< কলসীয় 2 >
1 লায়োদেকিয়ার অধিবাসীদের ও যাদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ হয়নি, তাদের এবং তোমাদের জন্য আমি কত সংগ্রাম করে চলেছি, তোমাদের তা অবগত করতে চাই।
2 তাদের অন্তরকে অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ ও ভালোবাসায় একতাবদ্ধ করে তোলাই আমার অভিপ্রায়। তারা যেন পূর্ণ বোধশক্তির ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে এবং ঈশ্বরের গুপ্তরহস্য, অর্থাৎ খ্রীষ্টকে জানতে পারে।
3 তাঁরই মধ্যে আছে প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের সমস্ত ঐশ্বর্য।
4 আমি তোমাদের একথা বলছি যেন, কোনো মানুষ শ্রুতিসুখকর যুক্তিজাল বিস্তার করে তোমাদের প্রতারিত না করে।
5 কারণ শারীরিকভাবে আমি তোমাদের কাছে অনুপস্থিত থাকলেও, আত্মায় আমি তোমাদের মধ্যে উপস্থিত আছি। তোমাদের সুশৃঙ্খল জীবন এবং খ্রীষ্টে তোমাদের বিশ্বাস দেখে আমি আনন্দিত।
6 সুতরাং, খ্রীষ্ট যীশুকে যেমন প্রভুরূপে গ্রহণ করেছ, তেমনই তাঁর মধ্যেই জীবনযাপন করতে থাকো।
7 তাঁর মধ্যেই তোমাদের বিশ্বাসের মূল গভীর হোক ও গড়ে ওঠো। তোমরা যে শিক্ষা পেয়েছ তা অনুযায়ী বিশ্বাসে দৃঢ় হও ও ধন্যবাদ অর্পণে উচ্ছ্বসিত হও।
8 দেখো, কেউ যেন অসার ও বিভ্রান্তিকর দর্শনের দ্বারা তোমাদের বন্দি না করে, যা কেবল মানবিক ঐতিহ্য এবং জাগতিক মূলনীতির উপর নির্ভরশীল, খ্রীষ্টের উপর নয়।
9 কারণ ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা, খ্রীষ্টের মধ্যেই দৈহিকরূপে অধিষ্ঠিত
10 এবং যিনি সমস্ত পরাক্রম ও কর্তৃত্বের মস্তকস্বরূপ, সেই খ্রীষ্টে তোমরা পূর্ণতা লাভ করেছ।
11 পাপময় স্বভাব পরিত্যাগ করে, তাঁর মধ্যেই তোমরা সুন্নতপ্রাপ্ত হয়েছ। সেই সুন্নত-সংস্কার মানুষের হাতে নয়, কিন্তু খ্রীষ্টের দ্বারা সাধিত হয়েছে।
12 এর ফলে, বাপ্তিষ্মে খ্রীষ্টের সঙ্গে তোমরা সমাধিপ্রাপ্ত হয়েছ এবং মৃতদের মধ্য থেকে যিনি তাঁকে উত্থাপিত করেছিলেন, সেই ঈশ্বরের পরাক্রমে বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁরই সঙ্গে তোমরা উত্থাপিত হয়েছ।
13 তোমাদের সকল পাপে এবং পাপময় স্বভাবে সুন্নতহীন অবস্থায় তোমরা যখন মৃত ছিলে, তখন ঈশ্বর তোমাদের খ্রীষ্টে জীবিত করেছেন।
14 বিধানের যেসব লিখিত নির্দেশনামা আমাদের বিরুদ্ধে ও প্রতিকূলে ছিল, তা তিনি বাতিল করেছেন; ক্রুশে বিদ্ধ করে তিনি তা দূর করেছেন।
15 আর পরাক্রম এবং কর্তৃত্বকে পরাস্ত করে ক্রুশের মাধ্যমে তাদের উপরে বিজয়ী হয়েছেন এবং তাদের প্রকাশ্যে দৃশ্যমান করেছেন।
16 অতএব আহার, পানীয়, ধর্মীয় উৎসব, অমাবস্যা বা বিশ্রামদিন পালন নিয়ে কেউ তোমাদের বিচার না করুক।
17 এগুলি ছিল ভবিষ্যতে যা ঘটবে তার ছায়ামাত্র, প্রকৃত বিষয় কিন্তু খ্রীষ্টের মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।
18 যারা ভ্রান্ত নম্রতায় সুখবোধ করে ও স্বর্গদূতদের আরাধনা করে, পুরস্কারের জন্য তারা যেন তোমাদের অযোগ্য প্রতিপন্ন না করতে পারে। এই ধরনের লোক নিজের দর্শনের কথাই সবিস্তারে বর্ণনা করে; তার জাগতিক মন তাকে অনর্থক মানসিক কল্পনায় দাম্ভিক করে তোলে।
19 সে সেই মস্তকের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, যা থেকে সমগ্র দেহ পরিপুষ্ট হয়, পেশী ও গ্রন্থি-বন্ধনীর দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে সন্নিবদ্ধ থাকে এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী বৃদ্ধিলাভ করে।
20 খ্রীষ্টের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করে তোমরা জগতের রীতিনীতি থেকে মুক্ত হয়েছ, তাহলে, কেন তোমরা এখনও সেইসব রীতিনীতির অধীনে জীবনযাপন করছ?
21 “এটা কোরো না! ওটা খেয়ো না! সেটা ছুঁয়ো না!”?
22 প্রয়োগ করার সঙ্গে সঙ্গেই তো এসব রীতিনীতির প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়, কারণ মানুষের তৈরি বিধিনিষেধ এবং শিক্ষার উপর ভিত্তি করেই এগুলি গড়ে উঠেছে।
23 তাদের স্ব-আরোপিত আরাধনা, ভ্রান্ত নম্রতা এবং শরীরের প্রতি নির্দয় ব্যবহার দেখে জ্ঞানের পরিচয় আছে বলে মনে হলেও শারীরিক কামনাবাসনা নিবৃত্তির ক্ষেত্রে এসব মূল্যহীন।