< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 25 >

1 অমৎসিয় পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি উনত্রিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম যিহোয়দ্দন; তিনি জেরুশালেমে বসবাস করতেন।
Fem og tjuge år gamall var Amasja då han vart konge, og ni og tjuge år styrde han i Jerusalem. Mor hans heitte Joaddan og var ifrå Jerusalem.
2 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ভালো, অমৎসিয় তাই করলেন, তবে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে তা করেননি।
Han gjorde det som rett var i Herrens augo, endå det ikkje var med eit heilt hjarta.
3 রাজপাট তাঁর হাতের মুঠোয় আসার পর তিনি সেই কর্মকর্তাদের প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করে বধ করলেন, যারা তাঁর বাবা, অর্থাৎ রাজাকে হত্যা করেছিল।
Då han hadde vorte grunnfest i kongedømet, let han drepe dei hirdmennerne som hadde slege i hel kongen, far hans.
4 তবুও মোশির বিধানপুস্তকে লেখা সেই কথানুসারে, যেখানে সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছিলেন: “ছেলেমেয়েদের পাপের জন্য বাবা-মাকে কিংবা বাবা-মায়ের পাপের জন্য ছেলেমেয়েদের মেরে ফেলা যাবে না; প্রত্যেককেই তার নিজের পাপের জন্য মরতে হবে।” তিনি তাদের ছেলেমেয়েদের হত্যা করেননি।
Men borni deira let han ikkje drepa, men heldt seg til det som stend skrive i lovi i Moseboki, der Herren hev bode soleis: «Foreldri skal ikkje døy for det borni deira hev gjort, og borni ikkje for det foreldri hev gjort, men kvar og ein skal døy for si eigi synd.
5 অমৎসিয় যিহূদার প্রজাদের এক স্থানে সমবেত হওয়ার জন্য ডেকেছিলেন এবং যিহূদা ও বিন্যামীনের সব প্রজাকে, তাদের বংশানুসারে সহস্র-সেনাপতিদের ও শত-সেনাপতিদের অধীনে নিযুক্ত করে দিলেন। পরে তিনি কুড়ি বছর ও তার বেশি বয়সের বেশ কিছু লোক একত্রিত করলেন এবং দেখা গেল যে সামরিক পরিষেবা দেওয়ার উপযোগী, তথা বর্শা ও ঢাল ব্যবহার করতে সক্ষম 3,00,000 লোক আছে।
So stemnde Amasja Juda-mennerne saman og skipa deim etter ættgreinerne under tusund- og hundradhovdingarne for heile Juda og Benjamin; han mynstra deim ifrå tjugeårsalderen og uppetter, og på den måten fekk han det til tri hundrad tusund utvalde stridsføre hermenner som bar skjold og spjot.
6 এছাড়াও তিনি একশো তালন্ত রুপো দিয়ে ইস্রায়েল থেকে 1,00,000 যোদ্ধা ভাড়া করলেন।
Han leigde so hundrad tusund djerve stridsmenner i Israel for hundrad sylvtalent.
7 কিন্তু ঈশ্বরের একজন লোক তাঁর কাছে এসে বললেন, “হে মহারাজ, ইস্রায়েল থেকে আসা এই সৈন্যদল যেন আপনাদের সাথে যুদ্ধযাত্রা না করে, কারণ ইস্রায়েলের সাথে—ইফ্রয়িমের কোনও লোকের সাথেই সদাপ্রভু থাকেন না।
Men gudsmannen kom til honom og sagde: «Israels-heren må ikkje draga med deg, konge, for Herren er ikkje med Israel, ikkje med nokon av alle Efraims-borni.
8 আপনারা যদিও নির্ভয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে যুদ্ধ করবেন, ঈশ্বর কিন্তু শত্রুদের সামনে আপনাদের পরাজিত করবেন, কারণ সাহায্য করার বা পরাজিত করার ক্ষমতা ঈশ্বর রাখেন।”
Men drag du av stad, gjer det, ver hugheil til striden! Elles vil Gud føra deg til fall for fienden, for Gud hev kraft til å hjelpa og til å fella.»
9 অমৎসিয় ঈশ্বরের সেই লোককে জিজ্ঞাসা করলেন, “তবে যে একশো তালন্ত আমি এই ইস্রায়েলী সৈন্যদলকে দিয়েছি, তার কী হবে?” ঈশ্বরের লোক উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভু আপনাকে এর চেয়েও অনেক বেশি দিতে পারেন।”
Amasja spurde gudsmannen: «Men kva vert det då av dei hundrad sylvtalenti som eg hev gjeve til flokken ifrå Israel?» Men gudsmannen svara: «Herren er god til å gjeva deg meir enn det.»
10 অতএব ইফ্রয়িম থেকে তাঁর কাছে আসা সৈন্যদলকে তিনি বরখাস্ত করে ঘরে পাঠিয়ে দিলেন। তারা যিহূদার উপর খুব রেগে গেল এবং ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে তারা ঘরে ফিরে গেল।
Då skilde Amasja ut den flokken som hadde kome til honom ifrå Efraim, og let dei fara heim. Men yver dette vart dei brennende harme på Juda og snudde heim i storsinne.
11 অমৎসিয় পরে তাঁর শক্তি গুছিয়ে নিয়ে লবণ উপত্যকার দিকে তাঁর সৈন্যদল পরিচালনা করলেন। সেখানে তিনি সেয়ীরের দশ হাজার লোককে হত্যা করলেন।
Amasja tok mod til seg og førde herfolket sitt til Saltdalen, og der hogg han ned ti tusund utav Se’irs-borni.
12 এছাড়াও যিহূদার সৈন্যদল 10,000 লোককে জীবন্ত অবস্থায় ধরে, তাদের একটি খাড়া উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে এমনভাবে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল, যে তারা সবাই চুরমার হয়ে গেল।
Dessutan tok Juda-mennerne ti tusund krigsfanger og førde deim upp på ein bergtopp og støytte deim ned derifrå, so dei vart knasa alle saman.
13 এই ফাঁকে, যে সৈন্যদলকে অমৎসিয় ফেরত পাঠিয়ে দিলেন ও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেননি, তারা শমরিয়া থেকে শুরু করে বেথ-হোরোণ পর্যন্ত যিহূদার নগরগুলিতে হানা দিয়েছিল। তারা 3,000 লোককে হত্যা করল এবং প্রচুর পরিমাণ লুটসামগ্রী তুলে নিয়ে গেল।
Men folket av den flokken som Amasja hadde sendt heim, so dei ikkje drog i krigen med honom, dei gjorde innfall i Juda-byarne ifrå Samaria til Bet-Horon, hogg ned tri tusund menneskje og gjorde stort herfang.
14 ইদোমীয়দের উপর হত্যালীলা চালিয়ে ফিরে আসার সময় অমৎসিয় সেয়ীরের লোকজনের আরাধ্য দেবতাদের মূর্তিগুলিও ফিরিয়ে এনেছিলেন। তিনি সেগুলিকে তাঁর নিজের দেবতা করে নিয়ে সেগুলি প্রতিষ্ঠা করলেন, সেগুলির পুজো করলেন ও সেগুলির কাছে ধূপধুনোও জ্বালিয়েছিলেন।
Då Amasja var komen att ifrå sigeren yver edomitarne, tok han med seg gudarne åt Se’irs-borni og stelte deim upp til guder åt seg; han kasta seg ned for deim og kveikte offereld for deim.
15 সদাপ্রভুর ক্রোধ অমৎসিয়ের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছিল, এবং তিনি তাঁর কাছে একজন ভাববাদী পাঠিয়ে দিলেন, যিনি বললেন, “এইসব লোকের যে দেবতারা আপনার হাত থেকে তাদের নিজেদের লোকদেরই বাঁচাতে পারেনি, আপনি তাদের কাছে কেন পরামর্শ চাইছেন?”
Då vart Herren brennande harm på Amasja, og han sende ein profet imot honom, som sagde til honom: «Kvifor held du deg til gudarne åt dette folket, dei som ikkje hev fria ut sitt eige folk or di hand?»
16 ভাববাদীর কথা শেষ হওয়ার আগেই রাজা তাঁকে বলে ফেলেছিলেন, “রাজার পরামর্শদাতারূপে আমরা কি তোমাকে নিযুক্ত করেছি? থামো! কেন মার খাবে?” অতএব সেই ভাববাদী থেমেছিলেন কিন্তু বলেওছিলেন, “আমি জানি, যেহেতু আপনি এ কাজটি করেছেন এবং আমার পরামর্শে কান দেননি, তাই ঈশ্বর আপনাকে বধ করার বিষয়ে মনস্থির করেই ফেলেছেন।”
Men då han tala soleis til honom, sagde han til honom: «Hev me gjort deg til rådgjevar for kongen? Haldt upp, so dei ikkje skal slå deg i hel!» Då heldt profeten upp og sagde: «Eg veit det er Guds råd at han vil ødeleggja deg, av di du hev gjort dette og ikkje høyrt på mi råd.»
17 যিহূদার রাজা অমৎসিয় তাঁর পরামর্শদাতাদের সাথে শলাপরামর্শ করার পর যেহূর নাতি ও যিহোয়াহসের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশের কাছে এই খবর দিয়ে পাঠালেন: “আসুন, যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের মুখোমুখি হই।”
Juda-kongen Amasja heldt råd, og so sende han bod til Israels-kongen Joas, son åt Joahaz, son åt Jehu, og sagde: «Kom, lat oss røyna kvarandre!»
18 কিন্তু ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ যিহূদার রাজা অমৎসিয়কে উত্তর দিলেন: “লেবাননের শিয়ালকাঁটা লেবাননেরই এক দেবদারু গাছকে খবর দিয়ে পাঠিয়েছিল, ‘তুমি তোমার মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দাও।’ পরে লেবাননের বুনো এক জন্তু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ের তলায় পিষে দিয়েছিল।
Men Israels-kongen Joas sende dette svaret til Juda-kongen Amasja: «Tistelen på Libanon sende bod til cederen på Libanon og sagde: «Gjev dotter di til kona åt son min!» Men då flaug villdyri på Libanon yver tistelen og trakka honom ned.
19 আপনি মনে মনে বলেছেন যে আপনি ইদোমকে পরাজিত করেছেন, আর এখন আপনি গর্বিতমনা ও অহংকারী হয়ে গিয়েছেন। তবে ঘরে বসে থাকুন! কেন মিছিমিছি নিজের ও সাথে সাথে যিহূদারও বিপদ ও পতন ডেকে আনতে চাইছেন?”
Du tenkjer: Eg hev vunne siger yver Edom!» Og det hev gjort deg ovmodig; vert roleg heime! Kvifor vil du leika med ulukka, til fall for deg sjølv og for Juda?»
20 অমৎসিয় অবশ্য সেকথা শুনতে চাননি, কারণ ঈশ্বর এমনভাবে কাজ করলেন, যেন তিনি তাদের যিহোয়াশের হাতে সঁপে দিতে পারেন, যেহেতু তারা ইদোমের দেবতাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল।
Men Amasja vilde ikkje høyra; for Gud laga det soleis, av di han vilde gjeva deim i fiendehand for di dei hadde søkt Edom-gudarne.
21 অতএব ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ তাদের আক্রমণ করলেন। যিহূদা দেশের বেত-শেমশে তিনি ও যিহূদার রাজা অমৎসিয় পরস্পরের মুখোমুখি হলেন।
Då for Joas, Israels-kongen, upp, og dei fekk røyna kvarandre, han og Amasja, Juda-kongen, ved Bet-Semes, som ligg i Juda.
22 ইস্রায়েলের হাতে যিহূদা পর্যুদস্ত হল এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের ঘরে পালিয়ে গেল।
Og Juda-folket tapte for Israels-folket og rømde, kvar til sitt.
23 ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ বেত-শেমশে অহসিয়ের নাতি ও যোয়াশের ছেলে যিহূদার রাজা অমৎসিয়কে বন্দি করলেন। পরে যিহোয়াশ তাঁকে জেরুশালেমে নিয়ে এলেন এবং ইফ্রয়িম-দ্বার থেকে কোণের দ্বার পর্যন্ত—প্রায় 180 মিটার লম্বা জেরুশালেমের প্রাচীর ভেঙে দিলেন।
Joas, Israels-kongen, tok Amasja, Juda-kongen, son åt Joas, son åt Joahaz, til fange ved Bet-Semes og førde honom til Jerusalem. Deretter reiv han ned eit stykke av muren kring Jerusalem frå Efraimsporten til Hyrneporten, so mykje som fire hundrad alner.
24 ওবেদ-ইদোমের তত্ত্বাবধানে থাকা ঈশ্বরের মন্দিরের সব সোনারুপো ও সব জিনিসপত্র এবং সেগুলির সাথে সাথে প্রাসাদের ধনসম্পত্তিও হাতিয়ে নিয়ে এবং কয়েকজনকে পণবন্দি করে তিনি শমরিয়ায় ফিরে গেলেন।
Og han tok alt gullet og sylvet og alle dei kjerald som fanst i Guds hus hjå Obed-Edom og i skattkamri i kongsgarden, og gislarne, og so snudde han heim att til Samaria.
25 যিহোয়াহসের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশের মৃত্যুর পর যোয়াশের ছেলে যিহূদার রাজা অমৎসিয় আরও পনেরো বছর বেঁচেছিলেন।
Juda-kongen Amasja Joasson livde femtan år etter Israels-kongen Joas Joahazson var dåen.
26 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অমৎসিয়ের রাজত্বকালের সব ঘটনা কি যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের পুস্তকে লেখা নেই?
Det som elles er å fortelja um Amasja frå fyrst til sist, det er uppskrive i Judas og Israels kongebok.
27 যখন থেকে অমৎসিয় সদাপ্রভুর পথে চলা বন্ধ করে দিলেন, তখন থেকেই লোকেরা জেরুশালেমে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে শামিল হতে শুরু করল, এবং তিনি লাখীশে পালিয়ে গেলেন, কিন্তু তারা লাখীশে লোক পাঠিয়ে সেখানেই তাঁকে হত্যা করিয়েছিল।
Men frå den tid då Amasja sveik Herren, skipa dei ei samansverjing imot honom i Jerusalem, og då han rømde til Lakis, sende dei folk etter honom dit, og dei drap honom der.
28 তাঁর মৃতদেহ ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে ফিরিয়ে আনা হল এবং যিহূদা-নগরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথেই তাঁকে কবর দেওয়া হল।
Dei lyfte honom upp på hesteryggen og gravlagde honom hjå federne i Judabyen.

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 25 >