< শমূয়েলের দ্বিতীয় বই 14 >

1 সরূয়ার ছেলে যোয়াব জানতেন যে অবশালোমের জন্য রাজার প্রাণ আকাঙ্ক্ষিত হয়ে আছে।
καὶ ἔγνω Ιωαβ υἱὸς Σαρουιας ὅτι ἡ καρδία τοῦ βασιλέως ἐπὶ Αβεσσαλωμ
2 তাই যোয়াব তকোয়ে একজন লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে একজন চালাক-চতুর মহিলাকে আনিয়েছিলেন। তিনি মহিলাটিকে বললেন, “শোক করার ভান কোরো। শোক পালনের উপযোগী পোশাক পরে থেকো, ও কোনও সাজগোজ কোরো না বা তেলও মেখো না। এমন একজন মহিলার মতো আচরণ কোরো যে দীর্ঘদিন ধরে মরা মানুষের জন্য শোকপ্রকাশ করে চলেছে।
καὶ ἀπέστειλεν Ιωαβ εἰς Θεκωε καὶ ἔλαβεν ἐκεῖθεν γυναῖκα σοφὴν καὶ εἶπεν πρὸς αὐτήν πένθησον δὴ καὶ ἔνδυσαι ἱμάτια πενθικὰ καὶ μὴ ἀλείψῃ ἔλαιον καὶ ἔσῃ ὡς γυνὴ πενθοῦσα ἐπὶ τεθνηκότι τοῦτο ἡμέρας πολλὰς
3 পরে রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে এই কথাগুলি বোলো।” এই বলে যোয়াব তার মুখে কথা বসিয়ে দিলেন।
καὶ ἐλεύσῃ πρὸς τὸν βασιλέα καὶ λαλήσεις πρὸς αὐτὸν κατὰ τὸ ῥῆμα τοῦτο καὶ ἔθηκεν Ιωαβ τοὺς λόγους ἐν τῷ στόματι αὐτῆς
4 তকোয়ের মহিলাটি রাজার কাছে গিয়ে, তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল ও বলল, “হে মহারাজ, আমাকে সাহায্য করুন!”
καὶ εἰσῆλθεν ἡ γυνὴ ἡ Θεκωῖτις πρὸς τὸν βασιλέα καὶ ἔπεσεν ἐπὶ πρόσωπον αὐτῆς εἰς τὴν γῆν καὶ προσεκύνησεν αὐτῷ καὶ εἶπεν Σῶσον βασιλεῦ σῶσον
5 রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার অসুবিধাটি কী?” সে বলল, “আমি একজন বিধবা নারী; আমার স্বামী মারা গিয়েছে।
καὶ εἶπεν πρὸς αὐτὴν ὁ βασιλεύς τί ἐστίν σοι ἡ δὲ εἶπεν καὶ μάλα γυνὴ χήρα ἐγώ εἰμι καὶ ἀπέθανεν ὁ ἀνήρ μου
6 আপনার এই দাসীর—আমার দুই ছেলে ছিল। মাঠে তারা দুজন পরস্পরের সঙ্গে মারপিট করছিল, আর কেউ তাদের ছাড়াতে পারছিল না। একজন অন্যজনকে আঘাত করল ও তাকে মেরে ফেলেছিল।
καί γε τῇ δούλῃ σου δύο υἱοί καὶ ἐμαχέσαντο ἀμφότεροι ἐν τῷ ἀγρῷ καὶ οὐκ ἦν ὁ ἐξαιρούμενος ἀνὰ μέσον αὐτῶν καὶ ἔπαισεν ὁ εἷς τὸν ἀδελφὸν αὐτοῦ καὶ ἐθανάτωσεν αὐτόν
7 এখন সম্পূর্ণ গোষ্ঠী আপনার দাসীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে; তারা বলছে, ‘যে তার ভাইকে মেরে ফেলেছে তাকে আমাদের হাতে তুলে দাও, যেন আমরা তার সেই ভাইয়ের প্রাণের পরিবর্তে তাকে হত্যা করতে পারি, যাকে সে খুন করল; তখন আর সম্পত্তির উত্তরাধিকারীও কেউ থাকবে না।’ তারা আমার কাছে অবশিষ্ট একমাত্র জ্বলন্ত কয়লাটিকেও নিভিয়ে দিতে চাইছে, পৃথিবীর বুকে আমার স্বামীর নাম বা বংশ, কোনো কিছুই আর রাখতে চাইছে না।”
καὶ ἰδοὺ ἐπανέστη ὅλη ἡ πατριὰ πρὸς τὴν δούλην σου καὶ εἶπαν δὸς τὸν παίσαντα τὸν ἀδελφὸν αὐτοῦ καὶ θανατώσομεν αὐτὸν ἀντὶ τῆς ψυχῆς τοῦ ἀδελφοῦ αὐτοῦ οὗ ἀπέκτεινεν καὶ ἐξαροῦμεν καί γε τὸν κληρονόμον ὑμῶν καὶ σβέσουσιν τὸν ἄνθρακά μου τὸν καταλειφθέντα ὥστε μὴ θέσθαι τῷ ἀνδρί μου κατάλειμμα καὶ ὄνομα ἐπὶ προσώπου τῆς γῆς
8 রাজা মহিলাটিকে বললেন, “বাড়ি ফিরে যাও, আমি তোমার স্বপক্ষে হুকুম জারি করে দিচ্ছি।”
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς ὑγιαίνουσα βάδιζε εἰς τὸν οἶκόν σου κἀγὼ ἐντελοῦμαι περὶ σοῦ
9 কিন্তু তকোয় থেকে আসা মহিলাটি তাঁকে বলল, “আমার প্রভু মহারাজ আমায় ও আমার পরিবারকে ক্ষমা করুন, এবং মহারাজ ও তাঁর সিংহাসন নির্দোষ থাকুক।”
καὶ εἶπεν ἡ γυνὴ ἡ Θεκωῖτις πρὸς τὸν βασιλέα ἐπ’ ἐμέ κύριέ μου βασιλεῦ ἡ ἀνομία καὶ ἐπὶ τὸν οἶκον τοῦ πατρός μου καὶ ὁ βασιλεὺς καὶ ὁ θρόνος αὐτοῦ ἀθῷος
10 রাজামশাই উত্তর দিলেন, “কেউ যদি তোমায় কিছু বলে, তবে তাদের আমার কাছে নিয়ে এসো, তারা আর তোমায় জ্বালাতন করবে না।”
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς τίς ὁ λαλῶν πρὸς σέ καὶ ἄξεις αὐτὸν πρὸς ἐμέ καὶ οὐ προσθήσει ἔτι ἅψασθαι αὐτοῦ
11 সে বলল, “তবে মহারাজ তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে শপথ করুন, যেন রক্তের প্রতিশোধকারী আর সর্বনাশ করতে না পারে, ও আমার ছেলেও যেন না মরে।” “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি,” তিনি বললেন, “তোমার ছেলের মাথার একটি চুলও মাটিতে পড়বে না।”
καὶ εἶπεν μνημονευσάτω δὴ ὁ βασιλεὺς τὸν κύριον θεὸν αὐτοῦ πληθυνθῆναι ἀγχιστέα τοῦ αἵματος τοῦ διαφθεῖραι καὶ οὐ μὴ ἐξάρωσιν τὸν υἱόν μου καὶ εἶπεν ζῇ κύριος εἰ πεσεῖται ἀπὸ τῆς τριχὸς τοῦ υἱοῦ σου ἐπὶ τὴν γῆν
12 তখন সেই মহিলাটি বলল, “আপনার দাসীকে আমার প্রভু মহারাজের কাছে একটি কথা বলতে দিন।” “বলো,” তিনি উত্তর দিলেন।
καὶ εἶπεν ἡ γυνή λαλησάτω δὴ ἡ δούλη σου πρὸς τὸν κύριόν μου τὸν βασιλέα ῥῆμα καὶ εἶπεν λάλησον
13 মহিলাটি বলল, “তবে কেন আপনি ঈশ্বরের প্রজাদের বিরুদ্ধে এরকম এক কৌশল অবলম্বন করলেন? মহারাজ যখন এরকম বলছেন, তিনি কি তখন নিজেকেই দোষী করে তুলছেন না, কারণ মহারাজ যে নিজেই তাঁর নির্বাসিত ছেলেকে ফিরিয়ে আনেননি?”
καὶ εἶπεν ἡ γυνή ἵνα τί ἐλογίσω τοιοῦτο ἐπὶ λαὸν θεοῦ ἦ ἐκ στόματος τοῦ βασιλέως ὁ λόγος οὗτος ὡς πλημμέλεια τοῦ μὴ ἐπιστρέψαι τὸν βασιλέα τὸν ἐξωσμένον αὐτοῦ
14 মাটিতে ঢেলে দেওয়া জল যেমন তুলে আনা যায় না, তেমনি আমাদেরও মরতেই হবে। কিন্তু ঈশ্বর এমনটি চান না; বরং, তিনি এমন কৌশল বের করলেন যেন একজন নির্বাসিত ব্যক্তি বরাবরের জন্য তাঁর কাছ থেকে নির্বাসিত হয়ে না থাকে।
ὅτι θανάτῳ ἀποθανούμεθα καὶ ὥσπερ τὸ ὕδωρ τὸ καταφερόμενον ἐπὶ τῆς γῆς ὃ οὐ συναχθήσεται καὶ λήμψεται ὁ θεὸς ψυχήν καὶ λογιζόμενος τοῦ ἐξῶσαι ἀπ’ αὐτοῦ ἐξωσμένον
15 “এখন আমার প্রভু মহারাজের কাছে আমি একথাই বলতে এসেছি, কারণ লোকেরা আমাকে ভয় দেখিয়েছিল। আপনার দাসী ভেবেছিল, ‘আমি মহারাজের কাছে একথা বলব; হয়তো তিনি তাঁর দাসীর প্রার্থনা মঞ্জুর করবেন।
καὶ νῦν ὃ ἦλθον λαλῆσαι πρὸς τὸν βασιλέα τὸν κύριόν μου τὸ ῥῆμα τοῦτο ὅτι ὄψεταί με ὁ λαός καὶ ἐρεῖ ἡ δούλη σου λαλησάτω δὴ πρὸς τὸν βασιλέα εἴ πως ποιήσει ὁ βασιλεὺς τὸ ῥῆμα τῆς δούλης αὐτοῦ
16 হয়তো মহারাজ তাঁর দাসীকে সেই লোকটির হাত থেকে রক্ষা করতে রাজি হবেন, যে ঈশ্বরের উত্তরাধিকার থেকে আমাকে ও আমার ছেলে—দুজনকেই বঞ্চিত করতে চাইছে।’
ὅτι ἀκούσει ὁ βασιλεὺς ῥύσασθαι τὴν δούλην αὐτοῦ ἐκ χειρὸς τοῦ ἀνδρὸς τοῦ ζητοῦντος ἐξᾶραί με καὶ τὸν υἱόν μου ἀπὸ κληρονομίας θεοῦ
17 “এখন আপনার দাসী আমি বলছি, ‘আমার প্রভু মহারাজের কথাই যেন আমার উত্তরাধিকার সুরক্ষিত করে, কারণ ভালোমন্দ বিচার করার ক্ষেত্রে আমার প্রভু মহারাজ ঈশ্বরের এক দূতের মতোই। আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপনার সঙ্গেই থাকুন।’”
καὶ εἶπεν ἡ γυνή εἴη δὴ ὁ λόγος τοῦ κυρίου μου τοῦ βασιλέως εἰς θυσίαν ὅτι καθὼς ἄγγελος θεοῦ οὕτως ὁ κύριός μου ὁ βασιλεὺς τοῦ ἀκούειν τὸ ἀγαθὸν καὶ τὸ πονηρόν καὶ κύριος ὁ θεός σου ἔσται μετὰ σοῦ
18 তখন রাজামশাই মহিলাটিকে বললেন, “আমি যে প্রশ্নটি তোমাকে করতে চলেছি, সেটির উত্তর আমার কাছে লুকিয়ো না।” “আমার প্রভু মহারাজ বলুন,” মহিলাটি বলল।
καὶ ἀπεκρίθη ὁ βασιλεὺς καὶ εἶπεν πρὸς τὴν γυναῖκα μὴ δὴ κρύψῃς ἀπ’ ἐμοῦ ῥῆμα ὃ ἐγὼ ἐπερωτῶ σε καὶ εἶπεν ἡ γυνή λαλησάτω δὴ ὁ κύριός μου ὁ βασιλεύς
19 রাজামশাই জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার সঙ্গে এই সবে যোয়াবের হাত নেই তো?” মহিলাটি উত্তর দিয়েছিল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আপনার প্রাণের দিব্যি, আমার প্রভু মহারাজ যা বলেন, সেখান থেকে কেউ ডাইনে বা বাঁয়ে ফিরতে পারে না। হ্যাঁ, আপনার দাস যোয়াবই এসব করতে আমাকে নির্দেশ দিলেন ও তিনিই আপনার দাসীর মুখে এই কথাগুলি বসিয়ে দিলেন।
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς μὴ ἡ χεὶρ Ιωαβ ἐν παντὶ τούτῳ μετὰ σοῦ καὶ εἶπεν ἡ γυνὴ τῷ βασιλεῖ ζῇ ἡ ψυχή σου κύριέ μου βασιλεῦ εἰ ἔστιν εἰς τὰ δεξιὰ ἢ εἰς τὰ ἀριστερὰ ἐκ πάντων ὧν ἐλάλησεν ὁ κύριός μου ὁ βασιλεύς ὅτι ὁ δοῦλός σου Ιωαβ αὐτὸς ἐνετείλατό μοι καὶ αὐτὸς ἔθετο ἐν τῷ στόματι τῆς δούλης σου πάντας τοὺς λόγους τούτους
20 বর্তমান পরিস্থিতি বদলানোর জন্যই আপনার দাস যোয়াব এসব করলেন। আমার প্রভু, ঈশ্বরের একজন দূতের মতোই জ্ঞানী—দেশে যা যা হয়, তিনি সেসব জানেন।”
ἕνεκεν τοῦ περιελθεῖν τὸ πρόσωπον τοῦ ῥήματος τούτου ἐποίησεν ὁ δοῦλός σου Ιωαβ τὸν λόγον τοῦτον καὶ ὁ κύριός μου σοφὸς καθὼς σοφία ἀγγέλου τοῦ θεοῦ τοῦ γνῶναι πάντα τὰ ἐν τῇ γῇ
21 রাজামশাই যোয়াবকে বললেন, “ঠিক আছে, আমি এরকমই করব। যাও, সেই যুবক অবশালোমকে ফিরিয়ে নিয়ে এসো।”
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς πρὸς Ιωαβ ἰδοὺ δὴ ἐποίησά σοι κατὰ τὸν λόγον σου τοῦτον πορεύου ἐπίστρεψον τὸ παιδάριον τὸν Αβεσσαλωμ
22 তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য যোয়াব মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিলেন, ও রাজাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। যোয়াব বললেন, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আজই আপনার দাস জেনেছে যে সে আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করেছে, কারণ মহারাজ তাঁর দাসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছেন।”
καὶ ἔπεσεν Ιωαβ ἐπὶ πρόσωπον αὐτοῦ ἐπὶ τὴν γῆν καὶ προσεκύνησεν καὶ εὐλόγησεν τὸν βασιλέα καὶ εἶπεν Ιωαβ σήμερον ἔγνω ὁ δοῦλός σου ὅτι εὗρον χάριν ἐν ὀφθαλμοῖς σου κύριέ μου βασιλεῦ ὅτι ἐποίησεν ὁ κύριός μου ὁ βασιλεὺς τὸν λόγον τοῦ δούλου αὐτοῦ
23 পরে যোয়াব গশূরে গিয়ে অবশালোমকে জেরুশালেমে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
καὶ ἀνέστη Ιωαβ καὶ ἐπορεύθη εἰς Γεδσουρ καὶ ἤγαγεν τὸν Αβεσσαλωμ εἰς Ιερουσαλημ
24 কিন্তু রাজামশাই বললেন, “তাকে নিজের বাসায় যেতে হবে; সে যেন আমার মুখদর্শন না করে।” অতএব অবশালোম নিজের বাসায় গেল ও রাজার মুখদর্শন করেনি।
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς ἀποστραφήτω εἰς τὸν οἶκον αὐτοῦ καὶ τὸ πρόσωπόν μου μὴ βλεπέτω καὶ ἀπέστρεψεν Αβεσσαλωμ εἰς τὸν οἶκον αὐτοῦ καὶ τὸ πρόσωπον τοῦ βασιλέως οὐκ εἶδεν
25 সমস্ত ইস্রায়েলের মধ্যে আর কেউ অবশালোমের মতো তার অপরূপ সুন্দর রূপের জন্য প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য হয়নি। তার মাথার তালু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত কোথাও একটুও খুঁত ছিল না।
καὶ ὡς Αβεσσαλωμ οὐκ ἦν ἀνὴρ ἐν παντὶ Ισραηλ αἰνετὸς σφόδρα ἀπὸ ἴχνους ποδὸς αὐτοῦ καὶ ἕως κορυφῆς αὐτοῦ οὐκ ἦν ἐν αὐτῷ μῶμος
26 যখনই সে তার মাথার চুল কাটাত—সে বছরে একবারই তার চুল কাটাত, কারণ সেগুলি তার পক্ষে খুব ভারী হয়ে যেত—সে সেগুলি ওজন করাতো, আর সেগুলির ওজন রাজকীয় মাপ অনুসারে হত 200 শেকল।
καὶ ἐν τῷ κείρεσθαι αὐτὸν τὴν κεφαλὴν αὐτοῦ καὶ ἐγένετο ἀπ’ ἀρχῆς ἡμερῶν εἰς ἡμέρας ὡς ἂν ἐκείρετο ὅτι κατεβαρύνετο ἐπ’ αὐτόν καὶ κειρόμενος αὐτὴν ἔστησεν τὴν τρίχα τῆς κεφαλῆς αὐτοῦ διακοσίους σίκλους ἐν τῷ σίκλῳ τῷ βασιλικῷ
27 অবশালোমের তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্ম হল। তার মেয়ের নাম তামর, আর সে খুব সুন্দরী হল।
καὶ ἐτέχθησαν τῷ Αβεσσαλωμ τρεῖς υἱοὶ καὶ θυγάτηρ μία καὶ ὄνομα αὐτῇ Θημαρ αὕτη ἦν γυνὴ καλὴ σφόδρα καὶ γίνεται γυνὴ τῷ Ροβοαμ υἱῷ Σαλωμων καὶ τίκτει αὐτῷ τὸν Αβια
28 অবশালোম রাজার মুখদর্শন না করে দুই বছর জেরুশালেমে বসবাস করল।
καὶ ἐκάθισεν Αβεσσαλωμ ἐν Ιερουσαλημ δύο ἔτη ἡμερῶν καὶ τὸ πρόσωπον τοῦ βασιλέως οὐκ εἶδεν
29 পরে অবশালোম রাজার কাছে পাঠানোর জন্য যোয়াবকে ডেকে পাঠিয়েছিল, কিন্তু যোয়াব তার কাছে আসতে চাননি। তাই সে দ্বিতীয়বার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল, কিন্তু তাও তিনি আসতে রাজি হননি।
καὶ ἀπέστειλεν Αβεσσαλωμ πρὸς Ιωαβ τοῦ ἀποστεῖλαι αὐτὸν πρὸς τὸν βασιλέα καὶ οὐκ ἠθέλησεν ἐλθεῖν πρὸς αὐτόν καὶ ἀπέστειλεν ἐκ δευτέρου πρὸς αὐτόν καὶ οὐκ ἠθέλησεν παραγενέσθαι
30 তখন সে তার দাসদের বলল, “দেখো, যোয়াবের ক্ষেতটি আমার ক্ষেতের পাশেই আছে, আর সে সেখানে যব বুনেছে। যাও, সেখানে আগুন লাগিয়ে দাও।” অবশালোমের দাসেরা তখন ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।
καὶ εἶπεν Αβεσσαλωμ πρὸς τοὺς παῖδας αὐτοῦ ἴδετε ἡ μερὶς ἐν ἀγρῷ τοῦ Ιωαβ ἐχόμενά μου καὶ αὐτῷ κριθαὶ ἐκεῖ πορεύεσθε καὶ ἐμπρήσατε αὐτὴν ἐν πυρί καὶ ἐνέπρησαν αὐτὰς οἱ παῖδες Αβεσσαλωμ καὶ παραγίνονται οἱ δοῦλοι Ιωαβ πρὸς αὐτὸν διερρηχότες τὰ ἱμάτια αὐτῶν καὶ εἶπαν ἐνεπύρισαν οἱ δοῦλοι Αβεσσαλωμ τὴν μερίδα ἐν πυρί
31 যোয়াব পরে অবশালোমের বাসায় গেলেন, ও তিনি তাকে বললেন, “তোমার দাসেরা কেন আমার ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে?”
καὶ ἀνέστη Ιωαβ καὶ ἦλθεν πρὸς Αβεσσαλωμ εἰς τὸν οἶκον καὶ εἶπεν πρὸς αὐτόν ἵνα τί οἱ παῖδές σου ἐνεπύρισαν τὴν μερίδα τὴν ἐμὴν ἐν πυρί
32 অবশালোম যোয়াবকে বলল, “দেখুন, আমি আপনাকে খবর পাঠিয়ে বললাম, ‘এখানে আসুন, যেন আমি আপনাকে রাজার কাছে পাঠিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে পারি, “আমি কেন গশূর থেকে ফিরে এলাম? আমি সেখানে থাকলেই ভালো হত!”’ আর এখন, আমি মহারাজের মুখদর্শন করতে চাই, ও আমি যদি দোষ করে থাকি, তিনি আমায় মেরে ফেলতে পারেন।”
καὶ εἶπεν Αβεσσαλωμ πρὸς Ιωαβ ἰδοὺ ἀπέστειλα πρὸς σὲ λέγων ἧκε ὧδε καὶ ἀποστελῶ σε πρὸς τὸν βασιλέα λέγων ἵνα τί ἦλθον ἐκ Γεδσουρ ἀγαθόν μοι ἦν τοῦ ἔτι εἶναί με ἐκεῖ καὶ νῦν ἰδοὺ τὸ πρόσωπον τοῦ βασιλέως οὐκ εἶδον εἰ δέ ἐστιν ἐν ἐμοὶ ἀδικία καὶ θανάτωσόν με
33 তাই যোয়াব রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে সেকথা বললেন। তখন রাজামশাই অবশালোমকে ডেকে পাঠালেন, ও সে এসে রাজার সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল। রাজামশাই তাকে চুম্বন করলেন।
καὶ εἰσῆλθεν Ιωαβ πρὸς τὸν βασιλέα καὶ ἀπήγγειλεν αὐτῷ καὶ ἐκάλεσεν τὸν Αβεσσαλωμ καὶ εἰσῆλθεν πρὸς τὸν βασιλέα καὶ προσεκύνησεν αὐτῷ καὶ ἔπεσεν ἐπὶ πρόσωπον αὐτοῦ ἐπὶ τὴν γῆν κατὰ πρόσωπον τοῦ βασιλέως καὶ κατεφίλησεν ὁ βασιλεὺς τὸν Αβεσσαλωμ

< শমূয়েলের দ্বিতীয় বই 14 >