< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 26 >
1 পরে যিহূদার সব লোকজন সেই উষিয়কে এনে রাজারূপে তাঁকে তাঁর বাবা অমৎসিয়ের স্থলাভিষিক্ত করল, যাঁর বয়স তখন ষোলো বছর।
And all the people of Juda took his son Ozias, who was sixteen years old, and made him king in the room of Amasias his father.
2 রাজা অমৎসিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হওয়ার পর এই ঊষিয়ই এলৎ নগরটি আরেকবার নতুন করে গড়ে তুলেছিলেন এবং সেটি যিহূদার অধিকারের অধীনে নিয়ে এলেন।
He built Ailath, and restored it to the dominion of Juda, after that the king slept with his fathers.
3 উষিয় ষোলো বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে বাহান্ন বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম যিখলিয়া; তিনি জেরুশালেমে বসবাস করতেন।
Ozias was sixteen years old when he began to reign, and he reigned two and fifty years in Jerusalem: the name of his mother was Jechelia of Jerusalem.
4 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ঠিক, তিনি তাই করতেন, ঠিক যেমনটি তাঁর বাবা অমৎসিয়ও করতেন,
And he did that which was right in the eyes of the Lord, according to all that Amasias his father had done.
5 যিনি তাঁকে ঈশ্বরভয় শিক্ষা দিলেন, সেই সখরিয়ের জীবনকালে বরাবর তিনি ঈশ্বরের অন্বেষণ করে গেলেন। যতদিন তিনি সদাপ্রভুর অন্বেষণ করে গেলেন, ততদিন ঈশ্বর তাঁকে সাফল্যও দিলেন।
And he sought the Lord in the days of Zacharias that understood and saw God: and as long as he sought the Lord, he directed him in all things.
6 তিনি ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করলেন এবং গাতের, যবনির ও অস্দোদের প্রাচীর ভেঙে দিলেন। পরে তিনি অস্দোদের কাছে ও ফিলিস্তিনীদের মাঝখানে অন্যান্য স্থানে নতুন করে কয়েকটি নগর গড়ে তুলেছিলেন।
Moreover he went forth and fought against the Philistines, and broke down the wall of Geth, and the wall of Jabnia, and the wall of Azotus: and he built towns in Azotus, and among the Philistines.
7 ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে এবং যারা গূর-বায়ালে বসবাস করত, সেই আরবীয়দের বিরুদ্ধে ও মিয়ূনীয়দের বিরুদ্ধেও ঈশ্বর তাঁকে সাহায্য করলেন।
And God helped him against the Philistines, and against the Arabians, that dwelt in Gurbaal, and against the Ammonites.
8 অম্মোনীয়েরা উষিয়ের কাছে রাজকর নিয়ে এসেছিল, এবং তাঁর খ্যাতি একেবারে মিশরের সীমানা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল, কারণ তিনি খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন।
And the ammonites gave gifts to Ozias: and his name was spread abroad even to the entrance of Egypt for his frequent victories.
9 জেরুশালেমে কোণার দ্বারে, উপত্যকার দ্বারে ও প্রাচীরের কোণে উষিয় কয়েকটি মিনার তৈরি করলেন, এবং সেগুলি মজবুতও করে তুলেছিলেন।
And Ozias built towers in Jerusalem over the gate of the corner, and over the gate of the valley, and the rest, in the same side of the wall, and fortified them.
10 মরুপ্রান্তরেও তিনি কয়েকটি মিনার তৈরি করলেন ও বেশ কয়েকটি কুয়ো খুঁড়েছিলেন, কারণ পাহাড়ের পাদদেশে ও সমভূমিতে তাঁর বেশ কিছু পশুপাল ছিল। পাহাড়ে ও উর্বর জমিতে অবস্থিত তাঁর ক্ষেতখামারে ও দ্রাক্ষাকুঞ্জে তিনি লোকজনকে কাজে লাগালেন, কারণ মাটির প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা ছিল।
And he built towers in the wilderness, and dug many cisterns, for he had much cattle both in the plains, and in the waste of the desert: he had also vineyards and dressers of vines in the mountains, and in Carmel: for he was a man that loved husbandry.
11 উষিয়ের কাছে ভালো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এমন এক সৈন্যদল ছিল, যারা রাজকীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন, সেই হনানীয়ের পরিচালনায়, তাদের সংখ্যানুসারে দলে দলে বিভক্ত হয়ে সচিব যিয়ূয়েলের ও কর্মকর্তা মাসেয়ের নেতৃত্বে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল।
And the army of his fighting men, that went out to war, was under the hand of Jehiel the scribe, and Maasias the doctor, and under the hand of Henanias, who was one of the king’s captains.
12 যোদ্ধাদের উপর মোট 2,600 জন কুলপতি নিযুক্ত ছিলেন।
And the whole number of the chiefs by the families of valiant men were two thousand six hundred.
13 তাদের অধীনে 3,07,500 জন সৈন্যের সমন্বয়ে গঠিত এমন এক সৈন্যদল ছিল, যারা যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, ও রাজার শত্রুদের বিরুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করার পক্ষে যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল।
And the whole army under them three hundred and seven thousand five hundred: who were fit for war, and fought for the king against the enemy.
14 উষিয় সমগ্র সৈন্যদলের জন্য ঢাল, বর্শা, শিরস্ত্রাণ, বর্ম, ধনুক ও পাথর ছোঁড়ার গুলতির জোগান দিলেন।
And Ozias prepared for them, that is, for the whole army, shields, and spears, and helmets, and coats of mail, and bows, and slings to cast stones.
15 জেরুশালেমে তিনি এমন সব যন্ত্রপাতি তৈরি করিয়েছিলেন, যেন আবিষ্কৃত সেই যন্ত্রপাতিগুলি মিনারে ও প্রাচীরের কোনায় রেখে সৈনিকরা প্রাচীর থেকেই তির ছুঁড়তে ও বড়ো বড়ো পাথরের গোলা নিক্ষেপ করতে পারে। দূর দূর পর্যন্ত তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল, কারণ যতদিন না তিনি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন, ততদিন তিনি প্রচুর সাহায্য পেয়েছিলেন।
And he made in Jerusalem engines of diverse kinds, which he placed in the towers, and in the corners of the walls, to shoot arrows, and great stones: and his name went forth far abroad, for the Lord helped him, and had strengthened him.
16 কিন্তু শক্তিশালী হয়ে ওঠার পর উষিয়ের অহংকারই তাঁর পতনের কারণ হয়ে উঠেছিল। তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি তিনি অবিশ্বস্ত হলেন, এবং ধূপবেদিতে ধূপ পোড়ানোর জন্য তিনি সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করলেন।
But when he was made strong, his heart was lifted up to his destruction, and he neglected the Lord his God: and going into the temple of the Lord, he had a mind to burn incense upon the altar of incense.
17 যাজক অসরিয় ও সদাপ্রভুর আরও আশি জন সাহসী যাজক তাঁকে অনুসরণ করলেন।
And immediately Azarias the priest going in after him, and with him fourscore priests of the Lord, most valiant men,
18 তারা রাজা ঊষিয়কে বাধা দিয়ে বললেন, “হে উষিয়, সদাপ্রভুর কাছে ধূপ পোড়ানোর আপনার কোনও অধিকার নেই। এই অধিকার আছে শুধু সেই যাজকদের, যারা হারোণের বংশধর ও তাদেরই আলাদা করে উৎসর্গ করা হয়েছে, যেন তারা ধূপ পোড়াতে পারে। পবিত্র এই পীঠস্থান থেকে আপনি বের হয়ে যান, কারণ আপনি অবিশ্বস্ত হয়েছেন; এবং সদাপ্রভু ঈশ্বর আপনাকে সম্মানিত করবেন না।”
Withstood the king and said: It doth not belong to thee, Ozias, to burn incense to the Lord, but to the priests, that is, to the sons of Aaron, who are consecrated for this ministry: go out of the sanctuary, do not despise: for this thing shall not be accounted to thy glory by the Lord God.
19 উষিয় রেগে গেলেন, তখন হাতে একটি ধুনুচি নিয়ে তিনি ধূপ পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের মধ্যে, ধূপবেদির সামনে যাজকদের উপস্থিতিতে তিনি যখন তাদের প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করছিলেন, তখনই তাঁর কপালে কুষ্ঠরোগ দেখা দিয়েছিল।
And Ozias was angry, and holding in his hand the censer to burn incense, threatened the priests. And presently there rose a leprosy in his forehead before the priests, in the house of the Lord at the altar of incense.
20 প্রধান যাজক অসরিয় ও অন্যান্য সব যাজক যখন তাঁর দিকে তাকিয়েছিলেন, তখন তারা দেখতে পেয়েছিলেন যে তাঁর কপালে কুষ্ঠরোগ দেখা দিয়েছে, তাই তাড়াতাড়ি করে তারা তাঁকে বাইরে নিয়ে গেলেন। বাস্তবিক, তিনি নিজেও বাইরে বেরিয়ে যেতে উদগ্রীব হলেন, কারণ সদাপ্রভুই তাঁকে যন্ত্রণায় কাতর করে তুলেছিলেন।
And Azarias the high priest, and all the rest of the priests looked upon him, and saw the leprosy in his forehead, and they made haste to thrust him out. Yea himself also being frightened, hasted to go out, because he had quickly felt the stroke of the Lord.
21 আমৃত্যু, রাজা উষিয় কুষ্ঠরোগী হয়েই ছিলেন। কুষ্ঠরোগাক্রান্ত হয়ে তিনি আলাদা একটি বাড়িতে বসবাস করলেন, এবং সদাপ্রভুর মন্দিরে তাঁর প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হল। তাঁর ছেলে যোথম প্রাসাদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং দেশের প্রজাদের শাসন করলেন।
And Ozias the king was a leper unto the day of his death, and he dwelt in a house apart being full of the leprosy, for which he had been cast out of the house of the Lord. And Joatham his son governed the king’s house, and judged the people of the land.
22 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উষিয়ের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা আমোষের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় লিখে রেখে গিয়েছেন।
But the rest of the acts of Ozias first and last were written by Isaias the son of Amos, the prophet.
23 উষিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাদেরই কাছাকাছি এমন এক কবরস্থানে কবর দেওয়া হল, যেটি রাজাদেরই ছিল, কারণ প্রজারা বলল, “তাঁর কুষ্ঠরোগ হয়েছিল।” তাঁর ছেলে যোথম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
And Ozias slept with his fathers, and they buried him in the field of the royal sepulchres, because he was a leper: and Joatham his son reigned in his stead.