< ২য তীমথি 2 >
1 অতএব, বৎস আমার, খ্রীষ্ট যীশুতে স্থিত অনুগ্রহে তুমি শক্তিশালী হও।
2 আর বহু সাক্ষীর উপস্থিতিতে তুমি আমাকে যেসব বিষয় বলতে শুনেছ, সেগুলি এমন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে অর্পণ করো, যারা অন্যদের কাছে সেগুলি শিক্ষা দিতে সমর্থ হবে।
3 তুমি খ্রীষ্ট যীশুর একজন উত্তম সৈনিকের মতো আমার সঙ্গে কষ্টভোগ করো।
4 যে সৈনিক সে সাংসারিক বিষয়ে নিজেকে জড়াতে চায় না, কিন্তু সে তার সেনানায়ককেই সন্তুষ্ট করতে চায়।
5 সেরকমই, ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যে অংশগ্রহণ করে সে নিয়ম মেনে না চললে, বিজয়ীর মুকুট লাভ করতে পারে না।
6 যে কৃষক কঠোর পরিশ্রম করে, ফসলে তারই প্রথম অধিকার হয়।
7 আমি যা বলছি তা বিবেচনা করো। প্রভু তোমাকে এসব বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি দান করবেন।
8 যীশু খ্রীষ্টকে স্মরণ করো, যিনি মৃতলোক থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন এবং যিনি দাউদের বংশজাত। এই হল আমার সুসমাচার।
9 এরই জন্য, আমি অপরাধীর মতো শিকলে বন্দি হয়ে দুঃখযন্ত্রণা ভোগ করছি, কিন্তু ঈশ্বরের বাণী শিকলে বন্দি হয়নি।
10 অতএব, মনোনীতদের জন্য আমি সবকিছুই সহ্য করি, যেন তারাও অনন্ত মহিমার সঙ্গে সেই মুক্তি অর্জন করতে পারে যার আধার খ্রীষ্ট যীশু। (aiōnios )
11 একটি বিশ্বাসযোগ্য উক্তি হল: আমরা যদি তাঁর সঙ্গে মৃত্যুবরণ করে থাকি, তাহলে তাঁর সঙ্গে জীবিতও থাকব;
12 যদি সহ্য করি, তাহলে তাঁর সঙ্গে রাজত্বও করব। যদি তাঁকে অস্বীকার করি, তিনিও আমাদের অস্বীকার করবেন।
13 আমরা যদি বিশ্বাসবিহীন হই, তিনি থাকবেন চির বিশ্বস্ত, কারণ তিনি নিজেকে অস্বীকার করতে পারেন না।
14 এ সমস্ত বিষয় তুমি তাদের সবসময় স্মরণ করিয়ে দাও। ঈশ্বরের সাক্ষাতে তাদের সতর্ক করে দাও যেন তারা তর্কবিতর্ক না করে। এর কোনও মূল্য নেই, তা শুধু শ্রোতাদের ধ্বংস করে।
15 সর্বোত্তম প্রচেষ্টার দ্বারা তুমি ঈশ্বরের কাছে নিজেকে অনুমোদিতরূপে উপস্থাপন করো; এমন কার্যকারী হও, যার লজ্জিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করতে জানে।
16 কিন্তু, ঈশ্বরবিরোধী বাক্যালাপ এড়িয়ে চলো, কারণ যারা এগুলিতে জড়িয়ে পড়ে, তারা দিনে দিনে ভক্তিহীন হয়।
17 তাদের শিক্ষা দূষিত ক্ষতের মতো ছড়িয়ে পড়বে। হুমিনায় ও ফিলিত তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
18 তারা সত্য থেকে দূরে চলে গেছে। তারা এই কথা বলে কিছু লোকের বিশ্বাস নষ্ট করছে যে পুনরুত্থান ইতিমধ্যে হয়ে গেছে।
19 তবুও, ঈশ্বরের স্থাপিত বনিয়াদ দৃঢ় ও অটল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তার উপর মোহরাঙ্কিত আছে এই বাক্য: “প্রভু জানেন কে কে তাঁর” এবং “প্রভুর নাম যে কেউ স্বীকার করে, দুষ্কর্ম থেকে সে দূরে থাকুক।”
20 কোনো বড়ো বাড়িতে শুধু সোনারুপোর বাসনই নয়, কিন্তু কাঠ ও মাটিরও পাত্র থাকে; কতগুলি ব্যবহত হয় বিশেষ কাজে, আবার কতগুলি সাধারণ কাজে।
21 কোনো মানুষ যদি নিজেকে ইতরতা থেকে মুক্ত রাখতে পারে, সে হবে মহৎ কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত, পবিত্রীকৃত, মনিবের কাজের উপযোগী এবং যে কোনো সৎকর্মে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
22 তুমি যৌবনের সব কু-অভিলাষ থেকে পালিয়ে যাও এবং যারা শুদ্ধচিত্তে প্রভুকে ডাকে, তাদের সঙ্গে ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তিলাভের অনুধাবন করো।
23 বিচারবুদ্ধিহীন ও নির্বুদ্ধিতার তর্কবিতর্কে রত হোয়ো না, কারণ তুমি জানো, এসব থেকে বিবাদের সূত্রপাত হয়।
24 আর প্রভুর সেবক কখনোই ঝগড়ায় লিপ্ত হবে না; বরং সে সবার প্রতি হবে সদয়, শিক্ষাদানে নিপুণ এবং সহনশীল।
25 যারা তার বিরোধিতা করে সে এই প্রত্যাশায় নম্রভাবে তাদের সুপরামর্শ দেবে, যেন ঈশ্বর সত্যের জ্ঞানের দিকে তাদের মন পরিবর্তন করেন এবং
26 তারা যেন চেতনা ফিরে পেয়ে দিয়াবলের ফাঁদ থেকে নিষ্কৃতি লাভ করে যে তার ইচ্ছা পালনের জন্য তাদের বন্দি করে রেখেছে।