< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 19 >

1 যিহূদার রাজা যিহোশাফট যখন নিরাপদে জেরুশালেমে তাঁর প্রসাদে ফিরে এলেন,
Jehoshaphat the king of Judah safely returned to his house in Jerusalem.
2 তখন হনানির ছেলে দর্শক যেহূ তাঁর সাথে দেখা করার জন্য বের হয়ে এলেন এবং রাজাকে তিনি বললেন, “দুষ্টকে সাহায্য করা ও যারা সদাপ্রভুকে ঘৃণা করে, তাদের ভালোবাসা কি আপনার উচিত হয়েছে? এজন্য, সদাপ্রভুর ক্রোধ আপনার উপর এসে পড়েছে।
Then Jehu son of Hanani, the seer, went out to meet him and said to King Jehoshaphat, “Should you be helping the wicked? Should you be loving those who hate Yahweh? For this deed, anger from Yahweh is on you.
3 কিছু ভালো গুণ এখনও অবশ্য আপনার মধ্যে রয়ে গিয়েছে, কারণ আপনি দেশ থেকে আশেরা-খুঁটিগুলি উৎখাত করে ছেড়েছেন এবং ঈশ্বরের অন্বেষণ করার জন্য আপনার অন্তর স্থির করেছেন।”
However, there is some good to be found in you, in that you have taken the Asherah poles out of the land, and you have fixed your heart to seek God.”
4 যিহোশাফট জেরুশালেমে বসবাস করছিলেন, এবং তিনি আবার বের-শেবা থেকে শুরু করে ইফ্রয়িমের পাহাড়ি এলাকায় যত লোক বসবাস করত, তাদের কাছে গেলেন ও তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তাদের ফিরিয়ে এনেছিলেন।
Jehoshaphat lived in Jerusalem; and he went out again among the people from Beersheba to the hill country of Ephraim and brought them back to Yahweh, the God of their fathers.
5 দেশে, অর্থাৎ যিহূদার প্রত্যেকটি সুরক্ষিত নগরে তিনি বিচারক নিযুক্ত করে দিলেন।
He placed judges in the land throughout all the fortified cities of Judah, city by city.
6 তিনি তাদের বললেন, “সাবধান হয়ে তোমরা তোমাদের কাজকর্ম কোরো, কারণ তোমরা নিছক মরণশীল মানুষের হয়ে বিচার করছ না কিন্তু সেই সদাপ্রভুর হয়েই করছ, যিনি তোমাদের সাথেই তখন আছেন, যখন তোমরা বিচারের কোনও রায় দিচ্ছ।
He said to the judges, “Consider what you should do, because you are not judging for man, but for Yahweh; he is with you in the act of judging.
7 এখন সদাপ্রভুর ভয় তোমাদের উপর বিরাজ করুক। সাবধান হয়ে বিচার কোরো, কারণ অন্যায়ের বা একপেশেমির বা ঘুস দেওয়া-নেওয়ার সাথে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কোনও সম্পর্ক নেই।”
Now then, let the fear of Yahweh be upon you. Be careful when you judge, for there is no iniquity with Yahweh our God, nor is there any favoritism or bribe taking.”
8 জেরুশালেমেও যিহোশাফট সদাপ্রভুর বিধান প্রয়োগ করার ও মতবিরোধের মীমাংসা করার জন্য কয়েকজন লেবীয়কে, যাজককে ও ইস্রায়েল বংশোদ্ভুক্ত কর্তাব্যক্তিকে নিযুক্ত করলেন। তারা সবাই জেরুশালেমেই বসবাস করতেন।
Moreover, in Jerusalem Jehoshaphat appointed some of the Levites and the priests, and some of the heads of the ancestral houses of Israel, for carrying out judgment for Yahweh, and for the sake of disputes. They lived in Jerusalem.
9 তিনি তাদের এইসব আদেশ দিলেন: “সদাপ্রভুর ভয়ে বিশ্বস্ত হয়ে ও মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে তোমাদের পরিচর্যা করতে হবে।
He instructed them, saying, “You must serve in reverence for Yahweh, faithfully, and with your whole heart.
10 বিভিন্ন নগরে যারা বসবাস করে, সেইসব লোক যখন তোমাদের কাছে কোনও সমস্যা নিয়ে আসবে, তখন প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই—রক্তপাত হোক বা বিধানের, আদেশের, বিধির বা নিয়মকানুনের অন্য কোনও বিষয়—তোমাদের তখন তাদের সতর্ক করে দিতে হবে, যেন তারা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ না করে; তা না হলে তাঁর ক্রোধ তোমাদের উপর ও তোমাদের লোকজনের উপর নেমে আসবে। এরকমই কোরো, আর তোমরা দোষী হবে না।
Whenever any dispute comes to you from your brothers who live in their cities, whether concerning bloodshed, whether about laws and commands, statutes or decrees, you must warn them, so they do not become guilty before Yahweh, or anger will come toward you and toward your brothers. You shall do this and you will not be guilty.
11 “সদাপ্রভুর যে কোনো বিষয়ে প্রধান যাজক অমরিয় তোমাদের দায়িত্ব পালন করবেন, এবং যিহূদা বংশের নেতা ও ইশ্মায়েলের ছেলে সবদিয়, রাজার যে কোনো বিষয়ে তোমাদের দায়িত্ব পালন করবেন, এবং লেবীয়েরা তোমাদের সামনে কর্মকর্তা হয়ে পরিচর্যা সামলাবেন। সাহসে বুক বেঁধে কাজ করে যাও, এবং যারা ভালোভাবে কাজ করবে, সদাপ্রভু যেন তাদের সাথে থাকেন।”
See, Amariah the chief priest is over you in all the matters of Yahweh. Zebadiah son of Ishmael, the leader of the house of Judah, is in charge of all the matters of the king. Also, the Levites will be officers serving you. Be strong and obey your instructions, and may Yahweh be with those who are good.”

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 19 >