< শমূয়েলের প্রথম বই 14 >

1 একদিন শৌলের ছেলে যোনাথন তাঁর অস্ত্র বহনকারী যুবক ছেলেটিকে বললেন, “এসো, অন্যদিকে অবস্থিত ফিলিস্তিনীদের সৈন্যশিবিরে যাওয়া যাক।” কিন্তু একথা তিনি তাঁর বাবাকে বলেননি।
Ημέραν δε τινά είπεν Ιωνάθαν, ο υιός του Σαούλ, προς τον νέον τον βαστάζοντα τα όπλα αυτού, Ελθέ, και ας περάσωμεν προς την φρουράν των Φιλισταίων, την εν τω πέραν· προς τον πατέρα αυτού όμως δεν εφανέρωσε τούτο.
2 শৌল গিবিয়ার প্রান্তদেশে মিগ্রোণে একটি ডালিম গাছের তলায় বসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় 600 জন,
Ο δε Σαούλ εκάθητο επί του άκρου του Γαβαά, υπό την ροδιάν την εν Μιγρών· και ο λαός ο μετ' αυτού ήτο έως εξακόσιοι άνδρες·
3 তাদের মধ্যে ছিলেন অহিয়, যাঁর পরনে ছিল এফোদ। তিনি ছিলেন অহীটূবের ছেলে, অহীটূব ছিলেন ঈখাবোদের ভাই, ঈখাবোদ ছিলেন পীনহসের ছেলে, এবং পীনহস ছিলেন সেই এলির ছেলে, যিনি শীলোতে সদাপ্রভুর যাজক ছিলেন। কেউই বুঝতে পারেনি যে যোনাথন বের হয়ে গিয়েছেন।
και Αχιά, ο υιός του Αχιτώβ, αδελφού του Ιχαβώδ, υιού του Φινεές, υιού του Ηλεί, ιερεύς του Κυρίου εν Σηλώ, φορών εφόδ. Και ο λαός δεν ήξευρεν ότι υπήγεν ο Ιωνάθαν.
4 যে গিরিপথটি পেরিয়ে যোনাথন ফিলিস্তিনীদের সৈন্যশিবিরে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন সেটির দুধারেই একটি করে খাড়া বাঁধ ছিল; একটির নাম বোৎসেস ও অন্যটির নাম সেনি।
Μεταξύ δε των διαβάσεων, διά των οποίων ο Ιωνάθαν εζήτει να περάση προς την φρουράν των Φιλισταίων, ήτο απότομος βράχος εξ ενός μέρους και απότομος βράχος εκ του άλλου μέρους· και το όνομα του ενός Βοσές, το δε όνομα του άλλον Σενέ.
5 একটি খাড়া বাঁধ উত্তর দিকে মিক্‌মসের মুখোমুখি ছিল, অন্যটি ছিল দক্ষিণ দিকে গেবার মুখোমুখি।
Το μέτωπον του ενός βράχου ήτο προς βορράν απέναντι Μιχμάς, και το του άλλου προς νότον απέναντι Γαβαά.
6 যোনাথন তাঁর অস্ত্র বহনকারী যুবকটিকে বললেন, “চলো, আমরা ইত্যবসরে সেইসব লোকজনের ঘাঁটিতে যাই, যারা নেহাতই অধার্মিক। হয়তো সদাপ্রভু আমাদের হয়ে কাজ করবেন। বেশি লোক দিয়েই হোক বা অল্প লোক দিয়েই হোক, ঈশ্বর উদ্ধার করবেনই, কোনো কিছুই তাঁকে আটকাতে পারবে না।”
Και είπεν ο Ιωνάθαν προς τον νέον τον βαστάζοντα τα όπλα αυτού, Ελθέ, και ας περάσωμεν προς την φρουράν των απεριτμήτων τούτων· ίσως ενεργήση ο Κύριος υπέρ ημών· διότι δεν είναι εις τον Κύριον εμπόδιον να σώση διά πολλών ή δι' ολίγων.
7 তাঁর অস্ত্র বহনকারী বলল, “আপনার যা মনে হয় তাই করুন। এগিয়ে যান, আমি মনেপ্রাণে আপনার সঙ্গে সঙ্গে আছি।”
Και είπε προς αυτόν ο οπλοφόρος αυτού, Κάμε ό, τι είναι εν τη καρδία σου· προχώρει· ιδού, εγώ είμαι μετά σου κατά την καρδίαν σου.
8 যোনাথন বললেন, “তবে, এসো; আমরা পার হয়ে ওদের দিকে যাব এবং ওরাও আমাদের দেখুক।
Τότε είπεν ο Ιωνάθαν, Ιδού, ημείς θέλομεν περάσει προς τους άνδρας και θέλομεν δειχθή εις αυτούς·
9 যদি ওরা আমাদের বলে, ‘আমরা তোমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত ওখানে অপেক্ষা করো,’ তবে আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব ও ওদের কাছে উঠে যাব না।
εάν είπωσι προς ημάς ούτω, Στάθητε έως να έλθωμεν προς εσάς· τότε θέλομεν σταθή εν τω τόπω ημών και δεν θέλομεν αναβή προς αυτούς·
10 কিন্তু ওরা যদি বলে, ‘আমাদের কাছে উঠে এসে লড়ো,’ তবে আমরা উপরে উঠে যাব, কারণ সেটিই আমাদের কাছে এই চিহ্ন হয়ে যাবে যে সদাপ্রভু ওদের আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।”
αλλ' εάν είπωσιν ούτως, Ανάβητε προς ημάς· τότε θέλομεν αναβή· διότι ο Κύριος παρέδωκεν αυτούς εις την χείρα ημών· και τούτο θέλει είσθαι εις ημάς το σημείον.
11 অতএব তাঁরা দুজনেই ফিলিস্তিনী সেনা-ঘাঁটির সামনে গিয়ে নিজেদের দর্শন দিলেন। ফিলিস্তিনীরা বলল, “ওই দেখো, গর্তে লুকিয়ে থাকা হিব্রুরা হামাগুড়ি দিয়ে বের হয়ে আসছে।”
Εδείχθησαν λοιπόν αμφότεροι εις την φρουράν των Φιλισταίων· και οι Φιλισταίοι είπον, Ιδού, οι Εβραίοι εξέρχονται εκ των τρυπών, όπου είχον κρυφθή.
12 সেনা-ঘাঁটির লোকজন চিৎকার করে যোনাথন ও তাঁর অস্ত্র-বহনকারীকে বলল, “আমাদের কাছে উঠে এসে লড়ো, আমরা তোমাদের উচিত শিক্ষা দেব।” অতএব যোনাথন তাঁর অস্ত্র-বহনকারীকে বললেন, “আমার পিছু পিছু উপরে উঠে এসো; সদাপ্রভু ইস্রায়েলের হাতে ওদের তুলে দিয়েছেন।”
Και ελάλησαν οι άνδρες της φρουράς προς τον Ιωνάθαν και προς τον βαστάζοντα τα όπλα αυτού, και είπον, Ανάβητε προς ημάς, και θέλομεν σας φανερώσει τι. Και είπεν ο Ιωνάθαν προς τον οπλοφόρον αυτού, Ανάβα κατόπιν μου· διότι παρέδωκεν αυτούς ο Κύριος εις την χείρα του Ισραήλ.
13 যোনাথন তাঁর হাত পা ব্যবহার করে উপরে উঠে গেলেন, এবং তাঁর অস্ত্র বহনকারী ছিল ঠিক তাঁর পিছনেই। ফিলিস্তিনীরা যোনাথনের সামনে পড়ে যাচ্ছিল, ও তাঁর অস্ত্র-বহনকারীও তাঁকে অনুসরণ করে তাদের হত্যা করে যাচ্ছিল।
Και ανέρπυσεν ο Ιωνάθαν με τας χείρας αυτού και με τους πόδας αυτού, και ο βαστάζων τα όπλα αυτού κατόπιν αυτού· και έπεσον έμπροσθεν του Ιωνάθαν· και ο βαστάζων τα όπλα αυτού εθανάτονεν αυτούς κατόπιν αυτού.
14 প্রথম আক্রমণেই যোনাথন ও তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটি কমবেশি অর্ধেক একর এলাকা জুড়ে প্রায় কুড়ি জনকে হত্যা করলেন।
Αύτη δε η πρώτη σφαγή, την οποίαν έκαμον ο Ιωνάθαν και ο οπλοφόρος αυτού, ήτο περίπου είκοσι άνδρες, εις διάστημα γης ημίσεως στρέμματος.
15 তখন সমগ্র সৈন্যদলে—যারা শিবিরে ও যুদ্ধক্ষেত্রে ছিল, এবং যারা সেনা-ঘাঁটিতে ছিল ও যারা হামলা চালাচ্ছিল, তাদের মধ্যেও—আতঙ্ক ছেয়ে গেল, এবং ভূমিকম্প হল। সেই আতঙ্ক ঈশ্বরই পাঠালেন।
Και έγεινε τρόμος εν τω στρατοπέδω, εν τοις αγροίς και εν παντί τω λαώ· η φρουρά και οι λεηλατούντες, και αυτοί κατετρόμαξαν, και η γη συνεταράχθη· ώστε ήτο ως τρόμος Θεού.
16 বিন্যামীনের গিবিয়ায় শৌলের প্রহরীরা দেখতে পেয়েছিল যে সৈন্যদল চর্তুদিকে কমে যাচ্ছে।
Και είδον οι φρουροί του Σαούλ εν Γαβαά του Βενιαμίν, και ιδού, το πλήθος διελύετο και βαθμηδόν διεσκορπίζετο.
17 তখন শৌল তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন, “সৈন্যদের জমায়েত করে গুনে দেখো, কে কে আমাদের ছেড়ে গিয়েছে।” যখন তারা এমনটি করল, দেখা গেল যোনাথন ও তাঁর অস্ত্র বহনকারী সেখানে অনুপস্থিত।
Τότε είπεν ο Σαούλ προς τον λαόν τον μετ' αυτού, Απαριθμήσατε τώρα και ιδέτε τις ανεχώρησεν εξ ημών. Και ότε απηρίθμησαν, ιδού, ο Ιωνάθαν και ο οπλοφόρος αυτού δεν ήσαν.
18 শৌল অহিয়কে বললেন, “ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকটি এখানে আনুন।” (সেই সময় সেটি ইস্রায়েলীদের সঙ্গেই ছিল)
Και είπεν ο Σαούλ προς τον Αχιά, Φέρε εδώ την κιβωτόν του Θεού. Διότι η κιβωτός του Θεού ήτο τότε μετά των υιών Ισραήλ.
19 শৌল যখন যাজকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, ফিলিস্তিনী-শিবিরে তখন ক্রমাগত হৈ হট্টগোল বেড়েই চলেছিল। তাই শৌল যাজককে বললেন, “আপনার হাত সরিয়ে নিন।”
Και ενώ ελάλει ο Σαούλ προς τον ιερέα, ο θόρυβος εν τω στρατοπέδω των Φιλισταίων επροχώρει επί το μάλλον και επληθύνετο· ο δε Σαούλ είπε προς τον ιερέα, Σύρε οπίσω την χείρα σου.
20 পরে শৌল ও তাঁর সব লোকজন একত্রিত হয়ে যুদ্ধে গেলেন। তাঁরা দেখেছিলেন যে ফিলিস্তিনীরা পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে গিয়ে নিজেদেরই তরোয়াল দিয়ে পরস্পরকে আঘাত হেনে চলেছে।
Και συνηθροίσθησαν ο Σαούλ και πας ο λαός ο μετ' αυτού και ήλθον έως εις την μάχην· και ιδού, παντός ανδρός η ρομφαία ήτο εναντίον του συντρόφου αυτού, σφαγή μεγάλη σφόδρα.
21 যেসব হিব্রু লোকজন ইতিপূর্বে ফিলিস্তিনীদের সঙ্গে ছিল ও তাদের সাথে মিলে তাদের সৈন্যশিবিরে চলে গিয়েছিল, তারাও সেইসব ইস্রায়েলীর কাছে ফিরে এসেছিল, যারা শৌল ও যোনাথনের সঙ্গে ছিল।
οι δε Εβραίοι οι μετά των Φιλισταίων όντες ως άλλοτε, οίτινες είχον αναβή μετ' αυτών εις το στρατόπεδον εκ των πέριξ, και αυτοί έτι ηνώθησαν μετά των Ισραηλιτών, οίτινες ήσαν μετά του Σαούλ και Ιωνάθαν.
22 ইফ্রয়িমের পার্বত্য এলাকায় লুকিয়ে থাকা ইস্রায়েলীরা যখন শুনেছিল যে ফিলিস্তিনীরা পালিয়ে যাচ্ছে, তখন তারাও যুদ্ধে যোগ দিয়ে প্রচণ্ড বেগে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল।
Και πάντες οι άνδρες του Ισραήλ οι κρυπτόμενοι εν τω όρει Εφραΐμ, ακούσαντες ότι οι Φιλισταίοι έφευγον, έδραμον και αυτοί κατόπιν αυτών εις πόλεμον.
23 অতএব সেদিন সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে রক্ষা করলেন, এবং যুদ্ধ বেথ-আবন পার করে ছড়িয়ে পড়েছিল।
Και έσωσεν ο Κύριος τον Ισραήλ εν τη ημέρα εκείνη· και η μάχη επέρασεν εις Βαιθ-αυέν.
24 সেদিন ইস্রায়েলীরা গুরুতর অসুবিধায় পড়েছিল, কারণ শৌল এই বলে লোকজনকে এক শপথের অধীনে বেঁধে দিলেন, “সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগে, আমার শত্রুদের উপর আমি প্রতিশোধ নেওয়ার আগে যদি কেউ খাবার খায়, তবে সে শাপগ্রস্ত হোক!” তাই সৈন্যদলের কেউই খাবার মুখে তোলেনি।
Οι δε άνδρες του Ισραήλ απέκαμον την ημέραν εκείνην· διότι ο Σαούλ είχεν ορκίσει τον λαόν, λέγων, Επικατάρατος ο άνθρωπος, όστις φάγη τροφήν έως εσπέρας, και εκδικηθώ από των εχθρών μου. Όθεν δεν εγεύθη τροφήν πας ο λαός.
25 গোটা সৈন্যদল অরণ্যে প্রবেশ করল, আর সেখানে জমির উপর মধু পড়েছিল।
Και παν το πλήθος ήλθεν εις δάσος, όπου ήτο μέλι κατά γης.
26 অরণ্যে প্রবেশ করে তারা দেখেছিল যে মধু চুঁইয়ে পড়ছে; তবুও কেউ মুখে হাত ঠেকায়নি, কারণ তারা শপথের ভয় করছিল।
Και ότε εισήλθεν ο λαός εις το δάσος, ιδού, το μέλι εστάλαξεν· ουδείς όμως επλησίασε την χείρα αυτού εις το στόμα αυτού· διότι εφοβήθη ο λαός τον όρκον.
27 কিন্তু যোনাথন শোনেননি যে তাঁর বাবা প্রজাদের শপথে বেঁধে রেখেছেন, তাই তিনি তাঁর হাতে থাকা ছড়ির ডগাটি বাড়িয়ে মৌচাকে ডুবিয়ে দিলেন। তিনি হাত বাড়িয়ে মুখে দেওয়ামাত্র তাঁর চোখদুটি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল।
Ο Ιωνάθαν όμως δεν είχεν ακούσει, ότε ο πατήρ αυτού ώρκισε τον λαόν· όθεν ήπλωσε το άκρον της ράβδου της εν τη χειρί αυτού και εβύθισεν αυτό εις κηρήθραν και έβαλε την χείρα αυτού εις το στόμα αυτού, και ανέβλεψαν οι οφθαλμοί αυτού.
28 তখন সৈন্যদের মধ্যে একজন তাঁকে বলল, “আপনার বাবা এই বলে সৈন্যদলকে কঠোর নিয়মানুবর্তী এক শপথে বেঁধে রেখেছেন যে, ‘আজ যে কেউ খাবার খাবে সে শাপগ্রস্ত হোক!’ তাইতো লোকেরা দুর্বল হয়ে পড়েছে।”
Απεκρίθη δε εις εκ του λαού και είπεν, Ο πατήρ σου ώρκισε δι' όρκου τον λαόν, λέγων, Επικατάρατος ο άνθρωπος, όστις φάγη τροφήν σήμερον· διά τούτο ο λαός είναι εκλελυμένος.
29 যোনাথন বললেন, “আমার বাবা দেশে কষ্ট ডেকে এনেছেন। দেখো তো, এই মধুর কিছুটা চাখাতেই কীভাবে আমার চোখদুটি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
Ο δε Ιωνάθαν είπεν, Ετάραξεν ο πατήρ μου τον κόσμον· ιδέτε, παρακαλώ, πόσον ανέβλεψαν οι οφθαλμοί μου, διότι εγεύθην ολίγον εκ τούτου του μέλιτος·
30 লোকেরা আজ যদি তাদের শত্রুদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া লুন্ঠিত জিনিসপত্রের কিছুটা খেতে পারত তবে কতই না ভালো হত। ফিলিস্তিনীদের সংহার আরও বড়ো মাপের হত নাকি?”
πόσω μάλλον, εάν ο λαός ήθελε φάγει την σήμερον ελευθέρως εκ των λαφύρων των εχθρών αυτού, τα οποία εύρηκε; διότι δεν ήθελε γείνει τώρα πολύ μεγαλητέρα σφαγή μεταξύ των Φιλισταίων;
31 সেদিন, মিক্‌মস থেকে অয়ালোন পর্যন্ত ফিলিস্তিনীদের আঘাত করতে করতে ইস্রায়েলীরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।
Επάταξαν δε εν εκείνη τη ημέρα τους Φιλισταίους από Μιχμάς έως Αιαλών· και ο λαός ήτο εκλελυμένος σφόδρα.
32 তারা লুন্ঠিত জিনিসপত্রের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মেষ, গবাদি পশু ও বাছুরদের ধরে ধরে জমির উপরেই সেগুলি বধ করে রক্ত সমেত খেয়ে ফেলেছিল।
Όθεν ερρίφθη ο λαός εις τα λάφυρα, και έλαβε πρόβατα και βόας και μόσχους και έσφαξαν κατά γής· και έτρωγεν ο λαός μετά του αίματος.
33 তখন কেউ একজন গিয়ে শৌলকে বলল, “দেখুন, রক্ত সমেত মাংস খেয়ে লোকেরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করছে।” তিনি বললেন, “তোমরা বিশ্বাস ভঙ্গ করেছ। এখনই এখানে একটি বড়ো পাথর গড়িয়ে আনো।”
Ανήγγειλαν δε προς τον Σαούλ, λέγοντες, Ιδού, ο λαός αμαρτάνει εις τον Κύριον, διότι τρώγουσι μετά του αίματος. Και είπε, Παραβάται εστάθητε· κυλίσατε προς εμέ σήμερον λίθον μέγαν.
34 পরে তিনি বললেন, “লোকদের মধ্যে গিয়ে তাদের বলো, ‘তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকে আমার কাছে তোমাদের গবাদি পশু ও মেষপাল নিয়ে এসো, ও সেগুলি এখানে বধ করে খেয়ে ফেলো। রক্ত সমেত মাংস খেয়ে তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ কোরো না।’” অতএব প্রত্যেকে সেরাত্রে যে যার বলদ নিয়ে এসে সেখানে বধ করল।
Και είπεν ο Σαούλ, Διασπάρθητε μεταξύ του λαού και είπατε προς αυτούς, Φέρετέ μοι ενταύθα έκαστος τον βουν αυτού και έκαστος το πρόβατον αυτού, και σφάξατε ενταύθα και φάγετε· και μη αμαρτάνετε εις τον Κύριον, τρώγοντες μετά του αίματος. Και έφεραν πας ο λαός έκαστος τον βουν αυτού μεθ' εαυτού εκείνην την νύκτα και έσφαξαν εκεί.
35 তখন শৌল সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক যজ্ঞবেদি তৈরি করলেন; এই প্রথমবার তিনি এমনটি করলেন।
Και ωκοδόμησεν ο Σαούλ θυσιαστήριον εις τον Κύριον· τούτο ήτο το πρώτον θυσιαστήριον, το οποίον ωκοδόμησεν ο Σαούλ εις τον Κύριον.
36 শৌল বললেন, “চলো, আজ রাতেই আমরা ফিলিস্তিনীদের পিছনে তাড়া করে ভোর পর্যন্ত তাদের উপর লুটপাট চালাই, এবং তাদের মধ্যে একজনকেও প্রাণে বাঁচিয়ে না রাখি।” তারা উত্তর দিয়েছিল, “আপনার যা ভালো মনে হয় তাই করুন।” কিন্তু যাজক বললেন, “আসুন, আমরা এখানে ঈশ্বরের কাছে খোঁজ করি।”
Και είπεν ο Σαούλ, Ας καταβώμεν εξοπίσω των Φιλισταίων διά νυκτός, και ας διαρπάσωμεν αυτούς έως να φέγξη η ημέρα, και ας μη αφήσωμεν μηδέ ένα εξ αυτών. Και είπον, Κάμε παν ό, τι σοι φαίνεται καλόν. Τότε είπεν ο ιερεύς, Ας προσέλθωμεν ενταύθα εις τον Θεόν.
37 অতএব শৌল ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি ফিলিস্তিনীদের পিছনে তাড়া করব? তুমি কি তাদের ইস্রায়েলের হাতে তুলে দেবে?” কিন্তু ঈশ্বর সেদিন তাঁকে কোনও উত্তর দেননি।
Και ηρώτησεν ο Σαούλ τον Θεόν, Να καταβώ εξοπίσω των Φιλισταίων; θέλεις παραδώσει αυτούς εις την χείρα του Ισραήλ; Αλλά δεν απεκρίθη προς αυτόν την ημέραν εκείνην.
38 অতএব শৌল বললেন, “তোমরা যারা সৈন্যদলের নেতা, তারা এখানে এসো, এবং খুঁজে দেখা যাক আজ কী পাপ ঘটেছে।
Και είπεν ο Σαούλ, Πλησιάσατε ενταύθα πάντες οι αρχηγοί του λαού· και μάθετε και ιδέτε, εις ποίον εστάθη η αμαρτία αύτη σήμερον·
39 ইস্রায়েলের রক্ষাকর্তা সদাপ্রভুর দিব্যি, দোষ যদি আমার ছেলে যোনাথন করে থাকে, তবে তাকেই মরতে হবে।” কিন্তু তাদের কেউই কোনও কথা বলেনি।
διότι ζη Κύριος, ο σώσας τον Ισραήλ, ότι και εις τον Ιωνάθαν τον υιόν μου αν εστάθη, θέλει βεβαίως θανατωθή. Και δεν ευρέθη ουδείς μεταξύ παντός του λαού, όστις απεκρίθη προς αυτόν.
40 শৌল তখন সব ইস্রায়েলীকে বললেন, “তোমরা সব ওখানে দাঁড়িয়ে থাকো; আমি ও আমার ছেলে যোনাথন এখানে এসে দাঁড়াব।” “আপনার যা ভালো মনে হয়, তাই করুন,” তারা উত্তর দিয়েছিল।
Και είπε προς πάντα τον Ισραήλ, Σταθήτε σεις εκ του ενός μέρους, εγώ δε και Ιωνάθαν ο υιός μου θέλομεν σταθή εκ του άλλου μέρους. Και είπεν ο λαός προς τον Σαούλ, Κάμε παν ό, τι σοι φαίνεται καλόν.
41 তখন শৌল ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন, “আজ তুমি কেন তোমার দাসকে উত্তর দিলে না? আমি বা আমার ছেলে যোনাথন যদি দোষ করে থাকি, তবে ঊরীমের মাধ্যমে উত্তর দাও, কিন্তু ইস্রায়েলের জনতা যদি ভুল করে থাকে, তবে তূম্মীমের মাধ্যমে উত্তর দাও।” গুটিকাপাতের মাধ্যমে যোনাথন ও শৌল ধরা পড়েছিলেন, এবং জনতা মুক্ত হল।
Τότε είπεν ο Σαούλ προς τον Κύριον τον Θεόν του Ισραήλ, Δείξον τον αθώον. Και επιάσθη ο Ιωνάθαν και ο Σαούλ· ο δε λαός απελύθη.
42 শৌল বললেন, “আমার ও আমার ছেলে যোনাথনের মধ্যে গুটিকাপাতের দান চালো।” তাতে যোনাথন ধরা পড়েছিলেন।
Και είπεν ο Σαούλ, Ρίψατε κλήρους μεταξύ εμού και Ιωνάθαν του υιού μου. Και επιάσθη ο Ιωνάθαν.
43 তখন শৌল যোনাথনকে বললেন, “তুমি কী করেছ তা আমায় বলো।” যোনাথন তাঁকে বললেন, “আমি আমার লাঠির ডগায় করে একটু মধু চেখেছি। এখন আমায় মরতে হবে!”
Τότε είπεν ο Σαούλ προς τον Ιωνάθαν, Φανέρωσόν μοι τι έπραξας. Και εφανέρωσε προς αυτόν ο Ιωνάθαν, και είπε, Τωόντι εγεύθην ολίγον μέλι διά του άκρου της ράβδου της εν τη χειρί μου· ιδού, εγώ, αποθνήσκω.
44 শৌল বললেন, “যোনাথন, তুমি যদি মারা না যাও, তবে ঈশ্বর যেন আমায় আরও বেশি শাস্তি দেন।”
Και απεκρίθη ο Σαούλ, Ούτω να κάμη ο Θεός και ούτω να προσθέση· βεβαίως θέλεις αποθάνει, Ιωνάθαν.
45 কিন্তু লোকেরা শৌলকে বলল, “যিনি ইস্রায়েলে এমন মহা উদ্ধার এনে দিয়েছেন—সেই যোনাথন মরবেন? তা হবে না! জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, তাঁর মাথার একটি চুলও মাটিতে পড়বে না, কারণ ঈশ্বরের সাহায্য নিয়ে তিনিই আজ এমনটি করেছেন।” অতএব লোকেরা যোনাথনকে রক্ষা করল, এবং তাঁকে মরতে হয়নি।
Ο δε λαός είπε προς τον Σαούλ, Ο Ιωνάθαν θέλει αποθάνει, όστις έκαμε την μεγάλην ταύτην σωτηρίαν εις τον Ισραήλ; Μη γένοιτο· Ζη Κύριος, ουδέ μία θριξ εκ της κεφαλής αυτού θέλει πέσει εις την γήν· διότι ενήργησε μετά του Θεού την ημέραν ταύτην. Και ελύτρωσεν ο λαός τον Ιωνάθαν, και δεν απέθανε.
46 পরে শৌল আর ফিলিস্তিনীদের পশ্চাদ্ধাবন করেননি, এবং তারাও তাদের দেশে ফিরে গেল।
Τότε ανέβη ο Σαούλ εκ της καταδιώξεως των Φιλισταίων· και οι Φιλισταίοι υπήγαν εις τον τόπον αυτών.
47 শৌল ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করা শুরু করার পরপরই তিনি তাদের সব শত্রুর: মোয়াব, অম্মোনীয়, ইদোমীয়, সোবার রাজাদের ও ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন। তিনি যেদিকেই যেতেন, তাদের শাস্তি দিয়ে যেতেন।
Και έλαβεν ο Σαούλ την βασιλείαν επί τον Ισραήλ, και επολέμησεν εναντίον πάντων των εχθρών αυτού κύκλω· εναντίον του Μωάβ και εναντίον των υιών του Αμμών και εναντίον του Εδώμ και εναντίον των βασιλέων της Σωβά και εναντίον των Φιλισταίων· και εναντίον πάντων όπου και αν εστρέφετο, κατετρόπονε.
48 তিনি বীরের মতো যুদ্ধ করে অমালেকীয়দের পরাস্ত করলেন, ও ইস্রায়েলকে তাদের হাত থেকে মুক্ত করলেন, যারা তাদের উপর লুঠতরাজ চালিয়েছিল।
Συνεκρότησεν έτι δύναμιν και επάταξε τον Αμαλήκ, και ηλευθέρωσε τον Ισραήλ εκ χειρός των διαρπαζόντων αυτούς.
49 শৌলের ছেলেদের নাম যোনাথন, যিশবি ও মল্কীশূয়। তাঁর বড়ো মেয়ের নাম মেরব ও ছোটোটির নাম মীখল।
Οι δε υιοί του Σαούλ ήσαν Ιωνάθαν και Ισονεί και Μελχί-σουέ· και τα ονόματα των δύο θυγατέρων αυτού, το όνομα της πρωτοτόκου Μεράβ, και το όνομα της νεωτέρας Μιχάλ·
50 তাঁর স্ত্রীর নাম অহীনোয়ম, যিনি অহীমাসের মেয়ে। শৌলের সৈন্যদলের সেনাপতির নাম অবনের, তিনি নেরের ছেলে, এবং নের ছিলেন শৌলের কাকা।
το δε όνομα της γυναικός του Σαούλ ήτο Αχινοάμ, θυγάτηρ του Αχιμάας. Και το όνομα του αρχιστρατήγου αυτού Αβενήρ, υιός του Νηρ, θείου του Σαούλ.
51 শৌলের বাবা কীশ ও অবনেরের বাবা নের ছিলেন অবীয়েলের ছেলে।
Ο δε Κείς ο πατήρ του Σαούλ, και ο Νηρ ο πατήρ του Αβενήρ, ήσαν υιοί του Αβιήλ.
52 শৌলের সমগ্র রাজত্বকাল জুড়ে ফিলিস্তিনীদের সঙ্গে তাদের ভীষণ যুদ্ধ লেগেই থাকত, এবং শৌল যখনই কোনও মহান বা সাহসী লোক দেখতেন, তিনি তাকে তাঁর সৈন্যদলে ভর্তি করে নিতেন।
Ήτο δε πόλεμος δυνατός εναντίον των Φιλισταίων κατά πάσας τας ημέρας του Σαούλ· και οπότε έβλεπεν ο Σαούλ άνδρα τινά δυνατόν ή άνδρείον, παρελάμβανεν αυτόν πλησίον εαυτού.

< শমূয়েলের প্রথম বই 14 >