< দ্বিতীয় রাজাবলি 22 >
1 যোশিয় আট বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি একত্রিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম যিদীদা, এবং তিনি ছিলেন আদায়ার মেয়ে। তাঁর বাড়ি ছিল বস্কতে।
2 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ঠিক, যোশিয় তাই করলেন এবং তিনি পুরোপুরি তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের পথেই চলেছিলেন, ও সেখান থেকে ডাইনে বা বাঁয়ে, কোনোদিকেই সরে যাননি।
3 রাজা যোশিয়ের রাজত্বকালের অষ্টাদশ বছরে, তিনি মশুল্লমের নাতি, অর্থাৎ অৎসলিয়ের ছেলে তথা তাঁর সচিব শাফনকে সদাপ্রভুর মন্দিরে পাঠালেন। তিনি বললেন:
4 “মহাযাজক হিল্কিয়ের কাছে গিয়ে তাঁকে বলো, যেন তিনি সেইসব অর্থ হাতে নিয়ে তৈরি থাকেন, যা সদাপ্রভুর মন্দিরে আগে আনা হয়েছিল, এবং দারোয়ানরা যা লোকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল।
5 সেই অর্থ যেন সেইসব লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়, যাদের মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা যেন সদাপ্রভুর মন্দির মেরামতের কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের—
6 ছুতোর, ঠিকাদার ও রাজমিস্ত্রিদের বেতন দেয়। তারা যেন মন্দির মেরামতির জন্য কাঠ ও কাটছাঁট করা পাথরও কেনে।
7 কিন্তু তাদের হাতে যে অর্থ তুলে দেওয়া হবে, তার কোনও হিসেব তাদের দিতে হবে না, কারণ অর্থ খরচ করার ক্ষেত্রে তারা যথেষ্টই সৎ।”
8 মহাযাজক হিল্কিয় সচিব শাফনকে বললেন, “সদাপ্রভুর মন্দিরে আমি বিধানগ্রন্থটির খোঁজ পেয়েছি।” তিনি সেই গ্রন্থটি শাফনকে দিলেন, এবং শাফন সেটি পাঠ করলেন।
9 পরে সচিব শাফন রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে এই খবর দিলেন: “আপনার কর্মকর্তারা সদাপ্রভুর মন্দিরে রাখা অর্থ নিয়ে তা মন্দিরের শ্রমিক ও তত্ত্বাবধায়কদের হাতে তুলে দিয়েছে।”
10 পরে সচিব শাফন রাজাকে জানিয়েছিলেন, “যাজক হিল্কিয় আমাকে একটি গ্রন্থ দিয়েছেন।” এই বলে শাফন রাজার সামনে গ্রন্থটি থেকে পাঠ করলেন।
11 রাজামশাই যখন বিধানগ্রন্থে লেখা কথাগুলি শুনেছিলেন, তখন তিনি তাঁর রাজবস্ত্র ছিঁড়ে ফেলেছিলেন।
12 তিনি যাজক হিল্কিয়কে, শাফনের ছেলে অহীকামকে, মীখায়ের ছেলে অক্বোরকে, সচিব শাফনকে এবং রাজার পরিচারক অসায়কে এইসব আদেশ দিলেন:
13 “এই যে গ্রন্থটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তাতে যা যা লেখা আছে, সেসবের বিষয়ে তোমরা আমার, আমার প্রজাদের ও যিহূদার সব লোকজনের জন্য সদাপ্রভুর কাছে গিয়ে খোঁজ নাও। যেহেতু আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই গ্রন্থে লেখা কথাগুলি পালন করেননি, তাই আমাদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ অতিমাত্রায় জ্বলে উঠেছে; আমাদের সম্বন্ধে সেখানে যা যা লেখা আছে, সেই অনুযায়ী তারা কাজ করেননি।”
14 যাজক হিল্কিয়, এবং অহীকাম, অক্বোর, শাফন ও অসায় মহিলা ভাববাদী সেই হুলদার সাথে কথা বলতে গেলেন, যিনি রাজপ্রাসাদের পোশাক বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণকারী শল্লুমের স্ত্রী ছিলেন। শল্লুম ছিলেন হর্হসের নাতি ও তিকবের ছেলে। হুলদা জেরুশালেমের নতুন পাড়ায় বসবাস করতেন।
15 তিনি তাদের বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু একথাই বলেন: আমার কাছে যিনি তোমাদের পাঠিয়েছেন, তাঁকে গিয়ে বলো,
16 ‘সদাপ্রভু একথাই বলেন: যিহূদার রাজা যে গ্রন্থটি পাঠ করেছে, সেটিতে যা যা লেখা আছে, সেই কথানুসারে আমি এই স্থানটির ও এখানকার লোকজনের উপর বিপর্যয় আনতে চলেছি।
17 যেহেতু তারা আমাকে ত্যাগ করেছে এবং অন্যান্য দেবতাদের কাছে ধূপ পুড়িয়েছে ও তাদের হাতে গড়া প্রতিমার সব মূর্তি দিয়ে আমার ক্রোধ জাগিয়েছে। আমার ক্রোধ এই স্থানটির বিরুদ্ধে জ্বলে উঠবে ও তা প্রশমিত হবে না।’
18 সদাপ্রভুর কাছে খোঁজ নেওয়ার জন্য যিনি তোমাদের পাঠিয়েছেন, যিহূদার সেই রাজাকে গিয়ে বলো, ‘তোমরা যা যা শুনলে, সেই বিষয়ে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু একথাই বলেন:
19 এই স্থানটির ও এখানকার লোকজনের বিরুদ্ধে আমি যা বললাম—অর্থাৎ তারা এক অভিশাপে ও পতিত এলাকায় পরিণত হবে—তা শুনে যেহেতু তোমার অন্তর সংবেদনশীল হল ও তুমি সদাপ্রভুর সামনে নিজেকে নম্র করলে, এবং যেহেতু তোমার পোশাক ছিঁড়ে ফেলে আমার সামনে কেঁদেছিলে, তাই আমিও তোমার কথা শুনলাম, সদাপ্রভু একথাই ঘোষণা করেছেন।
20 অতএব আমি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে তোমাকে নিয়ে যাব, এবং শান্তিতেই তুমি কবরে যাবে। এই স্থানে আমি যেসব বিপর্যয় আনতে চলেছি, স্বচক্ষে তোমাকে তা দেখতে হবে না।’” অতএব তারা তাঁর এই উত্তরটি নিয়ে রাজার কাছে ফিরে গেলেন।