< কলসীয় 3 >
1 তাহলে, তোমরা যেহেতু খ্রীষ্টের সঙ্গে উত্থাপিত হয়েছ, তাই ঈশ্বরের ডানদিকে, যেখানে খ্রীষ্ট উপবিষ্ট আছেন, সেই স্বর্গীয় বিষয়সমূহে মনোনিবেশ করো।
2 তোমরা পার্থিব বিষয়সমূহে নয়, স্বর্গীয় বিষয়ে মনোযোগী হও।
3 কারণ তোমাদের মৃত্যু হয়েছে এবং এখন তোমাদের জীবন খ্রীষ্টের সঙ্গে ঈশ্বরে নিহিত আছে।
4 তোমাদের জীবনস্বরূপ খ্রীষ্ট যখন প্রকাশিত হবেন, তখন তোমরাও তাঁর সঙ্গে মহিমায় প্রকাশিত হবে।
5 তাই তোমাদের সমস্ত পার্থিব প্রবৃত্তিকে নাশ করো—অনৈতিক যৌনাচার, অশুদ্ধতা, ব্যভিচার, কামনাবাসনা এবং লোভ যা হল প্রতিমাপূজা।
6 এসব কারণেই যারা অবাধ্য, তাদের উপর ঈশ্বরের ক্রোধ নেমে এসেছে।
7 বিগত জীবনে, এক সময় তোমরা এসব কিছুতেই অভ্যস্ত ছিলে।
8 কিন্তু এখন তোমরা এসব বিষয় পরিত্যাগ করো: ক্রোধ, রোষ, বিদ্বেষ ও পরনিন্দা, এবং মুখে অশ্লীল ভাষা উচ্চারণ করা।
9 পরস্পরের কাছে মিথ্যা কথা বোলো না, কারণ তোমরা তোমাদের পুরোনো সত্তাকে তার কার্যকলাপসহ পরিত্যাগ করে
10 নতুন সত্তাকে পরিধান করেছ, যা তার স্রষ্টার প্রতিমূর্তিতে ঈশ্বরের জ্ঞানে নতুন হয়ে উঠছে।
11 এখানে গ্রিক বা ইহুদি, সুন্নত হওয়া বা সুন্নতবিহীন, বর্বর, স্কুথীয়, ক্রীতদাস বা স্বাধীন বলে কিছু নেই, খ্রীষ্টই সব এবং তিনি সকলের মধ্যে আছেন।
12 অতএব, ঈশ্বরের মনোনীত, পবিত্র ও প্রিয়জনরূপে সহানুভূতি, দয়া, নম্রতা, সৌজন্যবোধ এবং সহিষ্ণুতায় নিজেদের আবৃত করো।
13 পরস্পরের প্রতি সহনশীল হও। একের বিরুদ্ধে অপরের কোনো ক্ষোভ থাকলে, পরস্পরকে ক্ষমা করো। প্রভু যেমন তোমাদের ক্ষমা করেছেন, তোমরাও তেমনই করো।
14 এসব গুণের ঊর্ধ্বে ভালোবাসাকে পরিধান করো, যা সেইসব গুণকে পূর্ণ ঐক্যের বাঁধনে আবদ্ধ করে।
15 খ্রীষ্টের শান্তি তোমাদের হৃদয়ে কর্তৃত্ব করুক, কারণ একই দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গরূপে তোমরা শান্তির উদ্দেশে আহূত হয়েছ। আর তোমরা কৃতজ্ঞ হও।
16 তোমাদের অন্তরে খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুর পরিমাণে অবস্থিতি করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় বিভূষিত হয়ে পরস্পরকে শিক্ষাদান ও সচেতন করো এবং গীত, স্তুতি ও আত্মিক সংকীর্তনে মুখর হয়ে ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের হৃদয়ের কৃতজ্ঞতায় তা করো।
17 আর কথায় ও কাজে, তোমরা যা কিছুই করো, সবই প্রভু যীশুর নামে করো, তাঁরই মাধ্যমে পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে দিতে তা করো।
18 স্ত্রীরা, স্বামীর বশ্যতাধীন হও। প্রভুতে এরকম আচরণই সংগত।
19 স্বামীরা, তোমরা নিজের নিজের স্ত্রীকে ভালোবেসো। তাদের প্রতি রূঢ় আচরণ কোরো না।
20 সন্তানেরা, সব বিষয়ে বাবা-মার বাধ্য হও, কারণ এরকম আচরণই প্রভুর প্রীতিজনক।
21 পিতারা, সন্তানদের উত্যক্ত কোরো না, করলে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।
22 ক্রীতদাসেরা, তোমরা সব বিষয়ে জগতের মনিবদের আজ্ঞা পালন করো; তাদের অনুগ্রহ লাভের জন্য বা তারা যখন তোমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখে, তখনই শুধু নয়, কিন্তু অকপট হৃদয়ে প্রভুর প্রতি সম্ভ্রমবশত তা করো।
23 মানুষের জন্য নয়, প্রভুরই জন্য করছ মনে করে, যা কিছুই করো, মনপ্রাণ দিয়ে করো,
24 কারণ তোমাদের জানা আছে, প্রভুর কাছ থেকে তোমরা পুরস্কাররূপে এক অধিকার লাভ করবে। তোমরা প্রভু খ্রীষ্টেরই সেবায় রত আছ।
25 অন্যায়কারী তার অন্যায়ের প্রতিফল পাবে, কারণ ঈশ্বরের কাছে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই।