< ২য় করিন্থীয় 4 >

1 এই কারণে, ঈশ্বরের করুণার মাধ্যমে আমাদের যেহেতু এই পরিচর্যা আছে, আমরা নিরুৎসাহ হই না।
Διὰ τοῦτο ἔχοντες τὴν διακονίαν ταύτην, καθὼς ἠλεήθημεν, οὐκ ἐγκακοῦμεν,
2 বরং, আমরা গোপনীয় ও লজ্জাজনক পথগুলি ত্যাগ করেছি; আমরা ধূর্ততার আশ্রয় নিই না, কিংবা ঈশ্বরের বাক্যকে বিকৃতও করি না। এর বিপরীতে, সহজসরলভাবে সত্যকে প্রকাশ করে আমরা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সব মানুষের বিবেকের কাছে নিজেদের যোগ্য করে তুলি।
ἀλλὰ ἀπειπάμεθα τὰ κρυπτὰ τῆς αἰσχύνης, μὴ περιπατοῦντες ἐν πανουργίᾳ μηδὲ δολοῦντες τὸν λόγον τοῦ θεοῦ, ἀλλὰ τῇ φανερώσει τῆς ἀληθείας συνιστάντες ἑαυτοὺς πρὸς πᾶσαν συνείδησιν ἀνθρώπων ἐνώπιον τοῦ θεοῦ.
3 আবার, আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তাহলে যারা ধ্বংস হচ্ছে, তা তাদের কাছেই আবৃত থাকে।
εἰ δὲ καὶ ἔστιν κεκαλυμμένον τὸ εὐαγγέλιον ἡμῶν, ἐν τοῖς ἀπολλυμένοις ἐστὶν κεκαλυμμένον,
4 এই যুগের দেবতা অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করেছে, যেন তারা খ্রীষ্টের মহিমার যে সুসমাচার তার আলো দেখতে না পায়। সেই খ্রীষ্টই হলেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি। (aiōn g165)
ἐν οἷς ὁ θεὸς τοῦ αἰῶνος τούτου ἐτύφλωσεν τὰ νοήματα τῶν ἀπίστων εἰς τὸ μὴ αὐγάσαι τὸν φωτισμὸν τοῦ εὐαγγελίου τῆς δόξης τοῦ Χριστοῦ, ὅς ἐστιν εἰκὼν τοῦ θεοῦ. (aiōn g165)
5 কারণ আমরা নিজেদের বিষয়ে প্রচার করি না, কিন্তু যীশু খ্রীষ্টকে প্রভুরূপে করি এবং যীশুর কারণে নিজেদের পরিচয় দিই তোমাদের দাসরূপে।
οὐ γὰρ ἑαυτοὺς κηρύσσομεν ἀλλὰ Χριστὸν Ἰησοῦν κύριον, ἑαυτοὺς δὲ δούλους ὑμῶν διὰ Ἰησοῦν.
6 কারণ যে ঈশ্বর বলেছিলেন, “অন্ধকারের মধ্য থেকে জ্যোতি উদ্ভাসিত হোক,” তিনি তাঁর জ্যোতি আমাদের হৃদয়ে উদ্দীপিত করলেন, যেন খ্রীষ্টের মুখমণ্ডলে বিরাজিত ঈশ্বরের যে মহিমা, তার জ্ঞানের আলো আমাদের প্রদান করেন।
ὅτι ὁ θεὸς ὁ εἰπών, ἐκ σκότους φῶς λάμψει, ὃς ἔλαμψεν ἐν ταῖς καρδίαις ἡμῶν πρὸς φωτισμὸν τῆς γνώσεως τῆς δόξης τοῦ θεοῦ ἐν προσώπῳ Χριστοῦ.
7 কিন্তু এই সম্পদ আমরা মাটির পাত্রে ধারণ করছি, যেন এরকম প্রত্যক্ষ হয় যে সর্বগুণে উৎকৃষ্টতর এই পরাক্রম আমাদের থেকে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে।
Ἔχομεν δὲ τὸν θησαυρὸν τοῦτον ἐν ὀστρακίνοις σκεύεσιν, ἵνα ἡ ὑπερβολὴ τῆς δυνάμεως ᾖ τοῦ θεοῦ καὶ μὴ ἐξ ἡμῶν·
8 আমরা চতুর্দিক থেকেই প্রবলরূপে নিষ্পেষিত হচ্ছি, কিন্তু চূর্ণ হচ্ছি না; হতবুদ্ধি হচ্ছি, কিন্তু নিরাশ হচ্ছি না;
ἐν παντὶ θλιβόμενοι ἀλλ’ οὐ στενοχωρούμενοι, ἀπορούμενοι ἀλλ’ οὐκ ἐξαπορούμενοι,
9 নির্যাতিত হচ্ছি, কিন্তু পরিত্যক্ত হচ্ছি না; আঘাতে ধরাশায়ী হচ্ছি, কিন্তু বিধ্বস্ত হচ্ছি না।
διωκόμενοι ἀλλ’ οὐκ ἐγκαταλειπόμενοι, καταβαλλόμενοι ἀλλ’ οὐκ ἀπολλύμενοι,
10 আমরা সবসময়ই, আমাদের শরীরে যীশুর মৃত্যুকে বহন করে চলেছি, যেন আমাদের শরীরে যীশুর জীবনও প্রকাশ পায়।
πάντοτε τὴν νέκρωσιν τοῦ Ἰησοῦ ἐν τῷ σώματι περιφέροντες, ἵνα καὶ ἡ ζωὴ τοῦ Ἰησοῦ ἐν τοῖς σώμασιν ἡμῶν φανερωθῇ.
11 কারণ আমরা যারা জীবিত আছি, তাদের সবসময়ই যীশুর কারণে মৃত্যুর কাছে সমর্পণ করা হচ্ছে, যেন আমাদের এই মানবিক দেহে তাঁর জীবনও প্রকাশিত হতে পারে।
ἀεὶ γὰρ ἡμεῖς οἱ ζῶντες εἰς θάνατον παραδιδόμεθα διὰ Ἰησοῦν, ἵνα καὶ ἡ ζωὴ τοῦ Ἰησοῦ φανερωθῇ ἐν τῇ θνητῇ σαρκὶ ἡμῶν.
12 তাহলে এখন, মৃত্যু আমাদের শরীরে সক্রিয় ঠিকই, কিন্তু তোমাদের মধ্যে জীবন সক্রিয় আছে।
ὥστε ὁ θάνατος ἐν ἡμῖν ἐνεργεῖται, ἡ δὲ ζωὴ ἐν ὑμῖν.
13 বিশ্বাসের সেই একই আত্মা আমাদের আছে বলে, যেমন লেখা আছে, “আমি বিশ্বাস করেছি, তাই কথা বলেছি,” সেই অনুযায়ী আমরাও বিশ্বাস করি ও সেই কারণে কথা বলি।
ἔχοντες δὲ τὸ αὐτὸ πνεῦμα τῆς πίστεως, κατὰ τὸ γεγραμμένον, ἐπίστευσα, διὸ καὶ ἐλάλησα, καὶ ἡμεῖς πιστεύομεν, διὸ καὶ λαλοῦμεν,
14 কারণ আমরা জানি যে, যিনি প্রভু যীশুকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, তিনি যীশুর সঙ্গে আমাদেরও উত্থাপিত করবেন এবং তোমাদের সঙ্গে আমাদেরও তাঁর সান্নিধ্যে উপস্থিত করবেন।
εἰδότες ὅτι ὁ ἐγείρας τὸν κύριον Ἰησοῦν καὶ ἡμᾶς σὺν Ἰησοῦ ἐγερεῖ καὶ παραστήσει σὺν ὑμῖν.
15 এসবই তোমাদের কল্যাণের জন্য, যেন যে অনুগ্রহ আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে উপস্থিত হচ্ছে, তা ঈশ্বরের মহিমার উদ্দেশে উপচে পড়া ধন্যবাদ জ্ঞাপনের কারণ হয়।
τὰ γὰρ πάντα δι’ ὑμᾶς, ἵνα ἡ χάρις πλεονάσασα διὰ τῶν πλειόνων τὴν εὐχαριστίαν περισσεύσῃ εἰς τὴν δόξαν τοῦ θεοῦ.
16 সেই কারণে, আমরা নিরুৎসাহ হই না। যদিও বাহ্যিকভাবে আমরা ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছি, তবুও অভ্যন্তরীণভাবে দিন-প্রতিদিন আমরা নতুন হচ্ছি।
Διὸ οὐκ ἐγκακοῦμεν, ἀλλ’ εἰ καὶ ὁ ἔξω ἡμῶν ἄνθρωπος διαφθείρεται, ἀλλ’ ὁ ἔσω ἡμῶν ἀνακαινοῦται ἡμέρᾳ καὶ ἡμέρᾳ.
17 কারণ আমাদের তুচ্ছ ও ক্ষণস্থায়ী কষ্টসমস্যাগুলি আমাদের জন্য যে চিরন্তন মহিমা অর্জন করছে, তা সেইসব কষ্টসমস্যাকে বিপুলরূপে অতিক্রম করে। (aiōnios g166)
τὸ γὰρ παραυτίκα ἐλαφρὸν τῆς θλίψεως ἡμῶν καθ’ ὑπερβολὴν εἰς ὑπερβολὴν αἰώνιον βάρος δόξης κατεργάζεται ἡμῖν, (aiōnios g166)
18 তাই কোনো দৃশ্যমান বস্তুর দিকে নয়, কিন্তু যা অদৃশ্য তার প্রতি আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করি। কারণ যা কিছু দৃশ্যমান, তা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু যা কিছু অদৃশ্য তাই চিরন্তন। (aiōnios g166)
μὴ σκοπούντων ἡμῶν τὰ βλεπόμενα ἀλλὰ τὰ μὴ βλεπόμενα· τὰ γὰρ βλεπόμενα πρόσκαιρα, τὰ δὲ μὴ βλεπόμενα αἰώνια. (aiōnios g166)

< ২য় করিন্থীয় 4 >