< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 36 >

1 দেশের প্রজারা যোশিয়ের ছেলে যিহোয়াহসকে নিয়ে জেরুশালেমে তাঁকে তাঁর বাবার পদে রাজা করল।
Then the people of the land took Jehoahaz, the son of Josiah, and made him king in Jerusalem in place of his father.
2 যিহোয়াহস তেইশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি তিন মাস রাজত্ব করলেন।
Jehoahaz was twenty-three years old when he became king; he was ruling in Jerusalem for three months.
3 মিশরের রাজা জেরুশালেমে তাঁকে সিংহাসনচ্যূত করলেন এবং যিহূদার উপর একশো তালন্ত রুপো ও এক তালন্ত সোনা কর ধার্য করলেন।
Then the king of Egypt took the kingdom from him in Jerusalem, and put on the land a tax of a hundred talents of silver and a talent of gold.
4 যিহোয়াহসের এক ভাই ইলিয়াকীমকে মিশরের রাজা যিহূদা ও জেরুশালেমের রাজা করলেন এবং ইলিয়াকীমের নাম পরিবর্তন করে যিহোয়াকীম রেখেছিলেন। কিন্তু নখো ইলিয়াকীমের দাদা যিহোয়াহসকে ধরে মিশরে নিয়ে গেলেন।
And the king of Egypt made Eliakim his brother king over Judah and Jerusalem, changing his name to Jehoiakim. And Neco took his brother Jehoahaz away to Egypt.
5 যিহোয়াকীম পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি এগারো বছর রাজত্ব করলেন। তিনি তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করলেন।
Jehoiakim was twenty-five years old when he became king; he was ruling in Jerusalem for eleven years, and he did evil in the eyes of the Lord his God.
6 ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তাঁকে আক্রমণ করলেন এবং ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বেঁধে তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন।
Nebuchadnezzar, king of Babylon, came up against him, and took him away in chains to Babylon.
7 সদাপ্রভুর মন্দির থেকে নেবুখাদনেজার জিনিসপত্রও ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন ও সেগুলি সেখানে তাঁর মন্দিরে রেখে দিলেন।
And Nebuchadnezzar took away some of the vessels of the Lord's house, and put them in the house of his god in Babylon.
8 যিহোয়াকীমের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, যেসব ঘৃণ্য কাজ তিনি করলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যা কিছু বলা যেতে পারে, সেসব ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজাদের পুস্তকে লেখা আছে। তাঁর ছেলে যিহোয়াখীন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
Now the rest of the acts of Jehoiakim and the disgusting things he did, and all there is to be said against him, are recorded in the book of the kings of Israel and Judah; and Jehoiachin his son became king in his place.
9 যিহোয়াখীন আঠারো বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি তিন মাস দশদিন রাজত্ব করলেন। সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তিনি তাই করলেন।
Jehoiachin was eighteen years old when he became king; he was ruling in Jerusalem for three months and ten days, and he did evil in the eyes of the Lord.
10 বসন্তকালে, রাজা নেবুখাদনেজার লোক পাঠিয়ে তাঁকে, ও তাঁর সাথে সাথে সদাপ্রভুর মন্দিরের দামি দামি সব জিনিসপত্রও ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন, এবং যিহোয়াখীনের কাকা সিদিকিয়কে যিহূদা ও জেরুশালেমের রাজা করলেন।
In the spring of the year King Nebuchadnezzar sent and took him away to Babylon, with the beautiful vessels of the house of the Lord, and made Zedekiah, his father's brother, king over Judah and Jerusalem.
11 সিদিকিয় একুশ বছর বয়সে রাজা হন। তিনি এগারো বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেন।
Zedekiah was twenty-one years old when he became king; he was ruling in Jerusalem for eleven years.
12 তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তিনি তাই করলেন এবং সেই ভাববাদী যিরমিয়ের সামনে নিজেকে নত করেননি, যিনি সদাপ্রভুর বাক্য বললেন।
He did evil in the eyes of the Lord, and did not make himself low before Jeremiah the prophet who gave him the word of the Lord.
13 এছাড়া তিনি সেই নেবুখাদনেজারের বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করলেন, যিনি ঈশ্বরের নামে তাঁকে দিয়ে শপথ করিয়েছিলেন। তিনি একগুঁয়ে হয়ে গেলেন এবং অন্তর কঠোর করলেন ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে ফিরে আসেননি।
And he took up arms against King Nebuchadnezzar, though he had made him take an oath by God; but he made his neck stiff and his heart hard, turning away from the Lord, the God of Israel.
14 তা ছাড়া, যাজকদের সব নেতা ও প্রজারাও অন্যান্য জাতিদের ঘৃণ্য প্রথা অনুসরণ করে ও সদাপ্রভুর যে মন্দিরটিকে তিনি জেরুশালেমে নিজের উদ্দেশে উৎসর্গ করে রেখেছিলেন, সেই মন্দিরটিকে অশুচি করে আরও বেশি অবিশ্বস্ত হয়ে গেল।
And more than this, all the great men of Judah and the priests and the people made their sin great, turning to all the disgusting ways of the nations; and they made unclean the house of the Lord which he had made holy in Jerusalem.
15 তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বারবার তাঁর দূতদের মাধ্যমে তাদের কাছে খবর দিয়ে পাঠাতেন, যেহেতু তাঁর প্রজাদের ও তাঁর বাসস্থানের প্রতি তাঁর মমতা ছিল
And the Lord, the God of their fathers, sent word to them by his servants, sending early and frequently, because he had pity on his people and on his living-place;
16 কিন্তু তারা তাঁর দূতদের বিদ্রুপ করত, তাঁর বাক্য অগ্রাহ্য করত ও ততদিন পর্যন্ত তাঁর ভাববাদীদের টিটকিরি দিয়ে গেল, যতদিন না তাঁর প্রজাদের প্রতি সদাপ্রভুর ক্রোধ জেগে উঠেছিল ও এর কোনও প্রতিকার হয়নি।
But they put shame on the servants of God, making sport of his words and laughing at his prophets, till the wrath of God was moved against his people, till there was no help.
17 তাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যাবিলনীয়দের সেই রাজাকে উঠিয়ে নিয়ে এলেন, যিনি পবিত্র পীঠস্থানের মধ্যেই তরোয়াল চালিয়ে তাদের যুবকদের হত্যা করলেন, এবং যুবক বা যুবতী, বয়স্ক বা শিশু, কাউকেই রেহাই দেননি। ঈশ্বর তাদের সবাইকে নেবুখাদনেজারের হাতে সঁপে দিলেন।
So he sent against them the king of the Chaldaeans, who put their young men to death with the sword in the house of their holy place, and had no pity for any, young man or virgin, old man or white-haired: God gave them all into his hands.
18 ঈশ্বরের মন্দিরের বড়ো-ছোটো, সব জিনিসপত্র, এবং সদাপ্রভুর মন্দিরের ধনসম্পদ ও রাজা তথা তাঁর কর্মকর্তাদের ধনসম্পদও তিনি ব্যাবিলনে তুলে নিয়ে গেলেন।
And all the vessels of the house of God, great and small, and the stored wealth of the Lord's house and the wealth of the king and his chiefs, he took away to Babylon.
19 ঈশ্বরের মন্দিরে তারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল এবং জেরুশালেমের প্রাচীর ভেঙে দিয়েছিল; সব প্রাসাদ তারা জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং সেখানকার মূল্যবান সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল।
And the house of God was burned and the wall of Jerusalem broken down; all its great houses were burned with fire and all its beautiful vessels given up to destruction.
20 যারা তরোয়ালের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল, অবশিষ্ট সেই লোকজনকে তিনি ব্যাবিলনে তুলে নিয়ে গেলেন, এবং যতদিন না পারস্য সাম্রাজ্য ক্ষমতায় এসেছিল, ততদিন তারা তাঁর ও তাঁর উত্তরাধিকারীদের দাস হয়েই ছিল।
And all who had not come to death by the sword he took away prisoners to Babylon; and they became servants to him and to his sons till the kingdom of Persia came to power:
21 দেশ সাব্বাথের বিশ্রাম উপভোগ করল; দেশে যতদিন উচ্ছিন্ন দশা চলেছিল, যিরমিয়ের মাধ্যমে বলা সদাপ্রভুর বাক্য পূর্ণতা পেয়ে সেই সত্তর বছর যতদিন না সম্পূর্ণ হল, ততদিন দেশ বিশ্রাম ভোগ করল।
So that the words of the Lord, which he said by the mouth of Jeremiah, might come true, till the land had had pleasure in her Sabbaths; for as long as she was waste the land kept the Sabbath, till seventy years were complete.
22 পারস্যের রাজা কোরসের প্রথম বছরে যিরমিয়ের মাধ্যমে বলা সদাপ্রভুর বাক্য সফল করার জন্য সদাপ্রভু পারস্যের রাজা কোরসের অন্তরে এই ইচ্ছা দিলেন, যেন তাঁর সাম্রাজ্যে সর্বত্র তিনি এই কথা ঘোষণা করে দেন ও তা লিখেও রাখেন:
Now in the first year of Cyrus, king of Persia, in order that the words which the Lord had said by the mouth of Jeremiah might come true, the spirit of Cyrus, king of Persia, was moved by the Lord, and he made a public statement and had it given out through all his kingdom and put in writing, saying,
23 “পারস্য-রাজ কোরস একথাই বলেন: “‘স্বর্গের ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীর সব রাজ্য আমাকে দিয়েছেন এবং তিনি আমাকে নিযুক্ত করেছেন, যেন আমি তাঁর জন্য যিহূদা প্রদেশের জেরুশালেমে এক মন্দির নির্মাণ করি। তোমাদের মধ্যে, অর্থাৎ তাঁর প্রজাদের মধ্যে যে কেউ সেখানে যেতে পারে, এবং তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যেন তাদের সাথে থাকেন।’”
Cyrus, king of Persia, has said, All the kingdoms of the earth have been given to me by the Lord, the God of heaven; and he has made me responsible for building a house for him in Jerusalem, which is in Judah. Whoever there is among you of all his people, may the Lord his God be with him and let him go up.

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 36 >