< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 20 >

1 পরে, মোয়াবীয় ও অম্মোনীয়রা কয়েকজন মায়োনীয়কে সাথে নিয়ে যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিল।
পরে মোয়াবী ও অম্মোনীয়েরা এবং তাদের সঙ্গে কতগুলি মায়োনীয়দের লোক যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসল।
2 কিছু লোকজন এসে যিহোশাফটকে বলল, “ইদোম থেকে, মরুসাগরের ওপার থেকে বিশাল এক সৈন্যদল আপনার দিকে এগিয়ে আসছে। তারা ইতিমধ্যেই হৎসসোন-তামরে (অর্থাৎ ঐন-গদীতে) পৌঁছে গিয়েছে।”
তখন কয়েকজন লোক এসে যিহোশাফটকে বলল, “সাগরের ওপারের অরাম দেশ থেকে এক বিরাট সৈন্যদল আপনার বিরুদ্ধে আসছে; দেখুন, তারা হৎসসোন-তামরে, অর্থাৎ ঐন্‌-গদীতে আছে।”
3 এই সতর্কবার্তা পেয়ে যিহোশাফট সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছিলেন, এবং তিনি সমগ্র যিহূদা দেশে উপবাস ঘোষণা করে দিলেন।
তাতে যিহোশাফট ভয় পেয়ে সদাপ্রভুর খোঁজ করতে চাইলেন এবং যিহূদার সব জায়গায় উপবাস ঘোষণা করলেন।
4 যিহূদার প্রজারা সদাপ্রভুর কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য এক স্থানে একত্রিত হল; বাস্তবিকই তাঁর খোঁজে তারা যিহূদার প্রত্যেকটি নগর থেকে চলে এসেছিল।
আর যিহূদার লোকেরা সদাপ্রভুর কাছে সাহায্য চাইবার জন্য জড়ো হল; যিহূদার সমস্ত নগর থেকেও লোকেরা সদাপ্রভুর খোঁজ করতে আসল।
5 তখন যিহোশাফট সদাপ্রভুর মন্দিরে, নতুন উঠোনের সামনে যিহূদা ও জেরুশালেমের সমবেত জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে
পরে যিহোশাফট সদাপ্রভুর গৃহে নতুন উঠানের সামনে যিহূদা ও যিরূশালেমের সমস্ত লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন,
6 বললেন: “হে আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কি স্বর্গে বিরাজমান ঈশ্বর নও? তুমিই তো জাতিদের সব রাজ্য শাসন করে থাকো। বল ও শক্তি তো তোমারই হাতে আছে, আর কেউ তোমাকে বাধাও দিতে পারে না।
“হে আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কি স্বর্গের ঈশ্বর নও? তুমি কি জাতির সমস্ত রাজ্যের কর্তা নও? আর শক্তি ও ক্ষমতা তোমারই হাতে, তোমার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে কারও সাধ্য নেই।
7 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমিই কি তোমার প্রজা ইস্রায়েলের সামনে থেকে এই দেশের অধিবাসীদের দূর করে দাওনি এবং এই দেশটি তোমার বন্ধু অব্রাহামের বংশধরদের হাতে চিরকালের জন্য তুলে দাওনি?
হে আমাদের ঈশ্বর, তুমিই কি তোমার প্রজা ইস্রায়েলের সামনে থেকে এই দেশের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দাও নি? এবং তোমার বন্ধু অব্রাহামের বংশকে চিরকালের জন্য এই দেশ দাও নি?
8 তারা এখানে বসবাস করেছে এবং এই বলে এখানে এক পবিত্র পীঠস্থান তৈরি করেছে,
আর তারা এই দেশে বাস করেছে এবং এই দেশে তোমার নামের জন্য একটি ধর্মধাম তৈরী করে বলেছে,
9 ‘যদি বিপর্যয় আমাদের উপর এসেও পড়ে, তা সে বিচারের তরোয়াল, বা মহামারি বা দুর্ভিক্ষ, যাই হোক না কেন, আমরা তোমার উপস্থিতিতে এই মন্দিরটির সামনে এসে দাঁড়াব, যা তোমার নাম বহন করে চলেছে এবং আমাদের দুর্দশায় আমরা তোমারই কাছে কাঁদব, ও তুমি আমাদের কান্না শুনে আমাদের বাঁচাবে।’
‘তরোয়াল, বিচার, মহামারী, দূর্ভিক্ষ যখন আমাদের সঙ্গে ঘটবে, তখন আমরা এই ঘরের সামনে, তোমার সামনে দাঁড়াব, কারণ এই ঘরে তোমার নাম আছে এবং আমাদের কষ্টের দিন আমরা তোমার কাছে কাঁদব, তাতে তুমি তা শুনে আমাদের উদ্ধার করবে।’
10 “কিন্তু এখন এখানে অম্মোন, মোয়াব ও সেয়ীর পর্বত থেকে সেইসব লোকজন এসে পড়েছে, যাদের এলাকায় তুমি ইস্রায়েলকে তখন সশস্ত্র আক্রমণ চালাতে দাওনি, যখন তারা মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিল; তাই ইস্রায়েলীরা তাদের কাছ থেকে ফিরে গেল ও তাদের ধ্বংসও করেননি।
১০আর এখন দেখ, অম্মোনের ও মোয়াবের সন্তানরা এবং সেয়ীর পর্বতের অধিবাসীরা, যাদের দেশে তুমি ইস্রায়েলকে মিশর দেশে আসবার দিনের ঢুকতে দাও নি, কিন্তু এরা তাদের কাছ থেকে অন্য পথে চলে গিয়েছিল, তাদের ধ্বংস করে নি;
11 তুমি দেখো, এক উত্তরাধিকাররূপে তুমি আমাদের যে স্বত্ত্বাধিকার দিয়েছ, তা থেকে আমাদের তাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কীভাবে তারা আমাদের প্রতিদান দিচ্ছে।
১১দেখ, তারা আমাদের কিভাবে ক্ষতি করছে; তুমি অধিকার হিসাবে যে সম্পত্তি আমাদের দিয়েছ, তোমার সেই অধিকার থেকে আমাদের তাড়িয়ে দিতে আসছে।
12 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি কি তাদের বিচার করবে না? কারণ এই যে বিশাল সৈন্যদল আমাদের আক্রমণ করতে আসছে, তাদের সম্মুখীন হওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। কী করব, তা আমরা জানি না, কিন্তু আমাদের চোখ তোমার উপরেই আছে।”
১২হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি কি তাদের বিচার করবে না? আমাদের বিরুদ্ধে ঐ যে বিরাট সৈন্যদল আসছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের তো নিজের কোনো শক্তি নেই; কি করতে হবে, তাও আমরা জানি না; আমরা কেবল তোমার দিকে চেয়ে আছি।”
13 যিহূদার সব লোকজন তাদের স্ত্রী, সন্তান ও ছোটো ছোটো শিশুদের সাথে নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
১৩এই ভাবে শিশু, স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের সঙ্গে সমস্ত যিহূদা সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকলো।
14 সখরিয়ের ছেলে যহসীয়েল যখন জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন সদাপ্রভুর আত্মা তাঁর উপর নেমে এলেন। তিনি একজন লেবীয় ও আসফের এক বংশধর ছিলেন। সখরিয় বনায়ের ছেলে, বনায় যিয়েলের ছেলে, যিয়েল মত্তনিয়ের ছেলে ছিলেন।
১৪আর সমাজের মধ্যে যহসীয়েল নামে একজন লেবীয়ের উপর সদাপ্রভুর আত্মা আসলেন। তিনি আসফের বংশের মত্তনিয়ের সন্তান যিয়েলের সন্তান বনায়ের সন্তান সখরিয়ের ছেলে।
15 তিনি বললেন: “হে রাজা যিহোশাফট এবং যিহূদা ও জেরুশালেমে বসবাসকারী সব লোকজন, আপনারা শুনুন! সদাপ্রভু আপনাদের একথা বলছেন: ‘এই বিশাল সৈন্যদল দেখে ভয় পেয়ো না বা নিরাশ হোয়ো না।
১৫তখন তিনি বললেন, “হে সমস্ত যিহূদা, হে যিরূশালেমের লোক সকল, আর হে মহারাজ যিহোশাফট, শোনো; সদাপ্রভু তোমাদের এই কথা বলেন, ‘এই বিরাট সৈন্যদল দেখে তোমরা ভয় পেয়ো না বা নিরাশ হোয়ো না, কারণ এই যুদ্ধ তোমাদের নয়, কিন্তু ঈশ্বরের।
16 আগামীকাল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করো। তারা সীস গিরিখাতের পথ বেয়ে উপরে উঠতে থাকবে, এবং তোমরা যিরূয়েল মরুভূমিতে গিরিখাতের শেষ প্রান্তে তাদের খুঁজে পাবে।
১৬তোমরা আগামী কাল তাদের বিরুদ্ধে যাও; দেখ, তারা সীস নামে আরোহন-জায়গা দিয়ে আসছে; তোমরা যিরূয়েল মরুপ্রান্তের সামনে উপত্যকার শেষের দিকে তাদের পাবে।
17 এই যুদ্ধটি তোমাদের করতে হবে না। তোমরা শুধু শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকো; হে যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকজন, শক্ত হয়ে দাঁড়াও ও দেখো, সদাপ্রভু কেমনভাবে তোমাদের উদ্ধার করছেন। তোমরা ভয় পোয়ো না; নিরাশও হোয়ো না। আগামীকাল তাদের সম্মুখীন হতে যেয়ো, এবং সদাপ্রভু তোমাদের সাথে থাকবেন।’”
১৭এবার তোমাদেরকে যুদ্ধ করতে হবে না; হে যিহূদা ও যিরূশালেম, তোমরা সারি বেঁধে দাঁড়াও, আর সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি কিভাবে উদ্ধার করেন তা দেখো; ভয় কোরো না, নিরাশ হয়ো না; কালকে গিয়ে তাদের মুখোমুখি হবে আর সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।’”
18 যিহোশাফট মাটিতে উবুড় হয়ে প্রণাম করলেন, এবং যিহূদা ও জেরুশালেমের সব লোকজনও সদাপ্রভুর আরাধনা করার জন্য মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল।
১৮তখন যিহোশাফট মাটিতে উপুড় হয়ে প্রণাম করলেন এবং সমস্ত যিহূদা ও যিরূশালেমের অধিবাসীরা প্রণাম করার জন্য সদাপ্রভুর সামনে মাটিতে উপুড় হল।
19 পরে কহাতীয় ও কোরহীয়দের মধ্যে কয়েকজন লেবীয় উঠে দাঁড়িয়েছিল ও জোর গলায় ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করল।
১৯তারপর কহাৎ ও কোরহ বংশের লেবীয়েরা উঠে দাঁড়িয়ে চিত্কার করে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করতে লাগল।
20 ভোরবেলায় তারা তকোয় মরুভূমির দিকে রওনা হয়ে গেল। তারা রওনা হতে যাচ্ছিল, এমন সময় যিহোশাফট উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “হে যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকেরা, তোমরা আমার কথা শোনো! তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর বিশ্বাস রাখো আর তিনি তোমাদের তুলে ধরবেন; তাঁর ভাববাদীদের উপর বিশ্বাস রাখো আর তোমরা সফল হবে।”
২০পরে তারা খুব সকালে উঠে তকোয় মরুপ্রান্তের দিকে রওনা হল; তাদের রওনা হবার দিনের যিহোশাফট দাঁড়িয়ে বললেন, “হে যিহূদা, হে যিরূশালেমের অধিবাসীরা, আমার কথা শোনো; তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর বিশ্বাস কর, তাহলে স্থির থাকবে; তাঁর ভাববাদীদের বিশ্বাস কর, তাতে সফল হবে।”
21 প্রজাদের সাথে পরামর্শ করে সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান গাওয়ার ও তাঁর পবিত্রতার সমারোহের জন্য প্রশংসা করার লক্ষ্যে যিহোশাফট সেই সময়, বিশেষ করে যখন তারা সৈন্যদলের আগে আগে যাচ্ছিল, তখন কয়েকজন লোক নিযুক্ত করলেন। তারা বলছিল: “সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করো, কারণ তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী।”
২১আর তিনি লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে লোকদের নিযুক্ত করলেন, যেন তারা সৈন্যদলের আগে আগে গিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে গান ও মহিমাপূর্ণ পবিত্রতার প্রশংসা করে এবং এই কথা বলে, “সদাপ্রভুর ধন্যবাদ দাও, কারণ তাঁর দয়া চিরকাল স্থায়ী”।
22 যেই তারা গান গাইতে ও প্রশংসা করতে শুরু করল, অম্মোন, মোয়াব ও সেয়ীর পাহাড়ের সেই লোকজনের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে দিলেন, যারা যিহূদা দেশে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছিল, এবং তারা পরাজিত হল।
২২যখন তারা আনন্দের গান ও প্রশংসা করতে শুরু করল, তখন সদাপ্রভু যিহূদার বিরুদ্ধে আসা অম্মোনের ও মোয়াবের সন্তানদের এবং সেয়ীর পর্বতের লোকদের বিরুদ্ধে গুপ্ত সৈন্য নিযুক্ত করলেন; তাতে তারা পরাজিত হল।
23 অম্মোনীয় ও মোয়াবীয়েরা সেয়ীর পাহাড়ের লোকজনের বিরুদ্ধে খাড়া হয়ে তাদের ধ্বংস ও নির্মূল করে দিতে চেয়েছিল। সেয়ীরের লোকজনকে কচুকাটা করার পর, তারা একে অপরকেও ধ্বংস করে ফেলেছিল।
২৩অম্মোনের ও মোয়াবের সন্তানরা সেয়ীর পর্বতের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে উঠল তাদের সম্পূর্ণভাবে হত্যা ও ধ্বংস করার জন্য; আর সেয়ীরের অধিবাসীদের মেরে ফেলবার পর তারা একে অন্যের ধ্বংসে সাহায্য করল।
24 যিহূদার লোকজন যখন সেই উঁচু স্থানটিতে এসেছিল, যেখান থেকে নিচে মরুভূমির দৃশ্য দেখা যায়, এবং তারা যখন বিশাল সেই সৈন্যদলের দিকে তাকিয়েছিল, তারা দেখতে পেয়েছিল, মাটিতে শুধু মৃতদেহই পড়ে আছে; কেউ পালাতে পারেনি।
২৪তখন যিহূদার লোকেরা মরুপ্রান্তের প্রহরী দুর্গে এসে সেই বিরাট সৈন্যদলের দিকে তাকিয়ে দেখল যে, মাটিতে কেবল মৃত দেহগুলি পড়ে রয়েছে, কেউই পালিয়ে বাঁচতে পারে নি।
25 তাই যিহোশাফট ও তাঁর লোকজন লুটসামগ্রী সংগ্রহ করার জন্য সেখানে গেলেন, সেগুলির মাঝখানে তারা প্রচুর সাজসরঞ্জাম ও পোশাক-পরিচ্ছদ এবং মূল্যবান জিনিসপত্রও খুঁজে পেয়েছিলেন—সেগুলির পরিমাণ এত বেশি ছিল যে তারা সেগুলি বয়ে আনতে পারেননি। সেখানে এত লুটসামগ্রী ছিল যে সেগুলি সংগ্রহ করতে তাদের তিন দিন লেগে গেল।
২৫তখন যিহোশাফট ও তাঁর লোকেরা তাদের লুটের জিনিস আনতে গিয়ে সেই মৃত দেহগুলির সঙ্গে অনেক সম্পত্তি ও দামী ধন-রত্ন দেখতে পেলেন; তারা নিজেদের জন্য এত ধন-রত্ন সংগ্রহ করল যে, সেগুলি সব বয়ে নিয়ে যেতে পারল না; সেই লুটের জিনিস বেশী হওয়াতে তা নিয়ে যেতে তাদের তিন দিন লাগল।
26 চতুর্থ দিনে তারা সেই বরাখা উপত্যকায় একত্রিত হলেন, যেখানে তারা সদাপ্রভুর প্রশংসা করলেন। সেইজন্য আজও পর্যন্ত সেই স্থানটিকে বরাখা উপত্যকা বলে ডাকা হয়।
২৬আর চতুর্থ দিনের তাঁরা বরাখা উপত্যকায় জড়ো হলেন; কারণ সেখানে তারা সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করল, এই জন্য আজ পর্যন্ত সেই জায়গা বরাখা উপত্যকা (ধন্যবাদ) নামে পরিচিত।
27 পরে, যিহোশাফটের নেতৃত্বে, যিহূদা ও জেরুশালেমের সব লোকজন আনন্দ করতে করতে জেরুশালেমে ফিরে গেল, যেহেতু তাদের শত্রুদের বিষয়ে আনন্দিত হওয়ার সংগত কারণ সদাপ্রভু তাদের জোগালেন।
২৭তারপর যিহূদা ও যিরূশালেমের সমস্ত লোক এবং তাদের আগে আগে যিহোশাফট আনন্দ করতে করতে যিরূশালেমে ফিরে গেলেন, কারণ সদাপ্রভু তাদের শত্রুদের উপরে সদাপ্রভু তাদের আনন্দিত করেছিলেন।
28 তারা জেরুশালেমে প্রবেশ করলেন এবং বীণা, খঞ্জনি ও শিঙা নিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরে গেলেন।
২৮আর তাঁরা নেবল, বীণা ও তূরী বাজাতে বাজাতে যিরূশালেমে ফিরে এসে সদাপ্রভুর গৃহে গেলেন।
29 সদাপ্রভু কীভাবে ইস্রায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, ইস্রায়েলের চারপাশে অবস্থিত অন্যান্য রাজ্যের সব লোকজন যখন তা শুনতে পেয়েছিল, তখন তাদের উপর ঈশ্বরভয় নেমে এসেছিল।
২৯আর ইস্রায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু যুদ্ধ করেছেন, সেই কথা শুনে অন্যান্য দেশের সমস্ত লোকদের উপর সদাপ্রভু সম্বন্ধে একটা ভয় নেমে আসল।
30 যিহোশাফটের রাজ্যে অবশ্য শান্তি বিরাজ করছিল, কারণ সবদিক থেকেই তাঁর ঈশ্বর তাঁকে বিশ্রাম দিলেন।
৩০এই ভাবে যিহোশাফটের রাজ্য স্থির হল, তাঁর ঈশ্বর চারিদিকে তাঁকে বিশ্রাম দিলেন।
31 এইভাবে যিহোশাফট যিহূদা দেশে রাজত্ব করে গেলেন। তিনি পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে যিহূদার রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঁচিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অসূবা, যিনি শিলহির মেয়ে ছিলেন।
৩১যিহোশাফট যিহূদার উপর রাজত্বকরলেন; যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে যিহূদার রাজা হয়েছিলেন এবং পঁচিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল অসূবা, তিনি ছিলেন শিল্‌হির মেয়ে।
32 যিহোশাফট তাঁর বাবা আসার পথেই চলতেন এবং সেখান থেকে কখনও সরে যাননি; সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তিনি তাই করতেন।
৩২যিহোশাফট তাঁর বাবা আসার পথে চলতেন, কখনও সেই পথ ছেড়ে যান নি, সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক তিনি তাই করতেন।
33 পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি অবশ্য দূর করা হয়নি, এবং প্রজারা তখনও তাদের অন্তর, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরে পুরোপুরি স্থির করেননি।
৩৩কিন্তু উঁচু জায়গা গুলির ধ্বংস করা হয়নি এবং তখনও লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের প্রতি তাদের হৃদয় স্থির করবে না।
34 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, যিহোশাফটের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা ইস্রায়েলের রাজাদের গ্রন্থের অন্তর্গত হনানির ছেলে যেহূর ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে।
৩৪যিহোশাফটের বাকি কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখো “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে হনানির ছেলে যেহূর লেখা বইতে পাওয়া যায়।
35 পরে, যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজা সেই অহসিয়ের সাথে জোট গড়ে তুলেছিলেন, যিনি অন্যায় পথে চলতেন।
৩৫পরে যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজা অহসিয়ের সঙ্গে যোগ দিলেন, সে খারাপ লোক;
36 তর্শীশে বাণিজ্যতরির নৌবহর গড়ে তোলার বিষয়ে যিহোশাফট তাঁর কথায় রাজি হলেন। ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর,
৩৬তিনি তর্শীশে যাবার জন্য জাহাজ তৈরীর কাজে তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন, আর তাঁরা ইৎসিয়োন-গেবরে সেই জাহাজগুলি তৈরী করলেন।
37 মারেশার অধিবাসী দোদাবাহূর ছেলে ইলীয়েষর যিহোশাফটের বিরুদ্ধে ভাববাণী করলেন। তিনি বললেন, “যেহেতু আপনি অহসিয়ের সাথে জোট গড়ে তুলেছেন, তাই আপনি যা তৈরি করেছেন, সদাপ্রভু তা ধ্বংস করে দেবেন।” সামুদ্রিক ঝড়ে জাহাজগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হল এবং ব্যবসাবাণিজ্য করার জন্য তর্শীশের উদ্দেশে রওনা হতেও পারেনি।
৩৭তখন মারেশার অধিবাসী দোদাবাহূর ছেলে ইলীয়েষর যিহোশাফটের বিরুদ্ধে এই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন, “আপনি অহসিয়ের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, এই জন্য না আপনি যা তৈরী করেছেন তা সদাপ্রভু ভেঙে ফেললেন।” আর ঐ সকল জাহাজগুলি ভেঙে গেল, তর্শীশে যেতে পারল না।

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 20 >