দ্বিতীয় রাজাবলি 8

1 ইত্যবসরে যাঁর ছেলের প্রাণ ইলীশায় ফিরিয়ে দিলেন, সেই মহিলাটিকে তিনি বললেন, “তোমার পরিবার সাথে নিয়ে তুমি কিছু সময়ের জন্য যেখানেই হোক, গিয়ে থাকো, কারণ সদাপ্রভুর বিধানমতে এই দেশে এক দুর্ভিক্ষ আসতে চলেছে, যা সাত বছর স্থায়ী হবে।”

Et Élisée parla à la femme, au fils de laquelle il avait rendu la vie, disant: Lève-toi, et va-t’en, toi et ta maison, et séjourne où tu pourras séjourner; car l’Éternel a appelé la famine, et même elle viendra sur le pays pour sept ans.

2 সেই মহিলাটি ঈশ্বরের লোকের কথানুসারে কাজ করার জন্য অগ্রসর হলেন। তিনি ও তাঁর পরিবার ফিলিস্তিনীদের দেশে গিয়ে সাত বছর কাটিয়েছিলেন।

Et la femme se leva et fit selon la parole de l’homme de Dieu, et s’en alla, elle et sa maison, et séjourna au pays des Philistins sept ans.

3 সাত বছর পার হওয়ার পর তিনি ফিলিস্তিনীদের দেশ থেকে ফিরে এলেন এবং তাঁর বাড়ি ও জমি ফেরত পাওয়ার জন্য রাজার কাছে আবেদন জানাতে গেলেন।

Et il arriva, au bout de sept ans, que la femme s’en revint du pays des Philistins. Et elle sortit pour crier au roi au sujet de sa maison et de ses champs.

4 রাজামশাই ঈশ্বরের লোকের দাস গেহসির সাথে কথা বলছিলেন, এবং তিনি বললেন, “ইলীশায় যেসব বড়ো বড়ো কাজ করেছেন সে বিষয়ে আমায় কিছু বলো।”

Et le roi parlait à Guéhazi, serviteur de l’homme de Dieu, disant: Raconte-moi, je te prie, toutes les grandes choses qu’Élisée a faites.

5 ঠিক যে মুহূর্তে গেহসি রাজাকে বলছিল, কীভাবে ইলীশায় মৃত মানুষকে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন, সেই মুহূর্তে, সেই মহিলাটি তাঁর বাড়ি-জমি ফেরত পাওয়ার জন্য রাজার কাছে আবেদন জানাতে এলেন, যাঁর ছেলের প্রাণ ইলীশায় ফিরিয়ে দিলেন। গেহসি বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, এই সেই মহিলা, আর এই তাঁর সেই ছেলে, যার প্রাণ ইলীশায় ফিরিয়ে দিলেন।”

Et il arriva que, tandis qu’il racontait au roi comment il avait rendu la vie à un mort, voici, la femme au fils de laquelle il avait rendu la vie, vint crier au roi au sujet de sa maison et de ses champs. Et Guéhazi dit: Ô roi, mon seigneur! c’est ici la femme, et c’est ici son fils auquel Élisée a rendu la vie.

6 রাজামশাই মহিলাটিকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, এবং তিনি তাঁকে সব কথা বলে শুনিয়েছিলেন। পরে তিনি মহিলার ব্যাপারটি দেখার দায়িত্ব একজন কর্মকর্তার হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে বললেন, “এই মহিলাটির কাছে যা যা ছিল, সব তাকে ফিরিয়ে দাও, এবং যেদিন সে এই দেশ ছেড়ে গেল, সেদিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত তার জমি থেকে যা কিছু আয় হয়েছে, সেসবও তাকে ফিরিয়ে দাও।”

Et le roi interrogea la femme, et elle lui raconta [tout]. Et le roi lui donna un eunuque, disant: Rends-lui tout ce qui lui appartient, et tout le revenu des champs, depuis le jour où elle a quitté le pays, jusqu’à maintenant.

7 ইলীশায় দামাস্কাসে গেলেন, এবং অরামের রাজা বিন্‌হদদ তখন অসুস্থ ছিলেন। রাজাকে যখন বলা হল, “ঈশ্বরের লোক এখানে এত দূর পর্যন্ত এসেছেন,”

Et Élisée vint à Damas; et Ben-Hadad, roi de Syrie, était malade, et on lui rapporta, disant: L’homme de Dieu est venu jusqu’ici.

8 তিনি হসায়েলকে বললেন, “হাতে একটি উপহার নিয়ে তুমি ঈশ্বরের লোকের সাথে দেখা করতে যাও। তাঁর মাধ্যমে সদাপ্রভুর কাছে পরামর্শ চেয়ে নিয়ো; তাঁকে জিজ্ঞাসা কোরো, ‘আমি কি এই রোগ থেকে সুস্থ হব?’”

Et le roi dit à Hazaël: Prends dans ta main un présent, et va à la rencontre de l’homme de Dieu, et consulte par lui l’Éternel, disant: Relèverai-je de cette maladie?

9 হসায়েল সাথে করে চল্লিশটি উটের পিঠে চাপিয়ে দামাস্কাসের ভালো ভালো পণ্যসামগ্রীসমৃদ্ধ উপহার নিয়ে ইলীশায়ের সাথে দেখা করতে গেলেন। তিনি ভিতরে ঢুকে ইলীশায়ের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “আপনার ছেলে অরামের রাজা বিন্‌হদদ আমাকে এই প্রশ্ন করতে পাঠিয়েছেন, ‘আমি কি এই রোগ থেকে সুস্থ হব?’”

Et Hazaël alla à sa rencontre, et prit dans sa main un présent de toutes les bonnes choses de Damas, la charge de 40 chameaux; et il vint, et se tint devant lui, et dit: Ton fils Ben-Hadad, roi de Syrie, m’a envoyé vers toi, disant: Relèverai-je de cette maladie?

10 ইলীশায় উত্তর দিলেন, “তাঁকে গিয়ে বলুন, ‘আপনি অবশ্যই সুস্থ হবেন।’ তা সত্ত্বেও, সদাপ্রভু আমার কাছে প্রকাশ করে দিয়েছেন যে আসলে তিনি মারা যাবেন।”

Et Élisée lui dit: Va, dis-lui: Certainement tu en relèveras. Mais l’Éternel m’a montré qu’il mourra certainement.

11 হসায়েল অপ্রস্তুতে না পড়া পর্যন্ত ইলীশায় একদৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়েছিলেন। পরে ঈশ্বরের লোক কাঁদতে শুরু করলেন।

Et il arrêta sa face et la fixa [sur lui], jusqu’à ce qu’il fut confus; puis l’homme de Dieu pleura.

12 “আমার প্রভু কাঁদছেন কেন?” হসায়েল জিজ্ঞাসা করলেন। “যেহেতু আমি জানি আপনি ইস্রায়েলীদের কত ক্ষতি করবেন,” তিনি উত্তর দিলেন। “আপনি তাদের সুরক্ষিত স্থানগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেবেন, তরোয়ালের যন্ত্রণায় তাদের যুবক ছেলেদের হত্যা করবেন, তাদের ছোটো ছোটো শিশুদের মাটিতে আছড়ে ফেলে দেবেন, এবং তাদের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের টান মেরে চিরে ফেলবেন।”

Et Hazaël dit: Pourquoi mon seigneur pleure-t-il? Et il dit: Parce que je sais le mal que tu feras aux fils d’Israël: tu mettras le feu à leurs villes fortes, et tu tueras avec l’épée leurs jeunes hommes, et tu écraseras leurs petits enfants, et tu fendras le ventre à leurs femmes enceintes.

13 হসায়েল বললেন, “আপনার এই দাস, যে কি না এক কুকুরমাত্র, সে কীভাবে এই কৃতিত্ব দেখাবে?” “সদাপ্রভু আমায় দেখিয়ে দিয়েছেন যে আপনি অরামের রাজা হবেন,” ইলীশায় উত্তর দিলেন।

Et Hazaël dit: Mais qu’est ton serviteur, un chien, pour qu’il fasse cette grande chose? Et Élisée dit: L’Éternel m’a montré que tu seras roi sur la Syrie.

14 তখন হসায়েল ইলীশায়কে ছেড়ে তাঁর মনিবের কাছে ফিরে গেলেন। বিন্‌হদদ যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইলীশায় তোমাকে কী বলেছেন?” হসায়েল উত্তর দিলেন, “তিনি আমায় বলেছেন, আপনি অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবেন।”

Et il s’en alla d’avec Élisée, et vint vers son maître; et [Ben-Hadad] lui dit: Que t’a dit Élisée? Et il dit: Il m’a dit que certainement tu en relèveras.

15 কিন্তু তার পরের দিন তিনি মোটা একটি কাপড় জলে ভিজিয়ে নিয়ে রাজার মুখে সেটি এমনভাবে চেপে ধরেছিলেন যে রাজা মারা গেলেন। পরে রাজারূপে হসায়েল তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

Et il arriva le lendemain, qu’il prit la couverture, et la plongea dans l’eau, et l’étendit sur le visage du roi; et il mourut. Et Hazaël régna à sa place.

16 আহাবের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যোরামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে যিহোশাফট যখন যিহূদার রাজা ছিলেন, তখনই যিহোশাফটের ছেলে যিহোরাম যিহূদার রাজারূপে রাজত্ব করতে শুরু করলেন।

Et la cinquième année de Joram, fils d’Achab, roi d’Israël, et Josaphat étant roi de Juda, Joram, fils de Josaphat, roi de Juda, commença de régner.

17 বত্রিশ বছর বয়সে তিনি রাজা হলেন, এবং আট বছর তিনি জেরুশালেমে রাজত্ব করলেন।

Il était âgé de 32 ans lorsqu’il commença de régner; et il régna huit ans à Jérusalem.

18 আহাবের বংশের মতো তিনিও ইস্রায়েলের রাজাদের পথেই চলেছিলেন, কারণ তিনি আহাবের এক মেয়েকে বিয়ে করলেন। সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তাই করলেন।

Et il marcha dans la voie des rois d’Israël, selon ce que faisait la maison d’Achab, car il avait pour femme une fille d’Achab; et il fit ce qui est mauvais aux yeux de l’Éternel.

19 তা সত্ত্বেও, সদাপ্রভু তাঁর দাস দাউদের খাতিরে যিহূদাকে ধ্বংস করতে চাননি। দাউদ ও তাঁর বংশধরদের জন্য এক প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার প্রতিজ্ঞা তিনি করলেন।

Mais l’Éternel ne voulut point détruire Juda, à cause de David, son serviteur, selon ce qu’il lui avait dit, qu’il lui donnerait une lampe pour ses fils, à toujours.

20 যিহোরামের রাজত্বকালে, ইদোমীয়েরা যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেছিল ও নিজেদের জন্য একজন রাজা ঠিক করে নিয়েছিল।

En ses jours, Édom se révolta de dessous la main de Juda, et ils établirent un roi sur eux.

21 তাই যিহোরাম তাঁর সব রথ নিয়ে সায়ীরে গেলেন। ইদোমীয়রা তাঁকে ও তাঁর রথগুলির দায়িত্বে থাকা সেনাপতিদের ঘিরে ধরেছিল, কিন্তু তিনি রাতের অন্ধকারে উঠে শত্রুপক্ষের ব্যূহভেদ করে চলে গেলেন; অবশ্য তাঁর সৈন্যদল ঘরে পালিয়ে গেল।

Et Joram passa à Tsaïr, et tous les chars avec lui; et il se leva de nuit, et frappa Édom qui l’avait entouré, et les chefs des chars; et le peuple s’enfuit à ses tentes.

22 আজও পর্যন্ত ইদোম যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়েই আছে। সেই একই সময়ে লিব্‌নাও বিদ্রোহ করে বসেছিল।

Mais Édom se révolta de dessous la main de Juda, jusqu’à ce jour. Alors, dans ce même temps, Libna se révolta.

23 যিহোরামের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, আর তিনি যা যা করলেন, তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?

Et le reste des actes de Joram, et tout ce qu’il fit, cela n’est-il pas écrit dans le livre des chroniques des rois de Juda?

24 যিহোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাদেরই সাথে তাঁকে দাউদ-নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে অহসিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

Et Joram s’endormit avec ses pères, et fut enterré avec ses pères dans la ville de David; et Achazia, son fils, régna à sa place.

25 আহাবের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যোরামের রাজত্বের দ্বাদশ বছরে যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।

La douzième année de Joram, fils d’Achab, roi d’Israël, Achazia, fils de Joram, roi de Juda, commença de régner.

26 অহসিয় বাইশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি এক বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অথলিয়া। তিনি ইস্রায়েলের রাজা অম্রির নাতনি ছিলেন।

Achazia était âgé de 22 ans lorsqu’il commença de régner; et il régna un an à Jérusalem; et le nom de sa mère était Athalie, fille d’Omri, roi d’Israël.

27 অহসিয় আহাব কুলের পথেই চলেছিলেন এবং আহাব কুলের মতো তিনিও সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করলেন, কারণ বিয়ের সূত্র ধরে তিনি আহাব কুলের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কে বাঁধা পড়েছিলেন।

Et il marcha dans la voie de la maison d’Achab et fit ce qui est mauvais aux yeux de l’Éternel, comme la maison d’Achab; car il était gendre de la maison d’Achab.

28 আহাবের ছেলে যোরামের সাথে মিলে অহসিয় রামোৎ-গিলিয়দে অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন। অরামীয়রা যোরামকে ক্ষতবিক্ষত করল;

Et il alla avec Joram, fils d’Achab, à la guerre contre Hazaël, roi de Syrie, à Ramoth de Galaad. Et les Syriens blessèrent Joram.

29 তাই অরামের রাজা হসায়েলের সাথে যুদ্ধ করার সময় রামোৎ-এ অরামীয়রা রাজা যোরামকে যে আঘাত দিয়েছিল, সেই যন্ত্রণা থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য তিনি যিষ্রিয়েলে ফিরে গেলেন। পরে যিহোরামের ছেলে যিহূদার রাজা অহসিয় আহাবের ছেলে যোরামকে দেখতে যিষ্রিয়েলে নেমে গেলেন, কারণ তিনি আহত অবস্থায় পড়েছিলেন।

Et le roi Joram s’en retourna à Jizreël pour se faire guérir des blessures que les Syriens lui avaient faites à Rama, lorsqu’il combattait contre Hazaël, roi de Syrie; et Achazia, fils de Joram, roi de Juda, descendit à Jizreël pour voir Joram, fils d’Achab, parce qu’il était malade.