মানুষজন থাকবে। সেইজন্য আমি তোমাদের এই আদেশ দিচ্ছি যে, তোমাদের দেশে যেসব ইস্রায়েলী ভাই গরিব এবং অভাবী তাদের প্রতি তোমাদের হাত খোলা রাখবে।
১১কারণ তোমার দেশের মধ্যে গরিবের অভাব হবে না; অতএব আমি তোমাকে এই আদেশ দিচ্ছি, তুমি নিজের দেশে তোমার ভাইয়ের প্রতি, তোমার দুঃখী ও দীনহীনের প্রতি, তোমার হাত অবশ্য খুলে রাখবে।
12 যদি তোমাদের কোনও মানুষ—হিব্রু পুরুষ কিংবা স্ত্রী—নিজেদেরকে তোমাদের কাছে বিক্রি করে এবং ছয় বছর তোমাদের সেবা করে, তাহলে সপ্তম বছরে তাকে অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে।
১২তোমার ভাই অর্থাৎ কোনো ইব্রীয় পুরুষ কিংবা ইব্রীয় মহিলা যদি তোমার কাছে বিক্রীত হয় এবং ছয় বছর পর্যন্ত তোমার সেবা করবে; তবে সপ্তম বছরে তুমি তাকে ছেড়ে দিয়ে নিজের কাছ থেকে বিদায় দেবে।
13 আর যখন তোমরা তাকে ছেড়ে দেবে, তাকে খালি হাতে বিদায় করবে না।
১৩আর ছেড়ে দিয়ে তোমার কাছ থেকে বিদায় দেবার দিনের তুমি তাকে খালি হাতে বিদায় করবে না;
14 তোমাদের পাল, খামার ও আঙুর মাড়াইয়ের জায়গা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ তাকে দেবে। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যে পরিমাণ আশীর্বাদ করেছেন তোমরা সেই পরিমাণেই তাকে দেবে।
১৪তুমি নিজের পাল, শস্য ও আঙ্গুর কুণ্ড থেকে তাকে প্রচুর পুরষ্কার দেবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যেমন আশীর্বাদ করেছেন, সেই অনুসারে তাকে দেবে।
15 মনে রেখো, মিশরে তোমরাও দাস ছিলে এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের মুক্ত করেছেন। সেইজন্য আজ আমি তোমাদের এই আদেশ দিচ্ছি।
১৫আর মনে রাখবে, তুমি মিশর দেশে দাস ছিলে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে মুক্ত করেছেন; এই জন্য আমি আজ তোমাকে এই আদেশ দিচ্ছি।
16 কিন্তু তোমার দাস যদি তোমাকে বলে, “আমি আপনাকে ছেড়ে যেতে চাই না,” কেননা সে তোমাকে ও তোমার পরিবারকে ভালোবাসে এবং সে তোমার কাছে ভালোই আছে,
১৬কিন্তু তোমার কাছে সুখে থাকাতে সে তোমাকে ও তোমার আত্মীয়দেরকে ভালবাসে বলে যদি বলে, “আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না;”
17 তবে তুমি তার কানের লতি দরজার উপর রেখে তুরপুণ দিয়ে ফুটো করে দেবে, আর সে সারা জীবন তোমার দাস হয়ে থাকবে। তোমার দাসীর বেলায়ও তাই করবে।
১৭তবে তুমি এক সুঁচ দিয়ে দরজার সঙ্গে তার কান বেঁধে দেবে, তাতে সে চিরকাল তোমার দাস থাকবে; আর দাসীর প্রতিও সেরকম করবে।
18 দাস কিংবা দাসীকে মুক্ত করে দেওয়াটা তোমার কোনও কষ্টের ব্যাপার বলে মনে কোরো না, কারণ এই ছয় বছর সে তোমার জন্য যে কাজ করেছে তার দাম দুজন মজুরের মজুরির সমান। তাতে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
১৮ছয় বছর পর্যন্ত সে তোমার কাছে বেতনজীবীর বেতন থেকে দ্বিগুন দাসের কাজ করেছ, এই কারণ তাকে মুক্ত করে বিদায় দেওয়া কঠিন মনে করবে না; তাতে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
19 তোমাদের গরু, মেষ ও ছাগলের প্রত্যেকটি প্রথমজাত পুরুষ শাবক তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর জন্য আলাদা করে রাখবে। তোমাদের গরুর প্রথমজাত বাচ্চাকে কাজে লাগাবে না ও মেষের প্রথম শাবকের লোম ছাঁটবে না।
১৯তুমি নিজের গরু মেষের পশুপাল থেকে উৎপন্ন সমস্ত প্রথমজাত পুরুষপশুকে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করবে; তুমি গরুর প্রথমজন্মানো বাচ্চার মাধ্যমে কোনো কাজ করবে না এবং তোমার প্রথমজন্মানো বাচ্চা মেষের লোম কাটবে না।
20 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় প্রত্যেক বছর তোমরা তোমাদের পরিবার নিয়ে তাঁর সামনে সেগুলির মাংস খাবে।
২০সদাপ্রভু যে জায়গা মনোনীত করবেন, সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তুমি সপরিবারে প্রতি বছর তা খাবে।
21 যদি কোনো পশুর খুঁত থাকে, খোঁড়া কিংবা অন্ধ হয়, কিংবা কোনো বড়ো ধরনের দোষ থাকে, সেটি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করবে না।
২১যদি তাতে কোনো দোষ থাকে, অর্থাৎ সে যদি খোঁড়া কিংবা অন্ধ হয়, কোনোভাবে দোষী হয়, তবে তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তা বলিদান করবে না।
22 সেটি তোমরা নিজেদের নগরেই খাবে। অশুচি এবং শুচি সকলেই সেটি গজলা হরিণ বা হরিণের মাংসের মতোই খেতে পারবে।
২২নিজের শহরের দরজার ভিতরে তা খেয়ো অশুচি কি শুচী, উভয় লোকই কৃষ্ণসারের কিংবা হরিণের মতো তা খেতে পারে।
23 কিন্তু তোমরা রক্ত খাবে না; জলের মতো করে মাটিতে ঢেলে দেবে।
২৩তুমি শুধু তার রক্ত খাবে না, তা জলের মতো মাটিতে ঢেলে দেবে।