< প্রেরিত 22 >

1 “হে ভাইয়েরা ও পিতৃতুল্য ব্যক্তিরা, আমার আত্মপক্ষ সমর্থনের কথা এখন আপনারা শুনুন।”
ανδρεσ αδελφοι και πατερεσ ακουσατε μου τησ προσ υμασ νυνι απολογιασ
2 পৌলকে হিব্রু ভাষায় কথা বলতে শুনে তারা আরও শান্ত হয়ে গেল। তখন পৌল বললেন,
ακουσαντεσ δε οτι τη εβραιδι διαλεκτω προσεφωνει αυτοισ μαλλον παρεσχον ησυχιαν και φησιν
3 “আমি একজন ইহুদি, কিলিকিয়ার তার্ষ নগরে আমার জন্ম, কিন্তু এই নগরে বড়ো হয়েছি। গমলীয়েলের অধীনে আমি আমাদের পিতৃপুরুষদের বিধান সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ শিক্ষা লাভ করেছি। আজ আপনারা যেমন, একদিন আমিও আপনাদেরই একজনের মতো ঈশ্বরের পক্ষে উদ্যমী ছিলাম।
εγω μεν ειμι ανηρ ιουδαιοσ γεγεννημενοσ εν ταρσω τησ κιλικιασ ανατεθραμμενοσ δε εν τη πολει ταυτη παρα τουσ ποδασ γαμαλιηλ πεπαιδευμενοσ κατα ακριβειαν του πατρωου νομου ζηλωτησ υπαρχων του θεου καθωσ παντεσ υμεισ εστε σημερον
4 আমি এই পথের অনুসারীদের অত্যাচার করে অনেককে হত্যা করেছি, নারী ও পুরুষ সবাইকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দি করেছি।
οσ ταυτην την οδον εδιωξα αχρι θανατου δεσμευων και παραδιδουσ εισ φυλακασ ανδρασ τε και γυναικασ
5 এ বিষয়ে মহাযাজক ও সমস্ত বিচার পরিষদ আমার সাক্ষী। এমনকি আমি তাদের কাছ থেকে কয়েকটি পত্র নিয়ে তাদের ইহুদি ভাইদের কাছে দামাস্কাসে যাচ্ছিলাম, যেন এই সমস্ত লোককে গ্রেপ্তার করে জেরুশালেমে নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
ωσ και ο αρχιερευσ μαρτυρει μοι και παν το πρεσβυτεριον παρ ων και επιστολασ δεξαμενοσ προσ τουσ αδελφουσ εισ δαμασκον επορευομην αξων και τουσ εκεισε οντασ δεδεμενουσ εισ ιερουσαλημ ινα τιμωρηθωσιν
6 “প্রায় দুপুরবেলায়, যেই আমি দামাস্কাসের কাছে পৌঁছালাম, হঠাৎই আকাশ থেকে একটি উজ্জ্বল আলো আমার চারপাশে ঝলসে উঠল।
εγενετο δε μοι πορευομενω και εγγιζοντι τη δαμασκω περι μεσημβριαν εξαιφνησ εκ του ουρανου περιαστραψαι φωσ ικανον περι εμε
7 আমি মাটিতে পড়ে গেলাম ও একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম, আমাকে বলছে, ‘শৌল, শৌল, তুমি কেন আমাকে নির্যাতন করছ?’
επεσα τε εισ το εδαφοσ και ηκουσα φωνησ λεγουσησ μοι σαουλ σαουλ τι με διωκεισ
8 “‘প্রভু, আপনি কে?’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম। “‘আমি নাসরতীয় যীশু, যাঁকে তুমি নির্যাতন করছ।’ তিনি উত্তর দিলেন।
εγω δε απεκριθην τισ ει κυριε ειπεν τε προσ με εγω ειμι ιησουσ ο ναζωραιοσ ον συ διωκεισ
9 আমার সঙ্গীরা সেই আলো দেখতে পেল, কিন্তু যিনি আমার উদ্দেশে কথা বলছিলেন, তারা তাঁর সেই কণ্ঠস্বর বুঝতে পারল না।
οι δε συν εμοι οντεσ το μεν φωσ εθεασαντο και εμφοβοι εγενοντο την δε φωνην ουκ ηκουσαν του λαλουντοσ μοι
10 “‘প্রভু, আমি কী করব?’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম। “‘উঠে পড়ো,’ প্রভু বললেন, ‘ও দামাস্কাসে প্রবেশ করো। তোমাকে কী করতে হবে, সেখানে তোমাকে বলে দেওয়া হবে।’
ειπον δε τι ποιησω κυριε ο δε κυριοσ ειπεν προσ με αναστασ πορευου εισ δαμασκον κακει σοι λαληθησεται περι παντων ων τετακται σοι ποιησαι
11 আমার সঙ্গীরা হাত ধরে আমাকে দামাস্কাসে নিয়ে গেল, কারণ সেই আলোর তীব্র ঔজ্জ্বল্য আমাকে দৃষ্টিহীন করে দিয়েছিল।
ωσ δε ουκ ενεβλεπον απο τησ δοξησ του φωτοσ εκεινου χειραγωγουμενοσ υπο των συνοντων μοι ηλθον εισ δαμασκον
12 “এরপর অননিয় নামে একজন ব্যক্তি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে বিধান পালন করতেন এবং সেখানকার অধিবাসী সব ইহুদির কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
ανανιασ δε τισ ανηρ ευσεβησ κατα τον νομον μαρτυρουμενοσ υπο παντων των κατοικουντων ιουδαιων
13 তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘ভাই শৌল, তুমি দৃষ্টিশক্তি লাভ করো!’ আর সেই মুহূর্তে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম।
ελθων προσ με και επιστασ ειπεν μοι σαουλ αδελφε αναβλεψον καγω αυτη τη ωρα ανεβλεψα εισ αυτον
14 “তখন তিনি বললেন, ‘আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর তোমাকে মনোনীত করেছেন, যেন তুমি তাঁর ইচ্ছা জানতে পারো ও সেই ধর্মময় ব্যক্তির দর্শন লাভ করো এবং তাঁর মুখের বাণী শুনতে পাও।
ο δε ειπεν ο θεοσ των πατερων ημων προεχειρισατο σε γνωναι το θελημα αυτου και ιδειν τον δικαιον και ακουσαι φωνην εκ του στοματοσ αυτου
15 তুমি যা দেখেছ বা শুনেছ, সব মানুষের কাছে সেইসব বিষয়ে তাঁর সাক্ষী হবে।
οτι εση μαρτυσ αυτω προσ παντασ ανθρωπουσ ων εωρακασ και ηκουσασ
16 আর এখন তুমি কীসের প্রতীক্ষা করছ? ওঠো, বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করো ও তাঁর নামে আহ্বান করে তোমার সব পাপ ধুয়ে ফেলো।’
και νυν τι μελλεισ αναστασ βαπτισαι και απολουσαι τασ αμαρτιασ σου επικαλεσαμενοσ το ονομα του κυριου
17 “জেরুশালেমে ফিরে এসে আমি যখন মন্দিরে প্রার্থনা করছিলাম, আমি ভাবাবিষ্ট হলাম।
εγενετο δε μοι υποστρεψαντι εισ ιερουσαλημ και προσευχομενου μου εν τω ιερω γενεσθαι με εν εκστασει
18 আমি দেখলাম, প্রভু কথা বলছেন, ‘তাড়াতাড়ি করো!’ তিনি আমাকে বললেন, ‘এই মুহূর্তে জেরুশালেম ছেড়ে চলে যাও, কারণ তারা আমার বিষয়ে তোমার সাক্ষ্য গ্রাহ্য করবে না।’
και ιδειν αυτον λεγοντα μοι σπευσον και εξελθε εν ταχει εξ ιερουσαλημ διοτι ου παραδεξονται σου την μαρτυριαν περι εμου
19 “আমি উত্তর দিলাম, ‘প্রভু, এই লোকেরা জানে, যারা তোমাকে বিশ্বাস করে তাদের মারধোর ও বন্দি করার জন্য আমি এক সমাজভবন থেকে অন্য সমাজভবনে গিয়েছি।
καγω ειπον κυριε αυτοι επιστανται οτι εγω ημην φυλακιζων και δερων κατα τασ συναγωγασ τουσ πιστευοντασ επι σε
20 আর তোমার শহিদ স্তিফানের যখন রক্তপাত করা হয়, আমি সেখানে দাঁড়িয়ে আমার সমর্থন দিচ্ছিলাম ও যারা তাঁকে হত্যা করছিল, তাদের পোশাক পাহারা দিচ্ছিলাম।’
και οτε εξεχειτο το αιμα στεφανου του μαρτυροσ σου και αυτοσ ημην εφεστωσ και συνευδοκων τη αναιρεσει αυτου φυλασσων τα ιματια των αναιρουντων αυτον
21 “তারপর প্রভু আমাকে বললেন, ‘যাও, আমি তোমাকে বহুদূরে, অইহুদিদের কাছে পাঠাব।’”
και ειπεν προσ με πορευου οτι εγω εισ εθνη μακραν εξαποστελω σε
22 লোকেরা এই পর্যন্ত পৌলের কথা শুনল। তারপর তারা চিৎকার করতে লাগল, “ওকে পৃথিবী থেকে দূর করো! ও বেঁচে থাকার যোগ্য নয়!”
ηκουον δε αυτου αχρι τουτου του λογου και επηραν την φωνην αυτων λεγοντεσ αιρε απο τησ γησ τον τοιουτον ου γαρ καθηκεν αυτον ζην
23 তারা যখন চিৎকার করে তাদের পোশাক খুলে ফেলছিল ও বাতাসে ধুলো ছড়াতে শুরু করেছিল,
κραζοντων δε αυτων και ριπτουντων τα ιματια και κονιορτον βαλλοντων εισ τον αερα
24 তখন সেনাপতি পৌলকে সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন। তিনি নির্দেশ দিলেন যেন তাঁকে চাবুক মারা হয় এবং প্রশ্ন করে যেন জানতে পারা যায় কেন তাঁর বিরুদ্ধে লোকেরা এরকম চিৎকার করছে।
εκελευσεν αυτον ο χιλιαρχοσ αγεσθαι εισ την παρεμβολην ειπων μαστιξιν ανεταζεσθαι αυτον ινα επιγνω δι ην αιτιαν ουτωσ επεφωνουν αυτω
25 তারা তাঁকে টান-টান করে বেঁধে চাবুক মারতে উদ্যত হলে, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা শত-সেনাপতিকে পৌল বললেন, “যার অপরাধ সাব্যস্ত হয়নি, এমন কোনও রোমীয় নাগরিককে চাবুক মারা কি আপনাদের পক্ষে আইনসংগত?”
ωσ δε προετεινεν αυτον τοισ ιμασιν ειπεν προσ τον εστωτα εκατονταρχον ο παυλοσ ει ανθρωπον ρωμαιον και ακατακριτον εξεστιν υμιν μαστιζειν
26 শত-সেনাপতি একথা শুনে সেনানায়কের কাছে গেলেন ও এই সংবাদ দিলেন। তিনি বললেন, “আপনি কী করতে চলেছেন? এই ব্যক্তি তো একজন রোমীয় নাগরিক!”
ακουσασ δε ο εκατονταρχοσ προσελθων απηγγειλεν τω χιλιαρχω λεγων ορα τι μελλεισ ποιειν ο γαρ ανθρωποσ ουτοσ ρωμαιοσ εστιν
27 সেনানায়ক পৌলের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমাকে বলো, তুমি কি একজন রোমীয় নাগরিক?” তিনি উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, আমি তাই।”
προσελθων δε ο χιλιαρχοσ ειπεν αυτω λεγε μοι ει συ ρωμαιοσ ει ο δε εφη ναι
28 তখন সেনানায়ক তাঁকে বললেন, “আমার নাগরিকত্ব লাভের জন্য আমাকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে।” পৌল উত্তর দিলেন, “কিন্তু আমি জন্মসূত্রেই নাগরিক।”
απεκριθη τε ο χιλιαρχοσ εγω πολλου κεφαλαιου την πολιτειαν ταυτην εκτησαμην ο δε παυλοσ εφη εγω δε και γεγεννημαι
29 যারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল, তারা তক্ষুনি পিছিয়ে গেল। সেনানায়ক যখন উপলব্ধি করলেন যে, যাঁকে তিনি শিকলে বন্দি করেছেন, সেই পৌল একজন রোমীয় নাগরিক, তিনি নিজেই আতঙ্কিত হলেন।
ευθεωσ ουν απεστησαν απ αυτου οι μελλοντεσ αυτον ανεταζειν και ο χιλιαρχοσ δε εφοβηθη επιγνουσ οτι ρωμαιοσ εστιν και οτι ην αυτον δεδεκωσ
30 পরদিন, সেনানায়ক অনুসন্ধান করতে চাইলেন, পৌলের বিরুদ্ধে ইহুদিদের সুনির্দিষ্ট কী অভিযোগ আছে। তিনি তাঁকে মুক্ত করলেন ও প্রধান যাজকদের এবং মহাসভার সমস্ত সদস্যকে একত্র হওয়ার আদেশ দিলেন। তারপর তিনি পৌলকে এনে তাঁদের সামনে দাঁড় করালেন।
τη δε επαυριον βουλομενοσ γνωναι το ασφαλεσ το τι κατηγορειται παρα των ιουδαιων ελυσεν αυτον απο των δεσμων και εκελευσεν ελθειν τουσ αρχιερεισ και ολον το συνεδριον αυτων και καταγαγων τον παυλον εστησεν εισ αυτουσ

< প্রেরিত 22 >