< শমূয়েলের দ্বিতীয় বই 14 >

1 সরূয়ার ছেলে যোয়াব জানতেন যে অবশালোমের জন্য রাজার প্রাণ আকাঙ্ক্ষিত হয়ে আছে।
ଏଥିଉତ୍ତାରେ ସରୁୟାର ପୁତ୍ର ଯୋୟାବ ଦେଖିଲା ଯେ, ରାଜାଙ୍କର ହୃଦୟ ଅବଶାଲୋମ ଆଡ଼େ ଅଛି।
2 তাই যোয়াব তকোয়ে একজন লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে একজন চালাক-চতুর মহিলাকে আনিয়েছিলেন। তিনি মহিলাটিকে বললেন, “শোক করার ভান কোরো। শোক পালনের উপযোগী পোশাক পরে থেকো, ও কোনও সাজগোজ কোরো না বা তেলও মেখো না। এমন একজন মহিলার মতো আচরণ কোরো যে দীর্ঘদিন ধরে মরা মানুষের জন্য শোকপ্রকাশ করে চলেছে।
ଏଣୁ ଯୋୟାବ ତକୋୟକୁ ଲୋକ ପଠାଇ ସେଠାରୁ ଏକ ଜ୍ଞାନବତୀ ସ୍ତ୍ରୀକୁ ଅଣାଇ ତାହାକୁ କହିଲା, “ଆଗୋ, ବିନୟ କରୁଅଛି, ତୁମ୍ଭେ ଶୋକକାରିଣୀର ବେଶ ଧର ଓ ଶୋକସୂଚକ ବସ୍ତ୍ର ପିନ୍ଧ, ତୁମ୍ଭେ ତେଲ ଲଗାଅ ନାହିଁ, ମାତ୍ର ମୃତ ଲୋକ ପାଇଁ ବହୁ କାଳରୁ ଶୋକକାରିଣୀ ସ୍ତ୍ରୀ ପରି ହୁଅ;
3 পরে রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে এই কথাগুলি বোলো।” এই বলে যোয়াব তার মুখে কথা বসিয়ে দিলেন।
ପୁଣି ରାଜାଙ୍କ ନିକଟକୁ ଯାଇ ଏହି ପ୍ରକାରେ ତାଙ୍କୁ କୁହ।” ଆଉ ଯୋୟାବ ତାହାକୁ ବକ୍ତବ୍ୟ କଥା ଶିଖାଇଲା।
4 তকোয়ের মহিলাটি রাজার কাছে গিয়ে, তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল ও বলল, “হে মহারাজ, আমাকে সাহায্য করুন!”
ତହୁଁ ତକୋୟର ସେହି ସ୍ତ୍ରୀ ରାଜାଙ୍କୁ କଥା କହିବା ବେଳେ ଭୂମିରେ ମୁହଁ ମାଡ଼ି ପ୍ରଣାମ କରି କହିଲା, “ମହାରାଜ, ରକ୍ଷା କରନ୍ତୁ।”
5 রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার অসুবিধাটি কী?” সে বলল, “আমি একজন বিধবা নারী; আমার স্বামী মারা গিয়েছে।
ତହିଁରେ ରାଜା ତାହାକୁ କହିଲେ, “ତୁମ୍ଭର କଅଣ ହେଲା?” ସେ ଉତ୍ତର କଲା, “ମୁଁ ସତ୍ୟ କହୁଛି, ମୁଁ ବିଧବା ସ୍ତ୍ରୀ, ମୋʼ ସ୍ୱାମୀ ମରିଯାଇଅଛି।
6 আপনার এই দাসীর—আমার দুই ছেলে ছিল। মাঠে তারা দুজন পরস্পরের সঙ্গে মারপিট করছিল, আর কেউ তাদের ছাড়াতে পারছিল না। একজন অন্যজনকে আঘাত করল ও তাকে মেরে ফেলেছিল।
ଆପଣଙ୍କ ଏହି ଦାସୀର ଦୁଇ ପୁତ୍ର ଥିଲେ, ସେ ଦୁହେଁ କ୍ଷେତ୍ରରେ ଝଗଡା କଲେ, ସେତେବେଳେ ସେମାନଙ୍କୁ ଛଡ଼ାଇ ଦେବାକୁ କେହି ନ ଥିବାରୁ ଜଣେ ଅନ୍ୟ ଜଣକୁ ମାରି ବଧ କଲା।
7 এখন সম্পূর্ণ গোষ্ঠী আপনার দাসীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে; তারা বলছে, ‘যে তার ভাইকে মেরে ফেলেছে তাকে আমাদের হাতে তুলে দাও, যেন আমরা তার সেই ভাইয়ের প্রাণের পরিবর্তে তাকে হত্যা করতে পারি, যাকে সে খুন করল; তখন আর সম্পত্তির উত্তরাধিকারীও কেউ থাকবে না।’ তারা আমার কাছে অবশিষ্ট একমাত্র জ্বলন্ত কয়লাটিকেও নিভিয়ে দিতে চাইছে, পৃথিবীর বুকে আমার স্বামীর নাম বা বংশ, কোনো কিছুই আর রাখতে চাইছে না।”
ଏବେ ଦେଖନ୍ତୁ, ସମୁଦାୟ ଗୋଷ୍ଠୀ ଆପଣଙ୍କ ଦାସୀ ବିରୁଦ୍ଧରେ ଉଠି କହୁଛନ୍ତି, ‘ଆପଣା ଭାଇକୁ ଯେ ମାରିଲା, ତାହାକୁ ସମର୍ପଣ କର, ତହିଁରେ ଆମ୍ଭେମାନେ ତାହାର ହତ ଭାଇର ପ୍ରାଣ ବଦଳେ ତାହାର ପ୍ରାଣ ନେବୁ,’ ପୁଣି ଉତ୍ତରାଧିକାରୀଙ୍କୁ ମଧ୍ୟ ଉଚ୍ଛିନ୍ନ କରିବୁ; ଏହା କଲେ ସେମାନେ ମୋର ବାକି ଥିବା ନିଆଁ ଲିଭାଇ ଦେବେ ଓ ପୃଥିବୀରୁ ମୋʼ ସ୍ୱାମୀର ନାମ ଓ ଅବଶିଷ୍ଟ କିଛି ରଖିବେ ନାହିଁ।”
8 রাজা মহিলাটিকে বললেন, “বাড়ি ফিরে যাও, আমি তোমার স্বপক্ষে হুকুম জারি করে দিচ্ছি।”
ଏଥିରେ ରାଜା ସେହି ସ୍ତ୍ରୀଙ୍କୁ କହିଲେ, “ଘରକୁ ଯାଅ, ମୁଁ ତୁମ୍ଭ ବିଷୟରେ ଆଜ୍ଞା ଦେବି।”
9 কিন্তু তকোয় থেকে আসা মহিলাটি তাঁকে বলল, “আমার প্রভু মহারাজ আমায় ও আমার পরিবারকে ক্ষমা করুন, এবং মহারাজ ও তাঁর সিংহাসন নির্দোষ থাকুক।”
ତହୁଁ ତକୋୟର ସେହି ସ୍ତ୍ରୀ ରାଜାଙ୍କୁ କହିଲା, “ହେ ମୋହର ପ୍ରଭୋ, ମହାରାଜ, ଏ ଅପରାଧଟି ମୋʼ ଉପରେ ଓ ମୋʼ ପିତୃଗୃହ ଉପରେ ଥାଉ; ମାତ୍ର ମହାରାଜ ଓ ତାଙ୍କ ସିଂହାସନ ଦୋଷରହିତ ହେଉନ୍ତୁ।”
10 রাজামশাই উত্তর দিলেন, “কেউ যদি তোমায় কিছু বলে, তবে তাদের আমার কাছে নিয়ে এসো, তারা আর তোমায় জ্বালাতন করবে না।”
ତହିଁରେ ରାଜା କହିଲେ, “କେହି ଯେବେ ତୁମ୍ଭକୁ କିଛି କହେ, ତାଙ୍କୁ ମୋʼ ନିକଟକୁ ଆଣ, ତେବେ ସେ ତୁମ୍ଭକୁ ଆଉ ଛୁଇଁବ ନାହିଁ।”
11 সে বলল, “তবে মহারাজ তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে শপথ করুন, যেন রক্তের প্রতিশোধকারী আর সর্বনাশ করতে না পারে, ও আমার ছেলেও যেন না মরে।” “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি,” তিনি বললেন, “তোমার ছেলের মাথার একটি চুলও মাটিতে পড়বে না।”
ତହିଁରେ ସେ ସ୍ତ୍ରୀ କହିଲେ, “ରକ୍ତର ପ୍ରତିହନ୍ତା (ନାଶକ) ଯେପରି ଆଉ ବିନାଶ ନ କରେ, ଏଥିପାଇଁ ମହାରାଜ ଆପଣା ସଦାପ୍ରଭୁ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କୁ ସ୍ମରଣ କରନ୍ତୁ, ନୋହିଲେ, ସେମାନେ ମୋʼ ପୁତ୍ରକୁ ଉଚ୍ଛିନ୍ନ କରିବେ।” ତହୁଁ ରାଜା କହିଲେ, “ସଦାପ୍ରଭୁ ଜୀବିତ ଥିବା ପ୍ରମାଣେ ତୁମ୍ଭ ପୁତ୍ରର ଏକ କେଶ ହିଁ ତଳେ ପଡ଼ିବ ନାହିଁ।”
12 তখন সেই মহিলাটি বলল, “আপনার দাসীকে আমার প্রভু মহারাজের কাছে একটি কথা বলতে দিন।” “বলো,” তিনি উত্তর দিলেন।
ସେତେବେଳେ ସେହି ସ୍ତ୍ରୀ କହିଲା, “ଆପଣଙ୍କ ଦାସୀଙ୍କୁ ମୋର ପ୍ରଭୁ ମହାରାଜଙ୍କ ନିକଟରେ ଗୋଟିଏ କଥା କହିବାକୁ ଦେଉନ୍ତୁ;” ସେ କହିଲେ, “କୁହ।”
13 মহিলাটি বলল, “তবে কেন আপনি ঈশ্বরের প্রজাদের বিরুদ্ধে এরকম এক কৌশল অবলম্বন করলেন? মহারাজ যখন এরকম বলছেন, তিনি কি তখন নিজেকেই দোষী করে তুলছেন না, কারণ মহারাজ যে নিজেই তাঁর নির্বাসিত ছেলেকে ফিরিয়ে আনেননি?”
ତହୁଁ ସେହି ସ୍ତ୍ରୀ କହିଲା, “ତେବେ ଆପଣ କାହିଁକି ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ଲୋକମାନଙ୍କ ବିରୁଦ୍ଧରେ ଏରୂପ ସଂକଳ୍ପ କରିଅଛନ୍ତି? ମହାରାଜ ଯାହା କହିଲେ, ତଦ୍ଦ୍ୱାରା ଦୋଷୀ ଲୋକ ପରି ହୋଇଅଛନ୍ତି, କାରଣ ମହାରାଜ ଆପଣା ନିର୍ବାସିତ ଲୋକଙ୍କୁ ଫେରାଇ ଆଣୁ ନାହାନ୍ତି।
14 মাটিতে ঢেলে দেওয়া জল যেমন তুলে আনা যায় না, তেমনি আমাদেরও মরতেই হবে। কিন্তু ঈশ্বর এমনটি চান না; বরং, তিনি এমন কৌশল বের করলেন যেন একজন নির্বাসিত ব্যক্তি বরাবরের জন্য তাঁর কাছ থেকে নির্বাসিত হয়ে না থাকে।
ଆମ୍ଭେମାନେ ତ ନିତାନ୍ତ ମରିବା, ପୁଣି ଭୂମିରେ ଢଳାଗଲା ଉତ୍ତାରେ ଯାହା ପୁନର୍ବାର ସଂଗୃହୀତ ହୋଇ ନ ପାରେ, ଏପରି ଜଳ ତୁଲ୍ୟ ହେବା; କିନ୍ତୁ ପରମେଶ୍ୱର ଜୀବନ ହରଣ କରନ୍ତି ନାହିଁ; ମାତ୍ର ନିର୍ବାସିତ ଲୋକ ଯେପରି ତାହାଙ୍କଠାରୁ ନିର୍ବାସିତ ନ ହୁଏ, ଏପରି ଉପାୟର ସଂକଳ୍ପ କରନ୍ତି।
15 “এখন আমার প্রভু মহারাজের কাছে আমি একথাই বলতে এসেছি, কারণ লোকেরা আমাকে ভয় দেখিয়েছিল। আপনার দাসী ভেবেছিল, ‘আমি মহারাজের কাছে একথা বলব; হয়তো তিনি তাঁর দাসীর প্রার্থনা মঞ্জুর করবেন।
ଏବେ ମୁଁ ଯେ ମୋର ପ୍ରଭୁ ମହାରାଜଙ୍କ ନିକଟରେ ଏହି କଥା ନିବେଦନ କରିବାକୁ ଆସିଲି, ତହିଁର କାରଣ ଏହି ଯେ, ଲୋକମାନେ ମୋର ଭୟ ଜନ୍ମାଇଲେ; ତହିଁରେ ଆପଣଙ୍କ ଦାସୀ କହିଲା, ‘ମୁଁ ଏବେ ମହାରାଜଙ୍କୁ କହିବି; ହୋଇପାରେ, ମହାରାଜ ଆପଣା ଦାସୀର ନିବେଦନାନୁସାରେ କରିବେ।
16 হয়তো মহারাজ তাঁর দাসীকে সেই লোকটির হাত থেকে রক্ষা করতে রাজি হবেন, যে ঈশ্বরের উত্তরাধিকার থেকে আমাকে ও আমার ছেলে—দুজনকেই বঞ্চিত করতে চাইছে।’
ଯେଉଁ ଲୋକ ମୋତେ ଓ ମୋʼ ପୁତ୍ରକୁ ଏକତ୍ର ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ଅଧିକାରରୁ ଉଚ୍ଛିନ୍ନ କରିବାକୁ ଇଚ୍ଛା କରେ, ତାହା ହସ୍ତରୁ ମହାରାଜ ଆପଣା ଦାସୀଙ୍କୁ ରକ୍ଷା କରିବାକୁ ମନୋଯୋଗ କରିବେ।’
17 “এখন আপনার দাসী আমি বলছি, ‘আমার প্রভু মহারাজের কথাই যেন আমার উত্তরাধিকার সুরক্ষিত করে, কারণ ভালোমন্দ বিচার করার ক্ষেত্রে আমার প্রভু মহারাজ ঈশ্বরের এক দূতের মতোই। আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপনার সঙ্গেই থাকুন।’”
ଆପଣଙ୍କ ଦାସୀ ଆହୁରି କହିଲା, ‘ମୋର ପ୍ରଭୁ ମହାରାଜଙ୍କ ବାକ୍ୟ ଅବଶ୍ୟ ଶାନ୍ତିଦାୟକ ହେବ, କାରଣ ଭଲ ମନ୍ଦ ଶୁଣିବାକୁ ମୋର ପ୍ରଭୁ ମହାରାଜ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ଦୂତ ତୁଲ୍ୟ,’ ପୁଣି ସଦାପ୍ରଭୁ ଆପଣଙ୍କ ପରମେଶ୍ୱର ଆପଣଙ୍କ ସଙ୍ଗେ ଥାଉନ୍ତୁ।”
18 তখন রাজামশাই মহিলাটিকে বললেন, “আমি যে প্রশ্নটি তোমাকে করতে চলেছি, সেটির উত্তর আমার কাছে লুকিয়ো না।” “আমার প্রভু মহারাজ বলুন,” মহিলাটি বলল।
ଏଥିରେ ରାଜା ଉତ୍ତର ଦେଇ ସେହି ସ୍ତ୍ରୀକୁ କହିଲେ, “ଭଲ, ମୁଁ ତୁମ୍ଭକୁ ଯାହା ପଚାରିବି, ତାହା ମୋʼ ଠାରୁ ଗୋପନ କରିବ ନାହିଁ।” ତହୁଁ ସେହି ସ୍ତ୍ରୀ କହିଲା, “ମୋର ପ୍ରଭୁ ମହାରାଜ କହନ୍ତୁ।”
19 রাজামশাই জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার সঙ্গে এই সবে যোয়াবের হাত নেই তো?” মহিলাটি উত্তর দিয়েছিল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আপনার প্রাণের দিব্যি, আমার প্রভু মহারাজ যা বলেন, সেখান থেকে কেউ ডাইনে বা বাঁয়ে ফিরতে পারে না। হ্যাঁ, আপনার দাস যোয়াবই এসব করতে আমাকে নির্দেশ দিলেন ও তিনিই আপনার দাসীর মুখে এই কথাগুলি বসিয়ে দিলেন।
ଏଥିରେ ରାଜା କହିଲେ, “ଏସମସ୍ତ କଥାରେ କି ତୁମ୍ଭ ସଙ୍ଗେ ଯୋୟାବର ହାତ ନାହିଁ?” ସେହି ସ୍ତ୍ରୀ ଉତ୍ତର ଦେଇ କହିଲା, “ହେ ମୋର ପ୍ରଭୋ, ମହାରାଜ, ଆପଣଙ୍କ ପ୍ରାଣ ଜୀବିତ ଥିବା ପ୍ରମାଣେ କହୁଛି, ମୋʼ ପ୍ରଭୁ ମହାରାଜ ଯାହା କହିଅଛନ୍ତି, ତହିଁର ଡାହାଣକୁ କି ବାମକୁ ଫେରିବାକୁ କାହାରି ଆୟତ୍ତ ନାହିଁ; କାରଣ ଆପଣଙ୍କ ଦାସ ଯୋୟାବ ମୋତେ ଆଦେଶ କରି ଆପଣଙ୍କ ଦାସୀଙ୍କୁ ଏହି ସମସ୍ତ କଥା ଶିଖାଇଅଛନ୍ତି।
20 বর্তমান পরিস্থিতি বদলানোর জন্যই আপনার দাস যোয়াব এসব করলেন। আমার প্রভু, ঈশ্বরের একজন দূতের মতোই জ্ঞানী—দেশে যা যা হয়, তিনি সেসব জানেন।”
କଥାକୁ ଏପରି ବୁଲାଇ କହିବାକୁ ଆପଣଙ୍କ ଦାସ ଯୋୟାବ ଏହା କରିଅଛନ୍ତି; ଯାହାହେଉ, ମୋର ପ୍ରଭୁ ପୃଥିବୀର ସମସ୍ତ ବିଷୟ ଜାଣିବା ପାଇଁ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ଦୂତଙ୍କ ଜ୍ଞାନ ପ୍ରମାଣେ ଜ୍ଞାନବାନ ଅଟନ୍ତି।”
21 রাজামশাই যোয়াবকে বললেন, “ঠিক আছে, আমি এরকমই করব। যাও, সেই যুবক অবশালোমকে ফিরিয়ে নিয়ে এসো।”
ଏଥିଉତ୍ତାରେ ରାଜା ଯୋୟାବକୁ କହିଲେ, “ଆଚ୍ଛା, ଦେଖ, ମୁଁ ଏହି କଥା କରିବି, ଏଣୁ ଯାଅ, ସେ ଯୁବା ଅବଶାଲୋମଙ୍କୁ ପୁନର୍ବାର ଆଣ।”
22 তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য যোয়াব মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিলেন, ও রাজাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। যোয়াব বললেন, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আজই আপনার দাস জেনেছে যে সে আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করেছে, কারণ মহারাজ তাঁর দাসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছেন।”
ତହିଁରେ ଯୋୟାବ ମୁହଁ ମାଡ଼ି ପ୍ରଣାମ କରି ରାଜାଙ୍କର ଧନ୍ୟବାଦ କଲା; ଆଉ ଯୋୟାବ କହିଲା, “ହେ ମୋହର ପ୍ରଭୋ, ମହାରାଜ, ମୁଁ ଯେ ଆପଣଙ୍କ ଦୃଷ୍ଟିରେ ଅନୁଗ୍ରହ ପାଇଅଛି, ଏହା ଆପଣଙ୍କ ଦାସ ଆଜି ଜାଣିଲା, ଯେହେତୁ ମହାରାଜ ଆପଣା ଦାସର ନିବେଦନାନୁସାରେ କଲେ।”
23 পরে যোয়াব গশূরে গিয়ে অবশালোমকে জেরুশালেমে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
ତହୁଁ ଯୋୟାବ ଉଠି ଗଶୂରକୁ ଯାଇ ଅବଶାଲୋମଙ୍କୁ ଯିରୂଶାଲମକୁ ଆଣିଲା।
24 কিন্তু রাজামশাই বললেন, “তাকে নিজের বাসায় যেতে হবে; সে যেন আমার মুখদর্শন না করে।” অতএব অবশালোম নিজের বাসায় গেল ও রাজার মুখদর্শন করেনি।
ଆଉ ରାଜା କହିଲେ, “ସେ ଫେରି ଆପଣା ଘରକୁ ଯାଉ, ମାତ୍ର ସେ ମୋହର ମୁଖ ନ ଦେଖୁ।” ତହିଁରେ ଅବଶାଲୋମ ଆପଣା ଗୃହକୁ ଫେରିଗଲା ଓ ରାଜାଙ୍କର ମୁଖ ଦେଖିଲା ନାହିଁ।
25 সমস্ত ইস্রায়েলের মধ্যে আর কেউ অবশালোমের মতো তার অপরূপ সুন্দর রূপের জন্য প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য হয়নি। তার মাথার তালু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত কোথাও একটুও খুঁত ছিল না।
ସମୁଦାୟ ଇସ୍ରାଏଲ ମଧ୍ୟରେ ଅବଶାଲୋମ ପରି ଅତି ପ୍ରଶଂସନୀୟ ସୌନ୍ଦର୍ଯ୍ୟ ପୁରୁଷ କେହି ନ ଥିଲା; ତାହାର ତଳିପାରୁ ମସ୍ତକର ଅଗ୍ରଭାଗ ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ତାହାଠାରେ କୌଣସି ଖୁଣ ନ ଥିଲା।
26 যখনই সে তার মাথার চুল কাটাত—সে বছরে একবারই তার চুল কাটাত, কারণ সেগুলি তার পক্ষে খুব ভারী হয়ে যেত—সে সেগুলি ওজন করাতো, আর সেগুলির ওজন রাজকীয় মাপ অনুসারে হত 200 শেকল।
ତାହାର ମସ୍ତକର କେଶ ଭାରୀ ହେବାରୁ ପ୍ରତି ବର୍ଷର ଶେଷରେ ସେ ତାହା କଟାଏ। ପୁଣି ସେ ଆପଣା ମସ୍ତକର କେଶ କଟାଇବା ବେଳେ ରାଜପରିମାଣାନୁସାରେ ତାହା ଦୁଇ ଶହ ଶେକଲ ପରିମିତ ହୁଏ।
27 অবশালোমের তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্ম হল। তার মেয়ের নাম তামর, আর সে খুব সুন্দরী হল।
ସେହି ଅବଶାଲୋମର ତିନି ପୁତ୍ର ଓ ଗୋଟିଏ କନ୍ୟା ଜାତ ହୋଇଥିଲେ; କନ୍ୟାର ନାମ ତାମର ଥିଲା, ସେ ପରମାସୁନ୍ଦରୀ।
28 অবশালোম রাজার মুখদর্শন না করে দুই বছর জেরুশালেমে বসবাস করল।
ଅବଶାଲୋମ ଯିରୂଶାଲମରେ ସମ୍ପୂର୍ଣ୍ଣ ଦୁଇ ବର୍ଷ ବାସ କଲା; ମାତ୍ର ରାଜାଙ୍କର ମୁଖ ଦେଖିଲା ନାହିଁ।
29 পরে অবশালোম রাজার কাছে পাঠানোর জন্য যোয়াবকে ডেকে পাঠিয়েছিল, কিন্তু যোয়াব তার কাছে আসতে চাননি। তাই সে দ্বিতীয়বার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল, কিন্তু তাও তিনি আসতে রাজি হননি।
ଏଣୁ ଅବଶାଲୋମ ରାଜାଙ୍କ ନିକଟକୁ ପଠାଇବା ପାଇଁ ଯୋୟାବଙ୍କୁ ଡକାଇଲା; ମାତ୍ର ସେ ଆସିଲା ନାହିଁ; ତହୁଁ ସେ ଦ୍ୱିତୀୟ ଥର ପୁଣି ଲୋକ ପଠାଇଲା, ମାତ୍ର ସେ ଆସିଲା ନାହିଁ।
30 তখন সে তার দাসদের বলল, “দেখো, যোয়াবের ক্ষেতটি আমার ক্ষেতের পাশেই আছে, আর সে সেখানে যব বুনেছে। যাও, সেখানে আগুন লাগিয়ে দাও।” অবশালোমের দাসেরা তখন ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।
ଏହେତୁ ସେ ଆପଣା ଦାସମାନଙ୍କୁ କହିଲା, “ଦେଖ, ଆମ୍ଭ କ୍ଷେତ୍ର ପାଖରେ ଯୋୟାବର କ୍ଷେତ୍ର ଅଛି, ସେ ତହିଁରେ ଯବ କରିଅଛି; ଯାଅ, ତହିଁରେ ନିଆଁ ଲଗାଇ ଦିଅ।” ତହୁଁ ଅବଶାଲୋମର ଦାସମାନେ ସେହି କ୍ଷେତ୍ରରେ ନିଆଁ ଲଗାଇଦେଲେ।
31 যোয়াব পরে অবশালোমের বাসায় গেলেন, ও তিনি তাকে বললেন, “তোমার দাসেরা কেন আমার ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে?”
ଏଥିରେ ଯୋୟାବ ଉଠି ଅବଶାଲୋମ ପାଖକୁ ତାହାର ଗୃହକୁ ଆସି ତାହାକୁ କହିଲା, “ତୁମ୍ଭ ଦାସମାନେ କାହିଁକି ମୋʼ କ୍ଷେତ୍ରରେ ନିଆଁ ଲଗାଇଲେ?”
32 অবশালোম যোয়াবকে বলল, “দেখুন, আমি আপনাকে খবর পাঠিয়ে বললাম, ‘এখানে আসুন, যেন আমি আপনাকে রাজার কাছে পাঠিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে পারি, “আমি কেন গশূর থেকে ফিরে এলাম? আমি সেখানে থাকলেই ভালো হত!”’ আর এখন, আমি মহারাজের মুখদর্শন করতে চাই, ও আমি যদি দোষ করে থাকি, তিনি আমায় মেরে ফেলতে পারেন।”
ତହୁଁ ଅବଶାଲୋମ ଯୋୟାବଙ୍କୁ ଉତ୍ତର କଲା, “ଦେଖ ମୁଁ ତୁମ୍ଭ ନିକଟକୁ ଲୋକ ପଠାଇ କହିଲି, ତୁମ୍ଭେ ଏଠାକୁ ଆସ, ମୁଁ କାହିଁକି ଗଶୂରରୁ ଆସିଲି? ଏ କଥା ପଚାରିବା ପାଇଁ ମୁଁ ରାଜାଙ୍କ ନିକଟକୁ ତୁମ୍ଭକୁ ପଠାଇବି। ଆଜି ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ସେଠାରେ ଥିଲେ, ମୋହର ଭଲ ହୋଇଥାʼନ୍ତା; ଏବେ ମୋତେ ରାଜାଙ୍କ ମୁଖ ଦେଖିବାକୁ ଦିଅ, ଯେବେ ମୋʼ ଠାରେ ଅପରାଧ ଥାଏ, ତେବେ ସେ ମୋତେ ବଧ କରନ୍ତୁ।”
33 তাই যোয়াব রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে সেকথা বললেন। তখন রাজামশাই অবশালোমকে ডেকে পাঠালেন, ও সে এসে রাজার সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল। রাজামশাই তাকে চুম্বন করলেন।
ତହୁଁ ଯୋୟାବ ଯାଇ ରାଜାଙ୍କୁ ଏହା ଜଣାଇଲା; ତହିଁରେ ରାଜା ଅବଶାଲୋମଙ୍କୁ ଡକାନ୍ତେ, ସେ ରାଜାଙ୍କ ନିକଟକୁ ଆସି ତାଙ୍କ ସମ୍ମୁଖରେ ଭୂମିରେ ମୁହଁ ମାଡ଼ି ପ୍ରଣାମ କଲା, ପୁଣି ରାଜା ଅବଶାଲୋମଙ୍କୁ ଚୁମ୍ବନ କଲେ।

< শমূয়েলের দ্বিতীয় বই 14 >