< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 20 >
1 পরে, মোয়াবীয় ও অম্মোনীয়রা কয়েকজন মায়োনীয়কে সাথে নিয়ে যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিল।
After this, the children of Moab, the children of Ammon, and with them some of the Ammonites, came against Jehoshaphat to battle.
2 কিছু লোকজন এসে যিহোশাফটকে বলল, “ইদোম থেকে, মরুসাগরের ওপার থেকে বিশাল এক সৈন্যদল আপনার দিকে এগিয়ে আসছে। তারা ইতিমধ্যেই হৎসসোন-তামরে (অর্থাৎ ঐন-গদীতে) পৌঁছে গিয়েছে।”
Then some came who told Jehoshaphat, saying, “A great multitude is coming against you from beyond the sea from Syria. Behold, they are in Hazazon Tamar” (that is, En Gedi).
3 এই সতর্কবার্তা পেয়ে যিহোশাফট সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছিলেন, এবং তিনি সমগ্র যিহূদা দেশে উপবাস ঘোষণা করে দিলেন।
Jehoshaphat was alarmed, and set himself to seek the LORD. He proclaimed a fast throughout all Judah.
4 যিহূদার প্রজারা সদাপ্রভুর কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য এক স্থানে একত্রিত হল; বাস্তবিকই তাঁর খোঁজে তারা যিহূদার প্রত্যেকটি নগর থেকে চলে এসেছিল।
Judah gathered themselves together to seek help from the LORD. They came out of all the cities of Judah to seek the LORD.
5 তখন যিহোশাফট সদাপ্রভুর মন্দিরে, নতুন উঠোনের সামনে যিহূদা ও জেরুশালেমের সমবেত জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে
Jehoshaphat stood in the assembly of Judah and Jerusalem, in the LORD’s house, before the new court;
6 বললেন: “হে আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কি স্বর্গে বিরাজমান ঈশ্বর নও? তুমিই তো জাতিদের সব রাজ্য শাসন করে থাকো। বল ও শক্তি তো তোমারই হাতে আছে, আর কেউ তোমাকে বাধাও দিতে পারে না।
and he said, “LORD, the God of our fathers, aren’t you God in heaven? Aren’t you ruler over all the kingdoms of the nations? Power and might are in your hand, so that no one is able to withstand you.
7 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমিই কি তোমার প্রজা ইস্রায়েলের সামনে থেকে এই দেশের অধিবাসীদের দূর করে দাওনি এবং এই দেশটি তোমার বন্ধু অব্রাহামের বংশধরদের হাতে চিরকালের জন্য তুলে দাওনি?
Didn’t you, our God, drive out the inhabitants of this land before your people Israel, and give it to the offspring of Abraham your friend forever?
8 তারা এখানে বসবাস করেছে এবং এই বলে এখানে এক পবিত্র পীঠস্থান তৈরি করেছে,
They lived in it, and have built you a sanctuary in it for your name, saying,
9 ‘যদি বিপর্যয় আমাদের উপর এসেও পড়ে, তা সে বিচারের তরোয়াল, বা মহামারি বা দুর্ভিক্ষ, যাই হোক না কেন, আমরা তোমার উপস্থিতিতে এই মন্দিরটির সামনে এসে দাঁড়াব, যা তোমার নাম বহন করে চলেছে এবং আমাদের দুর্দশায় আমরা তোমারই কাছে কাঁদব, ও তুমি আমাদের কান্না শুনে আমাদের বাঁচাবে।’
‘If evil comes on us—the sword, judgement, pestilence, or famine—we will stand before this house, and before you (for your name is in this house), and cry to you in our affliction, and you will hear and save.’
10 “কিন্তু এখন এখানে অম্মোন, মোয়াব ও সেয়ীর পর্বত থেকে সেইসব লোকজন এসে পড়েছে, যাদের এলাকায় তুমি ইস্রায়েলকে তখন সশস্ত্র আক্রমণ চালাতে দাওনি, যখন তারা মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিল; তাই ইস্রায়েলীরা তাদের কাছ থেকে ফিরে গেল ও তাদের ধ্বংসও করেননি।
Now, behold, the children of Ammon and Moab and Mount Seir, whom you would not let Israel invade when they came out of the land of Egypt, but they turned away from them, and didn’t destroy them;
11 তুমি দেখো, এক উত্তরাধিকাররূপে তুমি আমাদের যে স্বত্ত্বাধিকার দিয়েছ, তা থেকে আমাদের তাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কীভাবে তারা আমাদের প্রতিদান দিচ্ছে।
behold, how they reward us, to come to cast us out of your possession, which you have given us to inherit.
12 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি কি তাদের বিচার করবে না? কারণ এই যে বিশাল সৈন্যদল আমাদের আক্রমণ করতে আসছে, তাদের সম্মুখীন হওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। কী করব, তা আমরা জানি না, কিন্তু আমাদের চোখ তোমার উপরেই আছে।”
Our God, will you not judge them? For we have no might against this great company that comes against us. We don’t know what to do, but our eyes are on you.”
13 যিহূদার সব লোকজন তাদের স্ত্রী, সন্তান ও ছোটো ছোটো শিশুদের সাথে নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
All Judah stood before the LORD, with their little ones, their wives, and their children.
14 সখরিয়ের ছেলে যহসীয়েল যখন জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন সদাপ্রভুর আত্মা তাঁর উপর নেমে এলেন। তিনি একজন লেবীয় ও আসফের এক বংশধর ছিলেন। সখরিয় বনায়ের ছেলে, বনায় যিয়েলের ছেলে, যিয়েল মত্তনিয়ের ছেলে ছিলেন।
Then the LORD’s Spirit came on Jahaziel the son of Zechariah, the son of Benaiah, the son of Jeiel, the son of Mattaniah, the Levite, of the sons of Asaph, in the middle of the assembly;
15 তিনি বললেন: “হে রাজা যিহোশাফট এবং যিহূদা ও জেরুশালেমে বসবাসকারী সব লোকজন, আপনারা শুনুন! সদাপ্রভু আপনাদের একথা বলছেন: ‘এই বিশাল সৈন্যদল দেখে ভয় পেয়ো না বা নিরাশ হোয়ো না।
and he said, “Listen, all Judah, and you inhabitants of Jerusalem, and you, King Jehoshaphat. The LORD says to you, ‘Don’t be afraid, and don’t be dismayed because of this great multitude; for the battle is not yours, but God’s.
16 আগামীকাল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করো। তারা সীস গিরিখাতের পথ বেয়ে উপরে উঠতে থাকবে, এবং তোমরা যিরূয়েল মরুভূমিতে গিরিখাতের শেষ প্রান্তে তাদের খুঁজে পাবে।
Tomorrow, go down against them. Behold, they are coming up by the ascent of Ziz. You will find them at the end of the valley, before the wilderness of Jeruel.
17 এই যুদ্ধটি তোমাদের করতে হবে না। তোমরা শুধু শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকো; হে যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকজন, শক্ত হয়ে দাঁড়াও ও দেখো, সদাপ্রভু কেমনভাবে তোমাদের উদ্ধার করছেন। তোমরা ভয় পোয়ো না; নিরাশও হোয়ো না। আগামীকাল তাদের সম্মুখীন হতে যেয়ো, এবং সদাপ্রভু তোমাদের সাথে থাকবেন।’”
You will not need to fight this battle. Set yourselves, stand still, and see the salvation of the LORD with you, O Judah and Jerusalem. Don’t be afraid, nor be dismayed. Go out against them tomorrow, for the LORD is with you.’”
18 যিহোশাফট মাটিতে উবুড় হয়ে প্রণাম করলেন, এবং যিহূদা ও জেরুশালেমের সব লোকজনও সদাপ্রভুর আরাধনা করার জন্য মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল।
Jehoshaphat bowed his head with his face to the ground; and all Judah and the inhabitants of Jerusalem fell down before the LORD, worshipping the LORD.
19 পরে কহাতীয় ও কোরহীয়দের মধ্যে কয়েকজন লেবীয় উঠে দাঁড়িয়েছিল ও জোর গলায় ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করল।
The Levites, of the children of the Kohathites and of the children of the Korahites, stood up to praise the LORD, the God of Israel, with an exceedingly loud voice.
20 ভোরবেলায় তারা তকোয় মরুভূমির দিকে রওনা হয়ে গেল। তারা রওনা হতে যাচ্ছিল, এমন সময় যিহোশাফট উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “হে যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকেরা, তোমরা আমার কথা শোনো! তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর বিশ্বাস রাখো আর তিনি তোমাদের তুলে ধরবেন; তাঁর ভাববাদীদের উপর বিশ্বাস রাখো আর তোমরা সফল হবে।”
They rose early in the morning and went out into the wilderness of Tekoa. As they went out, Jehoshaphat stood and said, “Listen to me, Judah and you inhabitants of Jerusalem! Believe in the LORD your God, so you will be established! Believe his prophets, so you will prosper.”
21 প্রজাদের সাথে পরামর্শ করে সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান গাওয়ার ও তাঁর পবিত্রতার সমারোহের জন্য প্রশংসা করার লক্ষ্যে যিহোশাফট সেই সময়, বিশেষ করে যখন তারা সৈন্যদলের আগে আগে যাচ্ছিল, তখন কয়েকজন লোক নিযুক্ত করলেন। তারা বলছিল: “সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করো, কারণ তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী।”
When he had taken counsel with the people, he appointed those who were to sing to the LORD and give praise in holy array as they go out before the army, and say, “Give thanks to the LORD, for his loving kindness endures forever.”
22 যেই তারা গান গাইতে ও প্রশংসা করতে শুরু করল, অম্মোন, মোয়াব ও সেয়ীর পাহাড়ের সেই লোকজনের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে দিলেন, যারা যিহূদা দেশে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছিল, এবং তারা পরাজিত হল।
When they began to sing and to praise, the LORD set ambushers against the children of Ammon, Moab, and Mount Seir, who had come against Judah; and they were struck.
23 অম্মোনীয় ও মোয়াবীয়েরা সেয়ীর পাহাড়ের লোকজনের বিরুদ্ধে খাড়া হয়ে তাদের ধ্বংস ও নির্মূল করে দিতে চেয়েছিল। সেয়ীরের লোকজনকে কচুকাটা করার পর, তারা একে অপরকেও ধ্বংস করে ফেলেছিল।
For the children of Ammon and Moab stood up against the inhabitants of Mount Seir to utterly kill and destroy them. When they had finished the inhabitants of Seir, everyone helped to destroy each other.
24 যিহূদার লোকজন যখন সেই উঁচু স্থানটিতে এসেছিল, যেখান থেকে নিচে মরুভূমির দৃশ্য দেখা যায়, এবং তারা যখন বিশাল সেই সৈন্যদলের দিকে তাকিয়েছিল, তারা দেখতে পেয়েছিল, মাটিতে শুধু মৃতদেহই পড়ে আছে; কেউ পালাতে পারেনি।
When Judah came to the place overlooking the wilderness, they looked at the multitude; and behold, they were dead bodies fallen to the earth, and there were none who escaped.
25 তাই যিহোশাফট ও তাঁর লোকজন লুটসামগ্রী সংগ্রহ করার জন্য সেখানে গেলেন, সেগুলির মাঝখানে তারা প্রচুর সাজসরঞ্জাম ও পোশাক-পরিচ্ছদ এবং মূল্যবান জিনিসপত্রও খুঁজে পেয়েছিলেন—সেগুলির পরিমাণ এত বেশি ছিল যে তারা সেগুলি বয়ে আনতে পারেননি। সেখানে এত লুটসামগ্রী ছিল যে সেগুলি সংগ্রহ করতে তাদের তিন দিন লেগে গেল।
When Jehoshaphat and his people came to take their plunder, they found amongst them in abundance both riches and dead bodies with precious jewels, which they stripped off for themselves, more than they could carry away. They took plunder for three days, it was so much.
26 চতুর্থ দিনে তারা সেই বরাখা উপত্যকায় একত্রিত হলেন, যেখানে তারা সদাপ্রভুর প্রশংসা করলেন। সেইজন্য আজও পর্যন্ত সেই স্থানটিকে বরাখা উপত্যকা বলে ডাকা হয়।
On the fourth day, they assembled themselves in Beracah Valley, for there they blessed the LORD. Therefore the name of that place was called “Beracah Valley” to this day.
27 পরে, যিহোশাফটের নেতৃত্বে, যিহূদা ও জেরুশালেমের সব লোকজন আনন্দ করতে করতে জেরুশালেমে ফিরে গেল, যেহেতু তাদের শত্রুদের বিষয়ে আনন্দিত হওয়ার সংগত কারণ সদাপ্রভু তাদের জোগালেন।
Then they returned, every man of Judah and Jerusalem, with Jehoshaphat in front of them, to go again to Jerusalem with joy; for the LORD had made them to rejoice over their enemies.
28 তারা জেরুশালেমে প্রবেশ করলেন এবং বীণা, খঞ্জনি ও শিঙা নিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরে গেলেন।
They came to Jerusalem with stringed instruments, harps, and shofars to the LORD’s house.
29 সদাপ্রভু কীভাবে ইস্রায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, ইস্রায়েলের চারপাশে অবস্থিত অন্যান্য রাজ্যের সব লোকজন যখন তা শুনতে পেয়েছিল, তখন তাদের উপর ঈশ্বরভয় নেমে এসেছিল।
The fear of God was on all the kingdoms of the countries when they heard that the LORD fought against the enemies of Israel.
30 যিহোশাফটের রাজ্যে অবশ্য শান্তি বিরাজ করছিল, কারণ সবদিক থেকেই তাঁর ঈশ্বর তাঁকে বিশ্রাম দিলেন।
So the realm of Jehoshaphat was quiet, for his God gave him rest all around.
31 এইভাবে যিহোশাফট যিহূদা দেশে রাজত্ব করে গেলেন। তিনি পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে যিহূদার রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঁচিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অসূবা, যিনি শিলহির মেয়ে ছিলেন।
So Jehoshaphat reigned over Judah. He was thirty-five years old when he began to reign. He reigned twenty-five years in Jerusalem. His mother’s name was Azubah the daughter of Shilhi.
32 যিহোশাফট তাঁর বাবা আসার পথেই চলতেন এবং সেখান থেকে কখনও সরে যাননি; সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তিনি তাই করতেন।
He walked in the way of Asa his father, and didn’t turn away from it, doing that which was right in the LORD’s eyes.
33 পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি অবশ্য দূর করা হয়নি, এবং প্রজারা তখনও তাদের অন্তর, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরে পুরোপুরি স্থির করেননি।
However the high places were not taken away, and the people had still not set their hearts on the God of their fathers.
34 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, যিহোশাফটের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা ইস্রায়েলের রাজাদের গ্রন্থের অন্তর্গত হনানির ছেলে যেহূর ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে।
Now the rest of the acts of Jehoshaphat, first and last, behold, they are written in the history of Jehu the son of Hanani, which is included in the book of the kings of Israel.
35 পরে, যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজা সেই অহসিয়ের সাথে জোট গড়ে তুলেছিলেন, যিনি অন্যায় পথে চলতেন।
After this, Jehoshaphat king of Judah joined himself with Ahaziah king of Israel. The same did very wickedly.
36 তর্শীশে বাণিজ্যতরির নৌবহর গড়ে তোলার বিষয়ে যিহোশাফট তাঁর কথায় রাজি হলেন। ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর,
He joined himself with him to make ships to go to Tarshish. They made the ships in Ezion Geber.
37 মারেশার অধিবাসী দোদাবাহূর ছেলে ইলীয়েষর যিহোশাফটের বিরুদ্ধে ভাববাণী করলেন। তিনি বললেন, “যেহেতু আপনি অহসিয়ের সাথে জোট গড়ে তুলেছেন, তাই আপনি যা তৈরি করেছেন, সদাপ্রভু তা ধ্বংস করে দেবেন।” সামুদ্রিক ঝড়ে জাহাজগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হল এবং ব্যবসাবাণিজ্য করার জন্য তর্শীশের উদ্দেশে রওনা হতেও পারেনি।
Then Eliezer the son of Dodavahu of Mareshah prophesied against Jehoshaphat, saying, “Because you have joined yourself with Ahaziah, the LORD has destroyed your works.” The ships were wrecked, so that they were not able to go to Tarshish.