< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 22 >

1 যেহেতু আরবীয়দের সাথে যে আক্রমণকারীরা সৈন্যশিবিরে এসেছিল, তারা যিহোরামের সব বড়ো ছেলেদের হত্যা করল, তাই জেরুশালেমের লোকজন যিহোরামের ছোটো ছেলে অহসিয়কে রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করল। কাজেই যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
পরে যিরূশালেমের অধিবাসীরা তাঁর ছোট ছেলে অহসিয়কে তাঁর জায়গায় রাজা করল, কারণ আরবীয়দের সঙ্গে শিবিরে যে দল এসেছিল, তারা তাঁর সব বড় ছেলেদের মেরে ফেলেছিল। কাজেই যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় রাজত্ব করতে শুরু করেন।
2 অহসিয় বাইশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি এক বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অথলিয়া, তিনি অম্রির নাতনি ছিলেন।
অহসিয় বিয়াল্লিশ বছর বয়সে রাজত্ব শুরু করেছিলেন এবং এক বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন; তাঁর মা অথলিয়া ছিলেন অম্রির নাতনী।
3 অহসিয়ও আহাব বংশের পথেই চলতেন, কারণ তাঁর মা তাঁকে মন্দ কাজ করতে উৎসাহ দিতেন।
অহসিয়ের মা তাঁকে খারাপ কাজ করবার জন্য পরামর্শ দিতেন, তাই তিনিও আহাবের বংশের পথে চলতেন।
4 তিনিও আহাব বংশের মতো সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করতেন, কারণ তাঁর বাবার মৃত্যুর পর, তাঁর বিনাশার্থে তারাই তাঁর পরামর্শদাতা হল।
আহাবের বংশের লোকেরা যেমন করত, তেমনি সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ, তিনি তাই করতেন; কারণ বাবার মৃত্যুর পরে তারাই তাঁর ধ্বংসকারী মন্ত্রী হল।
5 রামোৎ-গিলিয়দে অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রায় ইস্রায়েলের রাজা আহাবের ছেলে যোরামের সঙ্গ দেওয়ার সময়েও তিনি তাদের পরামর্শ মতোই কাজ করলেন। অরামীয়রা যোরামকে ক্ষতবিক্ষত করল;
তাদের পরামর্শ অনুসারে তিনি চলতেন, আর তিনি ইস্রায়েলের রাজা আহাবের ছেলে যিহোরামের সঙ্গে রামোৎ-গিলিয়দে অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন। তাতে অরামীয়েরা যোরামকে আঘাত করল।
6 তাই রামোৎ-এ অরামের রাজা হসায়েলের সাথে যুদ্ধ করার সময় তারা তাঁকে যে আঘাত করেছিল, সেই যন্ত্রণার ক্ষত সারিয়ে তোলার জন্য তিনি যিষ্রিয়েলে ফিরে এলেন। পরে যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় আহাবের ছেলে যোরামকে দেখতে যিষ্রিয়েলে নেমে গেলেন, কারণ তিনি আহত অবস্থায় পড়েছিলেন।
অতএব অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দিনের যিহোরাম রামাতে যে সব আঘাত পান, তা থেকে সুস্থ হবার জন্য যিষ্রিয়েলে ফিরে গেলেন এবং আহাবের ছেলে যিহোরাম আঘাত পেয়েছিলেন বলে যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় তাঁকে দেখবার জন্য যিষ্রিয়েলে নেমে গেলেন।
7 অহসিয় যোরামকে দেখতে গেলেন বলেই ঈশ্বর অহসিয়ের পতন ঘটিয়েছিলেন। অহসিয় সেখানে পৌঁছানোর পর, তিনি যোরামকে সাথে নিয়ে নিমশির ছেলে সেই যেহূর সাথে দেখা করতে গেলেন, যাঁকে সদাপ্রভু আহাবের বংশ ধ্বংস করার জন্য অভিষিক্ত করে রেখেছিলেন।
কিন্তু যোরামের কাছে আসার জন্য ঈশ্বরের থেকে অহসিয়ের পতন ঘটল; কারণ তিনি যখন আসলেন, তখন যিহোরামের সঙ্গে নিমশির ছেলে সেই যেহূর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন, যাঁকে ঈশ্বর আহাবের বংশকে ধ্বংস করবার জন্য অভিষেক করেছিলেন।
8 যেহূ যখন আহাবের বংশকে দণ্ড দিচ্ছিলেন, তখন তিনি যিহূদার কয়েকজন কর্মকর্তাকে ও অহসিয়ের আত্মীয়স্বজনের ছেলেদের মধ্যে এমন কয়েকজনকে দেখতে পেয়েছিলেন, যারা অহসিয়ের সেবা করছিল, আর তিনি তাদের হত্যা করলেন।
পরে যেহূ যখন আহাবের বংশের লোকদের শাস্তি দিচ্ছিলেন, তখন তিনি যিহূদার শাসনকর্ত্তাদের ও অহসিয়ের সাহায্যকারী তাঁর সব ভাইয়ের ছেলেদেরকে পেয়ে মেরে ফেললেন।
9 পরে যেহূ অহসিয়ের খোঁজে বের হলেন, এবং যখন তিনি শমরিয়ায় লুকিয়ে বসেছিলেন, তখন যেহূর লোকজন তাঁকে ধরে ফেলেছিল। তাঁকে যেহূর কাছে নিয়ে এসে হত্যা করা হল। তারা তাঁকে কবর দিয়েছিল, কারণ তারা বলল, “ইনি সেই যিহোশাফটের এক সন্তান, যিনি মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে সদাপ্রভুর অন্বেষণ করলেন।” অতএব অহসিয়ের বংশে এমন শক্তিশালী আর কেউ ছিল না, যে রাজত্ব পুনরুদ্ধার করতে পারত।
তারপর তিনি অহসিয়ের খোঁজ করলেন; সেই দিনের অহসিয় শমরিয়াতে লুকিয়ে ছিলেন; আর লোকেরা তাঁকে ধরে যেহূর কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মেরে ফেলল এবং তারা তাঁকে কবর দিল, কারণ তারা বলল, “যে যিহোশাফটের নাতি যিনি সমস্ত হৃদয় দিয়ে সদাপ্রভুর খোঁজ করতেন এ তারই সন্তান।” আর অহসিয়ের বংশের মধ্যে রাজত্ব গ্রহণ করতে ক্ষমতা কারও ছিল না।
10 অহসিয়ের মা অথলিয়া যখন দেখেছিলেন যে তাঁর ছেলে মারা গিয়েছেন, তখন তিনি যিহূদা বংশের গোটা রাজপরিবার ধ্বংস করার জন্য সচেষ্ট হলেন।
১০ইতিমধ্যে অহসিয়ের মা অথলিয়া যখন দেখল যে, তার ছেলে মারা গেছে, তখন সে উঠে যিহূদার বংশের সমস্ত রাজার ছেলেদের হত্যা করল।
11 কিন্তু রাজা যিহোরামের মেয়ে যিহোশেবা অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে চুরি করে নিয়ে গিয়ে তাকে সেইসব রাজপুত্রের মধ্যে থেকে আলাদা করে রেখেছিলেন, যারা নিহত হতে যাচ্ছিল। যিহোশেবা যোয়াশকে ও তাঁর ধাইমাকে শোবার ঘরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। যেহেতু রাজা যিহোরামের মেয়ে ও যাজক যিহোয়াদার স্ত্রী যিহোশেবা, অহসিয়ের বোন ছিলেন, তাই তিনি শিশুটিকে অথলিয়ার নাগাল এড়িয়ে লুকিয়ে রেখেছিলেন, যেন অথলিয়া তাকে হত্যা করতে না পারেন।
১১কিন্তু রাজকন্যা যিহোশাবৎ অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে মারা যাওয়া রাজপুত্রদের মধ্য থেকে চুরি করে, তাঁর ধাইমার সঙ্গে একটা শোবার ঘরে রাখলেন; এই ভাবে যিহোয়াদা যাজকের স্ত্রী, রাজা যিহোরামের মেয়ে এবং অহসিয়ের বোন অথলিয়ার কাছ থেকে তাকে লুকিয়ে রাখলেন, তাই সে তাঁকে হত্যা করতে পারল না।
12 একদিকে অথলিয়া যখন দেশ শাসন করছিলেন, তখন যোয়াশকে ঈশ্বরের মন্দিরে ছয় বছর তাদের সাথেই লুকিয়ে রাখা হল।
১২আর যোয়াশ তাঁদের সঙ্গে ঈশ্বরের গৃহে ছয় বছর লুকিয়ে থাকলেন; তখন অথলিয়া দেশের উপর রাজত্ব করছিল।

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 22 >