< প্রেরিত 19 >

1 আপল্লো যখন করিন্থে ছিলেন, পৌল তখন দেশের ভিতরের পথ দিয়ে ইফিষে পৌঁছালেন। সেখানে তিনি কয়েকজন শিষ্যের সন্ধান পেলেন।
Ἐγένετο δὲ ἐν τῷ τὸν Ἀπολλῶ εἶναι ἐν Κορίνθῳ Παῦλον διελθόντα τὰ ἀνωτερικὰ μέρη κατελθεῖν εἰς Ἔφεσον καὶ εὑρεῖν τινας μαθητάς,
2 তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা যখন বিশ্বাস করেছিলে, তখন কি পবিত্র আত্মা লাভ করেছিলে?” তারা উত্তর দিল, “না, এমনকি কোনো পবিত্র আত্মা যে আছেন, সেকথা, আমরা শুনিনি।”
εἶπέν τε πρὸς αὐτούς, εἰ πνεῦμα ἅγιον ἐλάβετε πιστεύσαντες; οἱ δὲ πρὸς αὐτόν, ἀλλ’ οὐδ’ εἰ πνεῦμα ἅγιον ἔστιν ἠκούσαμεν.
3 তখন পৌল জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে তোমরা কোন বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করেছিলে?” তারা উত্তর দিল, “যোহনের বাপ্তিষ্ম।”
ὁ δὲ εἶπέν· εἰς τί οὖν ἐβαπτίσθητε; οἱ δὲ εἶπαν, εἰς τὸ Ἰωάννου βάπτισμα.
4 পৌল বললেন, “যোহনের বাপ্তিষ্ম ছিল মন পরিবর্তনের বাপ্তিষ্ম। তিনি লোকদের বলেছিলেন, যিনি তাঁর পরে আসছেন, সেই যীশুর উপরে তারা যেন বিশ্বাস করে।”
εἶπεν δὲ Παῦλος· Ἰωάννης ἐβάπτισεν βάπτισμα μετανοίας, τῷ λαῷ λέγων εἰς τὸν ἐρχόμενον μετ’ αὐτὸν ἵνα πιστεύσωσιν, τοῦτ’ ἔστιν εἰς τὸν Ἰησοῦν.
5 একথা শুনে তারা প্রভু যীশুর নামে বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করল।
ἀκούσαντες δὲ ἐβαπτίσθησαν εἰς τὸ ὄνομα τοῦ κυρίου Ἰησοῦ,
6 পৌল যখন তাদের উপরে হাত রাখলেন, পবিত্র আত্মা তাদের উপরে নেমে এলেন। তারা ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা ও ভাববাণী বলতে লাগল।
καὶ ἐπιθέντος αὐτοῖς τοῦ Παύλου χεῖρας ἦλθε τὸ πνεῦμα τὸ ἅγιον ἐπ’ αὐτούς, ἐλάλουν τε γλώσσαις καὶ ἐπροφήτευον.
7 সেখানে মোট বারোজন পুরুষ ছিল।
ἦσαν δὲ οἱ πάντες ἄνδρες ὡσεὶ δώδεκα.
8 পরে পৌল সমাজভবনে প্রবেশ করে সেখানে তিন মাস যাবৎ সাহসের সঙ্গে প্রচার করলেন। তিনি যুক্তিতর্কের মাধ্যমে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে তাদের বিশ্বাস করতে অনুপ্রেরণা দিলেন।
Εἰσελθὼν δὲ εἰς τὴν συναγωγὴν ἐπαρρησιάζετο ἐπὶ μῆνας τρεῖς διαλεγόμενος καὶ πείθων τὰ περὶ τῆς βασιλείας τοῦ θεοῦ.
9 কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন জেদি মনোভাবাপন্ন হল। তারা বিশ্বাস করতে চাইল না এবং সেই পথ সম্পর্কে প্রকাশ্যে নিন্দা করতে লাগল। তাই পৌল তাদের ত্যাগ করে চলে গেলেন। তিনি তাঁর সঙ্গে শিষ্যদের নিয়ে গেলেন এবং তুরান্নের বক্তৃতা দেওয়ার স্থানে প্রতিদিন আলোচনা করতে লাগলেন।
ὡς δέ τινες ἐσκληρύνοντο καὶ ἠπείθουν κακολογοῦντες τὴν ὁδὸν ἐνώπιον τοῦ πλήθους, ἀποστὰς ἀπ’ αὐτῶν ἀφώρισεν τοὺς μαθητάς, καθ’ ἡμέραν διαλεγόμενος ἐν τῇ σχολῇ Τυράννου.
10 এভাবে দুই বছর অতিক্রান্ত হল। ফলে এশিয়া প্রদেশে বসবাসকারী ইহুদি ও গ্রিক সবাই প্রভুর বাক্য শুনতে পেল।
τοῦτο δὲ ἐγένετο ἐπὶ ἔτη δύο, ὥστε πάντας τοὺς κατοικοῦντας τὴν Ἀσίαν ἀκοῦσαι τὸν λόγον τοῦ κυρίου, Ἰουδαίους τε καὶ Ἕλληνας.
11 ঈশ্বর পৌলের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সব অলৌকিক কাজ সাধন করতেন।
Δυνάμεις τε οὐ τὰς τυχούσας ὁ θεὸς ἐποίει διὰ τῶν χειρῶν Παύλου,
12 এমনকি, তাঁর স্পর্শ করা রুমাল ও পোশাক অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছে নিয়ে গেলে তারা সুস্থ হত এবং মন্দ-আত্মা তাদের ছেড়ে যেত।
ὥστε καὶ ἐπὶ τοὺς ἀσθενοῦντας ἀποφέρεσθαι ἀπὸ τοῦ χρωτὸς αὐτοῦ σουδάρια ἢ σιμικίνθια καὶ ἀπαλλάσσεσθαι ἀπ’ αὐτῶν τὰς νόσους, τά τε πνεύματα τὰ πονηρὰ ἐκπορεύεσθαι.
13 কয়েকজন ইহুদি ওঝা, যারা এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে মন্দ-আত্মাদের তাড়ানোর কাজ করত, তারা মন্দ-আত্মাগ্রস্তদের উপরে প্রভু যীশুর নাম প্রয়োগ করতে চেষ্টা করল। তারা বলত, “পৌল যাঁকে প্রচার করেন, সেই যীশুর নামে আমরা তোমাদের বেরিয়ে আসার জন্য আদেশ করছি।”
ἐπεχείρησαν δέ τινες καὶ τῶν περιερχομένων Ἰουδαίων ἐξορκιστῶν ὀνομάζειν ἐπὶ τοὺς ἔχοντας τὰ πνεύματα τὰ πονηρὰ τὸ ὄνομα τοῦ κυρίου Ἰησοῦ λέγοντες, ὁρκίζω ὑμᾶς τὸν Ἰησοῦν ὃν Παῦλος κηρύσσει.
14 স্কিবা নামে এক ইহুদি প্রধান যাজকের সাত ছেলে এই কাজ করে যাচ্ছিল।
ἦσαν δέ τινες Σκευᾶ Ἰουδαίου ἀρχιερέως ἑπτὰ υἱοὶ τοῦτο ποιοῦντες.
15 তাতে সেই মন্দ-আত্মা তাদের উত্তর দিল, “আমি যীশুকে জানি, পৌলের বিষয়েও জানি, কিন্তু তোমরা কারা?”
ἀποκριθὲν δὲ τὸ πνεῦμα τὸ πονηρὸν εἶπεν αὐτοῖς, τὸν Ἰησοῦν γινώσκω καὶ τὸν Παῦλον ἐπίσταμαι, ὑμεῖς δὲ τίνες ἐστέ;
16 তখন যে ব্যক্তির মধ্যে মন্দ-আত্মা ছিল, সে তাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের সবাইকে পর্যুদস্ত করে তুলল। সে তাদের এমন মার দিল যে, তারা পোশাক ফেলে রক্তাক্ত ও নগ্ন দেহে সেই বাড়ি থেকে ছুটে পালিয়ে গেল।
καὶ ἐφαλόμενος ὁ ἄνθρωπος ἐπ’ αὐτοὺς ἐν ᾧ ἦν τὸ πνεῦμα τὸ πονηρὸν κατακυριεύσας ἀμφοτέρων ἴσχυσεν κατ’ αὐτῶν, ὥστε γυμνοὺς καὶ τετραυματισμένους ἐκφυγεῖν ἐκ τοῦ οἴκου ἐκείνου.
17 ইফিষে বসবাসকারী ইহুদি ও গ্রিকেরা একথা জানতে পেরে সবাই ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে পড়ল এবং প্রভু যীশুর নাম মহিমান্বিত হয়ে উঠল।
τοῦτο δὲ ἐγένετο γνωστὸν πᾶσιν Ἰουδαίοις τε καὶ Ἕλλησιν τοῖς κατοικοῦσιν τὴν Ἔφεσον, καὶ ἐπέπεσεν φόβος ἐπὶ πάντας αὐτούς, καὶ ἐμεγαλύνετο τὸ ὄνομα τοῦ κυρίου Ἰησοῦ,
18 যারা বিশ্বাস করেছিল, তাদের অনেকেই তখন এসে প্রকাশ্যে তাদের সব অপকর্মের কথা স্বীকার করল।
πολλοί τε τῶν πεπιστευκότων ἤρχοντο ἐξομολογούμενοι καὶ ἀναγγέλλοντες τὰς πράξεις αὐτῶν.
19 যারা জাদুবিদ্যার অনুশীলন করছিল, তাদের মধ্যে অনেকে তাদের পুঁথিপত্র নিয়ে এসে একত্র করে সেগুলি প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে দিল। পুঁথিগুলির মূল্য নির্ধারণ করে তারা দেখল, সেগুলির মোট মূল্য পঞ্চাশ হাজার দ্রাকমা।
ἱκανοὶ δὲ τῶν τὰ περίεργα πραξάντων συνενέγκαντες τὰς βίβλους κατέκαιον ἐνώπιον πάντων· καὶ συνεψήφισαν τὰς τιμὰς αὐτῶν καὶ εὗρον ἀργυρίου μυριάδας πέντε.
20 এইভাবে প্রভুর বাক্য ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করল এবং পরাক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকল।
Οὕτως κατὰ κράτος τοῦ κυρίου ὁ λόγος ηὔξανεν καὶ ἴσχυεν.
21 এই সমস্ত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর পৌল ম্যাসিডোনিয়া ও আখায়া পরিক্রমা করে জেরুশালেম যাবেন বলে স্থির করলেন। তিনি বললেন, “সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর আমি অবশ্যই রোম-ও পরিদর্শন করতে যাব।”
Ὡς δὲ ἐπληρώθη ταῦτα, ἔθετο ὁ Παῦλος ἐν τῷ πνεύματι διελθὼν τὴν Μακεδονίαν καὶ Ἀχαΐαν πορεύεσθαι εἰς Ἱεροσόλυμα, εἰπὼν ὅτι μετὰ τὸ γενέσθαι με ἐκεῖ δεῖ με καὶ Ῥώμην ἰδεῖν.
22 তিনি তাঁর দুই সাহায্যকারী, তিমথি ও ইরাস্তকে ম্যাসিডোনিয়ায় পাঠিয়ে দিলেন এবং স্বয়ং এশিয়া প্রদেশে আরও কিছুকাল থেকে গেলেন।
ἀποστείλας δὲ εἰς τὴν Μακεδονίαν δύο τῶν διακονούντων αὐτῷ, Τιμόθεον καὶ Ἔραστον, αὐτὸς ἐπέσχεν χρόνον εἰς τὴν Ἀσίαν.
23 প্রায় সেই সময়ে, সেই পথের বিষয়ে এক মহা গোলযোগ দেখা দিল।
Ἐγένετο δὲ κατὰ τὸν καιρὸν ἐκεῖνον τάραχος οὐκ ὀλίγος περὶ τῆς ὁδοῦ.
24 দিমিত্রীয় নামে একজন রুপোর কারিগর, যে আর্তেমিসের মন্দিরের মতো রুপোর ছোটো ছোটো মন্দির নির্মাণ করত ও শিল্পীদের প্রচুর কাজের জোগান দিত,
Δημήτριος γάρ τις ὀνόματι, ἀργυροκόπος, ποιῶν ναοὺς ἀργυροῦς Ἀρτέμιδος παρείχετο τοῖς τεχνίταις οὐκ ὀλίγην ἐργασίαν,
25 সে তার সহকর্মীদের ও একই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য শ্রমিকদের ডেকে একত্র করল ও বলল, “জনগণ, আপনারা জানেন, এই ব্যবসা থেকে আমরা ভালোরকম অর্থ উপার্জন করি।
οὓς συναθροίσας καὶ τοὺς περὶ τὰ τοιαῦτα ἐργάτας εἶπεν, ἄνδρες, ἐπίστασθε ὅτι ἐκ ταύτης τῆς ἐργασίας ἡ εὐπορία ἡμῖν ἐστιν,
26 আর আপনারা দেখছেন ও শুনতে পাচ্ছেন, এই পৌল কেমনভাবে লোকদের প্রভাবিত করছে এবং এখানে ইফিষের, বস্তুত সমগ্র এশিয়া প্রদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। সে বলে যে, মানুষের হাতে তৈরি দেবতারা আদৌ কোনো দেবতা নয়।
καὶ θεωρεῖτε καὶ ἀκούετε ὅτι οὐ μόνον Ἐφέσου ἀλλὰ σχεδὸν πάσης τῆς Ἀσίας ὁ Παῦλος οὗτος πείσας μετέστησεν ἱκανὸν ὄχλον, λέγων ὅτι οὐκ εἰσὶν θεοὶ οἱ διὰ χειρῶν γινόμενοι.
27 এর ফলে এই বিপদের আশঙ্কা হচ্ছে যে, এতে কেবলমাত্র আমাদের ব্যবসার সুনাম নষ্ট হবে তা নয়, মহাদেবী আর্তেমিসের মন্দিরেরও অখ্যাতি হবে এবং যিনি সমগ্র এশিয়া প্রদেশে, এমনকি সারা পৃথিবীতে পূজিত হন, তারও অখ্যাতি হবে এবং তিনি তার মহিমা হারাবেন।”
οὐ μόνον δὲ τοῦτο κινδυνεύει ἡμῖν τὸ μέρος εἰς ἀπελεγμὸν ἐλθεῖν, ἀλλὰ καὶ τὸ τῆς μεγάλης θεᾶς ἱερὸν Ἀρτέμιδος εἰς οὐθὲν λογισθῆναι, μέλλειν τε καὶ καθαιρεῖσθαι τῆς μεγαλειότητος αὐτῆς, ἣν ὅλη ἡ Ἀσία καὶ ἡ οἰκουμένη σέβεται.
28 একথা শুনে তারা ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে উঠল ও চিৎকার করতে লাগল, “ইফিষীয়দের আর্তেমিস-ই মহাদেবী!”
ἀκούσαντες δὲ καὶ γενόμενοι πλήρεις θυμοῦ ἔκραζον λέγοντες, μεγάλη ἡ Ἄρτεμις Ἐφεσίων.
29 এর পরেই সমস্ত নগরে হট্টগোল ছড়িয়ে পড়ল। জনসাধারণ ম্যাসিডোনিয়া থেকে আগত পৌলের দুই ভ্রমণের সঙ্গী গায়ো ও আরিষ্টার্খকে ধরে একযোগে রঙ্গমঞ্চে নিয়ে গেল।
καὶ ἐπλήσθη ἡ πόλις τῆς συγχύσεως, ὥρμησάν τε ὁμοθυμαδὸν εἰς τὸ θέατρον συναρπάσαντες Γάϊον καὶ Ἀρίσταρχον Μακεδόνας, συνεκδήμους Παύλου.
30 পৌল জনসাধারণের সম্মুখীন হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শিষ্যেরা তাঁকে যেতে দিলেন না।
Παύλου δὲ βουλομένου εἰσελθεῖν εἰς τὸν δῆμον οὐκ εἴων αὐτὸν οἱ μαθηταί·
31 এমনকি, পৌলের বন্ধুস্থানীয় কয়েকজন প্রাদেশিক কর্মকর্তা তাঁর কাছে বার্তা পাঠিয়ে অনুনয় করলেন, রঙ্গমঞ্চে গিয়ে তিনি যেন বিপদের ঝুঁকি না নেন।
τινὲς δὲ καὶ τῶν Ἀσιαρχῶν, ὄντες αὐτῷ φίλοι, πέμψαντες πρὸς αὐτὸν παρεκάλουν μὴ δοῦναι ἑαυτὸν εἰς τὸ θέατρον.
32 তখন সভার মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিল। কিছু লোক এক বিষয়ে, আবার কিছু লোক অন্য বিষয়ে চিৎকার করছিল। এমনকি, অধিকাংশ লোকই জানত না, কেন তারা সেখানে সমবেত হয়েছে।
ἄλλοι μὲν οὖν ἄλλο τι ἔκραζον, ἦν γὰρ ἡ ἐκκλησία συγκεχυμένη, καὶ οἱ πλείους οὐκ ᾔδεισαν τίνος ἕνεκα συνεληλύθεισαν.
33 ইহুদিরা আলেকজান্ডারকে সামনে এগিয়ে দিল। জনসাধারণের একাংশ চিৎকার করে তাকে নির্দেশ দিতে লাগল। এতে সে সকলের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য হাত নেড়ে নীরব হওয়ার জন্য ইঙ্গিত করল।
ἐκ δὲ τοῦ ὄχλου συνεβίβασαν Ἀλέξανδρον, προβαλόντων αὐτὸν τῶν Ἰουδαίων· ὁ δὲ Ἀλέξανδρος κατασείσας τὴν χεῖρα ἤθελεν ἀπολογεῖσθαι τῷ δήμῳ.
34 কিন্তু যখন তারা তাকে ইহুদি বলে জানতে পারল, তারা প্রায় দুঘণ্টা ধরে একস্বরে চিৎকার করে গেল, “ইফিষীয়দের আর্তেমিস-ই মহাদেবী!”
ἐπιγνόντες δὲ ὅτι Ἰουδαῖός ἐστιν φωνὴ ἐγένετο μία ἐκ πάντων ὡς ἐπὶ ὥρας δύο κράζοντες· μεγάλη ἡ Ἄρτεμις Ἐφεσίων.
35 নগরের ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী সবাইকে শান্ত করে বললেন, “ইফিষের জনগণ, সমস্ত পৃথিবীর মানুষ কি জানে না যে, এই ইফিষ নগরই মহাদেবী আর্তেমিসের মন্দিরের ও তাঁর প্রতিমার রক্ষক, যা আকাশ থেকে পতিত হয়েছিল?
καταστείλας δὲ ὁ γραμματεὺς τὸν ὄχλον φησίν, ἄνδρες Ἐφέσιοι, τίς γάρ ἐστιν ἀνθρώπων ὃς οὐ γινώσκει τὴν Ἐφεσίων πόλιν νεωκόρον οὖσαν τῆς μεγάλης Ἀρτέμιδος καὶ τοῦ διοπετοῦς;
36 সেই কারণে, যেহেতু এই বিষয়টি কেউ অস্বীকার করতে পারে না, তোমাদের শান্ত থাকাই উচিত, হঠকারিতার বশে কিছু করা উচিত নয়।
ἀναντιρρήτων οὖν ὄντων τούτων δέον ἐστὶν ὑμᾶς κατεσταλμένους ὑπάρχειν καὶ μηδὲν προπετὲς πράσσειν.
37 তোমরা এই লোকগুলিকে এখানে নিয়ে এসেছ, এরা তো মন্দির লুট করেনি, আমাদের দেবীরও অবমাননা করেনি।
ἠγάγετε γὰρ τοὺς ἄνδρας τούτους οὔτε ἱεροσύλους οὔτε βλασφημοῦντας τὴν θεὸν ἡμῶν.
38 তাহলে, যদি দিমিত্রীয় ও তার সহযোগী শিল্পীদের কোনো অভিযোগ থাকে, আদালতের দরজা খোলা আছে, সেখানে প্রদেশপালেরাও আছেন। তারা সেখানে অভিযোগ দাখিল করতে পারে।
εἰ μὲν οὖν Δημήτριος καὶ οἱ σὺν αὐτῷ τεχνῖται ἔχουσι πρός τινα λόγον, ἀγοραῖοι ἄγονται καὶ ἀνθύπατοί εἰσιν· ἐγκαλείτωσαν ἀλλήλοις.
39 এছাড়া, আরও যদি অন্য কোনো বিষয় তোমাদের উত্থাপন করার থাকে, তাহলে বৈধ সভায় অবশ্যই তা নিষ্পত্তি করা হবে।
εἰ δέ τι περὶ ἑτέρων ἐπιζητεῖτε, ἐν τῇ ἐννόμῳ ἐκκλησίᾳ ἐπιλυθήσεται.
40 আজকের ঘটনার জন্য দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে আমরা অভিযুক্ত হওয়ার বিপদে পড়তে পারি। সেক্ষেত্রে, এই বিক্ষোভের পক্ষে আমরা কোনও যুক্তি দেখাতে পারব না।”
καὶ γὰρ κινδυνεύομεν ἐγκαλεῖσθαι στάσεως περὶ τῆς σήμερον, μηδενὸς αἰτίου ὑπάρχοντος περὶ οὗ οὐ δυνησόμεθα ἀποδοῦναι λόγον τῆς συστροφῆς ταύτης.
41 এই কথা বলে তিনি সভা ভেঙে দিলেন।
καὶ ταῦτα εἰπὼν ἀπέλυσεν τὴν ἐκκλησίαν.

< প্রেরিত 19 >