< দ্বিতীয় রাজাবলি 6 >

1 ভাববাদী সম্প্রদায়ের লোকেরা ইলীশায়কে বললেন, “দেখুন, আপনার সাথে আমরা যেখানে দেখা করি, সেই স্থানটি আমাদের জন্য খুবই ছোটো।
ଏକ ସମୟରେ ଭବିଷ୍ୟଦ୍‍ବକ୍ତାଗଣଙ୍କ ଦଳ ଇଲୀଶାୟଙ୍କୁ କହିଲେ, “ଏବେ ଦେଖନ୍ତୁ, ଆମ୍ଭେମାନେ ଆପଣଙ୍କ ସମ୍ମୁଖରେ ଏହି ଯେଉଁ ସ୍ଥାନରେ ବାସ କରୁଅଛୁ, ତାହା ଆମ୍ଭମାନଙ୍କ ପାଇଁ ସଂକୀର୍ଣ୍ଣ।
2 আমাদের জর্ডন নদীর পাড়ে যেতে দিন, যেন সেখান থেকে আমরা প্রত্যেকে এক-একটি খুঁটি নিয়ে আসতে পারি; এবং সেখানে আমাদের জন্য দেখাসাক্ষাৎ করার একটি স্থান তৈরি করা যাক।” তিনি বললেন, “যাও।”
ଆମ୍ଭେମାନେ ବିନୟ କରୁଅଛୁ, ଆମ୍ଭେମାନେ ଯର୍ଦ୍ଦନକୁ ଯାଇ ପ୍ରତି ଜଣ ସେଠାରୁ ଏକ ଏକ କଡ଼ିକାଠ ନେଇ ଆପଣାମାନଙ୍କ ବସତି ନିମନ୍ତେ ସେଠାରେ ଏକ ସ୍ଥାନ ନିର୍ମାଣ କରୁ।” ଏଥିରେ ଇଲୀଶାୟ ଉତ୍ତର ଦେଲେ, “ତୁମ୍ଭେମାନେ ଯାଅ।”
3 তখন তাদের মধ্যে একজন বললেন, “আপনিও কি দয়া করে আপনার এই দাসেদের সাথে আসবেন না?” “আমিও আসব,” ইলীশায় উত্তর দিলেন।
ତହୁଁ ଜଣେ କହିଲା, “ବିନୟ କରୁଅଛି, ଆପଣ ଅନୁଗ୍ରହ କରି ଆପଣା ଦାସମାନଙ୍କ ସଙ୍ଗରେ ଚାଲନ୍ତୁ।” ଏଥିରେ ଇଲୀଶାୟ ଉତ୍ତର ଦେଲେ, “ମୁଁ ଯିବି।”
4 আর তিনি তাদের সাথে গেলেন। তারা জর্ডন নদীর পাড়ে গেলেন ও গাছ কাটতে শুরু করলেন।
ତହୁଁ ସେ ସେମାନଙ୍କ ସଙ୍ଗରେ ଗଲେ। ପୁଣି ସେମାନେ ଯର୍ଦ୍ଦନରେ ଉପସ୍ଥିତ ହୁଅନ୍ତେ, କାଠ କାଟିଲେ।
5 তাদের মধ্যে একজন যখন একটি গাছ কাটছিলেন, কুড়ুলের লোহার ফলাটি জলে পড়ে গেল। “না! না! হে আমার প্রভু!” তিনি চিৎকার করে উঠেছিলেন। “সেটি যে আমি ধার করে এনেছিলাম!”
ମାତ୍ର ଜଣେ କଡ଼ିକାଠ କାଟୁ କାଟୁ କୁହ୍ରାଡ଼ି-ଲୁହା ଜଳରେ ପଡ଼ିଗଲା; ତହିଁରେ ସେ ଡକା ଛାଡ଼ି କହିଲା, “ହାୟ, ମୋʼ ପ୍ରଭୋ! ତାହା ତ ଉଧାରି-ବସ୍ତୁ।”
6 ঈশ্বরের লোক জিজ্ঞাসা করলেন, “সেটি কোথায় পড়েছে?” তিনি যখন তাঁকে সেই স্থানটি দেখিয়ে দিলেন, ইলীশায় তখন গাছের একটি সরু ডাল ভেঙে নিয়ে সেটি জলে ফেলে দিলেন, ও লোহার ফলাটি ভাসিয়ে তুলেছিলেন।
ଏଥିରେ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ଲୋକ କହିଲେ, “ତାହା କେଉଁ ସ୍ଥାନରେ ପଡ଼ିଲା?” ତହୁଁ ସେ ତାଙ୍କୁ ସେହି ସ୍ଥାନ ଦେଖାଇ ଦେଲା। ତହିଁରେ ଇଲୀଶାୟ ଖଣ୍ଡେ କାଠ କାଟି ସେଠାରେ ପକାଇ ଲୁହାକୁ ଭସାଇଲେ।
7 “ফলাটি তুলে আনো,” তিনি বললেন। তখন সেই লোকটি হাত বাড়িয়ে সেটি তুলে এনেছিলেন।
ଆଉ ଇଲୀଶାୟ କହିଲେ, “ତୁମ୍ଭେ ତାହା ଉଠାଇ ନିଅ।” ତହୁଁ ସେ ହାତ ବଢ଼ାଇ ତାହା ନେଲା।
8 ইত্যবসরে অরামের রাজা ইস্রায়েলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন। কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করার পর তিনি বললেন, “এসব স্থানে আমি সৈন্যশিবির করব।”
ଥରେ ଅରାମର ରାଜା ଇସ୍ରାଏଲ ବିରୁଦ୍ଧରେ ଯୁଦ୍ଧ କରୁଥିଲା, ମାତ୍ର ସେ ଯେତେବେଳେ ଆପଣା ଦାସମାନଙ୍କ ସହିତ ମନ୍ତ୍ରଣା କରି କହେ, “କେବଳ ଏହି ଏହି ସ୍ଥାନରେ ମୋହର ଛାଉଣି ହେବ,”
9 ঈশ্বরের লোক ইস্রায়েলের রাজার কাছে খবর দিয়ে পাঠালেন: “সেই স্থানটি পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সাবধান, কারণ অরামীয়রা সেখানে যাচ্ছে।”
ସେତେବେଳେ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ଲୋକ ଇସ୍ରାଏଲର ରାଜାଙ୍କ ନିକଟକୁ କହି ପଠାନ୍ତି, “ସାବଧାନ, ତୁମ୍ଭେ ସେହି ସ୍ଥାନ ଦେଇ ଯିବ ନାହିଁ; କାରଣ ଅରାମୀୟମାନେ ସେହି ସ୍ଥାନକୁ ଓହ୍ଲାଇ ଆସୁଅଛନ୍ତି।”
10 তাই ঈশ্বরের লোক যে স্থানটির বিষয়ে ইঙ্গিত দিলেন, ইস্রায়েলের রাজা সেটি যাচাই করে নিয়েছিলেন। বারবার ইলীশায় রাজাকে সাবধান করে দিলেন, যেন তিনি এসব স্থানে সতর্ক পাহারা বসিয়ে রাখতে পারেন।
ତହିଁରେ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ଲୋକ ଯେଉଁ ସ୍ଥାନ ବିଷୟ ଜଣାଇ ସତର୍କ କରାଇଥାଆନ୍ତି, ଇସ୍ରାଏଲର ରାଜା ସେହି ସ୍ଥାନକୁ ଲୋକ ପଠାନ୍ତି; ଏହିରୂପେ ସେ ଥରେ କି ଦୁଇ ଥର ନୁହେଁ, ବାରମ୍ବାର ସେସ୍ଥାନରେ ଆପଣାକୁ ରକ୍ଷା କଲେ।
11 এতে অরামের রাজা খুব রেগে গেলেন। তিনি তাঁর কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠিয়ে তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, “আমায় বলো দেখি! আমাদের মধ্যে কে ইস্রায়েলের রাজার পক্ষে গিয়েছে?”
ପୁଣି ଏଥିସକାଶୁ ଅରାମୀୟ ରାଜାର ହୃଦୟ ଅତି ବ୍ୟସ୍ତ ହେଲା; ଏଣୁ ସେ ଆପଣା ଦାସମାନଙ୍କୁ ଡାକି ସେମାନଙ୍କୁ କହିଲା, “ଆମ୍ଭମାନଙ୍କ ମଧ୍ୟରୁ କିଏ ଇସ୍ରାଏଲ ରାଜାର ସପକ୍ଷ, ଏହା କʼଣ ତୁମ୍ଭେମାନେ ମୋତେ ଜଣାଇବ ନାହିଁ।”
12 “হে আমার প্রভু মহারাজ, আমাদের মধ্যে কেউই যায়নি,” তাঁর কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন বলে উঠেছিল, “কিন্তু ইস্রায়েলে যে ভাববাদী আছেন, সেই ইলীশায় আপনি শোবার ঘরে যা যা বলেন, তার এক-একটি কথা ইস্রায়েলের রাজাকে বলে দেন।”
ଏଥିରେ ତାହାର ଦାସମାନଙ୍କ ମଧ୍ୟରୁ ଜଣେ କହିଲା, “ନା, ହେ ମୋʼ ପ୍ରଭୋ, ମହାରାଜ, ମାତ୍ର ଆପଣ ନିଜ ଶୟନ ଗୃହରେ ଯାହା ଯାହା କହନ୍ତି, ସେସବୁ କଥା ଇସ୍ରାଏଲର ମଧ୍ୟବର୍ତ୍ତୀ ଇଲୀଶାୟ ଭବିଷ୍ୟଦ୍‍ବକ୍ତା ଇସ୍ରାଏଲର ରାଜାକୁ ଜଣାଏ।”
13 “যাও, গিয়ে খুঁজে বের করো, সে কোথায় আছে,” রাজা আদেশ দিলেন, “যেন আমি লোক পাঠিয়ে তাকে বন্দি করতে পারি।” খবর এসেছিল: “তিনি দোথনে আছেন।”
ତହୁଁ ଅରାମୀୟ ରାଜା କହିଲା, “ଯାଇ ଦେଖ, ଇଲୀଶାୟ କେଉଁଠାରେ ଅଛି, ତହିଁରେ ମୁଁ ଲୋକ ପଠାଇ ତାହାକୁ ଆଣିବି।” ଏଥିଉତ୍ତାରେ ତାହାକୁ ସମ୍ବାଦ ଦିଆଗଲା ଯେ, “ଦେଖନ୍ତୁ, ସେ ଦୋଥନରେ ଅଛି।”
14 রাজা তখন ঘোড়া, রথ ও বেশ বড়সড় এক সৈন্যদল সেখানে পাঠালেন। রাতের অন্ধকারে তারা গিয়ে নগরটি ঘিরে ফেলেছিল।
ଏହେତୁ ସେ ସେସ୍ଥାନକୁ ଅଶ୍ୱଗଣ ଓ ରଥ ଓ ମହାସୈନ୍ୟଦଳ ପଠାଇଲା; ପୁଣି ସେମାନେ ରାତ୍ରିରେ ଆସି ନଗରର ଚତୁର୍ଦ୍ଦିଗ ବେଷ୍ଟନ କଲେ।
15 পরদিন সকালে ঈশ্বরের লোকের দাস যখন ঘুম থেকে উঠে বাইরে গেল, তখন দেখা গেল একদল সৈন্য, ঘোড়া ও রথ নিয়ে নগরটি ঘিরে ফেলেছে। “না! না! হে আমার প্রভু! আমরা কী করব?” সেই দাস জিজ্ঞাসা করল।
ଏଥିରେ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ଲୋକଙ୍କ ସେବକ ପ୍ରଭାତରେ ଉଠି ବାହାରକୁ ଯାଆନ୍ତେ, ଦେଖ, ଏକ ସୈନ୍ୟଦଳ ଅଶ୍ୱ ଓ ରଥ ସହିତ ନଗରର ଚତୁର୍ଦ୍ଦିଗ ବେଷ୍ଟନ କରିଅଛନ୍ତି। ତହୁଁ ତାଙ୍କର ଦାସ ତାଙ୍କୁ କହିଲା, “ହାୟ, ମୋହର ପ୍ରଭୋ! ଆମ୍ଭେମାନେ କଅଣ କରିବା?”
16 “ভয় পেয়ো না,” ভাববাদী উত্তর দিলেন। “যারা আমাদের সাথে আছেন, তাদের সংখ্যা, ওদের সাথে যারা আছে, তাদের চেয়ে অনেক বেশি।”
ତହିଁରେ ସେ ଉତ୍ତର କଲେ, “ଭୟ କର ନାହିଁ; କାରଣ ସେମାନଙ୍କ ସଙ୍ଗୀଗଣ ଅପେକ୍ଷା ଆମ୍ଭମାନଙ୍କ ସଙ୍ଗୀଗଣ ଅଧିକ।”
17 আর ইলীশায় প্রার্থনা করলেন, “হে সদাপ্রভু, এর চোখ খুলে দাও, যেন এ দেখতে পারে।” তখন সদাপ্রভু সেই দাসের চোখ খুলে দিলেন, এবং সে তাকিয়ে দেখেছিল ইলীশায়ের চারপাশের পাহাড়গুলি ঘোড়া ও রথে ছেয়ে আছে।
ପୁଣି ଇଲୀଶାୟ ପ୍ରାର୍ଥନା କରି କହିଲେ, “ହେ ସଦାପ୍ରଭୋ, ମୁଁ ବିନୟ କରୁଅଛି, ସେ ଯେପରି ଦେଖି ପାରିବ, ଏଥିପାଇଁ ତାହାର ଚକ୍ଷୁ ମୁକ୍ତ କର।” ପୁଣି ସଦାପ୍ରଭୁ ସେହି ଯୁବା ଲୋକର ଚକ୍ଷୁ ମୁକ୍ତ କଲେ; ଆଉ ସେ ଦେଖିଲା; ପୁଣି ଦେଖ, ପର୍ବତ ଇଲୀଶାୟଙ୍କ ଚତୁର୍ଦ୍ଦିଗରେ ଅଗ୍ନିମୟ ଅଶ୍ୱ ଓ ରଥରେ ପରିପୂର୍ଣ୍ଣ ଥିଲା।
18 শত্রুরা যখন ইলীশায়ের দিকে এগিয়ে এসেছিল, তিনি তখন সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন, “এই সৈন্যদলকে তুমি অন্ধ করে দাও।” তাই ইলীশায়ের প্রার্থনানুসারে সদাপ্রভু তাদের আঘাত করে দৃষ্টিশক্তিহীন করে দিলেন।
ଏଥିଉତ୍ତାରେ ସୈନ୍ୟମାନେ ଇଲୀଶାୟଙ୍କ ନିକଟକୁ ଓହ୍ଲାଇ ଆସନ୍ତେ, ସେ ସଦାପ୍ରଭୁଙ୍କ ନିକଟରେ ପ୍ରାର୍ଥନା କରି କହିଲେ, “ମୁଁ ବିନୟ କରୁଅଛି, ଏହି ଲୋକମାନଙ୍କୁ ଅନ୍ଧତାରେ ଆଘାତ କର।” ଏଥିରେ ସଦାପ୍ରଭୁ ଇଲୀଶାୟଙ୍କର ବାକ୍ୟାନୁସାରେ ସେମାନଙ୍କୁ ଅନ୍ଧତାରେ ଆଘାତ କଲେ।
19 ইলীশায় তাদের বললেন, “এ সেই পথ নয় ও এ সেই নগরও নয়। আমাকে অনুসরণ করো, আমি তোমাদের পথ দেখিয়ে তোমরা যার খোঁজ করছ, সেই লোকটির কাছে নিয়ে যাব।” আর তিনি পথ দেখিয়ে তাদের শমরিয়ায় নিয়ে গেলেন।
ସେତେବେଳେ ଇଲୀଶାୟ ସେମାନଙ୍କୁ କହିଲେ, “ଏ ସେହି ପଥ ନୁହେଁ, କି ଏ ସେହି ନଗର ନୁହେଁ; ମୋʼ ପଛେ ପଛେ ଆସ, ତୁମ୍ଭେମାନେ ଯେଉଁ ଲୋକକୁ ଖୋଜୁଅଛ, ମୁଁ ତାହା ନିକଟକୁ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କୁ ନେଇଯିବି।” ତହୁଁ ଇଲୀଶାୟ ସେମାନଙ୍କୁ ଶମରୀୟାକୁ କଢ଼ାଇ ନେଲେ।
20 তারা নগরে প্রবেশ করার পর ইলীশায় বললেন, “হে সদাপ্রভু, এদের চোখ খুলে দাও, যেন এরা দেখতে পারে।” তখন সদাপ্রভু তাদের চোখ খুলে দিলেন ও তারা তাকিয়ে দেখেছিল, শমরিয়ার মাঝখানে তারা দাঁড়িয়ে আছে।
ଏଥିରେ ସେମାନେ ଶମରୀୟାରେ ଉପସ୍ଥିତ ହୁଅନ୍ତେ, ଇଲୀଶାୟ କହିଲେ, “ହେ ସଦାପ୍ରଭୋ, ଏ ଲୋକମାନେ ଯେପରି ଦେଖି ପାରିବେ, ଏଥିପାଇଁ ସେମାନଙ୍କ ଚକ୍ଷୁ ମୁକ୍ତ କର।” ତହୁଁ ସଦାପ୍ରଭୁ ସେମାନଙ୍କ ଚକ୍ଷୁ ମୁକ୍ତ କରନ୍ତେ, ସେମାନେ ଦେଖିଲେ, ଆଉ ଦେଖ, ସେମାନେ ଶମରୀୟାର ମଧ୍ୟରେ ଅଛନ୍ତି।
21 ইস্রায়েলের রাজা তাদের দেখতে পেয়ে ইলীশায়কে জিজ্ঞাসা করলেন, “হে আমার প্রভু, আমি কি এদের মেরে ফেলব? আমি কি এদের মেরে ফেলব?”
ତହିଁରେ ଇସ୍ରାଏଲର ରାଜା ସେମାନଙ୍କୁ ଦେଖି ଇଲୀଶାୟଙ୍କୁ କହିଲେ, “ହେ ମୋହର ପିତଃ, ମୁଁ କʼଣ ସେମାନଙ୍କୁ ଆଘାତ କରିବି? ମୁଁ କʼଣ ସେମାନଙ୍କୁ ଆଘାତ କରିବି?”
22 “এদের মেরে ফেলো না,” তিনি উত্তর দিলেন। “নিজের তরোয়াল বা ধনুক দিয়ে তুমি যাদের বন্দি করেছ, তাদের কি তুমি হত্যা করবে? তাদের সামনে খাবার ও জল রাখো, যেন তারা ভোজনপান করে তাদের মনিবের কাছে ফিরে যেতে পারে।”
ତହୁଁ ଇଲୀଶାୟ ଉତ୍ତର ଦେଲେ, “ତୁମ୍ଭେ ସେମାନଙ୍କୁ ଆଘାତ କରିବ ନାହିଁ; ତୁମ୍ଭେ ଯେଉଁମାନଙ୍କୁ ଆପଣା ଖଡ୍ଗ ଓ ଧନୁ ଦ୍ୱାରା ବନ୍ଦୀ କରି ନେଇଅଛ, ସେମାନଙ୍କୁ କʼଣ ଆଘାତ କରିବ? ସେମାନଙ୍କ ସମ୍ମୁଖରେ ରୁଟି ଓ ଜଳ ରଖ, ସେମାନେ ଭୋଜନପାନ କରି ଆପଣା ପ୍ରଭୁ ନିକଟକୁ ଯାଆନ୍ତୁ।”
23 তাই রাজা তাদের জন্য এক মহাভোজের ব্যবস্থা করলেন, এবং তারা ভোজনপান করার পর তাদের মনিবের কাছে ফিরে গেল। অতএব অরামের সৈন্যদল ইস্রায়েলী এলাকায় হামলা চালানো বন্ধ করে দিয়েছিল।
ତହିଁରେ ଇସ୍ରାଏଲର ରାଜା ସେମାନଙ୍କ ନିମନ୍ତେ ମହାଭୋଜ ପ୍ରସ୍ତୁତ କଲେ; ପୁଣି ସେମାନେ ଭୋଜନପାନ କଲା ଉତ୍ତାରେ ସେ ସେମାନଙ୍କୁ ବିଦାୟ କଲେ, ତହୁଁ ସେମାନେ ଆପଣାମାନଙ୍କ ପ୍ରଭୁଙ୍କ ନିକଟକୁ ଗଲେ। ଏଉତ୍ତାରେ ଅରାମର ସୈନ୍ୟଦଳ ଆଉ ଇସ୍ରାଏଲର ଦେଶକୁ ଆସିଲେ ନାହିଁ।
24 কিছুকাল পরে, অরামের রাজা বিন্‌হদদ তাঁর সমগ্র সৈন্যদল সমাবেশিত করে শমরিয়া অবরোধ করলেন।
ଏଥିଉତ୍ତାରେ ଅରାମର ରାଜା ବିନ୍‍ହଦଦ୍‍ ଆପଣାର ସମସ୍ତ ସୈନ୍ୟ ଏକତ୍ର କରି ଯାଇ ଶମରୀୟାକୁ ଅବରୋଧ କଲା।
25 নগরে ভীষণ দুর্ভিক্ষ নেমে এসেছিল; এত দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধ চলছিল যে এক-একটি গাধার মুণ্ডু বিক্রি হচ্ছিল আশি শেকল রুপো দিয়ে, এবং এক কাবের চার ভাগের এক ভাগ রেশমগুটির বীজ বিক্রি হচ্ছিল পাঁচ শেকল রুপো দিয়ে।
ତହିଁରେ ଶମରୀୟାରେ ମହାଦୁର୍ଭିକ୍ଷ ହେଲା; ଆଉ ଦେଖ, ଏକ ଗର୍ଦ୍ଦଭର ମୁଣ୍ଡ ଅଶୀ ରୌପ୍ୟ ମୁଦ୍ରାରେ ଓ କପୋତ ମଳର ଏକ କାବ୍‍ର ଚତୁର୍ଥାଂଶ ପାଞ୍ଚ ରୌପ୍ୟ ମୁଦ୍ରାରେ ବିକ୍ରୟ ହେବା ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ସେମାନେ ତାହା ଅବରୋଧ କଲେ।
26 ইস্রায়েলের রাজা যখন প্রাচীরের উপর দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন একজন মহিলা চিৎকার করে তাঁকে বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আমায় সাহায্য করুন!”
ଏଥିରେ ଇସ୍ରାଏଲର ରାଜା ପ୍ରାଚୀର ଉପର ଦେଇ ଯିବା ସମୟରେ ଏକ ସ୍ତ୍ରୀ ତାଙ୍କ ପ୍ରତି ଡାକ ପକାଇ କହିଲା, “ହେ ମୋʼ ପ୍ରଭୋ, ମହାରାଜ, ସାହାଯ୍ୟ କରନ୍ତୁ।”
27 রাজামশাই উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভু যদি তোমায় সাহায্য না করলেন, তবে আমি কোথা থেকে তোমায় সাহায্য করব? খামার থেকে? দ্রাক্ষাপেষাই কল থেকে?”
ତହିଁରେ ସେ କହିଲେ, “ଯେବେ ସଦାପ୍ରଭୁ ତୁମ୍ଭର ସାହାଯ୍ୟ ନ କରନ୍ତି, ତେବେ ମୁଁ କେଉଁଠାରୁ ତୁମ୍ଭକୁ ସାହାଯ୍ୟ କରିବି? କି ଖଳାରୁ କିଅବା ଦ୍ରାକ୍ଷାଯନ୍ତ୍ରରୁ?”
28 পরে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কী হয়েছে?” সে উত্তর দিয়েছিল, “এই মহিলাটি আমায় বলল, ‘তোমার ছেলেকে দাও, যেন আজ আমরা ওকে খেতে পারি, আর আগামীকাল আমরা আমার ছেলেকে খাব।’
ଆହୁରି ରାଜା ତାହାକୁ କହିଲେ, “ତୁମ୍ଭର କି ଦୁଃଖ ହୋଇଅଛି?” ତହୁଁ ସେ ଉତ୍ତର ଦେଲା, “ଏହି ସ୍ତ୍ରୀ ମୋତେ କହିଲା, ‘ତୁମ୍ଭ ପୁଅଟିକୁ ଦିଅ, ଆମ୍ଭେମାନେ ତାକୁ ଆଜି ଖାଇବା, ପୁଣି ମୋʼ ପୁଅକୁ କାଲି ଖାଇବା।’”
29 তাই আমরা আমার ছেলেকে রান্না করে খেয়েছিলাম। পরদিন আমি তাকে বললাম, ‘এবার তোমার ছেলেকে দাও, যেন আমরা তাকে খেতে পারি,’ কিন্তু সে তাকে লুকিয়ে রেখেছে।”
ତହୁଁ ଆମ୍ଭେମାନେ ମୋʼ ପୁଅକୁ ସିଦ୍ଧ କରି ଖାଇଲୁ; ପୁଣି ଆରଦିନ ମୁଁ ତାହାକୁ କହିଲି, “ତୁମ୍ଭ ପୁଅକୁ ଦିଅ, ଆମ୍ଭେମାନେ ତାକୁ ଖାଇବା, ମାତ୍ର ସେ ଆପଣା ପୁଅକୁ ଲୁଚାଇଅଛି।”
30 রাজা যখন সেই মহিলাটির কথা শুনেছিলেন, তখন তিনি তাঁর রাজবস্ত্র ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। তিনি যখন প্রাচীরে হাঁটছিলেন, লোকজন তাকিয়ে দেখছিল, ও তারা দেখতে পেয়েছিল যে রাজার রাজবস্ত্রের নিচে তিনি গায়ে চট বেঁধে রেখেছেন।
ସେହି ସ୍ତ୍ରୀର ଏ କଥା ଶୁଣି ରାଜା ଆପଣା ବସ୍ତ୍ର ଚିରିଲେ; ସେତେବେଳେ ସେ ପ୍ରାଚୀର ଉପରେ ଯାଉଥିଲେ; ଆଉ ଲୋକମାନେ ଅନାଇ ଦେଖିଲେ ଯେ, ସେ ବସ୍ତ୍ର ତଳେ ଦେହରେ ଅଖା ପିନ୍ଧିଅଛନ୍ତି।
31 রাজা বললেন, “আজ যদি শাফটের ছেলে ইলীশায়ের মুণ্ডু তার কাঁধের উপর স্বস্থানে থেকে যায়, তবে যেন ঈশ্বর আমাকে কঠোর থেকে কঠোরতর দণ্ড দেন!”
ତେବେ ସେ କହିଲେ, “ଯେବେ ଆଜି ଶାଫଟ୍‍ର ପୁତ୍ର ଇଲୀଶାୟର ମସ୍ତକ ତାହା ଦେହରେ ରହେ, ତେବେ ପରମେଶ୍ୱର ମୋତେ ସେହି ଦଣ୍ଡ, ମଧ୍ୟ ତହିଁରୁ ଅଧିକ ଦେଉନ୍ତୁ।”
32 ইত্যবসরে ইলীশায় তাঁর বাড়িতে বসেছিলেন, এবং প্রাচীনেরাও তাঁর সাথে বসেছিলেন। রাজামশাই ইতিমধ্যে একজন দূত পাঠিয়ে দিলেন, কিন্তু সে এসে পৌঁছানোর আগেই ইলীশায় সেই প্রাচীনদের বলে দিলেন, “আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না এই হত্যাকারী আমার মুণ্ডু কেটে ফেলার জন্য একজনকে পাঠাচ্ছে? দেখুন, সেই দূত যখন আসবে, আপনারা দরজাটি বন্ধ করে দেবেন এবং তাকে ঢুকতে দেবেন না। তার পিছু পিছু, তার মনিবের পায়ের শব্দও কি শোনা যাচ্ছে না?”
ମାତ୍ର ଇଲୀଶାୟ ଆପଣା ଗୃହରେ ବସିଥିଲେ ଓ ପ୍ରାଚୀନବର୍ଗ ତାଙ୍କ ସଙ୍ଗେ ବସିଥିଲେ; ଏପରି ସମୟରେ ରାଜା ଆପଣା ସମ୍ମୁଖରୁ ଜଣେ ଲୋକ ପଠାଇଲେ; ମାତ୍ର ସେ ଦୂତ ଇଲୀଶାୟଙ୍କ ନିକଟରେ ପହଞ୍ଚିବା ପୂର୍ବରୁ ଇଲୀଶାୟ ପ୍ରାଚୀନବର୍ଗଙ୍କୁ କହିଲେ, “ଏହି ନରହତ୍ୟାକାରୀର ପୁତ୍ର କିପରି ମୋହର ମସ୍ତକ ନେବା ପାଇଁ ଲୋକ ପଠାଇଅଛି, ଏହା କʼଣ ତୁମ୍ଭେମାନେ ଦେଖୁଅଛ? ଦେଖ, ସେ ଦୂତ ପହଞ୍ଚିବା ବେଳେ ଦ୍ୱାର ବନ୍ଦ କର ଓ ତାକୁ ଅଟକାଇବା ପାଇଁ ଦ୍ୱାର ଦୃଢ଼ କରି ଧର; ତାହାର ପ୍ରଭୁର ପଦଶବ୍ଦ କʼଣ ତାହାର ପଛରେ ନାହିଁ?”
33 তাদের সাথে তখনও তিনি কথা বলছেন, এমন সময় সেই দূত তাঁর কাছে চলে এসেছিল। রাজামশাই বললেন, “এই বিপর্যয় তো সদাপ্রভুর কাছ থেকেই এসেছে। তবে আমি আর কেন সদাপ্রভুর অপেক্ষায় থাকব?”
ପୁଣି ସେ ସେମାନଙ୍କ ସହିତ କଥାବାର୍ତ୍ତା କରୁ କରୁ ଦେଖ, ସେହି ଦୂତ ତାଙ୍କ ନିକଟକୁ ଓହ୍ଲାଇ ଆସିଲା; ଆଉ ସେ କହିଲା, “ଦେଖ, ଏହି ଅମଙ୍ଗଳ ସଦାପ୍ରଭୁଙ୍କଠାରୁ; ମୁଁ କାହିଁକି ଆଉ ସଦାପ୍ରଭୁଙ୍କ ପାଇଁ ଅପେକ୍ଷା କରିବି?”

< দ্বিতীয় রাজাবলি 6 >