< প্রেরিত 23 >

1 পৌল সরাসরি মহাসভার দিকে তাকিয়ে বললেন, “আমার ভাইয়েরা, আজকের এই দিন পর্যন্ত আমি সৎ বিবেকে ঈশ্বরের প্রতি আমার কর্তব্য পালন করেছি।”
En Paulus, de ogen op den raad houdende, zeide: Mannen broeders! ik heb met alle goed geweten voor God gewandeld tot op dezen dag.
2 এতে মহাযাজক অননিয়, যারা পৌলের কাছে দাঁড়িয়েছিল, তাদের আদেশ দিলেন যেন তাঁর মুখে আঘাত করা হয়।
Maar de hogepriester Ananias beval dengenen, die bij hem stonden, dat zij hem op den mond zouden slaan.
3 তখন পৌল তাঁকে বললেন, “চুনকাম করা দেওয়ালের মতো তুমি, ঈশ্বর তোমাকেও আঘাত করবেন! বিধানসম্মতভাবে আমার বিচার করার জন্য তুমি ওখানে বসেছ, কিন্তু তবুও আমাকে আঘাত করার আদেশ দিয়ে তুমি স্বয়ং বিধান লঙ্ঘন করছ!”
Toen zeide Paulus tot hem: God zal u slaan, gij gewitte wand! Zit gij ook om mij te oordelen naar de wet, en beveelt gij, tegen de wet, dat men mij zal slaan?
4 যারা পৌলের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিল, তারা বলল, “তুমি কি ঈশ্বরের মহাযাজককে অপমান করার দুঃসাহস দেখাচ্ছ?”
En die daarbij stonden, zeiden: Scheldt gij den hogepriester Gods?
5 পৌল উত্তর দিলেন, “ভাইয়েরা, আমি বুঝতে পারিনি যে, উনিই মহাযাজক। আমি জানি যে, এরকম লেখা আছে, ‘তোমার স্বজাতির অধ্যক্ষ সম্পর্কে কটূক্তি কোরো না।’”
En Paulus zeide: Ik wist niet, broeders! dat het de hogepriester was; want er is geschreven: Den overste uws volks zult gij niet vloeken.
6 তারপর পৌল যখন বুঝতে পারলেন যে, তাদের একাংশ সদ্দূকী ও একাংশ ফরিশী, তখন মহাসভার মধ্যে চিৎকার করে বললেন, “আমার ভাইয়েরা, আমি ফরিশী, একজন ফরিশীর সন্তান। মৃতদের পুনরুত্থান সম্পর্কে আমার প্রত্যাশার জন্যই আমার বিচার করা হচ্ছে।”
En Paulus wetende dat het ene deel was van de Sadduceen, en het andere van de Farizeen, riep in den raad: Mannen broeders, ik ben een Farizeer, eens Farizeers zoon; ik word over de hoop en opstanding der doden geoordeeld.
7 তিনি একথা বলার পর ফরিশী ও সদ্দূকীদের মধ্যে বিতর্ক বেধে গেল, সভা দুদলে ভাগ হয়ে গেল।
En als hij dit gesproken had, ontstond er tweedracht tussen de Farizeen en de Sadduceen, en de menigte werd verdeeld.
8 (সদ্দূকীরা বলে যে পুনরুত্থান নেই, স্বর্গদূতেরা বা আত্মারাও নেই, কিন্তু ফরিশীরা সেসব স্বীকার করে থাকে।)
Want de Sadduceen zeggen, dat er geen opstanding is, noch engel, noch geest, maar de Farizeen belijden het beide.
9 তখন প্রচণ্ড কোলাহল শুরু হল। কয়েকজন শাস্ত্রবিদ যারা ফরিশী-দলভুক্ত ছিল, উঠে দাঁড়িয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু করল। তারা বলল, “আমরা এই লোকটির কোনো অন্যায় খুঁজে পাচ্ছি না। কোনো আত্মা বা স্বর্গদূত যদি এর সঙ্গে কথা বলে থাকে, তাহলে তাতেই বা কী?”
En er geschiedde een groot geroep; en de Schriftgeleerden van de zijde der Farizeen stonden op, en streden, zeggende: Wij vinden geen kwaad in dezen mens; en indien een geest tot hem gesproken heeft, of een engel, laat ons tegen God niet strijden.
10 বিতর্ক এমন হিংস্র আকার ধারণ করল সেনানায়ক ভয় পেলেন যে তারা হয়তো পৌলকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলবে। তিনি সৈন্যবাহিনীকে আদেশ দিলেন, নিচে নেমে গিয়ে তাঁকে তাদের কাছ থেকে জোর করে নিয়ে আনতে ও সেনানিবাসে নিয়ে যেতে।
En als er grote tweedracht ontstaan was, de overste, vrezende, dat Paulus van hen verscheurd mocht worden, gebood, dat het krijgsvolk zou afkomen, en hem uit het midden van hen wegrukken, en in de legerplaats brengen.
11 সেই দিনই রাত্রিবেলায় প্রভু পৌলের পাশে এসে দাঁড়ালেন ও বললেন, “সাহসী হও! তুমি যেমন জেরুশালেমে আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছ, তেমনই তুমি রোমেও সাক্ষ্য দেবে।”
En den volgenden nacht stond de Heere bij hem, en zeide: Heb goeden moed, Paulus, want gelijk gij te Jeruzalem van Mij betuigd hebt alzo moet gij ook te Rome getuigen.
12 পরের দিন সকালবেলা ইহুদিরা এক ষড়যন্ত্র করল এবং একটি শপথে নিজেদের আবদ্ধ করল যে, যতদিন পর্যন্ত তারা পৌলকে হত্যা না করে, ততদিন পর্যন্ত তারা খাওয়াদাওয়া বা পান করবে না।
En als het dag geworden was, maakten sommigen van de Joden een samenrotting, en vervloekten zichzelven, zeggende, dat zij noch eten noch drinken zouden, totdat zij Paulus zouden gedood hebben.
13 চল্লিশজনেরও বেশি লোক এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল।
En zij waren meer dan veertig, die dezen eed te zamen gedaan hadden;
14 তারা প্রধান যাজকদের ও প্রাচীনবর্গের কাছে গিয়ে বলল, “আমরা এক গুরু-অঙ্গীকার করেছি যে, পৌলকে হত্যা না করা পর্যন্ত আমরা কিছুই খাবো না।
Dewelke gingen tot de overpriesters en de ouderlingen, en zeiden: Wij hebben ons zelven met vervloeking vervloekt, niets te zullen nuttigen, totdat wij Paulus zullen gedood hebben.
15 তাহলে এখন, মহাসভাকে সঙ্গে নিয়ে আপনারা সেনানায়কের কাছে এই অজুহাতে আবেদন করুন যে, তার সম্পর্কে আরও সঠিক তথ্য অনুসন্ধানের জন্য তাকে যেন আপনাদের সামনে নিয়ে আসা হয়। সে এখানে আসার আগেই তাকে আমরা হত্যা করার জন্য প্রস্তুত আছি।”
Gij dan nu, laat den overste weten met den raad, dat hij hem morgen tot u afbrenge, alsof gij nadere kennis zoudt nemen van zijn zaken; en wij zijn bereid hem om te brengen, eer hij bij u komt.
16 কিন্তু পৌলের ভাগ্নে যখন এই ষড়যন্ত্রের কথা শুনতে পেল, সে সেনানিবাসে গিয়ে পৌলকে সেকথা বলল।
En als de zoon van Paulus' zuster deze lage gehoord had, kwam hij daar, en ging in de legerplaats, en boodschapte het Paulus.
17 পৌল তখন একজন শত-সেনাপতিকে ডেকে বললেন, “এই যুবককে সেনানায়কের কাছে নিয়ে যান, সে তাঁকে কিছু বলতে চায়।”
En Paulus riep tot zich een van de hoofdmannen over honderd, en zeide: Leid dezen jongeling heen tot den overste; want hij heeft hem wat te boodschappen.
18 তাই তিনি তাকে সেনানায়কের কাছে নিয়ে গেলেন। শত-সেনাপতি বললেন, “বন্দি পৌল আমাকে ডেকে এই যুবককে আপনার কাছে নিয়ে আসতে বলল, কারণ আপনার কাছে এর কিছু বক্তব্য আছে।”
Deze dan nam hem en bracht hem tot den overste, en zeide: Paulus, de gevangene, heeft mij tot zich geroepen, en begeerd, dat ik dezen jongeling tot u zou brengen, die u wat heeft te zeggen.
19 সেনানায়ক যুবকটির হাত ধরে তাকে এক পাশে নিয়ে গেলেন ও জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি আমাকে কী বলতে চাও?”
De overste nu nam hem bij de hand, en bezijden gegaan zijnde, vraagde hij: Wat is het dat gij mij hebt te boodschappen?
20 সে বলল, “ইহুদিরা একমত হয়েছে, আগামীকাল পৌলের বিষয়ে আরও তথ্য অনুসন্ধান করবে, এই অজুহাতে তাঁকে মহাসভার কাছে হাজির করার জন্য তারা আপনার কাছে আবেদন জানাবে।
En hij zeide: De Joden zijn overeengekomen, om van u te begeren, dat gij Paulus morgen in den raad zoudt afbrengen, alsof zij iets van hem nader zouden onderzoeken.
21 আপনি তাদের কথায় সম্মত হবেন না, কারণ তাদের চল্লিশজনেরও বেশি লোক তাঁর জন্য গোপনে ওত পেতে আছে। তারা শপথ করেছে যে, তাঁকে হত্যা না করা পর্যন্ত তারা খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করবে না। তারা এখনই প্রস্তুত আছে, তাদের অনুরোধের প্রত্যুত্তরে আপনার সম্মতির অপেক্ষা করছে।”
Doch geloof hen niet; want meer dan veertig mannen uit hen leggen hem lagen, welke zichzelven met een vervloeking verbonden hebben noch te eten noch te drinken, totdat zij hem zullen omgebracht hebben; en zij zijn nu gereed, verwachtende de toezegging van u.
22 সেনানায়ক যুবকটিকে বিদায় করার সময় সতর্ক করে দিলেন, “তুমি যে এই সংবাদ আমাকে দিয়েছ, একথা কাউকে বোলো না।”
De overste dan liet den jongeling gaan, hem gebiedende: Zeg niemand voort, dat gij mij zulks geopenbaard hebt.
23 এরপর তিনি তাঁর দুজন শত-সেনাপতিকে ডেকে তাদের আদেশ দিলেন, “আজ রাত্রি নয়টার সময় দুশো জন সেনা, সত্তরজন অশ্বারোহী ও দুশো বর্শাধারী সেনা কৈসরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য প্রস্তুত থেকো।
En zekere twee van de hoofdmannen over honderd tot zich geroepen hebbende, zeide hij: Maakt tweehonderd krijgsknechten gereed, opdat zij naar Cesarea trekken, en zeventig ruiters, en tweehonderd schutters, tegen de derde ure des nachts;
24 পৌলের জন্য আরও কয়েকটি ঘোড়ার ব্যবস্থা কোরো, যেন তাকে নিরাপদে প্রদেশপাল ফীলিক্সের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।”
En laat ze zadel beesten bestellen, opdat zij Paulus daarop zetten, en behouden overbrengen tot den stadhouder Felix.
25 তিনি এভাবে একটি পত্র লিখলেন:
En hij schreef een brief, hebbende dezen inhoud:
26 ক্লডিয়াস লিসিয়াসের তরফে, মহামান্য প্রদেশপাল ফীলিক্স সমীপেষু, শুভেচ্ছা।
Claudius Lysias aan den machtigsten stadhouder Felix groetenis.
27 ইহুদিরা এই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল, কিন্তু আমি আমার সৈন্যবাহিনীসহ গিয়ে একে উদ্ধার করি, কারণ আমি জানতে পেরেছিলাম যে, সে একজন রোমীয় নাগরিক।
Alzo deze man van de Joden gegrepen was, en van hen omgebracht zou geworden zijn, ben ik daarover gekomen met het krijgsvolk, en heb hem hun ontnomen, bericht zijnde, dat hij een Romein is.
28 আমি জানতে চেয়েছিলাম, কেন তারা এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, তাই আমি একে তাদের মহাসভার কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম।
En willende de zaak weten, waarover zij hem beschuldigden, bracht ik hem af in hun raad;
29 আমি দেখলাম যে, তাদের অভিযোগ ছিল তাদের বিধানসম্পর্কিত বিষয়ে, কিন্তু এর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বা কারাদণ্ডের যোগ্য কোনো অভিযোগ ছিল না।
Welken ik bevond beschuldigd te worden over vragen hunner wet; maar geen beschuldiging tegen hem te zijn, die den dood of banden waardig is.
30 এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তা যখন আমাকে জানানো হল, আমি তক্ষুনি একে আপনার কাছে পাঠিয়ে দিলাম। আমি এর বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদেরও আদেশ দিলাম, তারা যেন তাদের অভিযোগ আপনার কাছে উপস্থাপিত করে।
En als mij te kennen gegeven was, dat van de Joden een lage tegen deze man gelegd zou worden, zo heb ik hem terstond aan u gezonden; gebiedende ook den beschuldigers voor u te zeggen, hetgeen zij tegen hem hadden. Vaarwel.
31 অতএব সৈন্যরা তাঁর আদেশ পালন করে রাত্রিবেলা পৌলকে সঙ্গে নিয়ে সুদূর আন্তিপাত্রিতে নিয়ে গেল।
De krijgsknechten dan, gelijk hun bevolen was, namen Paulus, en brachten hem des nachts tot Antipatris.
32 পরের দিন অশ্বারোহী সেনাদের সঙ্গে তাঁকে পাঠিয়ে দিয়ে পদাতিকেরা সেনানিবাসে ফিরে গেল।
En des anderen daags, latende de ruiters met hem trekken, keerden zij wederom naar de legerplaats.
33 অশ্বারোহী সেনারা কৈসরিয়ায় পৌঁছে, তারা সেই পত্র প্রদেশপালকে দিল ও পৌলকে তাঁর হাতে সমর্পণ করল।
Dewelken als zij te Cesarea gekomen waren, en den brief den stadhouder overgeleverd hadden, hebben zij ook Paulus voor hem gesteld.
34 সেই পত্র পড়ে প্রদেশপাল জানতে চাইলেন, তিনি কোন প্রদেশের লোক। পৌল কিলিকিয়ার অধিবাসী জানতে পেরে,
En de stadhouder, den brief gelezen hebbende, vraagde, uit wat provincie hij was; en verstaande, dat hij van Cilicie was,
35 তিনি বললেন, “তোমার অভিযোগকারীরা এখানে এসে উপস্থিত হলে আমি তোমার কথা শুনব।” এরপর তিনি পৌলকে হেরোদের প্রাসাদে পাহারাধীন রাখার আদেশ দিলেন।
Zeide hij: Ik zal u horen, als ook uw beschuldigers hier zullen gekomen zijn. En hij beval, dat hij in het rechthuis van Herodes zou bewaard worden.

< প্রেরিত 23 >