দ্বিতীয় রাজাবলি 11

1 অহসিয়ের মা অথলিয়া যখন দেখেছিলেন তাঁর ছেলে মারা গিয়েছেন, তখন তিনি গোটা রাজপরিবার ধ্বংস করে দিতে প্রবৃত্ত হলেন।

А коли Аталія, мати Ахазії, побачила, що помер її син, то встала та й вигубила все цареве насіння.

2 কিন্তু রাজা যিহোরামের মেয়ে ও অহসিয়ের বোন যিহোশেবা অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে সেই রাজপুত্রদের মধ্যে থেকে চুরি করে এনেছিলেন, যাদের অথলিয়া হত্যা করতে যাচ্ছিলেন। তিনি যোয়াশকে অথলিয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তাকে ও তার ধাত্রীকে শোবার ঘরে লুকিয়ে রেখেছিলেন; তাই তাকে হত্যা করা যায়নি।

А Єгошева, дочка́ царя Йорама, сестра Ахазії, взяла Йоаша, сина Ахазії, та й викрала його з-поміж вби́ваних царськи́х синів, його та няньку його, і сховала в спальній кімна́ті. І схова́ли його від Аталії, і він не був забитий.

3 একদিকে যখন তাকে ও তার ধাত্রীকে সদাপ্রভুর মন্দিরে ছয় বছর লুকিয়ে রাখা হল, অন্যদিকে অথলিয়া দেশ শাসন করে যাচ্ছিলেন।

І ховався він із нею в Господньому домі шість років, а Аталія царювала над краєм.

4 সপ্তম বছরে যিহোয়াদা শত-সেনাপতিদের, এবং করেয় ও রক্ষীদলের সেনাপতিদের সদাপ্রভুর মন্দিরে নিজের কাছে ডেকে পাঠালেন। তাদের সাথে তিনি একটি চুক্তি করলেন ও সদাপ্রভুর মন্দিরে তাদের দিয়ে একটি শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন। পরে তিনি তাদের সেই রাজপুত্রকে দেখতে দিলেন।

А сьомого року послав Єгоя́да, і взяв сотників із карійців та бігунів, і привів їх до себе до Господнього дому, і склав із ними умову, і заприсягнув їх у Господньому домі, і показав їм царсько́го сина.

5 তিনি এই বলে তাদের আদেশ দিলেন, “তোমাদের এরকম করতে হবে: তোমরা যারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে সাব্বাথবারে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছ—তোমাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ রাজপ্রাসাদ পাহারা দেবে,

І він наказав їм, говорячи: „Оце та річ, яку зро́бите. Третина з вас, що прихо́дите в суботу, будете виконувати сторо́жу царсько́го дому.

6 এক-তৃতীয়াংশ থাকবে সূর-দুয়ারে, এবং এক-তৃতীয়াংশ থাকবে সেই রক্ষীর পিছন দিকের দুয়ারে, যে মন্দির পাহারা দেওয়ার জন্য ঘুরতে থাকে—

А третина буде в брамі Сур, а третина — у брамі за бігуна́ми, — і будете виконувати сторо́жу дому на зміну.

7 আর তোমরা, যারা অন্য দুটি দলে আছ, যারা সাব্বাথবারে সাধারণত কাজ করো না, তোমরা সবাই রাজার জন্য মন্দির পাহারা দিয়ো।

А дві частині з вас, усі, що відходять у суботу, будуть виконувати сторо́жу Господнього дому при цареві.

8 তোমরা প্রত্যেকে হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাজাকে ঘিরে রেখো। যে কেউ তোমাদের সৈন্যশ্রেণীর কাছাকাছি আসবে, তাকে মেরে ফেলতে হবে। রাজা যেখানেই যাবেন, তোমরা তাঁর কাছাকাছি থেকো।”

І оточите царя навколо, кожен із своєю зброєю в руці своїй; а хто ввійшов би до рядів, нехай буде забитий. І будете ви з царем при виході його та при вході його“.

9 শত-সেনাপতিরা হুবহু যাজক যিহোয়াদার আদেশানুসারেই কাজ করল। প্রত্যেকে তাদের লোকজন নিয়ে—যারা সাব্বাথবারে কাজ করত ও যারা সাব্বাথবারে কাজ করা থেকে বিরত থাকত, সবাই—যাজক যিহোয়াদার কাছে এসেছিল।

І зроби́ли сотники все, що наказав священик Єгояда. І взяли́ кожен людей своїх, що прихо́дять у суботу та виходять у суботу, і прийшли до священика Єгояди.

10 পরে তিনি শত-সেনাপতিদের হাতে সেইসব বর্শা ও ঢালগুলি তুলে দিলেন, যেগুলি ছিল রাজা দাউদের এবং সদাপ্রভুর মন্দিরে রাখা ছিল।

І дав священик сотникам списи́ та щити́, що нале́жали цареві Давидові, що були в Господньому домі.

11 যজ্ঞবেদি ও মন্দিরের কাছে, রক্ষীরা প্রত্যেকে হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, মন্দিরের দক্ষিণ দিক থেকে শুরু করে উত্তর দিক পর্যন্ত রাজাকে ঘিরে রেখেছিল।

І постава́ли бігуни́, кожен зо зброєю своєю в руці своїй, від правого боку дому аж до лівого боку дому, при же́ртівнику та при домі, навколо біля царя.

12 যিহোয়াদা রাজপুত্রকে বাইরে বের করে এনে তাঁর মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দিলেন; তিনি রাজপুত্রকে পবিত্র নিয়ম-সমৃদ্ধ একটি অনুলিপি উপহার দিয়ে তাঁকে রাজা ঘোষণা করে দিলেন। তারা তাঁকে অভিষিক্ত করল, ও প্রজারা হাততালি দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠেছিল, “রাজা দীর্ঘজীবী হোন!”

А він вивів царе́вого сина, і поклав на нього корону та нараме́нники. І зробили вони його царем, і пома́зали його, і вдарили в долоні та й крикнули: „Нехай живе цар!“

13 রক্ষী ও প্রজাদের সেই চিৎকার শুনে অথলিয়া সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রজাদের কাছে গেলেন।

І почула Аталія голос бігунів та наро́ду, і прийшла до народу до Господнього дому.

14 তিনি তাকিয়ে দেখেছিলেন, প্রথানুসারে রাজা থামের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কর্মকর্তা ও শিঙাবাদকেরা রাজার পিছনে দাঁড়িয়েছিল, ও দেশের প্রজারা সবাই আনন্দ করতে করতে শিঙা বাজাচ্ছিল। তখন অথলিয়া তাঁর রাজবস্ত্র ছিঁড়ে বলে উঠেছিলেন, “রাজদ্রোহ! রাজদ্রোহ!”

І побачила вона, аж ось цар стоїть за зви́чаєм на помо́сті, а при царі зверхники та су́рми, а ввесь народ кра́ю тішиться та сурми́ть у су́рми. І роздерла Аталія шати свої та й крикнула: „Зрада, зрада!“

15 সৈন্যদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শত-সেনাপতিদের যাজক যিহোয়াদা আদেশ দিলেন: “সৈন্যশ্রেণীর মাঝখান দিয়ে তাঁকে বের করে আনো এবং যে কেউ তাঁর অনুগামী, তাকে তরোয়ালের আঘাতে তাকে হত্যা করো।” কারণ যাজকমশাই বললেন, “সদাপ্রভুর মন্দিরের মধ্যে তাঁকে হত্যা করা ঠিক হবে না।”

А священик Єгояда наказав сотникам, поставленим над ві́йськом, і сказав до них: „Ви́провадьте її поза ряди́, а хто пі́де за нею, того́ забийте мечем!“Бо священик сказав: „Нехай вона не буде забита в Господньому домі!“

16 তাই তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করে সেই স্থানে নিয়ে গেল, যেখান থেকে ঘোড়াগুলি প্রাসাদ-সংলগ্ন মাঠে প্রবেশ করে, এবং সেখানেই তাঁকে হত্যা করা হল।

І зробили їй про́хід, і вона прийшла Кінським входом до царсько́го дому, і там була́ забита.

17 যিহোয়াদা পরে এই বলে সদাপ্রভু এবং রাজা ও প্রজাদের মধ্যে এক পবিত্র নিয়ম স্থাপন করে দিলেন, যে তারা সদাপ্রভুর প্রজা হয়েই থাকবে। এছাড়াও তিনি রাজা ও প্রজাদের মধ্যেও এক পবিত্র নিয়ম স্থাপন করে দিলেন।

І склав Єгояда заповіта між Господом та між царем і між народом, щоб був народом Господнім, і між царем та між народом.

18 দেশের প্রজারা সবাই বায়ালের মন্দিরে গিয়ে সেটি ভেঙে ফেলেছিল। তারা যজ্ঞবেদি ও প্রতিমার মূর্তিগুলিও ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল এবং বায়ালের যাজক মত্তনকে যজ্ঞবেদির সামনেই হত্যা করল। পরে যাজক যিহোয়াদা সদাপ্রভুর মন্দিরে পাহারাদার বসিয়ে দিলেন।

І ввійшов увесь наро́д Кра́ю до Ваалового дому, та й прозбива́ли його та же́ртівники його, і бовва́нів його зовсі́м полама́ли, а Маттана, Ваалового священика, убили перед же́ртівниками. А при Господньому домі священик поставив ва́рти.

19 তিনি শত-সেনাপতি, করেয়, রক্ষীদল ও দেশের সব প্রজাকে সাথে নিয়ে রাজাকে সদাপ্রভুর মন্দির থেকে বের করে এনে রক্ষীদলের দুয়ার দিয়ে রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেলেন। রাজা পরে রাজসিংহাসনে বিরাজমান হলেন।

І взяв він сотників і карійців, і бігунів та ввесь народ кра́ю, і ви́вели царя з Господнього дому. І ввійшли вони через браму бігунів до царсько́го дому, і той сів на царсько́му троні.

20 দেশের প্রজারা সবাই আনন্দ করল, ও নগরে শান্তি বিরাজিত হল, যেহেতু প্রাসাদে অথলিয়াকে তরোয়াল দিয়ে মেরে ফেলা হল।

І тішився ввесь народ кра́ю, а місто заспоко́їлось. А Аталію вбили мечем у царсько́му домі.

21 যোয়াশ যখন রাজত্ব করতে শুরু করলেন, তখন তাঁর বয়স সাত বছর।

Єгоаш був віку семи років, коли зацарював.