< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 12 >

1 রাজারূপে রহবিয়ামের পদ সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার ও তিনি শক্তিশালী হয়ে যাওয়ার পর, তিনি ও তাঁর সাথে সাথে সমগ্র ইস্রায়েল সদাপ্রভুর বিধান পরিত্যাগ করলেন।
و چون سلطنت رحبعام استوار گردیدو خودش تقویت یافت، او با تمامی اسرائیل شریعت خداوند را ترک نمودند.۱
2 যেহেতু তারা সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হলেন, তাই মিশরের রাজা শীশক রাজা রহবিয়ামের রাজত্বকালের পঞ্চম বছরে জেরুশালেম আক্রমণ করলেন।
و درسال پنجم سلطنت رحبعام، شیشق پادشاه مصربه اورشلیم برآمد زیراکه ایشان بر خداوند عاصی شده بودند.۲
3 12,000 রথ ও 60,000 অশ্বারোহী সৈন্য এবং মিশর থেকে তাঁর সাথে আসা অসংখ্য লূবীয়, সুক্কীয় ও কূশীয় সৈন্য নিয়ে
با هزار و دویست ارابه و شصت هزار سوار و خلقی که از مصریان و لوبیان وسکیان و حبشیان همراهش آمدند بیشمار بودند.۳
4 তিনি যিহূদার সুরক্ষিত নগরগুলি দখল করে নিয়েছিলেন ও জেরুশালেম পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন।
پس شهرهای حصاردار یهودا را گرفت و به اورشلیم آمد.۴
5 তখন ভাববাদী শময়িয়, শীশকের ভয়ে জেরুশালেমে একত্রিত হওয়া রহবিয়াম ও যিহূদার নেতাদের কাছে এসে তাদের বললেন, “সদাপ্রভু একথাই বলেন, ‘তোমরা আমাকে পরিত্যাগ করেছ; তাই, আমি এখন শীশকের হাতে তোমাদের ছেড়ে দিলাম।’”
و شمعیای نبی نزد رحبعام وسروران یهودا که از ترس شیشق در اورشلیم جمع بودند آمده، به ایشان گفت: «خداوند چنین می‌گوید: شما مرا ترک کردید پس من نیز شما رابه‌دست شیشق ترک خواهم نمود.»۵
6 ইস্রায়েলের নেতারা ও রাজা স্বয়ং নিজেদের নত করলেন এবং বললেন, “সদাপ্রভুই ন্যায়পরায়ণ।”
آنگاه سروران اسرائیل و پادشاه تواضع نموده، گفتند: «خداوند عادل است.»۶
7 সদাপ্রভু যখন দেখেছিলেন যে তারা নিজেদের নত করেছেন, তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য শময়িয়ের কাছে পৌঁছে গেল: “যেহেতু তারা নিজেদের নত করেছে, তাই আমি আর তাদের ধ্বংস করব না, বরং অচিরেই তাদের মুক্তি দেব। শীশকের মাধ্যমে আমার ক্রোধ জেরুশালেমের উপর ঝরে পড়বে না।
و چون خداوند دید که ایشان متواضع شده‌اند کلام خداوند بر شمعیانازل شده، گفت: «چونکه ایشان تواضع نموده اند ایشان را هلاک نخواهم کرد بلکه ایشان را اندک زمانی خلاصی خواهم داد و غضب من به‌دست شیشق بر اورشلیم ریخته نخواهد شد.۷
8 তারা অবশ্য, তার শাসনাধীন হবে, যেন আমার সেবা করার ও অন্যান্য দেশের রাজাদের সেবা করার মধ্যে কী পার্থক্য আছে, তা তারা বুঝতে পারে।”
لیکن ایشان بنده او خواهند شد تا بندگی من و بندگی ممالک جهان را بدانند.»۸
9 মিশরের রাজা শীশক জেরুশালেম আক্রমণ করার সময় সদাপ্রভুর মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের ধনসম্পদ তুলে নিয়ে গেলেন। শলোমনের তৈরি করা সোনার ঢাল সমেত তিনি সবকিছু নিয়ে চলে গেলেন।
پس شیشق پادشاه مصر به اورشلیم برآمده، خزانه های خانه خداوند و خزانه های خانه پادشاه را گرفت و همه‌چیز را برداشت و سپرهای طلا راکه سلیمان ساخته بود برد.۹
10 তাই সেগুলির পরিবর্তে রাজা রহবিয়াম ব্রোঞ্জের কয়েকটি ঢাল তৈরি করলেন এবং যারা রাজপ্রাসাদের সিংহদুয়ারে মোতায়েন ফৌজি পাহারাদারদের সেনাপতি ছিলেন, তাদের হাতে সেগুলি তুলে দিলেন।
و رحبعام پادشاه به عوض آنها سپرهای برنجین ساخت و آنها را به‌دست سرداران شاطرانی که در خانه پادشاه رانگاهبانی می‌کردند سپرد.۱۰
11 যখনই রাজা সদাপ্রভুর মন্দিরে যেতেন, ফৌজি পাহারাদাররাও সেই ঢালগুলি বহন করে তাঁর সাথে সাথে যেত, এবং পরে তারা আবার সেগুলি ফৌজি পাহারাদারদের কক্ষে ফিরিয়ে নিয়ে যেত।
و هر وقتی که پادشاه به خانه خداوند داخل می‌شد شاطران آمده، آنهارا برمی داشتند و آنها را به حجره شاطران بازمی آوردند.۱۱
12 যেহেতু রহবিয়াম নিজেকে নত করলেন, তাই সদাপ্রভুর ক্রোধ তাঁর উপর থেকে সরে গেল, এবং তিনি পুরোপুরি ধ্বংস হননি। সত্যি বলতে কি, তখনও যিহূদাতে কিছু ভালো গুণ অবশিষ্ট ছিল।
و چون او متواضع شد خشم خداوند از او برگشت تا او را بالکل هلاک نسازد، و در یهودا نیز اعمال نیکو پیدا شد.۱۲
13 রাজা রহবিয়াম জেরুশালেমে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন এবং রাজকার্য চালিয়ে গেলেন। তিনি একচল্লিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপন করার জন্য ইস্রায়েলের সব বংশের মধ্যে থেকে আলাদা করে যে নগরটিকে মনোনীত করলেন, সেই জেরুশালেমে তিনি সতেরো বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম নয়মা; তিনি ছিলেন একজন অম্মোনীয়া।
و رحبعام پادشاه، خویشتن را در اورشلیم قوی ساخته، سلطنت نمود و رحبعام چون پادشاه شد چهل و یک ساله بود، و در شهراورشلیم که خداوند آن را از تمام اسباط اسرائیل برگزید تا اسم خود را در آن بگذارد، هفده سال پادشاهی کرد و اسم مادرش نعمه عمونیه بود.۱۳
14 রহবিয়াম মন্দ কাজকর্ম করলেন, কারণ সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য তিনি তাঁর অন্তর সুস্থির করেননি।
و او شرارت ورزید زیرا که خداوند را به تصمیم قلب طلب ننمود.۱۴
15 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, রহবিয়ামের রাজত্বকালের সব ঘটনা কি ভাববাদী শময়িয় ও দর্শক ইদ্দোর সেই রচনাবলিতে লেখা নেই, যেখানে বংশাবলির কথা তুলে ধরা হয়েছে? রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ লেগেই থাকত।
و اما وقایع اول و آخر رحبعام آیا آنها درتواریخ شمعیای نبی و تواریخ انساب عدوی رایی مکتوب نیست؟ و در میان رحبعام و یربعام پیوسته جنگ می‌بود.۱۵
16 রহবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং দাউদ-নগরীতে তাঁকে কবর দেওয়া হল, ও তাঁর ছেলে অবিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
پس رحبعام با پدران خود خوابید و در شهر داود دفن شد و پسرش ابیا به‌جایش سلطنت کرد.۱۶

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 12 >