< ১ম পিতর 1 >
1 আমি পিতর, যীশু খ্রীষ্টের একজন প্রেরিতশিষ্য, তাঁদের উদ্দেশে এই পত্র লিখছি, যাঁরা ঈশ্বরের মনোনীত, পৃথিবীতে প্রবাসী এবং পন্ত, গালাতিয়া, কাপ্পাদোকিয়া, এশিয়া ও বিথুনিয়াতে বিক্ষিপ্তভাবে বসবাস করছে।
2 পিতা ঈশ্বর পূর্বজ্ঞান অনুসারে তোমাদের মনোনীত করেছেন, এবং তাঁর আত্মা তোমাদের পবিত্র করেছেন। এর ফলে তোমরা তাঁর প্রতি অনুগত হয়েছ এবং যীশু খ্রীষ্টের রক্তের মাধ্যমে শুচিশুদ্ধ হয়েছ: অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের উপরে প্রচুর পরিমাণে বর্ষিত হোক।
3 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতার প্রশংসা হোক! মৃতলোক থেকে যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের মাধ্যমে, তাঁর মহা করুণায় তিনি এক জীবন্ত প্রত্যাশায় আমাদের নতুন জন্ম দান করেছেন
4 এবং তিনি এক অধিকার দিয়েছেন, যা অক্ষয়, অম্লান এবং নিষ্কলঙ্ক; তা তোমাদেরই জন্য স্বর্গে সঞ্চিত আছে।
5 যে পরিত্রাণ অন্তিমকালে প্রকাশিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে, যা প্রভুর আগমনের সময় পর্যন্ত বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের পরাক্রমের দ্বারা সুরক্ষিত রয়েছে।
6 এই কারণে তোমরা মহা উল্লসিত হয়েছ, যদিও বর্তমানে কিছু সময়ের জন্য সমস্ত রকম পরীক্ষায় তোমাদের দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।
7 সোনা আগুনের দ্বারা পরিশোধিত হলেও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। তার থেকেও বহুমূল্য তোমাদের বিশ্বাস তেমনি আগুনের মাধ্যমে শুদ্ধ হয়েছে যেন যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশকালে তা প্রশংসা, গৌরব ও মর্যাদা লাভ করতে পারে।
8 তোমরা তাঁকে দেখোনি অথচ তাঁকে ভালোবেসেছ; আর যদিও তোমরা তাঁকে এখন দেখতে পাচ্ছ না, তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করে অবর্ণনীয় ও মহিমাময় আনন্দে পূর্ণ হয়ে উঠছ,
9 কারণ তোমরা তোমাদের বিশ্বাসের লক্ষ্য, অর্থাৎ তোমাদের প্রাণের পরিত্রাণ লাভ করছ।
10 এই পরিত্রাণ সম্পর্কে ভাববাদীরা তোমাদের কাছে ইতিপূর্বে যে আসন্ন অনুগ্রহের কথা বলেছিলেন, তাঁরাও নিষ্ঠাভরে ও পরম যত্নের সঙ্গে তা অনুসন্ধান করেছিলেন।
11 তাঁদের অন্তরে স্থিত খ্রীষ্টের আত্মা তাঁদের কাছে খ্রীষ্টের কষ্টভোগ ও পরবর্তী মহিমার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন এবং কোন সময়ে ও কোন পরিস্থিতিতে তা ঘটবে, তার সন্ধান পেতে তাঁরা চেষ্টা করছিলেন।
12 তাঁদের কাছে এ বিষয় প্রকাশিত হয়েছিল যে, তাঁরা নিজেদের সেবা করছেন না, কিন্তু তোমাদের সেবা করছেন। আর এখন এই সুসমাচার তাঁদের মাধ্যমে তোমাদের কাছে ঘোষণা করা হয়েছে যাঁরা স্বর্গ থেকে প্রেরিত পবিত্র আত্মার শক্তিতে এই সমস্ত প্রচার করেছিলেন। আবার স্বর্গদূতেরাও সাগ্রহে এসব প্রত্যক্ষ করার আকাঙ্ক্ষায় রয়েছেন।
13 অতএব, কর্মে তৎপর হওয়ার জন্য তোমাদের মনকে প্রস্তুত করো, আত্মসংযমী হও; যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশকালে যে অনুগ্রহ তোমাদের দেওয়া হবে, তার উপরে পূর্ণ প্রত্যাশা রাখো।
14 বাধ্য সন্তানদের মতো চলো, অজ্ঞতাবশত আগে যেভাবে মন্দ বাসনার বশে চলতে, তার মতো আর হোয়ো না।
15 কিন্তু যিনি তোমাদের আহ্বান করেছেন, তিনি যেমন পবিত্র, তোমরাও তেমনই সমস্ত আচার-আচরণে পবিত্র হও।
16 কারণ লেখা আছে, “তোমরা পবিত্র হও, কারণ আমি পবিত্র।”
17 যেহেতু তোমরা এমন পিতার নামে আহ্বান করো, যিনি সব মানুষের কাজ নিরপেক্ষভাবে বিচার করেন, তাই তোমরা সম্ভ্রমপূর্ণ ভয়ে প্রবাসীর মতো এখানে নিজেদের জীবনযাপন করো।
18 কারণ তোমরা জানো যে, তোমাদের পিতৃপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া অলীক আচার-ব্যবহার থেকে, রুপো বা সোনার মতো ক্ষয়িষ্ণু বস্তুর বিনিময়ে তোমরা মুক্তি পাওনি,
19 কিন্তু নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্ক মেষশাবক, অর্থাৎ খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্তের দ্বারা মুক্তি পেয়েছ।
20 জগৎ সৃষ্টির আগে থেকে ঈশ্বর তাঁকে মনোনীত করেছিলেন, কিন্তু তোমাদের কারণে এই শেষ সময়ে তিনি প্রকাশিত হয়েছেন।
21 তাঁরই মাধ্যমে তোমরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেছ, যিনি তাঁকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করে মহিমান্বিত করেছেন। সেই কারণে, তোমাদের বিশ্বাস ও প্রত্যাশা ঈশ্বরের উপরে রয়েছে।
22 এখন তোমরা সত্যের বাধ্য হয়ে নিজেদের পরিশুদ্ধ করেছ যেন ভাইবোনেদের প্রতি তোমাদের আন্তরিক ভালোবাসা থাকে, তোমরা অন্তর থেকেই পরস্পরকে ভালোবাসো।
23 কারণ তোমরা ক্ষয়িষ্ণু বীর্য থেকে নয়, কিন্তু অক্ষয় বীর্য থেকে, অর্থাৎ, ঈশ্বরের জীবন্ত ও চিরস্থায়ী বাক্যের দ্বারা নতুন জন্ম লাভ করেছ। (aiōn )
24 কারণ, “সব মানুষই ঘাসের মতো, আর তাদের সব সৌন্দর্য মেঠো-ফুলের মতো; ঘাস শুকিয়ে যায় ও ফুল ঝরে পড়ে,
25 কিন্তু প্রভুর বাক্য থাকে চিরকাল।” আর সুসমাচারের এই বাক্যই তোমাদের কাছে প্রচার করা হয়েছে। (aiōn )