< প্রেরিত 16 >
1 পৌল ডার্বিতে গেলেন ও পরে লুস্ত্রায় এলেন। সেখানে তিমথি নামে একজন শিষ্য বসবাস করতেন। তাঁর মা ছিলেন একজন বিশ্বাসী ইহুদি, কিন্তু পিতা ছিলেন গ্রিক।
১তাৰ পাছত পৌল দর্বী আৰু লুস্ত্ৰা চহৰলৈ গ’ল। তাতে তীমথিয় নামৰ এজন খ্রীষ্টৰ শিষ্য আছিল। তীমথিয়ৰ মাতৃ আছিল এগৰাকী যিহুদী খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসীনী মহিলা আৰু পিতৃ গ্রীক লোক আছিল।
2 লুস্ত্রা ও ইকনিয়ের ভাইরা তাঁর সম্পর্কে সুখ্যাতি করতেন।
২লুস্ত্ৰা আৰু ইকনিয় চহৰৰ ভাই সকলে তীমথিয়ক অতি প্রশংসা কৰিছিল।
3 পৌল চাইলেন যাত্রায় তাঁকেও সঙ্গে নিতে। তাই সেই অঞ্চলে বসবাসকারী ইহুদিদের জন্য তিনি তাঁকে সুন্নত করালেন, কারণ তারা সকলে জানত যে, তাঁর পিতা ছিলেন একজন গ্রিক।
৩পৌলে যাত্রাত তীমথিয়কো নিজৰ লগত লৈ যাবলৈ বিচাৰিলে আৰু সেয়ে তেওঁক চুন্নৎ কৰালে; কাৰণ সেই অঞ্চলবোৰত ইহুদী লোক আছিল আৰু তেওঁলোকে তীমথিয়ৰ পিতৃ গ্রীক জাতিৰ বুলি জানিছিল।
4 এক নগর থেকে অন্য নগরে যাওয়ার সময়, তাঁরা জেরুশালেমের প্রেরিতশিষ্যবর্গ ও প্রাচীনদের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি তাদের জানালেন, যেন তারা সেসব পালন করে।
৪পাছত তেওঁলোক নগৰবোৰৰ মাজেদি যাওঁতে যিৰূচালেমত পাঁচনি আৰু পৰিচাৰক সকলে লিখি দিয়া নিৰ্দেশনাবোৰ পালন কৰিবলৈ মণ্ডলীবোৰক জনালে।
5 এভাবে মণ্ডলীগুলি বিশ্বাসে বলীয়ান হতে ও প্রতিদিন সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকল।
৫এইদৰে মণ্ডলীবোৰ বিশ্বাসত দৃঢ় হৈ দিনে দিনে লেখত বৃদ্ধি পাবলৈ ধৰিলে।
6 পবিত্র আত্মা তাঁদের এশিয়া প্রদেশে সুসমাচার প্রচার করতে বাধা দেওয়ায়, পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা ফরুগিয়া ও গালাতিয়া অঞ্চলের সর্বত্র পরিভ্রমণ করলেন।
৬পবিত্ৰ আত্মাই পৌল আৰু তেওঁৰ সংগী সকলক এচিয়া দেশত বাক্য প্রচাৰ কৰিবলৈ বাধা দিলে, তেতিয়া তেওঁলোক ফিৰুগিয়া আৰু গালাতীয়াৰ অঞ্চলবোৰৰ মাজেদি গ’ল।
7 মুশিয়া প্রদেশের সীমান্তে এসে তাঁরা বিথুনিয়ায় প্রবেশ করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু যীশুর আত্মা তাঁদের অনুমতি দিলেন না।
৭আৰু মূচিয়াৰ সীমান্ত অঞ্চলত আহি তেওঁলোকে বিথুনিয়া গাওঁলৈ যাবৰ বাবে চেষ্টা কৰিলে, কিন্তু প্রভু যীচুৰ আত্মাই তেওঁলোকক যাবলৈ নিদিলে।
8 তাই তাঁরা মুশিয়াকে পাশ কাটিয়ে ত্রোয়াতে গিয়ে পৌঁছালেন।
৮সেয়েহে, তেওঁলোকে মূচিয়া পাৰ হৈ ত্রোৱা নগৰলৈ গুচি গ’ল।
9 রাত্রিবেলা পৌল এক দর্শন পেলেন, তিনি দেখলেন ম্যাসিডোনিয়ার একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে তাঁর কাছে অনুনয় করছেন, “আপনি ম্যাসিডোনিয়ায় এসে আমাদের সাহায্য করুন।”
৯নিশা পৌলে এটা দর্শন দেখিলে যে, এজন মাকিদনিয়া মানুহে থিয় হৈ তেওঁক মিনতি কৰি কৈছে “মাকিদনিয়ালৈ আহি আমাক সহায় কৰা।”
10 পৌলের এই দর্শন পাওয়ার পর আমরা তখনই ম্যাসিডোনিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য প্রস্তুত হলাম। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, তাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার জন্য ঈশ্বর আমাদের আহ্বান করেছেন।
১০পৌলে এই দর্শন পোৱাৰ পাছত আমি শীঘ্রেই মাকিদনিয়ালৈ যাবৰ কাৰণে প্রস্তুত হ’লো। কাৰণ, আমি বুজি পালোঁ যে মাকিদনিয়াৰ লোক সকলৰ আগত শুভবার্তা প্রচাৰ কৰিবৰ বাবে ঈশ্বৰে আমাক মাতিছে।
11 ত্রোয়া থেকে আমরা সরাসরি সামোথ্রেসের উদ্দেশে সমুদ্রপথে পাড়ি দিলাম। পরের দিন সেখান থেকে গেলাম নিয়াপলিতে।
১১পাছত ত্রোৱা এৰি আমি জাহাজেৰে পোনে পোনে চামথাকীলৈ গলো আৰু পিছদিনা নিয়াপলি নগৰলৈ আহিলোঁ।
12 সেখান থেকে আমরা যাত্রা করলাম ফিলিপীতে। ফিলিপী নগরটি ছিল একটি রোমীয় উপনিবেশ এবং ম্যাসিডোনিয়া প্রদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নগর। আমরা বেশ কিছুদিন সেখানে থাকলাম।
১২তাৰ পৰা আমি মাকিদনিয়াৰ ফিলিপী নগৰলৈ গলো। ফিলিপী নগৰ খন সেই এলেকাৰ এখন উল্লেখনীয় নগৰ আৰু ই এক ৰোমান উপনিৱেশ। আমি এই নগৰত বহু দিন থাকিলো।
13 বিশ্রামদিনে আমরা নগরদ্বারের বাইরে নদীতীরে গেলাম। সেখানে প্রার্থনা করার কোনও উপযুক্ত স্থান পাওয়া যাবে বলে আশা করেছিলাম। আমরা সেখানে বসে পড়লাম ও সমবেত মহিলাদের সঙ্গে কথা বললাম।
১৩বিশ্রামবাৰে আমি নগৰৰ দুৱাৰৰ বাহিৰেদি নদীৰ কাষলৈ গলো; ভাৱিছিলো, তাত নিশ্চয় প্ৰাৰ্থনা কৰিবৰ বাবে ঠাই আছে৷ তাতে যি মহিলা সকল আহি একেলগে মিলিত হৈছিল, পাছত আমি তেওঁলোকৰ কাষত বহি কথা কবলৈ ধৰিলো।
14 যারা আমাদের কথা শুনছিলেন তাদের মধ্যে লিডিয়া নামে এক মহিলা ছিলেন। থুয়াতীরা নগরের বেগুনি কাপড়ের ব্যবসায়ী এই মহিলাটি ছিলেন ঈশ্বরের উপাসক। পৌলের বার্তায় মনোনিবেশ করার জন্য প্রভু তাঁর হৃদয় খুলে দিলেন।
১৪সেই মহিলা সকলৰ মাজত থুয়াতীৰা চহৰৰ ঈশ্বৰৰ উপাসনা কৰা লুদীয়া নামৰ এগৰাকী মহিলাও আছিল আৰু তেওঁ বেঙুনীয়া কাপোৰৰ ব্যৱসায় কৰিছিল। তেওঁ আমাৰ কথা শুনি আছিল। তাতে পৌলে যি কথা কৈ আছিল, সেই কথা মন দি শুনিবলৈ প্রভুৱে লুদীয়াৰ হৃদয় মুকলি কৰিলে।
15 যখন তিনি ও তাঁর পরিজনেরা বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করলেন, তিনি আমাদের তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানালেন। তিনি বললেন, “আপনারা যদি আমাকে প্রভুতে বিশ্বাসী বলে মনে করেন, তাহলে এসে আমার বাড়িতে থাকুন।” তিনি আমাদের বুঝিয়ে রাজি করালেন।
১৫তাতে লুদীয়া আৰু পৰিয়ালৰ সকলোৱে বাপ্তিস্ম ললে আৰু আমাক অনুৰোধ কৰি ক’লে, “যদিহে মোক আপোনালোকে প্রভুৰ বিশ্বাসকাৰিণী বুলি বিবেচনা কৰে তেনেহলে মোৰ ঘৰত আহি থাককহি।” এইদৰে তেওঁ আমাক বৰকৈ জোৰ কৰিলে।
16 একদিন যখন আমরা প্রার্থনা-স্থানে যাচ্ছিলাম, এক ক্রীতদাসীর সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হল। সে ভবিষ্যৎ বলতে পারে এমন আত্মার প্রভাবে ভবিষ্যতের কথা বলতে পারত। ভবিষ্যতের কথা বলে সে তার মনিবদের জন্য প্রচুর অর্থ উপার্জন করত।
১৬এদিন আমি যেতিয়া প্ৰাৰ্থনাৰ ঠাইলৈ গৈ আছিলোঁ, তেতিয়া এক অশুচি আত্মাই লম্ভা এজনী অল্পবয়সীয়া ছোৱলী আমাৰ আগত আহি উপস্থিত হ’ল। অশুচি আত্মাৰ প্রভাৱত তাই ভৱিষ্যতৰ কথা কব পাৰিছিল আৰু এনেদৰে তাই মালিকবোৰক বহু লাভৱান কৰিছিল।
17 সেই মেয়েটি পৌল ও আমাদের সকলকে অনুসরণ করতে লাগল। সে চিৎকার করে বলতে লাগল, “এই লোকেরা পরাৎপর ঈশ্বরের দাস, তোমাদের কাছে পরিত্রাণের উপায়ের কথা বলছেন।”
১৭এই ছোৱালী জনীয়ে পৌল আৰু আমাৰ পিছে পিছে আহিল আৰু উচ্চস্বৰে ক’লে “এই মানুহবোৰ সর্বোপৰি ঈশ্বৰৰ দাস। তেওঁলোকে পৰিত্রাণৰ পথৰ বিষয়ে আপোনালোকৰ আগত ঘোষণা কৰিছে।”
18 বহুদিন যাবৎ সে এরকম করতে থাকল। শেষে পৌল এত উত্যক্ত হয়ে উঠলেন যে, তিনি ফিরে সেই আত্মার উদ্দেশে বললেন, “আমি যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাকে আদেশ দিচ্ছি, ওর মধ্য থেকে বেরিয়ে এসো।” সেই মুহূর্তেই সেই আত্মা তাকে ছেড়ে চলে গেল।
১৮এইদৰে তাই ভালেমান দিনলৈকে কৈ আছিল। শেষত পৌলে বিৰক্ত হৈ, পিছলৈ ঘূৰি সেই আত্মাক ক’লে, “মই তোক যীচু খ্রীষ্টৰ নামত আজ্ঞা দিছোঁ, তাইৰ পৰা বাহিৰ ওলা।” তেতিয়া লগে লগে সেই ভূতৰ আত্মা বাহিৰ ওলাই গ’ল।
19 সেই ক্রীতদাসীর মনিবেরা যখন বুঝতে পারল যে, তাদের অর্থ উপার্জনের আশা শেষ হয়েছে, তারা পৌল ও সীলকে ধরে টানতে টানতে বাজারে কর্তৃপক্ষের সামনে উপস্থিত করল।
১৯তাৰ পাছত তাইৰ মালিকবোৰে যেতিয়া দেখিলে যে, তেওঁলোকৰ লাভৰ আশা নোহোৱা হ’ল, তেতিয়া তেওঁলোকে পৌল আৰু চীলক ধৰি চোঁচৰাই বজাৰলৈকে আনি শাসনকৰ্তা জনৰ ওচৰলৈ লৈ গ’ল।
20 তারা নগরের প্রশাসকদের সামনে তাঁদের নিয়ে এসে বলল, “এই ব্যক্তিরা ইহুদি। এরা আমাদের নগরে গণ্ডগোলের সৃষ্টি করেছে।
২০তাৰ পাছত তেওঁলোকক শাসনকর্তা সকলৰ ওচৰলৈ নি ক’লে, “এওঁলোক ইহুদী মানুহ আৰু আমাৰ নগৰত এওঁলোকে গণ্ডগোল আৰম্ভ কৰিছে।
21 এরা এমন সব রীতিনীতির কথা বলছে, যা আমাদের, রোমীয়দের পক্ষে গ্রহণ বা পালন করা ন্যায়সংগত নয়।”
২১এওঁলোকে এনেবোৰ শিক্ষা দিছে, যিবোৰ ৰোমান নাগৰিক হিচাপে গ্রহণ কৰা বা পালন কৰা আমাৰ কাৰণে নীতি বিৰুদ্ধ।”
22 জনসাধারণ পৌল ও সীলের বিরুদ্ধে আক্রমণে যোগ দিল। প্রশাসকেরা তাদের পোশাক খুলে তাদের চাবুক মারার আদেশ দিলেন।
২২তেতিয়া আন জনতাও একেলগে পৌল আৰু চীলৰ বিৰুদ্ধে থিয় হ’ল। শাসনকর্তা সকলে পৌল আৰু চীলৰ কাপোৰ ফালি সিহঁতক বেতেৰে কোবাবলৈ আদেশ দিলে।
23 চাবুক দিয়ে তাঁদের অনেক মারার পর কারাগারে বন্দি করা হল। কারারক্ষককে আদেশ দেওয়া হল যেন তাঁদের সতর্কভাবে পাহারা দেওয়া হয়।
২৩অতিকৈ মাৰধৰ কৰাৰ পাছত তেওঁলোকক বন্দীশালত সুমুৱাই থলে আৰু কাৰাগাৰৰ অধ্যক্ষক কঢ়া পহৰা দিবলৈ আদেশ দিলে।
24 এই ধরনের আদেশ পেয়ে, সে তাঁদের কারাগারের ভিতরের ঘরে নিয়ে গেল এবং কাঠের বেড়ির মধ্যে তাঁদের পা আটকে দিল।
২৪কাৰাগাৰৰ অধ্যক্ষই এই আদেশ পাই পৌল আৰু চীলক জেলৰ ভিতৰ কক্ষলৈ নি কাঠৰ বেৰিত তেওঁলোকৰ ভৰি আৱদ্ধ কৰি বান্ধি থলে।
25 প্রায় মাঝরাতে পৌল ও সীল প্রার্থনা এবং ঈশ্বরের উদ্দেশে স্তবগান করছিলেন। অন্য কারাবন্দিরা তা শুনছিল।
২৫তেতিয়া প্রায় মাজনিশা। পৌল আৰু চীলে ঈশ্বৰৰ উদ্দেশ্যে প্ৰাৰ্থনা কৰি স্তুতি-গীত গাই আছিল। আন কয়দী সকলেও তেওঁলোকে গোৱা স্তুতি-গীত শুনি আছিল।
26 হঠাৎই সেখানে এমন এক ভয়ংকর ভূমিকম্প হল যে, কারাগারের ভিত পর্যন্ত কেঁপে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে কারাগারের সব দরজা খুলে গেল এবং বন্দিদের শিকল খসে পড়ল।
২৬এই সময়তে হঠাৎ এক বৰ ভূমিকম্প হ’ল আৰু বন্দীশালৰ ভেঁটি পর্যন্ত কঁপি উঠিল। তেতিয়া বন্দীশালৰ সকলো দুৱাৰ আৰু কয়দী সকলৰ শিকলিৰ বান্ধবোৰ খোল খাই গ’ল।
27 কারারক্ষক জেগে উঠল। সে যখন কারাগারের দরজাগুলি খোলা দেখল, তখন সে তার তরোয়াল কোষ থেকে বের করে আত্মহত্যায় উদ্যত হল, কারণ সে ভেবেছিল যে বন্দিরা পালিয়ে গেছে।
২৭কাৰাগাৰৰ অধ্যক্ষই টোপনিৰ পৰা সাৰ পাই কাৰাগাৰৰ দুৱাৰবোৰ মুকলি দেখি, নিজৰ তৰোৱাল উলিয়াই আত্মঘাতী হবলৈ বিচাৰিলে। কিয়নো তেওঁ ভাৱিলে যে, কয়দীবোৰ পলাই গ’ল।
28 কিন্তু পৌল চিৎকার করে বললেন, “তুমি নিজের ক্ষতি কোরো না! কারণ আমরা সবাই এখানেই আছি!”
২৮কিন্তু পৌলে চিঞৰি বৰ মাতেৰে ক’লে, “নিজৰ ক্ষতি নকৰিব৷ আমি সকলো ইয়াতে আছোঁ।”
29 কারারক্ষক আলো আনতে বলে দ্রুত ভিতরে প্রবেশ করল। সে কাঁপতে কাঁপতে পৌল ও সীলের সামনে লুটিয়ে পড়ল।
২৯তেতিয়া কাৰাগাৰৰ অধ্যক্ষই কাৰোবাক চাকি আনিবলৈ কৈ ভিতৰলৈ দৌৰি গ’ল আৰু ভয়তে কঁপি কঁপি পৌল আৰু চীলৰ আগত উবুৰি খাই পৰিল।
30 তারপর সে তাঁদের বাইরে এনে জিজ্ঞাসা করল, “মহাশয়েরা, পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমাকে কী করতে হবে?”
৩০তেওঁলোকক বাহিৰলৈ আনি সুধিলে, “মহাশয় সকল, পৰিত্ৰাণ পাবলৈ হ’লে মই কি কৰিব লাগিব?”
31 তাঁরা উত্তর দিলেন, “প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করো, তাহলে তুমি ও তোমার পরিবার পরিত্রাণ পাবে।”
৩১তেওঁলোকে ক’লে, “প্রভু যীচুত বিশ্বাস কৰক, তেতিয়া আপুনি আৰু আপোনাৰ ঘৰৰ সকলোৱে পৰিত্ৰাণ লাভ কৰিব।”
32 তারপর তাঁরা তার কাছে ও তার বাড়ির অন্য সকলের কাছে প্রভুর বাক্য প্রচার করলেন।
৩২তেওঁলোকে তাৰ পাছত কাৰাগাৰৰ অধ্যক্ষৰ লগতে তেওঁৰ ঘৰৰ সকলোকে প্রভুৰ বাক্য ক’লে।
33 রাত্রির সেই প্রহরেই, কারারক্ষক তাঁদের নিয়ে গিয়ে তাঁদের ক্ষত ধুয়ে দিল। তারপর দেরি না করে সে ও তার সমস্ত পরিবার বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করল।
৩৩কাৰাগাৰৰ অধ্যক্ষই সেই নিশাই পৌল আৰু চীলক লৈ গৈ তেওঁলোকৰ আঘাতৰ ঠাইবোৰ ধুই দিলে আৰু তেওঁ সপৰিয়ালে তেতিয়াই বাপ্তিস্ম গ্রহণ কৰিলে।
34 সেই কারারক্ষক তার বাড়ির ভিতরে তাঁদের নিয়ে গেল ও তাদের সামনে খাবার পরিবেশন করল। সে ও তার পরিবারের সকলে আনন্দে পরিপূর্ণ হল, কারণ তারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেছিল।
৩৪তেওঁ পৌল আৰু চীলক নিজৰ ঘৰলৈ আনি খাবলৈ দিলে আৰু পৰিয়ালৰ আটায়ে ঈশ্বৰত বিশ্বাস কৰাত, তেওঁ সমস্ত পৰিয়ালে সৈতে অতিশয় আনন্দ কৰিলে।
35 দিনের আলো দেখা দিলে, প্রশাসকেরা কারারক্ষকের কাছে তাঁদের কর্মচারীদের পাঠিয়ে দিয়ে আদেশ দিলেন, “ওই লোকদের মুক্ত করে দাও।”
৩৫পিছদিনা পুৱা শাসনকর্তা সকলে পৰীয়া সকললৈ এই বার্তা দি পঠালে, “সেই মানুহকেইজনক এৰি দিয়া।”
36 কারারক্ষক পৌলকে বললেন, “প্রশাসকেরা আপনাকে ও সীলকে মুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন। এখন আপনারা চলে যেতে পারেন। শান্তিতে প্রস্থান করুন।”
৩৬কাৰাগাৰৰ অধ্যক্ষই সেই কথা পৌলক জনাই ক’লে, “শাসনকর্তা সকলে আপোনালোকক এৰি দিবৰ কাৰণে আমাৰ ওচৰলৈ বার্তা পঠাইছে; গতিকে আপোনালোক এতিয়া ওলাই আহক আৰু শান্তিৰে গুছি যাওঁক।”
37 কিন্তু পৌল সেই কর্মচারীদের বললেন, “আমরা রোমীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা বিনা বিচারে সবার সামনে আমাদের মেরেছে ও কারাগারে বন্দি করেছে। এখন তাঁরা গোপনে আমাদের থেকে অব্যাহতি পেতে চাইছেন? না, তাঁরা নিজেরা এখানে এসে আমাদের বের করে নিয়ে যান।”
৩৭কিন্তু পৌলে তেওঁলোকক ক’লে, “আমি ৰোমান নাগৰিক; আমাক বিনা বিচাৰেৰে ৰাইজৰ আগত কোবাই কাৰাবন্দী কৰি থলে। এতিয়া তেওঁলোকে আমাক গোপনে এৰি দিব বিচাৰিছে নেকি? এইটো হ’ব নোৱাৰে। তেওঁলোক নিজে ইয়ালৈ আহি আমাক বাহিৰলৈ উলিয়াই নিব লাগিব।”
38 কর্মচারীরা একথা গিয়ে প্রশাসকদের জানাল। তাঁরা যখন শুনলেন যে, পৌল ও সীল রোমীয় নাগরিক, তাঁরা আতঙ্কিত হলেন।
৩৮পৰীয়া সকলে শাসনকর্তা সকলৰ ওচৰলৈ গৈ এই সম্বাদ দিলে। তেতিয়া এই সম্বাদ পাই তেওঁলোকে পৌল আৰু চীলক ৰোমান লোক বুলি জানিলে আৰু তেওঁলোকে ভয় খালে।
39 তাঁরা এসে তাঁদের শান্ত করলেন এবং কারাগার থেকে সঙ্গে করে তাঁদের বের করে এনে অনুরোধ করলেন, তাঁরা যেন নগর ছেড়ে চলে যান।
৩৯পাছত শাসনকর্তা সকলে আহি তেওঁলোকৰ ওচৰত ক্ষমা বিচাৰিলে আৰু বন্দীশালৰ পৰা বাহিৰলৈ আনি নগৰ এৰি যাবলৈ তেওঁলোকক অনুৰোধ কৰিলে।
40 পৌল ও সীল কারাগার থেকে বের হয়ে আসার পর, তাঁরা লিডিয়ার বাড়ি চলে গেলেন। সেখানে তাঁরা বিশ্বাসী ভাইদের সঙ্গে মিলিত হয়ে তাদের উৎসাহিত করলেন। তারপর তারা সেখান থেকে চলে গেলেন।
৪০পৌল আৰু চীল কাৰাগাৰৰ পৰা ওলাই লুদীয়াৰ ঘৰলৈ গ’ল। তাতে তেওঁলোক গৈ ভাই সকলৰ লগত দেখা হ’ল আৰু তেওঁলোকক উৎসাহ উদ্দীপনা দিলে। তাৰ পাছত পৌল আৰু চীলে নগৰ এৰি গুছি গ’ল।