1সেখানে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত বিন্যামীন বংশীয় একজন ব্যক্তি ছিলেন, যাঁর নাম কীশ। কীশ অবীয়েলের ছেলে, অবীয়েল সরোরের ছেলে, সরোর বখোরতের ছেলে, বখোরত বিন্যামীন বংশীয় অফিয়ের ছেলে ছিলেন।
၁(note: verses missing) ပျောက်ဆုံး
2কীশের এক ছেলে ছিল, যাঁর নাম শৌল। তিনি এত সুদর্শন ছিলেন যে ইস্রায়েল দেশে কোথাও তাঁর মতো একজনও যুবক খুঁজে পাওয়ার উপায় ছিল না, এবং তিনি অন্য সবার চেয়ে বেশ কিছুটা লম্বা ছিলেন।
၂
3শৌলের বাবা কীশের কয়েকটি গাধি হারিয়ে গিয়েছিল, তাই কীশ তাঁর ছেলে শৌলকে বললেন, “দাসদের মধ্যে একজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে গাধিগুলির খোঁজ করো।”
၃
4তাই তিনি ইফ্রয়িমের পার্বত্য এলাকা হয়ে শালিশা অঞ্চলে এক চক্কর ঘুরে এলেন, কিন্তু সেগুলির খোঁজ পেলেন না। তখন তাঁরা শালীম প্রদেশ পর্যন্ত গেলেন, কিন্তু গাধিগুলি সেখানেও ছিল না। পরে তিনি বিন্যামিনীয়দের এলাকাতেও গেলেন, কিন্তু সেগুলির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
၄
5তাঁরা যখন সূফ জেলায় পৌঁছালেন, শৌল তখন তাঁর সঙ্গে চলা দাসকে বললেন, “এসো, আমরা ফিরে যাই, তা না হলে আমার বাবা গাধিগুলির জন্য চিন্তা করা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের জন্যই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন।”
၅
6কিন্তু সেই দাস উত্তর দিল, “দেখুন, এই নগরে ঈশ্বরের একজন লোক আছেন; তাঁকে সবাই খুব সম্মান করে, এবং তিনি যা যা বলেন, সব সত্যি হয়। চলুন না, সেখানে একবার যাওয়া যাক। হয়তো তিনি আমাদের বলে দেবেন কোন পথে যেতে হবে।”
၆
7শৌল তাঁর দাসকে বললেন, “আমরা সেখানে গিয়ে ভদ্রলোককে কী-ই বা দিতে পারব? আমাদের থলিতে রাখা সব খাবারদাবার শেষ হয়ে গিয়েছে। ঈশ্বরের লোকের কাছে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো উপহারও আমাদের কাছে নেই। আমাদের কাছে কিছু আছে কি?”
၇
8দাস আবার তাঁকে উত্তর দিল। সে বলল, “দেখুন, আমার কাছে এক শেকলের চার ভাগের এক ভাগ রুপো আছে। আমি সেটি ঈশ্বরের লোককে দিয়ে দেব যেন তিনি আমাদের বলে দেন, কোন পথে আমাদের যেতে হবে।”
၈
9(প্রাচীনকালে ইস্রায়েল দেশে, যদি কেউ ঈশ্বরের কাছে কোনো কিছুর খোঁজ নিতে যেত, তখন তারা বলত, “এসো, দর্শকের কাছে যাওয়া যাক,” কারণ বর্তমানে যাদের ভাববাদী বলা হয়, আগে তাদের দর্শক বলা হত।)
၉
10শৌল তাঁর দাসকে বললেন, “ঠিক আছে, চলো, সেখানে যাওয়া যাক।” অতএব তাঁরা সেই নগরটির উদ্দেশে রওনা হয়ে গেলেন, যেখানে ঈশ্বরের লোক তখন ছিলেন।
၁၀
11পাহাড় পেরিয়ে যখন তাঁরা নগরটির দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁরা এমন কয়েকজন যুবতী মহিলার দেখা পেলেন যারা জল ভরতে যাচ্ছিল। তাঁরা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “দর্শক কি এখানে আছেন?”
၁၁
12তারা উত্তর দিল, “হ্যাঁ, তিনি আপনাদের থেকে একটু আগেই আছেন। তাড়াতাড়ি যান; তিনি একটু আগেই আমাদের নগরে এসেছেন, কারণ টিলার উপর আজ লোকেরা এক বলি উৎসর্গ করবে।
၁၂
13তিনি টিলায় ভোজনপান করতে যাচ্ছেন। তিনি সেখানে যাওয়ার আগে, নগরে প্রবেশ করলেই আপনারা তাঁর দেখা পাবেন। তিনি না আসা পর্যন্ত লোকেরা ভোজনপান শুরু করবে না, কারণ প্রথমে তাঁকেই বলির নৈবেদ্যটিতে আশীর্বাদ বর্ষণ করতে হবে; পরে নিমন্ত্রিত লোকেরা ভোজনপান করবে। এখনই চলে যান; অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর দেখা পেয়ে যাবেন।”
၁၃
14তাঁরা নগরটির দিকে যাচ্ছিলেনই, আর ঠিক যখন তাঁরা সেখানে প্রবেশ করবেন, শমূয়েল টিলায় চড়ার পথে তাঁদের দিকে এগিয়ে এলেন।
၁၄
15এদিকে শৌল আসার একদিন আগেই সদাপ্রভু শমূয়েলের কাছে একথা প্রকাশ করে দিয়েছিলেন:
၁၅
16“আগামীকাল প্রায় এইসময়েই আমি তোমার কাছে বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত অঞ্চল থেকে একজন লোককে পাঠাব। তুমি তাকে আমার প্রজা ইস্রায়েলের উপর শাসনকর্তা পদে অভিষিক্ত করবে; সে ফিলিস্তিনীদের হাত থেকে তাদের মুক্ত করবে। আমি আমার প্রজাদের দিকে দৃষ্টিপাত করেছি, কারণ তাদের আর্তনাদ আমার কাছে পৌঁছে গিয়েছে।”
၁၆
17শৌলের দিকে শমূয়েলের চোখ পড়ার সাথে সাথেই সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “এই লোকটির কথাই আমি তোমাকে বলেছিলাম; এই আমার প্রজাদের পরিচালনা করবে।”
၁၇
18সদর দরজায় গিয়ে শৌল শমূয়েলের কাছাকাছি পৌঁছে জিজ্ঞাসা করলেন, “দয়া করে আমায় জানাবেন কি, দর্শকের বাড়িটি কোথায়?”
၁၈
19শমূয়েল তাঁকে উত্তর দিলেন, “আমিই সেই দর্শক। আমার আগে আগে টিলায় চড়, কারণ আজ তোমরা আমার সঙ্গে ভোজনপান করবে, আর সকালবেলায় আমি তোমাদের বিদায় দেব ও তোমার মনে যা যা আছে সব বলে দেব।
၁၉
20তিন দিন আগে তোমাদের যে গাধিগুলি হারিয়ে গিয়েছিল, সেগুলির সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা কোরো না; সেগুলির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আর ইস্রায়েলের সব বাসনা কার দিকে ঘুরে গিয়েছে, সে কি তোমার ও তোমার সব পরিবার-পরিজনের দিকে নয়?”
၂၀
21শৌল উত্তর দিলেন, “আমি কি সেই বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত নই, যা ইস্রায়েলের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো গোষ্ঠী, এবং আমার বংশই কি বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত সব বংশের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো বংশ নয়? তবে কেন আপনি আমাকে এ ধরনের কথা বলছেন?”
၂၁
22তখন শমূয়েল, শৌল ও তাঁর দাসকে বড়ো খাবার ঘরে নিয়ে এসে নিমন্ত্রিত—প্রায় ত্রিশজন অতিথির মধ্যে সম্মানজনক স্থানে তাঁদের বসিয়ে দিলেন।
၂၂
23শমূয়েল রাঁধুনীকে বললেন, “মাংসের যে টুকরোটি আমি তোমায় সরিয়ে রাখতে বলেছিলাম, সেটি নিয়ে এসো।”
၂၃
24অতএব রাঁধুনী রানের টুকরোটি ও সেটির সঙ্গে লেগে থাকা মাংস এনে শৌলের পাতে সাজিয়ে দিল। শমূয়েল বললেন, “এগুলি তোমারই জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। খাও, কারণ ‘আমি অতিথিদের নিমন্ত্রণ করেছি,’ একথা বলার সময় থেকে শুরু করে এখন এই উপলক্ষের জন্যই এগুলি সরিয়ে রাখা হয়েছে।” সেদিন শৌল শমূয়েলের সঙ্গে ভোজনপান করলেন।
၂၄
25টিলা থেকে তাঁরা নগরে নেমে আসার পর, শমূয়েল তাঁর বাড়ির ছাদে উঠে শৌলের সঙ্গে কথাবার্তা বললেন।
၂၅
26ভোর প্রায় হয়ে আসছিল, তখনই তাঁরা উঠে পড়লেন, এবং শমূয়েল শৌলকে ছাদেই ডেকে বললেন, “তৈরি হয়ে নাও, আমি তোমাদের বাড়িতে ফেরত পাঠাব।” শৌল তৈরি হওয়ার পর তিনি ও শমূয়েল একসঙ্গেই বাইরে বের হলেন।
၂၆
27তাঁরা নগরের প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই শমূয়েল শৌলকে বললেন, “দাসটিকে একটু এগিয়ে যেতে বলো,” আর দাসও তেমনটিই করল, “কিন্তু তুমি এখানে কিছুক্ষণ থেকে যাও, যেন আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা একটি বাণী তোমাকে দিতে পারি।”