< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 12 >
1 রাজারূপে রহবিয়ামের পদ সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার ও তিনি শক্তিশালী হয়ে যাওয়ার পর, তিনি ও তাঁর সাথে সাথে সমগ্র ইস্রায়েল সদাপ্রভুর বিধান পরিত্যাগ করলেন।
AND it came to pass, when Rehoboam had established the kingdom, and had strengthened himself, he forsook the law of the Lord, and all Israel with him.
2 যেহেতু তারা সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হলেন, তাই মিশরের রাজা শীশক রাজা রহবিয়ামের রাজত্বকালের পঞ্চম বছরে জেরুশালেম আক্রমণ করলেন।
And it came to pass, that in the fifth year of king Rehoboam Shishak king of Egypt came up against Jerusalem, because they had transgressed against the Lord,
3 12,000 রথ ও 60,000 অশ্বারোহী সৈন্য এবং মিশর থেকে তাঁর সাথে আসা অসংখ্য লূবীয়, সুক্কীয় ও কূশীয় সৈন্য নিয়ে
With twelve hundred chariots, and threescore thousand horsemen: and the people were without number that came with him out of Egypt; the Lubims, the Sukkiims, and the Ethiopians.
4 তিনি যিহূদার সুরক্ষিত নগরগুলি দখল করে নিয়েছিলেন ও জেরুশালেম পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন।
And he took the fenced cities which pertained to Judah, and came to Jerusalem.
5 তখন ভাববাদী শময়িয়, শীশকের ভয়ে জেরুশালেমে একত্রিত হওয়া রহবিয়াম ও যিহূদার নেতাদের কাছে এসে তাদের বললেন, “সদাপ্রভু একথাই বলেন, ‘তোমরা আমাকে পরিত্যাগ করেছ; তাই, আমি এখন শীশকের হাতে তোমাদের ছেড়ে দিলাম।’”
Then came Shemaiah the prophet to Rehoboam, and to the princes of Judah, that were gathered together to Jerusalem because of Shishak, and said unto them, Thus saith the Lord, Ye have forsaken me, and therefore have I also left you in the hand of Shishak.
6 ইস্রায়েলের নেতারা ও রাজা স্বয়ং নিজেদের নত করলেন এবং বললেন, “সদাপ্রভুই ন্যায়পরায়ণ।”
Whereupon the princes of Israel and the king humbled themselves; and they said, The Lord is righteous.
7 সদাপ্রভু যখন দেখেছিলেন যে তারা নিজেদের নত করেছেন, তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য শময়িয়ের কাছে পৌঁছে গেল: “যেহেতু তারা নিজেদের নত করেছে, তাই আমি আর তাদের ধ্বংস করব না, বরং অচিরেই তাদের মুক্তি দেব। শীশকের মাধ্যমে আমার ক্রোধ জেরুশালেমের উপর ঝরে পড়বে না।
And when the Lord saw that they humbled themselves, the word of the Lord came to Shemaiah, saying, They have humbled themselves; therefore I will not destroy them, but I will grant them some deliverance; and my wrath shall not be poured out upon Jerusalem by the hand of Shishak.
8 তারা অবশ্য, তার শাসনাধীন হবে, যেন আমার সেবা করার ও অন্যান্য দেশের রাজাদের সেবা করার মধ্যে কী পার্থক্য আছে, তা তারা বুঝতে পারে।”
Nevertheless they shall be his servants; that they may know my service, and the service of the kingdoms of the countries.
9 মিশরের রাজা শীশক জেরুশালেম আক্রমণ করার সময় সদাপ্রভুর মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের ধনসম্পদ তুলে নিয়ে গেলেন। শলোমনের তৈরি করা সোনার ঢাল সমেত তিনি সবকিছু নিয়ে চলে গেলেন।
So Shishak king of Egypt came up against Jerusalem, and took away the treasures of the house of the Lord, and the treasures of the king’s house; he took all: he carried away also the shields of gold which Solomon had made.
10 তাই সেগুলির পরিবর্তে রাজা রহবিয়াম ব্রোঞ্জের কয়েকটি ঢাল তৈরি করলেন এবং যারা রাজপ্রাসাদের সিংহদুয়ারে মোতায়েন ফৌজি পাহারাদারদের সেনাপতি ছিলেন, তাদের হাতে সেগুলি তুলে দিলেন।
Instead of which king Rehoboam made shields of brass, and committed them to the hands of the chief of the guard, that kept the entrance of the king’s house.
11 যখনই রাজা সদাপ্রভুর মন্দিরে যেতেন, ফৌজি পাহারাদাররাও সেই ঢালগুলি বহন করে তাঁর সাথে সাথে যেত, এবং পরে তারা আবার সেগুলি ফৌজি পাহারাদারদের কক্ষে ফিরিয়ে নিয়ে যেত।
And when the king entered into the house of the Lord, the guard came and fetched them, and brought them again into the guard chamber.
12 যেহেতু রহবিয়াম নিজেকে নত করলেন, তাই সদাপ্রভুর ক্রোধ তাঁর উপর থেকে সরে গেল, এবং তিনি পুরোপুরি ধ্বংস হননি। সত্যি বলতে কি, তখনও যিহূদাতে কিছু ভালো গুণ অবশিষ্ট ছিল।
And when he humbled himself, the wrath of the Lord turned from him, that he would not destroy him altogether: and also in Judah things went well.
13 রাজা রহবিয়াম জেরুশালেমে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন এবং রাজকার্য চালিয়ে গেলেন। তিনি একচল্লিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপন করার জন্য ইস্রায়েলের সব বংশের মধ্যে থেকে আলাদা করে যে নগরটিকে মনোনীত করলেন, সেই জেরুশালেমে তিনি সতেরো বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম নয়মা; তিনি ছিলেন একজন অম্মোনীয়া।
So king Rehoboam strengthened himself in Jerusalem, and reigned: for Rehoboam was one and forty years old when he began to reign, and he reigned seventeen years in Jerusalem, the city which the Lord had chosen out of all the tribes of Israel, to put his name there. And his mother’s name was Naamah an Ammonitess.
14 রহবিয়াম মন্দ কাজকর্ম করলেন, কারণ সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য তিনি তাঁর অন্তর সুস্থির করেননি।
And he did evil, because he prepared not his heart to seek the Lord.
15 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, রহবিয়ামের রাজত্বকালের সব ঘটনা কি ভাববাদী শময়িয় ও দর্শক ইদ্দোর সেই রচনাবলিতে লেখা নেই, যেখানে বংশাবলির কথা তুলে ধরা হয়েছে? রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ লেগেই থাকত।
Now the acts of Rehoboam, first and last, are they not written in the book of Shemaiah the prophet, and of Iddo the seer concerning genealogies? And there were wars between Rehoboam and Jeroboam continually.
16 রহবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং দাউদ-নগরীতে তাঁকে কবর দেওয়া হল, ও তাঁর ছেলে অবিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
And Rehoboam slept with his fathers, and was buried in the city of David: and Abijah his son reigned in his stead.