< দ্বিতীয় রাজাবলি 25 >

1 তাই, সিদিকিয়ের রাজত্বের নবম বছরে, ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার, তাঁর সমস্ত সৈন্য নিয়ে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করলেন। তিনি নগরের বাইরে শিবির স্থাপন করে তার চারপাশে অবরোধ গড়ে তুললেন।
و واقع شد که نبوکدنصر، پادشاه بابل، باتمامی لشکر خود در روز دهم ماه دهم از سال نهم سلطنت خویش بر اورشلیم برآمد، ودر مقابل آن اردو زده، سنگری گرداگردش بنانمود.۱
2 রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের এগারোতম বছর পর্যন্ত নগর অবরুদ্ধ রইল।
و شهر تا سال یازدهم صدقیای پادشاه، محاصره شد.۲
3 চতুর্থ মাসের নবম দিনে নগরের দুর্ভিক্ষ এত চরম আকার নিয়েছিল, যে সেখানকার লোকজনের কাছে কোনও খাবারদাবার ছিল না।
و در روز نهم آن ماه، قحطی درشهر چنان سخت شد که برای اهل زمین نان نبود.۳
4 পরে নগরের প্রাচীর ভেঙে ফেলা হল, এবং রাতের বেলায় গোটা সৈন্যদল রাজার বাগানের কাছে থাকা দুটি প্রাচীরের মাঝখানে অবস্থিত দরজা দিয়ে পালিয়ে গেল, যদিও ব্যাবিলনের সৈন্যসামন্ত কিন্তু নগরটি ঘিরে রেখেছিল। তারা অরাবার দিকে পালিয়ে গেল,
پس در شهر رخنه‌ای ساختند و تمامی مردان جنگی در شب از راه دروازه‌ای که در میان دوحصار، نزد باغ پادشاه بود، فرار کردند. و کلدانیان به هر طرف در مقابل شهر بودند (و پادشاه ) به راه عربه رفت.۴
5 কিন্তু ব্যাবিলনের সৈন্যদল রাজার পিছনে তাড়া করে গেল এবং যিরীহোর সমভূমিতে তাঁর নাগাল পেল। তাঁর সমস্ত সৈন্য তাঁর কাছ থেকে পৃথক হয়ে ছড়িয়ে পড়ল,
و لشکر کلدانیان، پادشاه را تعاقب نموده، در بیابان اریحا به او رسیدند و تمامی لشکرش از او پراکنده شدند.۵
6 আর তিনি ধৃত হলেন। তাঁকে ধরে রিব্‌লাতে ব্যাবিলনের রাজার কাছে নিয়ে যাওয়া হল, এবং সেখানে তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হল।
پس پادشاه راگرفته، او را نزد پادشاه بابل به ربله آوردند و بر اوفتوی دادند.۶
7 সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের তারা হত্যা করল। পরে তারা তাঁর চোখ উপড়ে নিয়েছিল, ও ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বেঁধে তারা তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে গেল।
و پسران صدقیا را پیش رویش به قتل رسانیدند و چشمان صدقیا را کندند و او را به دو زنجیر بسته، به بابل آوردند.۷
8 ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজারের রাজত্বকালের উনিশতম বছরের পঞ্চম মাসের সপ্তম দিনে ব্যাবিলনের রাজার এক কর্মকর্তা, রাজকীয় রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন জেরুশালেমে এলেন।
و در روز هفتم ماه پنجم از سال نوزدهم نبوکدنصر پادشاه، سلطان بابل، نبوزرادان، رئیس جلادان، خادم پادشاه بابل، به اورشلیم آمد.۸
9 তিনি সদাপ্রভুর মন্দিরে, রাজপ্রাসাদে এবং জেরুশালেমের সব বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলেন। প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘরবাড়ি তিনি পুড়িয়ে ছাই করে দিলেন।
وخانه خداوند و خانه پادشاه را سوزانید و همه خانه های اورشلیم و هر خانه بزرگ را به آتش سوزانید.۹
10 রাজরক্ষীদলের সেনাপতির অধীনস্থ সমস্ত ব্যাবিলনীয় সৈন্য জেরুশালেমের চারপাশের প্রাচীর ভেঙে দিয়েছিল।
و تمامی لشکر کلدانیان که همراه رئیس جلادان بودند، حصارهای اورشلیم را به هر طرف منهدم ساختند.۱۰
11 রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন নগরে থেকে যাওয়া লোকজনকে, এবং তাদের পাশাপাশি বাদবাকি জনসাধারণকে ও যারা ব্যাবিলনের রাজার কাছে পালিয়ে গেল, তাদেরও নির্বাসনে পাঠিয়ে দিলেন।
و نبوزرادان، رئیس جلادان، بقیه قوم را که در شهر باقی‌مانده بودند وخارجین را که به طرف پادشاه بابل شده بودند وبقیه جمعیت را به اسیری برد.۱۱
12 কিন্তু সেনাপতি দেশের অত্যন্ত গরিব কয়েকজন লোককে দ্রাক্ষাক্ষেতে ও ক্ষেতখামারে কাজ করার জন্য ছেড়ে গেলেন।
اما رئیس جلادان بعضی از مسکینان زمین را برای باغبانی وفلاحی واگذاشت.۱۲
13 ব্যাবিলনীয়েরা সদাপ্রভুর মন্দিরের পিতলের দুটি স্তম্ভ, স্থানান্তরযোগ্য গামলা বসাবার পাত্রগুলি ও পিতলের সমুদ্রপাত্রটি ভেঙে খণ্ড খণ্ড করল, আর তারা সেগুলির পিতল ব্যাবিলনে নিয়ে গেল।
و کلدانیان ستونهای برنجینی که در خانه خداوند بود و پایه‌ها و دریاچه برنجینی را که درخانه خداوند بود، شکستند و برنج آنها را به بابل بردند.۱۳
14 এছাড়াও তারা হাঁড়ি, বেলচা, সলতে ছাঁটার যন্ত্র, থালা ও মন্দিরের সেবাকাজে যেগুলি ব্যবহৃত হত, ব্রোঞ্জের সেইসব জিনিসপত্রও তুলে নিয়ে গেল।
و دیگها و خاک اندازها و گلگیرها وقاشقها و تمامی اسباب برنجینی را که با آنهاخدمت می‌کردند، بردند.۱۴
15 রাজরক্ষীদলের সেনাপতি পাকা সোনা বা রুপো দিয়ে তৈরি সব ধুনুচি ও জল ছিটোনোর গামলাগুলিও নিয়ে গেলেন।
و مجمرها و کاسه هایعنی طلای آنچه را که از طلا بود و نقره آنچه را که از نقره بود، رئیس جلادان برد.۱۵
16 সদাপ্রভুর মন্দিরের জন্য শলোমন যে দুটি থাম, সমুদ্রপাত্র ও সরণযোগ্য তাকগুলি তৈরি করলেন, সেগুলিতে এত ব্রোঞ্জ ছিল যে তা মেপে রাখা সম্ভব হয়নি।
اما دو ستون و یک دریاچه و پایه هایی که سلیمان آنها را برای خانه خداوند ساخته بود، وزن برنج همه این اسباب بی‌اندازه بود.۱۶
17 প্রত্যেকটি স্তম্ভ উচ্চতায় ছিল আঠারো হাত করে। এক-একটি স্তম্ভের মাথায় রাখা ব্রোঞ্জের স্তম্ভশীর্ষের উচ্চতা ছিল তিন হাত এবং সেটি পরস্পরছেদী এক জালের মতো করে সাজিয়ে দেওয়া হল ও সেটির চারপাশে ছিল ব্রোঞ্জের বেশ কয়েকটি ডালিম। অন্য থামেও একইরকম ভাবে পরস্পরছেদী জালের মতো সাজসজ্জা ছিল।
بلندی یک ستون هجده ذراع و تاج برنجین بر سرش و بلندی تاج سه ذراع بود و شبکه و انارهای گرداگرد روی تاج، همه ازبرنج بود و مثل اینها برای ستون دوم بر شبکه‌اش بود.۱۷
18 রক্ষীদলের সেনাপতি মহাযাজক সরায়কে, পদাধিকারবলে তাঁর পরে যিনি ছিলেন, সেই যাজক সফনিয়কে ও তিনজন দারোয়ানকে বন্দি করে নিয়ে গেলেন।
و رئیس جلادان، سرایا، رئیس کهنه، وصفنیای کاهن دوم و سه مستحفظ در را گرفت.۱۸
19 নগরে তখনও যারা থেকে গেলেন, তাদের মধ্যে যাঁর উপর যোদ্ধাদের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল, তাঁকে, ও পাঁচজন রাজকীয় পরামর্শদাতাকেও তিনি ধরেছিলেন। এছাড়াও যাঁর উপর দেশের প্রজাদের সামরিক বাহিনীতে কাজ করার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে যোগ দেওয়ানোর দায়িত্ব দেওয়া ছিল, সেই সচিবকে এবং নগরে যে ষাটজন বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যতালিকাভুক্ত ব্যক্তি পাওয়া গেল, তাদেরও তিনি ধরেছিলেন।
و سرداری که بر مردان جنگی گماشته شده بودو پنج نفر را از آنانی که روی پادشاه را می‌دیدند ودر شهر یافت شدند و کاتب سردار لشکر را که اهل ولایت را سان می‌دید، و شصت نفر از اهل زمین را که در شهر یافت شدند، از شهر گرفت.۱۹
20 সেনাপতি নবূষরদন তাদের সবাইকে ধরে রিব্‌লাতে ব্যাবিলনের রাজার কাছে নিয়ে এলেন।
و نبوزرادان رئیس جلادان، ایشان را برداشته، به ربله، نزد پادشاه بابل برد.۲۰
21 হমাৎ দেশের রিব্‌লাতে ব্যাবিলনের রাজা প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত এই লোকদের বধ করলেন। অতএব যিহূদা তার দেশ থেকে নির্বাসিত হল।
و پادشاه بابل، ایشان را در ربله در زمین حمات زده، به قتل رسانید. پس یهودا از ولایت خود به اسیری رفتند.۲۱
22 ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার যিহূদাতে যেসব লোকজন ছেড়ে গেলেন, তাদের উপর তিনি শাফনের নাতি, অর্থাৎ অহীকামের ছেলে গদলিয়কে শাসনকর্তা নিযুক্ত করলেন।
و اما قومی که در زمین یهودا باقی ماندند ونبوکدنصر، پادشاه بابل ایشان را رها کرده بود، پس جدلیا ابن اخیقام بن شافان را بر ایشان گماشت.۲۲
23 যখন সৈন্যদলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তাদের লোকজনেরা শুনতে পেয়েছিলেন যে ব্যাবিলনের রাজা গদলিয়কে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছেন, তখন তারা—অর্থাৎ নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল, কারেহর ছেলে যোহানন, নটোফাতীয় তন্‌হূমতের ছেলে সরায়, সেই মাখাতীয়ের ছেলে যাসনিয়, এবং তাদের লোকজন মিস্‌পাতে গদলিয়ের কাছে এলেন।
و چون تمامی سرداران لشکر بامردان ایشان شنیدند که پادشاه بابل، جدلیا راحاکم قرار داده است، ایشان نزد جدلیا به مصفه آمدند، یعنی اسماعیل بن نتنیا و یوحنان بن قاری و سرایا ابن تنحومت نطوفاتی و یازنیا ابن معکاتی با کسان ایشان.۲۳
24 তাদের ও তাদের লোকজনকে আশ্বস্ত করার জন্য গদলিয় একটি শপথ নিয়েছিলেন। “ব্যাবিলনের কর্মকর্তাদের তোমরা ভয় কোরো না,” তিনি বললেন। “দেশেই থেকে যাও ও ব্যাবিলনের রাজার সেবা করো, তাতে তোমাদেরই মঙ্গল হবে।”
و جدلیا برای ایشان و برای کسان ایشان قسم خورده، به ایشان گفت: «از بندگان کلدانیان مترسید. در زمین ساکن شوید وپادشاه بابل را بندگی نمایید و برای شما نیکوخواهد بود.»۲۴
25 সপ্তম মাসে অবশ্য ইলীশামার নাতি ও নথনিয়ের ছেলে, তথা শরীরে রাজরক্ত ধারণকারী সেই ইশ্মায়েল সাথে দশজন লোক নিয়ে এসে গদলিয়কে এবং মিস্‌পাতে সেই সময় তাঁর সাথে যিহূদার যে লোকেরা ছিল, তাদের ও ব্যাবিলন থেকে আসা কয়েকজন লোককেও হত্যা করলেন।
اما در ماه هفتم واقع شد که اسماعیل بن نتنیا ابن الیشمع که از ذریت پادشاه بود، به اتفاق ده نفر آمدند و جدلیا را زدند که بمردو یهودیان و کلدانیان را نیز که با او در مصفه بودند(کشتند).۲۵
26 এই পরিস্থিতিতে, ছোটো থেকে বড়ো, সব লোকজন, সৈন্যদলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে মিলিতভাবে ব্যাবিলনের লোকজনের ভয়ে মিশরে পালিয়ে গেলেন।
و تمامی قوم، چه خرد و چه بزرگ، و سرداران لشکرها برخاسته، به مصر رفتند زیراکه از کلدانیان ترسیدند.۲۶
27 যিহূদার রাজা যিহোয়াখীনের বন্দিত্বের সাঁইত্রিশতম বছরে, অর্থাৎ যে বছর ইবিল-মরোদক ব্যাবিলনের রাজা হলেন, সেই বছরেই তিনি যিহূদার রাজা যিহোয়াখীনকে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেন। দ্বাদশ মাসের সাতাশতম দিনে তিনি এ কাজ করলেন।
و در روز بیست و هفتم ماه دوازدهم از سال سی و هفتم اسیری یهویاکین، پادشاه یهودا، واقع شد که اویل مرودک، پادشاه بابل، درسالی که پادشاه شد، سر یهویاکین، پادشاه یهودا را از زندان برافراشت.۲۷
28 তিনি যিহোয়াখীনের সাথে সদয় ভঙ্গিতে কথা বললেন এবং ব্যাবিলনে তাঁর সাথে অন্যান্য যেসব রাজা ছিলেন, তাদের তুলনায় তিনি যিহোয়াখীনকে বেশি সম্মানীয় এক আসন দিলেন।
و با اوسخنان دلاویز گفت و کرسی او را بالاتر ازکرسیهای سایر پادشاهانی که با او در بابل بودند، گذاشت.۲۸
29 তাই যিহোয়াখীন তাঁর কয়েদির পোশাক একদিকে সরিয়ে রেখেছিলেন এবং জীবনের বাকি দিনগুলি তিনি নিয়মিতভাবে রাজার টেবিলেই বসে ভোজনপান করলেন।
و لباس زندانی او را تبدیل نمود و او در تمامی روزهای عمرش همیشه درحضور وی نان می‌خورد.۲۹
30 যতদিন যিহোয়াখীন বেঁচেছিলেন, রাজামশাই প্রত্যেকদিন নিয়মিতভাবে তাঁকে ভাতা দিয়ে গেলেন।
و برای معیشت اووظیفه دائمی، یعنی قسمت هر روز در روزش، در تمامی ایام عمرش از جانب پادشاه به او داده می‌شد.۳۰

< দ্বিতীয় রাজাবলি 25 >