< দ্বিতীয় রাজাবলি 6 >
1 ভাববাদী সম্প্রদায়ের লোকেরা ইলীশায়কে বললেন, “দেখুন, আপনার সাথে আমরা যেখানে দেখা করি, সেই স্থানটি আমাদের জন্য খুবই ছোটো।
Les fils des prophètes dirent à Elisée: « Voici que le lieu où nous sommes assis devant toi est trop étroit pour nous.
2 আমাদের জর্ডন নদীর পাড়ে যেতে দিন, যেন সেখান থেকে আমরা প্রত্যেকে এক-একটি খুঁটি নিয়ে আসতে পারি; এবং সেখানে আমাদের জন্য দেখাসাক্ষাৎ করার একটি স্থান তৈরি করা যাক।” তিনি বললেন, “যাও।”
Allons jusqu’au Jourdain; nous prendrons chacun une poutre, et nous nous y ferons un lieu où nous puissions l’habiter. » Elisée répondit: « Allez. »
3 তখন তাদের মধ্যে একজন বললেন, “আপনিও কি দয়া করে আপনার এই দাসেদের সাথে আসবেন না?” “আমিও আসব,” ইলীশায় উত্তর দিলেন।
Et l’un d’eux dit: « Consens à venir avec tes serviteurs. » Il répondit: « J’irai »;
4 আর তিনি তাদের সাথে গেলেন। তারা জর্ডন নদীর পাড়ে গেলেন ও গাছ কাটতে শুরু করলেন।
et il partit avec eux. Arrivés au Jourdain, ils coupèrent du bois.
5 তাদের মধ্যে একজন যখন একটি গাছ কাটছিলেন, কুড়ুলের লোহার ফলাটি জলে পড়ে গেল। “না! না! হে আমার প্রভু!” তিনি চিৎকার করে উঠেছিলেন। “সেটি যে আমি ধার করে এনেছিলাম!”
Comme l’un d’eux abattait une poutre, le fer tomba dans l’eau; il poussa un cri et dit: « Hélas! mon seigneur!... et il était emprunté! »
6 ঈশ্বরের লোক জিজ্ঞাসা করলেন, “সেটি কোথায় পড়েছে?” তিনি যখন তাঁকে সেই স্থানটি দেখিয়ে দিলেন, ইলীশায় তখন গাছের একটি সরু ডাল ভেঙে নিয়ে সেটি জলে ফেলে দিলেন, ও লোহার ফলাটি ভাসিয়ে তুলেছিলেন।
L’homme de Dieu dit: « Où est-il tombé? » Et il lui montra l’endroit. Alors Elisée coupa un morceau de bois, le jeta en cet endroit et le fer surnagea.
7 “ফলাটি তুলে আনো,” তিনি বললেন। তখন সেই লোকটি হাত বাড়িয়ে সেটি তুলে এনেছিলেন।
Et il dit: « Prends-le. » Il avança la main et le prit.
8 ইত্যবসরে অরামের রাজা ইস্রায়েলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন। কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করার পর তিনি বললেন, “এসব স্থানে আমি সৈন্যশিবির করব।”
Le roi de Syrie était en guerre avec Israël. Ayant tenu conseil avec ses serviteurs, il dit: « Mon camp sera dans tel et tel lieu. »
9 ঈশ্বরের লোক ইস্রায়েলের রাজার কাছে খবর দিয়ে পাঠালেন: “সেই স্থানটি পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সাবধান, কারণ অরামীয়রা সেখানে যাচ্ছে।”
Mais l’homme de Dieu envoya dire au roi d’Israël: « Garde-toi de traverser ce lieu, car les Syriens y descendent. »
10 তাই ঈশ্বরের লোক যে স্থানটির বিষয়ে ইঙ্গিত দিলেন, ইস্রায়েলের রাজা সেটি যাচাই করে নিয়েছিলেন। বারবার ইলীশায় রাজাকে সাবধান করে দিলেন, যেন তিনি এসব স্থানে সতর্ক পাহারা বসিয়ে রাখতে পারেন।
Et le roi d’Israël envoya des gens au lieu que lui avait dit et signalé l’homme de Dieu, et il s’y tint en garde, non pas une fois ni deux fois.
11 এতে অরামের রাজা খুব রেগে গেলেন। তিনি তাঁর কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠিয়ে তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, “আমায় বলো দেখি! আমাদের মধ্যে কে ইস্রায়েলের রাজার পক্ষে গিয়েছে?”
Le cœur du roi de Syrie fut troublé de cette manœuvre; il appela ses serviteurs et il leur dit: « Ne voulez-vous me faire connaître lequel des nôtres est pour le roi d’Israël? »
12 “হে আমার প্রভু মহারাজ, আমাদের মধ্যে কেউই যায়নি,” তাঁর কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন বলে উঠেছিল, “কিন্তু ইস্রায়েলে যে ভাববাদী আছেন, সেই ইলীশায় আপনি শোবার ঘরে যা যা বলেন, তার এক-একটি কথা ইস্রায়েলের রাজাকে বলে দেন।”
Un de ses serviteurs répondit: « Personne, ô roi, mon seigneur; mais Elisée, le prophète, qui est en Israël, rapporte au roi d’Israël les paroles que tu prononces dans ta chambre à coucher. »
13 “যাও, গিয়ে খুঁজে বের করো, সে কোথায় আছে,” রাজা আদেশ দিলেন, “যেন আমি লোক পাঠিয়ে তাকে বন্দি করতে পারি।” খবর এসেছিল: “তিনি দোথনে আছেন।”
Le roi dit: « Allez et voyez où il est, et je l’enverrai prendre. » On vint lui faire ce rapport: « Voici qu’il est à Dothan. »
14 রাজা তখন ঘোড়া, রথ ও বেশ বড়সড় এক সৈন্যদল সেখানে পাঠালেন। রাতের অন্ধকারে তারা গিয়ে নগরটি ঘিরে ফেলেছিল।
Il envoya donc là des chevaux, des chars et une forte troupe, qui arrivèrent une nuit, et enveloppèrent la ville.
15 পরদিন সকালে ঈশ্বরের লোকের দাস যখন ঘুম থেকে উঠে বাইরে গেল, তখন দেখা গেল একদল সৈন্য, ঘোড়া ও রথ নিয়ে নগরটি ঘিরে ফেলেছে। “না! না! হে আমার প্রভু! আমরা কী করব?” সেই দাস জিজ্ঞাসা করল।
Le serviteur de l’homme de Dieu se leva de bon matin et sortit; et voici qu’une troupe entourait la ville, avec des chevaux et des chars. Et le serviteur dit à Elisée: « Ah! Mon seigneur, comment ferons-nous? »
16 “ভয় পেয়ো না,” ভাববাদী উত্তর দিলেন। “যারা আমাদের সাথে আছেন, তাদের সংখ্যা, ওদের সাথে যারা আছে, তাদের চেয়ে অনেক বেশি।”
Il répondit: « Ne crains rien; car ceux qui sont avec nous sont en plus grand nombre que ceux qui sont avec eux. »
17 আর ইলীশায় প্রার্থনা করলেন, “হে সদাপ্রভু, এর চোখ খুলে দাও, যেন এ দেখতে পারে।” তখন সদাপ্রভু সেই দাসের চোখ খুলে দিলেন, এবং সে তাকিয়ে দেখেছিল ইলীশায়ের চারপাশের পাহাড়গুলি ঘোড়া ও রথে ছেয়ে আছে।
Elisée pria et dit: « Yahweh, ouvre ses yeux, pour qu’il voie. » Et Yahweh ouvrit les yeux du serviteur, et il vit, et voici que la montagne était pleine de chevaux et de chars de feu, autour d’Elisée.
18 শত্রুরা যখন ইলীশায়ের দিকে এগিয়ে এসেছিল, তিনি তখন সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন, “এই সৈন্যদলকে তুমি অন্ধ করে দাও।” তাই ইলীশায়ের প্রার্থনানুসারে সদাপ্রভু তাদের আঘাত করে দৃষ্টিশক্তিহীন করে দিলেন।
Les Syriens descendirent vers l’homme de Dieu. Elisée pria Yahweh et dit: « Daigne frapper d’aveuglement cette nation » Et Yahweh les frappa d’aveuglement, selon la parole d’Elisée.
19 ইলীশায় তাদের বললেন, “এ সেই পথ নয় ও এ সেই নগরও নয়। আমাকে অনুসরণ করো, আমি তোমাদের পথ দেখিয়ে তোমরা যার খোঁজ করছ, সেই লোকটির কাছে নিয়ে যাব।” আর তিনি পথ দেখিয়ে তাদের শমরিয়ায় নিয়ে গেলেন।
Elisée leur dit: « Ce n’est pas ici le chemin, et ce n’est pas ici la ville; suivez-moi et je vous conduirai vers l’homme que vous cherchez. » Et il les conduisit à Samarie.
20 তারা নগরে প্রবেশ করার পর ইলীশায় বললেন, “হে সদাপ্রভু, এদের চোখ খুলে দাও, যেন এরা দেখতে পারে।” তখন সদাপ্রভু তাদের চোখ খুলে দিলেন ও তারা তাকিয়ে দেখেছিল, শমরিয়ার মাঝখানে তারা দাঁড়িয়ে আছে।
Lorsqu’ils furent entrés dans Samarie, Elisée dit: « Yahweh, ouvrez les yeux de ces gens pour qu’ils voient! » Et Yahweh ouvrit leurs yeux, et ils virent, et voici qu’ils étaient au milieu de Samarie.
21 ইস্রায়েলের রাজা তাদের দেখতে পেয়ে ইলীশায়কে জিজ্ঞাসা করলেন, “হে আমার প্রভু, আমি কি এদের মেরে ফেলব? আমি কি এদের মেরে ফেলব?”
Le roi d’Israël, en les voyant, dit à Elisée: « Les frapperai-je, les frapperai-je, mon père? »
22 “এদের মেরে ফেলো না,” তিনি উত্তর দিলেন। “নিজের তরোয়াল বা ধনুক দিয়ে তুমি যাদের বন্দি করেছ, তাদের কি তুমি হত্যা করবে? তাদের সামনে খাবার ও জল রাখো, যেন তারা ভোজনপান করে তাদের মনিবের কাছে ফিরে যেতে পারে।”
Et Elisée répondit: « Tu ne les frapperas point. Ceux que tu as faits prisonniers avec ton épée et ton arc, frappe-les; mais place devant ceux-ci du pain et de l’eau, afin qu’ils mangent et boivent, et qu’ils s’en aillent ensuite vers leur maître. »
23 তাই রাজা তাদের জন্য এক মহাভোজের ব্যবস্থা করলেন, এবং তারা ভোজনপান করার পর তাদের মনিবের কাছে ফিরে গেল। অতএব অরামের সৈন্যদল ইস্রায়েলী এলাকায় হামলা চালানো বন্ধ করে দিয়েছিল।
Le roi d’Israël leur fit servir un grand repas, et ils mangèrent et burent; puis il les renvoya, et ils s’en allèrent vers leur maître. Et les bandes des Syriens ne revinrent plus sur le territoire d’Israël.
24 কিছুকাল পরে, অরামের রাজা বিন্হদদ তাঁর সমগ্র সৈন্যদল সমাবেশিত করে শমরিয়া অবরোধ করলেন।
Après cela, Benhadad, roi de Syrie, ayant rassemblé toute son armée, monta et assiégea Samarie.
25 নগরে ভীষণ দুর্ভিক্ষ নেমে এসেছিল; এত দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধ চলছিল যে এক-একটি গাধার মুণ্ডু বিক্রি হচ্ছিল আশি শেকল রুপো দিয়ে, এবং এক কাবের চার ভাগের এক ভাগ রেশমগুটির বীজ বিক্রি হচ্ছিল পাঁচ শেকল রুপো দিয়ে।
Il y eut une grande famine à Samarie; et voici qu’on l’assiégeait si durement qu’une tête d’âne valait quatre-vingt sicles d’argent, et le quart d’un cab de fiente de pigeon cinq sicles d’argent.
26 ইস্রায়েলের রাজা যখন প্রাচীরের উপর দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন একজন মহিলা চিৎকার করে তাঁকে বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আমায় সাহায্য করুন!”
Comme le roi passait sur la muraille, une femme cria vers lui en disant: « Sauve-moi, ô roi mon seigneur! »
27 রাজামশাই উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভু যদি তোমায় সাহায্য না করলেন, তবে আমি কোথা থেকে তোমায় সাহায্য করব? খামার থেকে? দ্রাক্ষাপেষাই কল থেকে?”
Il dit: « Si Yahweh ne te sauve pas, avec quoi pourrais-je te sauver? Avec le produit de l’aire ou du pressoir »
28 পরে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কী হয়েছে?” সে উত্তর দিয়েছিল, “এই মহিলাটি আমায় বলল, ‘তোমার ছেলেকে দাও, যেন আজ আমরা ওকে খেতে পারি, আর আগামীকাল আমরা আমার ছেলেকে খাব।’
Et le roi lui dit: « Qu’as-tu? » Elle dit: « Cette femme m’a dit: Donne ton fils, nous le mangerons aujourd’hui, et demain nous mangerons le mien.
29 তাই আমরা আমার ছেলেকে রান্না করে খেয়েছিলাম। পরদিন আমি তাকে বললাম, ‘এবার তোমার ছেলেকে দাও, যেন আমরা তাকে খেতে পারি,’ কিন্তু সে তাকে লুকিয়ে রেখেছে।”
Nous avons donc fait cuire mon fils, et nous l’avons mangé. Et le jour suivant je lui ai dit: Donne ton fils et nous le mangerons. Mais elle a caché son fils. »
30 রাজা যখন সেই মহিলাটির কথা শুনেছিলেন, তখন তিনি তাঁর রাজবস্ত্র ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। তিনি যখন প্রাচীরে হাঁটছিলেন, লোকজন তাকিয়ে দেখছিল, ও তারা দেখতে পেয়েছিল যে রাজার রাজবস্ত্রের নিচে তিনি গায়ে চট বেঁধে রেখেছেন।
Lorsque le roi entendit les paroles de cette femme, il déchira ses vêtements en passant sur la muraille; et le peuple vit, et voici qu’il avait par dessous un sac sur son corps.
31 রাজা বললেন, “আজ যদি শাফটের ছেলে ইলীশায়ের মুণ্ডু তার কাঁধের উপর স্বস্থানে থেকে যায়, তবে যেন ঈশ্বর আমাকে কঠোর থেকে কঠোরতর দণ্ড দেন!”
Le roi dit: « Que Dieu me traite dans toute sa rigueur, si la tête d’Elisée, fils de Saphat, reste aujourd’hui sur lui. »
32 ইত্যবসরে ইলীশায় তাঁর বাড়িতে বসেছিলেন, এবং প্রাচীনেরাও তাঁর সাথে বসেছিলেন। রাজামশাই ইতিমধ্যে একজন দূত পাঠিয়ে দিলেন, কিন্তু সে এসে পৌঁছানোর আগেই ইলীশায় সেই প্রাচীনদের বলে দিলেন, “আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না এই হত্যাকারী আমার মুণ্ডু কেটে ফেলার জন্য একজনকে পাঠাচ্ছে? দেখুন, সেই দূত যখন আসবে, আপনারা দরজাটি বন্ধ করে দেবেন এবং তাকে ঢুকতে দেবেন না। তার পিছু পিছু, তার মনিবের পায়ের শব্দও কি শোনা যাচ্ছে না?”
Or, pendant qu’Elisée était assis dans sa maison et que les anciens étaient assis auprès de lui, le roi envoya quelqu’un d’auprès de lui. Mais avant que le messager fut arrivé auprès d’Elisée, celui-ci dit aux anciens: « Savez-vous que ce fils d’assassin envoie quelqu’un pour m’ôter la tête? Faites attention: quand le messager viendra, fermez la porte et pressez-le avec la porte. Mais le bruit des pas de son maître ne se fait-il pas entendre derrière lui?… »
33 তাদের সাথে তখনও তিনি কথা বলছেন, এমন সময় সেই দূত তাঁর কাছে চলে এসেছিল। রাজামশাই বললেন, “এই বিপর্যয় তো সদাপ্রভুর কাছ থেকেই এসেছে। তবে আমি আর কেন সদাপ্রভুর অপেক্ষায় থাকব?”
Il leur parlait encore, et déjà le messager était descendu vers lui; et il dit: « Voici, c’est un mal qui vient de Yahweh; qu’ai-je à espérer encore de Yahweh »