< দ্বিতীয় রাজাবলি 15 >

1 ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের রাজত্বকালের সাতাশতম বছরে যিহূদার রাজা অমৎসিয়ের ছেলে অসরিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
در بیست و هفتمین سال سلطنت یربعام دوم پادشاه اسرائیل، عُزیا (پسر اَمَصیا) پادشاه یهودا شد.
2 তিনি ষোলো বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে বাহান্ন বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম যিখলিয়া; তিনি জেরুশালেমে বসবাস করতেন।
او شانزده ساله بود که بر تخت سلطنت نشست و پنجاه و دو سال در اورشلیم سلطنت کرد. (مادرش یکلیا نام داشت و از اهالی اورشلیم بود.)
3 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ঠিক, তিনি তাই করতেন, ঠিক যেমনটি তাঁর বাবা অমৎসিয়ও করতেন।
او مانند پدرش اَمَصیا آنچه در نظر خداوند پسندیده بود، انجام می‌داد.
4 প্রতিমাপুজোর উঁচু উঁচু স্থানগুলি অবশ্য সরানো হয়নি; লোকজন তখনও সেখানে বলি উৎসর্গ করত ও ধূপ জ্বালাতো।
ولی باز بتخانه‌های روی تپه‌ها که مردم در آنجا قربانی می‌کردند و بخور می‌سوزانیدند، باقی ماند.
5 আমৃত্যু সদাপ্রভু তাঁকে কুষ্ঠরোগাক্রান্ত করে রেখেছিলেন, এবং তিনি আলাদা একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। রাজপুত্র যোথম প্রাসাদ দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন এবং তিনিই দেশের প্রজাদের শাসন করতেন।
خداوند او را به مرض جذام مبتلا کرد و تا روز وفاتش جذامی باقی ماند. او تنها، در یک خانه به سر می‌برد و پسرش یوتام امور مملکت را اداره می‌کرد.
6 অসরিয়র রাজত্বের অন্যান্য সব ঘটনা, এবং তিনি যা যা করলেন, তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
شرح بقیهٔ رویدادهای دوران سلطنت عزیا و کارهای او در کتاب «تاریخ پادشاهان یهودا» نوشته شده است.
7 অসরিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন ও তাদের কাছেই তাঁকে দাউদ-নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যোথম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
وقتی عزیا مرد او را در آرامگاه سلطنتی در شهر داوود دفن کردند و پسرش یوتام به جایش پادشاه شد.
8 যিহূদার রাজা অসরিয়র রাজত্বকালের আটত্রিশতম বছরে যারবিয়ামের ছেলে সখরিয় শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি ছয় মাস রাজত্ব করলেন।
در سی و هشتمین سال سلطنت عزیا پادشاه یهودا، زکریا (پسر یربعام دوم) پادشاه اسرائیل شد و شش ماه در سامره سلطنت نمود.
9 তাঁর পূর্বসূরীদের মতো তিনিও সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করতেন। নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যেসব পাপ করিয়েছিলেন, তিনি সেইসব পাপ থেকে ফিরে আসেননি।
او نیز مانند اجدادش نسبت به خداوند گناه ورزید و از گناهان یربعام اول (پسر نباط) که اسرائیل را به گناه کشاند، دست برنداشت.
10 যাবেশের ছেলে শল্লুম সখরিয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। প্রজাদের সামনেই শল্লুম তাঁকে আক্রমণ করে হত্যা করলেন, এবং রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
شلوم (پسر یابیش) بر ضد او توطئه کرد و او را در حضور مردم کشت و خود به سلطنت رسید.
11 সখরিয়ের রাজত্বের অন্যান্য সব ঘটনার বিবরণ ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে।
شرح بقیهٔ رویدادهای دوران سلطنت زکریا در کتاب «تاریخ پادشاهان اسرائیل» آمده است.
12 এইভাবে যেহূকে বলা সদাপ্রভুর সেই কথা ফলে গেল: “চার পুরুষ ধরে তোমার বংশধররা ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসবে।”
به این ترتیب، آنچه که خداوند دربارهٔ ییهو فرموده بود، به وقوع پیوست که خاندان او تا نسل چهارم بر تخت سلطنت اسرائیل خواهند نشست.
13 যিহূদার রাজা উষিয়র রাজত্বকালের ঊনচল্লিশ বছরে যাবেশের ছেলে শল্লুম রাজা হলেন, এবং তিনি শমরিয়ায় এক মাস রাজত্ব করলেন।
در سی و نهمین سال سلطنت عزیا پادشاه یهودا، شلوم (پسر یابیش) پادشاه اسرائیل شد و یک ماه در سامره سلطنت کرد.
14 পরে গাদির ছেলে মনহেম তির্সা থেকে শমরিয়ায় উঠে গেলেন। শমরিয়ায় তিনি যাবেশের ছেলে শল্লুমকে আক্রমণ করে তাঁকে হত্যা করলেন এবং রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
منحیم (پسر جادی) از ترصه به سامره آمده، او را کشت و خود به جای وی بر تخت سلطنت نشست.
15 শল্লুমের রাজত্বের অন্যান্য সব ঘটনা, ও যে ষড়যন্ত্রে তিনি নেতৃত্ব দিলেন, তার বিবরণ ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে।
شرح بقیهٔ رویدادهای سلطنت شلوم و توطئهٔ او در کتاب «تاریخ پادشاهان اسرائیل» نوشته شده است.
16 সেই সময় মনহেম তির্সা থেকে শুরু করে তিপসহ নগর ও সেখানকার সব বাসিন্দাকে তথা আশপাশের সব লোকজনকে আক্রমণ করলেন, কারণ তারা তাদের নগরের সিংহদুয়ারগুলি খুলে দিতে রাজি হয়নি। তিনি তিপসহ নগরটির উপর লুটপাট চালিয়েছিলেন এবং সব অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেট চিরে দিলেন।
منحیم شهر تفصح و حومهٔ آن را ویران نموده، اهالی آنجا را کشت و شکم زنان حامله را پاره کرد، چون مردم آنجا حاضر نبودند تسلیم او شوند.
17 যিহূদার রাজা অসরিয়র রাজত্বকালের ঊনচল্লিশ বছরে গাদির ছেলে মনহেম ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি দশ বছর শমরিয়ায় রাজত্ব করলেন।
در سی و نهمین سال سلطنت عزیا پادشاه یهودا، منحیم (پسر جادی) پادشاه اسرائیل شد و ده سال در سامره سلطنت کرد.
18 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তিনি তাই করলেন। নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যেসব পাপ করিয়েছিলেন, তাঁর সমগ্র রাজত্বকালে তিনি সেইসব পাপ থেকে ফিরে আসেননি।
او نیز مانند یربعام (پسر نباط) نسبت به خداوند گناه ورزید و اسرائیل را به گناه کشاند.
19 পরে আসিরিয়ার রাজা পূল ইস্রায়েলে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছিলেন, এবং মনহেম তাঁর সাহায্য পাওয়ার ও রাজ্যে নিজের অধিকার শক্তপোক্ত করার জন্য তাঁকে 1,000 তালন্ত রুপো উপহার দিলেন।
در زمان او تغلت فلاسر، پادشاه آشور به سرزمین اسرائیل هجوم آورد، ولی منحیم پادشاه سی و چهار تن نقره به او باج داد و به کمک وی سلطنت خود را بر اسرائیل تثبیت نمود.
20 মনহেম এই অর্থ ইস্রায়েল থেকে জোর করে আদায় করলেন। আসিরিয়ার রাজাকে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি অবস্থাপন্ন লোককে পঞ্চাশ শেকল করে রুপো দিতে বাধ্য করা হল। তাই আসিরিয়ার রাজা সেখান থেকে সরে গেলেন এবং দেশে আর থাকেননি।
منحیم این پول را به شکل مالیات به زور از ثروتمندان وصول نمود. هر یک از آنها پنجاه مثقال نقره پرداختند. پس پادشاه آشور به سرزمین خود بازگشت.
21 মনহেমের রাজত্বের অন্যান্য সব ঘটনা, ও তিনি যা যা করলেন, তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
شرح بقیهٔ رویدادهای دوران سلطنت منحیم و کارهای او در کتاب تاریخ پادشاهان اسرائیل نوشته شده است.
22 মনহেম তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন। তাঁর ছেলে পকহিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
بعد از مرگ او پسرش فقحیا پادشاه شد.
23 যিহূদার রাজা অসরিয়র রাজত্বকালের পঞ্চাশতম বছরে মনহেমের ছেলে পকহিয় শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি দুই বছর রাজত্ব করলেন।
در پنجاهمین سال سلطنت عزیا پادشاه یهودا، فقحیا (پسر منحیم) پادشاه اسرائیل شد و دو سال در سامره سلطنت نمود،
24 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, পকহিয় তাই করলেন। নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যেসব পাপ করিয়েছিলেন, তিনি সেইসব পাপ থেকে ফিরে আসেননি।
او نیز مانند یربعام (پسر نباط) نسبت به خداوند گناه ورزید و اسرائیل را به گناه کشاند.
25 তাঁর প্রধান কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন, রমলিয়ের ছেলে পেকহ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। পঞ্চাশ জন গিলিয়দীয় লোককে সাথে নিয়ে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করে শমরিয়ায় রাজপ্রাসাদের দুর্গে অর্গোব ও অরিয়ি ও পকহিয়কে একসাথে হত্যা করলেন। অতএব পকহিয়কে হত্যা করে পেকহ রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
فقح (پسر رملیا)، یکی از فرماندهان سپاه او، همراه پنجاه نفر دیگر از مردان جلعاد بر ضد او شورش کرد و او را در کاخ سلطنتی سامره کشت. (ارجوب و اریه نیز در این شورش کشته شدند.) سپس فقح به جای او پادشاه شد.
26 পকহিয়ের রাজত্বের অন্যান্য সব ঘটনা, এবং তিনি যা যা করলেন, তার বিবরণ ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে।
شرح بقیهٔ رویدادهای دوران سلطنت فقحیا و کارهای او در کتاب «تاریخ پادشاهان اسرائیل» نوشته شده است.
27 যিহূদার রাজা অসরিয়র রাজত্বকালের বাহান্নতম বছরে রমলিয়ের ছেলে পেকহ শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি কুড়ি বছর রাজত্ব করলেন।
در پنجاه و دومین سال سلطنت عزیا پادشاه یهودا، فقح (پسر رملیا) پادشاه اسرائیل شد و بیست سال در سامره سلطنت کرد.
28 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তিনি তাই করলেন। নবাটের ছেলে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যেসব পাপ করিয়েছিলেন, তিনি সেইসব পাপ থেকে ফিরে আসেননি।
او نیز مانند یربعام (پسر نباط) نسبت به خداوند گناه ورزید و اسرائیل را به گناه کشاند.
29 ইস্রায়েলের রাজা পেকহের রাজত্বকালেই আসিরিয়ার রাজা তিগ্লৎ-পিলেষর এসে ইয়োন, আবেল বেথ-মাখা, যানোহ, কেদশ, ও হাৎসোর দখল করে নিয়েছিলেন। তিনি গিলিয়দ এবং গালীল, তথা নপ্তালির সব এলাকাও দখল করে নিয়েছিলেন, ও লোকজনকে বন্দি করে আসিরিয়ায় নিয়ে গেলেন।
در دورهٔ سلطنت فقح بود که تغلت فلاسر، پادشاه آشور به اسرائیل حمله کرد و شهرهای عیون، آبل بیت‌معکه، یانوح، قادش، حاصور، جلعاد، جلیل و تمام سرزمین نفتالی را به تصرف خود درآورد و مردم را اسیر نموده، به آشور برد.
30 পরে এলার ছেলে হোশেয় রমলিয়ের ছেলে পেকহের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। তিনি পেকহকে আক্রমণ করে তাঁকে হত্যা করলেন, এবং উষিয়র ছেলে যোথমের রাজত্বকালের কুড়িতম বছরে রাজারূপে পেকহের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
آنگاه هوشع (پسر ایله) بر ضد فقح شورش کرد و او را کشت و خود بر تخت سلطنت نشست. هوشع در سال بیستم سلطنت یوتام (پسر عزیا) پادشاه یهودا، سلطنت خود را آغاز نمود.
31 পেকহের রাজত্বের অন্যান্য সব ঘটনা, এবং তিনি যা যা করলেন, তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
شرح بقیهٔ رویدادهای دوران سلطنت فقح و کارهای او در کتاب «تاریخ پادشاهان اسرائیل» نوشته شده است.
32 রমলিয়ের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা পেকহের রাজত্বকালের দ্বিতীয় বছরে যিহূদার রাজা উষিয়ের ছেলে যোথম রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
در دومین سال سلطنت فقح پادشاه اسرائیل، یوتام (پسر عزیا) پادشاه یهودا شد.
33 তিনি পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি ষোলো বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম যিরুশা। তিনি ছিলেন সাদোকের মেয়ে।
یوتام در سن بیست و پنج سالگی بر تخت سلطنت نشست و شانزده سال در اورشلیم سلطنت نمود. (مادرش یروشا نام داشت و دختر صادوق بود).
34 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ঠিক, যোথম তাই করলেন, ঠিক যেভাবে তাঁর বাবা উষিয়ও করেছিলেন।
او مانند پدرش عزیا آنچه در نظر خداوند پسندیده بود، انجام می‌داد،
35 প্রতিমাপুজোর উঁচু উঁচু স্থানগুলি অবশ্য সরানো হয়নি; লোকজন তখনও সেখানে বলি উৎসর্গ করত ও ধূপ পোড়াত। যোথম সদাপ্রভুর মন্দিরের উপর দিকের দরজাটি আবার তৈরি করে দিলেন।
ولی بتخانه‌های روی تپه‌ها را که مردم در آنجا قربانی می‌کردند و بخور می‌سوزانیدند، خراب نکرد. یوتام دروازهٔ بالایی خانهٔ خداوند را بازسازی کرد.
36 যোথমের রাজত্বের অন্যান্য সব ঘটনা, এবং তিনি যা যা করলেন, তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
شرح بقیهٔ رویدادهای دوران سلطنت یوتام و کارهای او در کتاب «تاریخ پادشاهان یهودا» نوشته شده است.
37 (সেই দিনগুলিতেই সদাপ্রভু অরামের রাজা রৎসীন ও রমলিয়ের ছেলে পেকহকে যিহূদার বিরুদ্ধে পাঠাতে শুরু করলেন।)
(در آن روزها خداوند، رصین پادشاه سوریه و فقح پادشاه اسرائیل را بر ضد یهودا برانگیخت.)
38 যোথম তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং দাউদ-নগরে তাঁকে তাঁদের সঙ্গে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে আহস রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
یوتام مرد و او را در کنار اجدادش در شهر داوود دفن کردند و پسرش آحاز به جای او پادشاه شد.

< দ্বিতীয় রাজাবলি 15 >