< প্রেরিত 22 >
1 “হে ভাইয়েরা ও পিতৃতুল্য ব্যক্তিরা, আমার আত্মপক্ষ সমর্থনের কথা এখন আপনারা শুনুন।”
Ἄνδρες ἀδελφοὶ καὶ πατέρες, ἀκούσατέ μου τῆς πρὸς ὑμᾶς νυνὶ ἀπολογίας.
2 পৌলকে হিব্রু ভাষায় কথা বলতে শুনে তারা আরও শান্ত হয়ে গেল। তখন পৌল বললেন,
Ἀκούσαντες δὲ ὅτι τῇ Ἑβραΐδι διαλέκτῳ προσεφώνει αὐτοῖς, μᾶλλον παρέσχον ἠσυχίαν. καὶ φησίν,
3 “আমি একজন ইহুদি, কিলিকিয়ার তার্ষ নগরে আমার জন্ম, কিন্তু এই নগরে বড়ো হয়েছি। গমলীয়েলের অধীনে আমি আমাদের পিতৃপুরুষদের বিধান সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ শিক্ষা লাভ করেছি। আজ আপনারা যেমন, একদিন আমিও আপনাদেরই একজনের মতো ঈশ্বরের পক্ষে উদ্যমী ছিলাম।
Ἐγώ εἰμι ἀνὴρ Ἰουδαῖος, γεγεννημένος ἐν Ταρσῷ τῆς Κιλικίας, ἀνατεθραμμένος δὲ ἐν τῇ πόλει ταύτῃ, παρὰ τοὺς πόδας Γαμαλιὴλ πεπαιδευμένος κατὰ ἀκρίβειαν τοῦ πατρῴου νόμου, ζηλωτὴς ὑπάρχων τοῦ θεοῦ καθὼς πάντες ὑμεῖς ἐστε σήμερον,
4 আমি এই পথের অনুসারীদের অত্যাচার করে অনেককে হত্যা করেছি, নারী ও পুরুষ সবাইকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দি করেছি।
ὃς ταύτην τὴν ὁδὸν ἐδίωξα ἄχρι θανάτου, δεσμεύων καὶ παραδιδοὺς εἰς φυλακὰς ἄνδρας τε καὶ γυναῖκας,
5 এ বিষয়ে মহাযাজক ও সমস্ত বিচার পরিষদ আমার সাক্ষী। এমনকি আমি তাদের কাছ থেকে কয়েকটি পত্র নিয়ে তাদের ইহুদি ভাইদের কাছে দামাস্কাসে যাচ্ছিলাম, যেন এই সমস্ত লোককে গ্রেপ্তার করে জেরুশালেমে নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
ὡς καὶ ὁ ἀρχιερεὺς μαρτυρεῖ μοι, καὶ πᾶν τὸ πρεσβυτέριον, παρ᾽ ὧν καὶ ἐπιστολὰς δεξάμενος πρὸς τοὺς ἀδελφοὺς εἰς Δαμασκὸν ἐπορευόμην, ἄξων καὶ τοὺς ἐκεῖσε ὄντας δεδεμένους εἰς Ἱερουσαλήμ, ἵνα τιμωρηθῶσιν.
6 “প্রায় দুপুরবেলায়, যেই আমি দামাস্কাসের কাছে পৌঁছালাম, হঠাৎই আকাশ থেকে একটি উজ্জ্বল আলো আমার চারপাশে ঝলসে উঠল।
ἐγένετο δέ μοι πορευομένῳ καὶ ἐγγίζοντι τῇ Δαμασκῷ, περὶ μεσημβρίαν ἐξαίφνης ἐκ τοῦ οὐρανοῦ περιαστράψαι φῶς ἱκανὸν περὶ ἐμέ·
7 আমি মাটিতে পড়ে গেলাম ও একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম, আমাকে বলছে, ‘শৌল, শৌল, তুমি কেন আমাকে নির্যাতন করছ?’
ἔπεσά τε εἰς τὸ ἔδαφος καὶ ἤκουσα φωνῆς λεγούσης μοι, Σαοὺλ Σαούλ, τί με διώκεις;
8 “‘প্রভু, আপনি কে?’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম। “‘আমি নাসরতীয় যীশু, যাঁকে তুমি নির্যাতন করছ।’ তিনি উত্তর দিলেন।
ἐγὼ δὲ ἀπεκρίθην, Τίς εἶ κύριε; εἶπέν τε πρὸς ἐμέ, Ἐγώ εἰμι Ἰησοῦς ὁ Ναζωραῖος ὃν σὺ διώκεις.
9 আমার সঙ্গীরা সেই আলো দেখতে পেল, কিন্তু যিনি আমার উদ্দেশে কথা বলছিলেন, তারা তাঁর সেই কণ্ঠস্বর বুঝতে পারল না।
οἱ δὲ σὺν ἐμοὶ ὄντες τὸ μὲν φῶς ἐθεάσαντο, τὴν δὲ φωνὴν οὐκ ἤκουσαν τοῦ λαλοῦντός μοι.
10 “‘প্রভু, আমি কী করব?’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম। “‘উঠে পড়ো,’ প্রভু বললেন, ‘ও দামাস্কাসে প্রবেশ করো। তোমাকে কী করতে হবে, সেখানে তোমাকে বলে দেওয়া হবে।’
εἶπον δέ, Τί ποιήσω κύριε; ὁ δὲ κύριος εἶπεν πρός με, Ἀναστὰς πορεύου εἰς Δαμασκόν, κἀκεῖ σοι λαληθήσεται περὶ πάντων ὧν τέτακταί σοι ποιῆσαι.
11 আমার সঙ্গীরা হাত ধরে আমাকে দামাস্কাসে নিয়ে গেল, কারণ সেই আলোর তীব্র ঔজ্জ্বল্য আমাকে দৃষ্টিহীন করে দিয়েছিল।
ὡς δὲ οὐκ ἐνέβλεπον ἀπὸ τῆς δόξης τοῦ φωτὸς ἐκείνου, χειραγωγούμενος ὑπὸ τῶν συνόντων μοι ἦλθον εἰς Δαμασκόν.
12 “এরপর অননিয় নামে একজন ব্যক্তি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে বিধান পালন করতেন এবং সেখানকার অধিবাসী সব ইহুদির কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
Ἀνανίας δέ τις, ἀνὴρ εὐλαβὴς κατὰ τὸν νόμον, μαρτυρούμενος ὑπὸ πάντων τῶν κατοικούντων Ἰουδαίων,
13 তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘ভাই শৌল, তুমি দৃষ্টিশক্তি লাভ করো!’ আর সেই মুহূর্তে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম।
ἐλθὼν πρὸς ἐμὲ καὶ ἐπιστὰς εἶπέν μοι, Σαοὺλ ἀδελφέ, ἀνάβλεψον. κἀγὼ αὐτῇ τῇ ὥρᾳ ἀνέβλεψα εἰς αὐτόν.
14 “তখন তিনি বললেন, ‘আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর তোমাকে মনোনীত করেছেন, যেন তুমি তাঁর ইচ্ছা জানতে পারো ও সেই ধর্মময় ব্যক্তির দর্শন লাভ করো এবং তাঁর মুখের বাণী শুনতে পাও।
ὁ δὲ εἶπεν, Ὁ θεὸς τῶν πατέρων ἡμῶν προεχειρίσατό σε γνῶναι τὸ θέλημα αὐτοῦ καὶ ἰδεῖν τὸν δίκαιον, καὶ ἀκοῦσαι φωνὴν ἐκ τοῦ στόματος αὐτοῦ·
15 তুমি যা দেখেছ বা শুনেছ, সব মানুষের কাছে সেইসব বিষয়ে তাঁর সাক্ষী হবে।
ὅτι ἔσῃ μάρτυς αὐτῷ πρὸς πάντας ἀνθρώπους ὧν ἑώρακας καὶ ἤκουσας.
16 আর এখন তুমি কীসের প্রতীক্ষা করছ? ওঠো, বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করো ও তাঁর নামে আহ্বান করে তোমার সব পাপ ধুয়ে ফেলো।’
καὶ νῦν τί μέλλεις; ἀναστὰς βάπτισαι καὶ ἀπόλουσαι τὰς ἁμαρτίας σου, ἐπικαλεσάμενος τὸ ὄνομα αὐτοῦ.
17 “জেরুশালেমে ফিরে এসে আমি যখন মন্দিরে প্রার্থনা করছিলাম, আমি ভাবাবিষ্ট হলাম।
Ἐγένετο δέ μοι ὑποστρέψαντι εἰς Ἱερου σαλὴμ καὶ προσευχομένου μου ἐν τῷ ἱερῷ γενέσθαι με ἐν ἐκστάσει,
18 আমি দেখলাম, প্রভু কথা বলছেন, ‘তাড়াতাড়ি করো!’ তিনি আমাকে বললেন, ‘এই মুহূর্তে জেরুশালেম ছেড়ে চলে যাও, কারণ তারা আমার বিষয়ে তোমার সাক্ষ্য গ্রাহ্য করবে না।’
καὶ ἰδεῖν αὐτὸν λέγοντά μοι, Σπεῦσον καὶ ἔξελθε ἐν τάχει ἐξ Ἱερουσαλήμ, διότι οὐ παραδέξονταί σου μαρτυρίαν περὶ ἐμοῦ.
19 “আমি উত্তর দিলাম, ‘প্রভু, এই লোকেরা জানে, যারা তোমাকে বিশ্বাস করে তাদের মারধোর ও বন্দি করার জন্য আমি এক সমাজভবন থেকে অন্য সমাজভবনে গিয়েছি।
κἀγὼ εἶπον, Κύριε, αὐτοὶ ἐπίστανται ὅτι ἐγὼ ἤμην φυλακίζων καὶ δέρων κατὰ τὰς συναγωγὰς τοὺς πιστεύοντας ἐπὶ σέ·
20 আর তোমার শহিদ স্তিফানের যখন রক্তপাত করা হয়, আমি সেখানে দাঁড়িয়ে আমার সমর্থন দিচ্ছিলাম ও যারা তাঁকে হত্যা করছিল, তাদের পোশাক পাহারা দিচ্ছিলাম।’
καὶ ὅτε ἐξεχύννετο τὸ αἷμα Στεφάνου τοῦ μάρτυρός σου, καὶ αὐτὸς ἤμην ἐφεστὼς καὶ συνευδοκῶν καὶ φυλάσσων τὰ ἱμάτια τῶν ἀναιρούντων αὐτόν.
21 “তারপর প্রভু আমাকে বললেন, ‘যাও, আমি তোমাকে বহুদূরে, অইহুদিদের কাছে পাঠাব।’”
καὶ εἶπεν πρός με, Πορεύου, ὅτι ἐγὼ εἰς ἔθνη μακρὰν ἐξαποστελῶ σε.
22 লোকেরা এই পর্যন্ত পৌলের কথা শুনল। তারপর তারা চিৎকার করতে লাগল, “ওকে পৃথিবী থেকে দূর করো! ও বেঁচে থাকার যোগ্য নয়!”
Ἤκουον δὲ αὐτοῦ ἄχρι τούτου τοῦ λόγου, καὶ ἐπῆραν τὴν φωνὴν αὐτῶν λέγοντες, Αἶρε ἀπὸ τῆς γῆς τὸν τοιοῦτον· οὐ γὰρ καθῆκεν αὐτὸν ζῇν.
23 তারা যখন চিৎকার করে তাদের পোশাক খুলে ফেলছিল ও বাতাসে ধুলো ছড়াতে শুরু করেছিল,
κραυγαζόντων τε αὐτῶν καὶ ῥιπτούντων τὰ ἱμάτια καὶ κονιορτὸν βαλλόντων εἰς τὸν ἀέρα,
24 তখন সেনাপতি পৌলকে সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন। তিনি নির্দেশ দিলেন যেন তাঁকে চাবুক মারা হয় এবং প্রশ্ন করে যেন জানতে পারা যায় কেন তাঁর বিরুদ্ধে লোকেরা এরকম চিৎকার করছে।
ἐκέλευσεν ὁ χιλίαρχος εἰσάγεσθαι αὐτὸν εἰς τὴν παρεμβολήν, εἴπας μάστιξιν ἀνετάζεσθαι αὐτόν, ἵνα ἐπιγνῷ δι᾽ ἣν αἰτίαν οὕτως ἐπεφώνουν αὐτῷ.
25 তারা তাঁকে টান-টান করে বেঁধে চাবুক মারতে উদ্যত হলে, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা শত-সেনাপতিকে পৌল বললেন, “যার অপরাধ সাব্যস্ত হয়নি, এমন কোনও রোমীয় নাগরিককে চাবুক মারা কি আপনাদের পক্ষে আইনসংগত?”
ὡς δὲ προέτειναν αὐτὸν τοῖς ἱμᾶσιν, εἶπεν πρὸς τὸν ἑστῶτα ἑκατόνταρχον ὁ Παῦλος, Εἰ ἄνθρωπον Ῥωμαῖον καὶ ἀκατάκριτον ἔξεστιν ὑμῖν μαστίζειν;
26 শত-সেনাপতি একথা শুনে সেনানায়কের কাছে গেলেন ও এই সংবাদ দিলেন। তিনি বললেন, “আপনি কী করতে চলেছেন? এই ব্যক্তি তো একজন রোমীয় নাগরিক!”
ἀκούσας δὲ ὁ ἑκατόνταρχος προσελθὼν τῷ χιλιάρχῳ ἀπήγγειλεν λέγων, Τί μέλλεις ποιεῖν; ὁ γὰρ ἄνθρωπος οὗτος Ῥωμαῖός ἐστιν.
27 সেনানায়ক পৌলের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমাকে বলো, তুমি কি একজন রোমীয় নাগরিক?” তিনি উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, আমি তাই।”
προσελθὼν δὲ ὁ χιλίαρχος εἶπεν αὐτῷ, Λέγε μοι, σὺ Ῥωμαῖος εἶ; ὁ δὲ ἔφη, Ναί.
28 তখন সেনানায়ক তাঁকে বললেন, “আমার নাগরিকত্ব লাভের জন্য আমাকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে।” পৌল উত্তর দিলেন, “কিন্তু আমি জন্মসূত্রেই নাগরিক।”
Ἀπεκρίθη δὲ ὁ χιλίαρχος, Ἐγὼ πολλοῦ κεφαλαίου τὴν πολιτείαν ταύτην ἐκτησάμην. Ὁ δὲ Παῦλος ἔφη, Ἐγὼ δὲ καὶ γεγέννημαι.
29 যারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল, তারা তক্ষুনি পিছিয়ে গেল। সেনানায়ক যখন উপলব্ধি করলেন যে, যাঁকে তিনি শিকলে বন্দি করেছেন, সেই পৌল একজন রোমীয় নাগরিক, তিনি নিজেই আতঙ্কিত হলেন।
εὐθέως οὖν ἀπέστησαν ἀπ᾽ αὐτοῦ οἱ μέλλοντες αὐτὸν ἀνετάζειν. καὶ ὁ χιλίαρχος δὲ ἐφοβήθη, ἐπιγνοὺς ὅτι Ῥωμαῖός ἐστιν καὶ ὅτι αὐτὸν ἦν δεδεκώς.
30 পরদিন, সেনানায়ক অনুসন্ধান করতে চাইলেন, পৌলের বিরুদ্ধে ইহুদিদের সুনির্দিষ্ট কী অভিযোগ আছে। তিনি তাঁকে মুক্ত করলেন ও প্রধান যাজকদের এবং মহাসভার সমস্ত সদস্যকে একত্র হওয়ার আদেশ দিলেন। তারপর তিনি পৌলকে এনে তাঁদের সামনে দাঁড় করালেন।
Τῇ δὲ ἐπαύριον βουλόμενος γνῶναι τὸ ἀσφαλές, τὸ τί κατηγορεῖται ὑπὸ τῶν Ἰουδαίων, ἔλυσεν αὐτὸν καὶ ἐκέλευσεν συνελθεῖν τοὺς ἀρχιερεῖς καὶ πᾶν τὸ συνέδριον, καὶ καταγαγὼν τὸν Παῦλον ἔστησεν εἰς αὐτούς.