< প্রথম রাজাবলি 22 >

1 তিন বছর অরাম ও ইস্রায়েলের মধ্যে কোনও যুদ্ধ হয়নি।
و سه سال گذشت که در میان ارام واسرائیل جنگ نبود.۱
2 কিন্তু তৃতীয় বছরে যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজার সাথে দেখা করতে গেলেন।
و در سال سوم، یهوشافاط، پادشاه یهودا نزد پادشاه اسرائیل فرودآمد.۲
3 ইস্রায়েলের রাজা তাঁর কর্মকর্তাদের বললেন, “তোমরা কি জানো না যে রামোৎ-গিলিয়দ আমাদেরই, আর তাও আমরা অরামের রাজার হাত থেকে সেটি পুনরাধিকার করার জন্য কিছুই করছি না?”
و پادشاه اسرائیل به خادمان خود گفت: «آیا نمی دانید که راموت جلعاد از آن ماست و مااز گرفتنش از دست پادشاه ارام غافل می‌باشیم؟»۳
4 তাই তিনি যিহোশাফটকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি আমার সাথে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে যাবেন?” যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে উত্তর দিলেন, “আমি, আপনারই মতো, আমার প্রজারাও আপনার প্রজাদেরই মতো, তথা আমার ঘোড়াগুলি আপনার ঘোড়াগুলির মতোই।”
پس به یهوشافاط گفت: «آیا همراه من به راموت جلعاد برای جنگ خواهی آمد؟» و یهوشافاطپادشاه اسرائیل را جواب داد که «من، چون تو وقوم من، چون قوم تو و سواران من، چون سواران تو می‌باشند.»۴
5 কিন্তু যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে এও বললেন, “প্রথমে সদাপ্রভুর কাছে পরামর্শ চেয়ে নিন।”
و یهوشافاط به پادشاه اسرائیل گفت: «تمنااینکه امروز از کلام خداوند مسالت نمایی.»۵
6 অতএব ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের—প্রায় চারশো জনকে—একত্রিত করলেন, এবং তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, নাকি বিরত থাকব?” “যান,” তারা উত্তর দিয়েছিল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি মহারাজের হাতে তুলে দেবেন।”
وپادشاه اسرائیل به قدر چهارصد نفر از انبیا جمع کرده، به ایشان گفت: «آیا به راموت جلعاد برای جنگ بروم یا باز ایستم؟» ایشان گفتند: «برآی وخداوند آن را به‌دست پادشاه تسلیم خواهدنمود.»۶
7 কিন্তু যিহোশাফট জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর এমন কোনও ভাববাদী আর নেই, যাঁর কাছে আমরা খোঁজখবর নিতে পারব?”
اما یهوشافاط گفت: «آیا در اینجا غیر ازاینها نبی خداوند نیست تا از او سوال نماییم؟»۷
8 ইস্রায়েলের রাজা, যিহোশাফটকে উত্তর দিলেন, “আরও একজন ভাববাদী আছেন, যার মাধ্যমে আমরা সদাপ্রভুর কাছে খোঁজখবর নিতে পারি, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, যেহেতু সে কখনোই আমার বিষয়ে ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু সবসময় খারাপ ভাববাণীই করে। সে হল যিম্লের ছেলে মীখায়।” “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন। “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন।
وپادشاه اسرائیل به یهوشافاط گفت: «یک مرددیگر، یعنی میکایا ابن یمله هست که به واسطه او از خداوند مسالت توان کرد، لیکن من از او نفرت دارم زیرا که درباره من به نیکویی نبوت نمی کند، بلکه به بدی.» و یهوشافاط گفت: «پادشاه چنین نگوید.»۸
9 তখন ইস্রায়েলের রাজা কর্মকর্তাদের মধ্যে একজনকে ডেকে বললেন, “এক্ষুনি গিয়ে যিম্লের ছেলে মীখায়কে ডেকে আনো।”
پس پادشاه اسرائیل یکی از خواجه‌سرایان خود را خوانده، گفت: «میکایا ابن یمله رابه زودی حاضر کن.»۹
10 রাজপোশাক পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট, দুজনেই শমরিয়ার সিংহদুয়ারের কাছে খামারবাড়িতে তাদের সিংহাসনে বসেছিলেন, এবং ভাববাদীরা সবাই তাদের সামনে ভাববাণী করে যাচ্ছিল।
و پادشاه اسرائیل ویهوشافاط، پادشاه یهودا، هر یکی لباس خود راپوشیده، بر کرسی خود در جای وسیع، نزد دهنه دروازه سامره نشسته بودند، و جمیع انبیا به حضور ایشان نبوت می‌کردند.۱۰
11 ইত্যবসরে কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় লোহার দুটি শিং তৈরি করল এবং সে ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘অরামীয়রা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এগুলি দিয়েই আপনি তাদের গুঁতাবেন।’”
و صدقیا ابن کنعنه شاخهای آهنین برای خود ساخته، گفت: «خداوند چنین می‌گوید: ارامیان را به اینهاخواهی زد تا تلف شوند.»۱۱
12 অন্যান্য সব ভাববাদীও একই ভাববাণী করল। “রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করুন এবং বিজয়ী হোন,” তারা বলল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
و جمیع انبیا نبوت کرده، چنین می‌گفتند: «به راموت جلعاد برآی وفیروز شو زیرا خداوند آن را به‌دست پادشاه تسلیم خواهد نمود.»۱۲
13 যে দূত মীখায়কে ডাকতে গেল, সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই কোনও আপত্তি না জানিয়ে রাজার পক্ষে সফলতার ভাববাণী করছে। আপনার কথাও যেন তাদেরই মতো হয়, এবং আপনিও সুবিধাজনক কথাই বলুন।”
و قاصدی که برای طلبیدن میکایا رفته بود، او را خطاب کرده، گفت: «اینک انبیا به یک زبان درباره پادشاه نیکو می‌گویند. پس کلام تو مثل کلام یکی از ایشان باشد و سخنی نیکو بگو.»۱۳
14 কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, সদাপ্রভু আমাকে যা বলেছেন, আমি তাঁকে শুধু সেকথাই বলতে পারব।”
میکایا گفت: «به حیات خداوند قسم که هرآنچه خداوند به من بگوید همان را خواهم گفت.»۱۴
15 তিনি সেখানে পৌঁছানোর পর রাজামশাই তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করব, কি না?” “আক্রমণ করে জয়ী হোন,” তিনি উত্তর দিলেন, “কারণ সদাপ্রভু মহারাজের হাতে সেটি তুলে দেবেন।”
پس چون نزد پادشاه رسید، پادشاه وی راگفت: «ای میکایا آیا به راموت جلعاد برای جنگ برویم یا باز ایستیم.» او در جواب وی گفت: «برآی و فیروز شو. و خداوند آن را به‌دست پادشاه تسلیم خواهد کرد.»۱۵
16 রাজা তাঁকে বললেন, “কতবার আমি তোমাকে দিয়ে শপথ করাব যে তুমি সদাপ্রভুর নামে আমাকে সত্যিকথা ছাড়া আর কিছুই বলবে না?”
پادشاه وی راگفت: «چند مرتبه تو را قسم بدهم که به اسم یهوه، غیر از آنچه راست است به من نگویی.»۱۶
17 তখন মীখায় উত্তর দিলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি, ইস্রায়েলীরা সবাই পাহাড়ের উপর পালকবিহীন মেষের পালের মতো হয়ে আছে, এবং সদাপ্রভু বলেছেন, ‘এই লোকজনের কোনও মনিব নেই। শান্তিতে যে যার ঘরে ফিরে যাক।’”
اوگفت: «تمامی اسرائیل را مثل گله‌ای که شبان ندارد بر کوهها پراکنده دیدم و خداوند گفت: اینها صاحب ندارند، پس هر کس به سلامتی به خانه خود برگردد.»۱۷
18 ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে বলিনি যে সে আমার বিষয়ে কখনও ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু শুধু খারাপ ভাববাণীই করে?”
و پادشاه اسرائیل به یهوشافاط گفت: «آیا تو را نگفتم که درباره من به نیکویی نبوت نمی کند بلکه به بدی.»۱۸
19 মীখায় আরও বললেন, “এজন্য সদাপ্রভুর এই বাক্য শুনুন: আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং স্বর্গের জনতা তাঁর চারদিকে, তাঁর ডানদিকে ও বাঁদিকে দাঁড়িয়ে আছে।
او گفت: «پس کلام خداوند را بشنو: من خداوند را بر کرسی خود نشسته دیدم و تمامی لشکر آسمان نزد وی به طرف راست و چپ ایستاده بودند.۱۹
20 সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করে সেখানে মরতে যাওয়ার জন্য কে আহাবকে প্ররোচিত করবে?’ “তখন কেউ একথা, কেউ সেকথা বলল।
و خداوند گفت: کیست که اخاب را اغوا نماید تا به راموت جلعاد برآمده، بیفتد. و یکی به اینطور سخن راند و دیگری به آنطور تکلم نمود.۲۰
21 শেষে, একটি আত্মা এগিয়ে এসে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আমি তাকে লোভ দেখাব।’
و آن روح (پلید) بیرون آمده، به حضور خداوند بایستاد و گفت: من او رااغوا می‌کنم.۲۱
22 “কিন্তু কীভাবে? সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন। “‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা হব,’ সে বলল। “‘তাকে লোভ দেখাতে তুমি সফল হবে,’ সদাপ্রভু বললেন। ‘যাও, ওরকমই করো।’
و خداوند وی را گفت: به چه چیز؟ او جواب داد که من بیرون می‌روم و در دهان جمیع انبیایش روح کاذب خواهم بود. او گفت: وی را اغوا خواهی کرد و خواهی توانست. پس برو و چنین بکن.۲۲
23 “তাই এখন সদাপ্রভু আপনার এইসব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা দিয়েছেন। সদাপ্রভু আপনার জন্য বিপর্যয়ের বিধান দিয়েছেন।”
پس الان خداوند روحی کاذب در دهان جمیع این انبیای تو گذاشته است وخداوند درباره تو سخن بد گفته است.»۲۳
24 তখন কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরেছিল। “সদাপ্রভুর কাছ থেকে আসা আত্মা তোর সাথে কথা বলার জন্য কোন পথে আমার কাছ থেকে গেলেন?” সে জিজ্ঞাসা করল।
آنگاه صدقیا ابن کنعنه نزدیک آمده، به رخسار میکایا زد و گفت: «روح خداوند به کدام راه از نزد من به سوی تو رفت تا به تو سخن گوید؟»۲۴
25 মীখায় উত্তর দিলেন, “সেদিনই তুমি তা জানতে পারবে, যেদিন তুমি ভিতরের ঘরে গিয়ে লুকাবে।”
میکایا جواب داد: «اینک در روزی که به حجره اندرونی داخل شده، خود را پنهان کنی آن را خواهی دید.»۲۵
26 ইস্রায়েলের রাজা তখন আদেশ দিলেন, “মীখায়কে নগরের শাসনকর্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দাও
و پادشاه اسرائیل گفت: «میکایا را بگیر و او را نزد آمون، حاکم شهر ویوآش، پسر پادشاه ببر.۲۶
27 এবং তাদের বোলো, ‘রাজা একথাই বলেছেন: একে জেলখানায় রেখে দাও এবং যতদিন না আমি নিরাপদে ফিরে আসছি, ততদিন একে রুটি ও জল ছাড়া আর কিছুই দিয়ো না।’”
و بگو پادشاه چنین می‌فرماید: این شخص را در زندان بیندازید و اورا به نان تنگی و آب تنگی بپرورید تا من به سلامتی برگردم.»۲۷
28 মীখায় ঘোষণা করলেন, “আপনি যদি নিরাপদে কখনও ফিরে আসেন, তবে জানবেন, সদাপ্রভু আমার মাধ্যমে কথা বলেননি।” পরে তিনি আরও বললেন, “ওহে লোকজন, তোমরা সবাই আমার কথাগুলি মনে গেঁথে রাখো!”
میکایا گفت: «اگر فی الواقع به سلامتی مراجعت کنی خداوند به من تکلم ننموده است، و گفت‌ای قوم جمیع بشنوید.»۲۸
29 অতএব ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দে চলে গেলেন।
و پادشاه اسرائیل و یهوشافاط، پادشاه یهودا به راموت جلعاد برآمدند.۲۹
30 ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাক পরে থাকুন।” এইভাবে ইস্রায়েলের রাজা ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধে গেলেন।
و پادشاه اسرائیل به یهوشافاط گفت: «من خود را متنکرساخته، به جنگ می‌روم و تو لباس خود رابپوش.» پس پادشاه اسرائیل خود را متنکرساخته، به جنگ رفت.۳۰
31 ইত্যবসরে অরামের রাজা তাঁর রথের বত্রিশজন সেনাপতিকে আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া, ছোটো বা বড়ো, কোনো লোকের সাথে যুদ্ধ করবে না।”
و پادشاه ارام سی و دوسردار ارابه های خود را امر کرده، گفت: «نه باکوچک و نه با بزرگ بلکه با پادشاه اسرائیل فقطجنگ نمایید.»۳۱
32 রথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিল, “ইনিই নিশ্চয় ইস্রায়েলের রাজা।” তাই তাঁকে আক্রমণ করার জন্য তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু যিহোশাফট যখন চিৎকার করে উঠেছিলেন,
و چون سرداران ارابه هایهوشافاط را دیدند، گفتند: «یقین این پادشاه اسرائیل است.» پس برگشتند تا با او جنگ نمایندو یهوشافاط فریاد برآورد.۳۲
33 রথের সেনাপতিরা যখন দেখেছিল যে তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন, তারা তাঁর পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
و چون سرداران ارابه‌ها دیدند که او پادشاه اسرائیل نیست، ازتعاقب او برگشتند.۳۳
34 কিন্তু কেউ একজন আন্দাজে ধনুক চালিয়ে ইস্রায়েলের রাজার দেহে যেখানে বর্মের ঘেরাটোপ ছিল না, সেখানেই আঘাত করে বসেছিল। রাজামশাই তাঁর রথের সারথিকে বললেন, “রথের মুখ ঘুরিয়ে আমাকে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে নিয়ে যাও। আমি আহত হয়েছি।”
اما کسی کمان خود رابدون غرض کشیده، پادشاه اسرائیل را میان وصله های زره زد، و او به ارابه ران خود گفت: «دست خود را بگردان و مرا از لشکر بیرون ببرزیرا که مجروح شدم.»۳۴
35 সারাদিন ধরে তুমুল যুদ্ধ চলেছিল, এবং অরামীয়দের দিকে মুখ করে রাজামশাইকে তাঁর রথে ঠেস দিয়ে খাড়া করে রাখা হল। তাঁর ক্ষতস্থান থেকে ঝরে পড়া রক্তে রথের মেঝে ভেসে গেল, এবং সেই সন্ধ্যায় তিনি মারা গেলেন।
و در آن روز جنگ سخت شد و پادشاه را در ارابه‌اش به مقابل ارامیان برپا می‌داشتند، و وقت غروب مرد و خون زخمش به میان ارابه ریخت.۳۵
36 সূর্য যখন অস্ত যাচ্ছিল, তখন সৈন্যদলে এই হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছিল, “প্রত্যেকে নিজের নিজের নগরে ফিরে যাও। প্রত্যেকে নিজের নিজের দেশে ফিরে যাও!”
و هنگام غروب آفتاب در لشکر ندا در‌داده، گفتند: «هر کس به شهر خود و هر کس به ولایت خویش برگردد.»۳۶
37 অতএব রাজামশাই মারা গেলেন ও তাঁর দেহ শমরিয়ায় আনা হল, এবং লোকেরা তাঁকে সেখানেই কবর দিয়েছিল।
و پادشاه مرد و او را به سامره آوردند و پادشاه را در سامره دفن کردند.۳۷
38 তারা শমরিয়ার একটি পুকুরে রথটি ধুয়েছিল (যেখানে বারবণিতারা স্নান করত), আর সদাপ্রভুর ঘোষিত কথানুসারে কুকুরেরা তাঁর রক্ত চেটে খেয়েছিল।
و ارابه را در برکه سامره شستند و سگان خونش را لیسیدند واسلحه او را شستند، برحسب کلامی که خداوندگفته بود.۳۸
39 আহাবের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, এছাড়াও তিনি যা যা করলেন, যে প্রাসাদ তিনি তৈরি করলেন ও হাতির দাঁত দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন, এবং যেসব নগর তিনি সুরক্ষিত করলেন—তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
و بقیه وقایع اخاب و هر‌چه او کرد وخانه عاجی که ساخت و تمامی شهرهایی که بناکرد، آیا در کتاب تواریخ ایام پادشاهان اسرائیل مکتوب نیست.۳۹
40 আহাব তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন। তাঁর ছেলে অহসিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
پس اخاب با اجدادخود خوابید و پسرش، اخزیا به‌جایش سلطنت نمود.۴۰
41 ইস্রায়েলের রাজা আহাবের রাজত্বের চতুর্থ বছরে আসার ছেলে যিহোশাফট যিহূদায় রাজা হলেন।
و یهوشافاط بن آسا در سال چهارم اخاب، پادشاه اسرائیل بر یهودا پادشاه شد.۴۱
42 যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঁচিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অসূবা। তিনি শিলহির মেয়ে ছিলেন।
ویهوشافاط سی و پنج ساله بود که آغاز سلطنت نمود و بیست و پنج سال در اورشلیم سلطنت کردو اسم مادرش عزوبه دختر شلحی، بود.۴۲
43 সবকিছুতেই তিনি তাঁর বাবা আসার পথে চলেছিলেন এবং সেগুলি থেকে সরে যাননি; সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তিনি তাই করলেন। অবশ্য প্রতিমাপূজার উঁচু উঁচু স্থানগুলি সরানো হয়নি, এবং লোকজন তখনও সেগুলিতে পশুবলি উৎসর্গ করে যাচ্ছিল ও ধূপও জ্বালিয়ে যাচ্ছিল।
و درتمامی طریقهای پدرش، آسا سلوک نموده، ازآنها تجاوز نمی نمود و آنچه در نظر خداوندراست بود، بجا می‌آورد. مگر اینکه مکانهای بلندبرداشته نشد و قوم در مکانهای بلند قربانی همی گذرانیدند و بخور همی سوزانیدند.۴۳
44 ইস্রায়েলের রাজার সঙ্গেও যিহোশাফটের শান্তি বজায় ছিল।
ویهوشافاط با پادشاه اسرائیل صلح کرد.۴۴
45 যিহোশাফটের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তিনি যা যা অর্জন করলেন ও তাঁর সামরিক উজ্জ্বল সব কীর্তি—তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
و بقیه وقایع یهوشافاط و تهوری که نمود وجنگهایی که کرد، آیا در کتاب تواریخ ایام پادشاهان یهودا مکتوب نیست؟۴۵
46 তাঁর বাবা আসার রাজত্বকালে দেবদাসদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার পরেও দেশে যেসব দেবদাস থেকে গেল, যিহোশাফট তাদেরও দূর করে দিলেন।
و بقیه الواطی که از ایام پدرش، آسا باقی‌مانده بودند، آنها را اززمین نابود ساخت.۴۶
47 ইদোমে তখন কোনও রাজা ছিল না; একজন প্রাদেশিক শাসনকর্তা সেখানে শাসন চালাচ্ছিলেন।
و در ادوم، پادشاهی نبود. لیکن وکیلی پادشاهی می‌کرد.۴۷
48 ইত্যবসরে ওফীর থেকে সোনা আনার জন্য যিহোশাফট বাণিজ্যতরির এক নৌবহর তৈরি করলেন, কিন্তু সেগুলির আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি—কারণ ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলি সমুদ্রে ডুবে গেল।
و یهوشافاط کشتیهای ترشیشی ساخت تا به جهت آوردن طلا به اوفیربروند، اما نرفتند زیرا کشتیها در عصیون جابرشکست.۴۸
49 সেই সময় আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকজন আপনার লোকজনের সাথে সমুদ্রে পাড়ি দিক,” কিন্তু যিহোশাফট এতে রাজি হননি।
آنگاه اخزیا ابن اخاب به یهوشافاطگفت: «بگذار که بندگان من با بندگان تو در کشتیهابروند.» اما یهوشافاط قبول نکرد.۴۹
50 পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাদেরই সাথে তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
و یهوشافاطبا اجداد خود خوابید و با اجدادش در شهرپدرش، داود دفن شد و پسرش، یهورام در جایش سلطنت نمود.۵۰
51 যিহূদার রাজা যিহোশাফটের রাজত্বের সতেরতম বছরে আহাবের ছেলে অহসিয় শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি দুই বছর ইস্রায়েলে রাজত্ব করলেন।
و اخزیا ابن اخاب در سال هفدهم یهوشافاط، پادشاه یهودا بر اسرائیل در سامره پادشاه شد، و دو سال بر اسرائیل پادشاهی نمود.۵۱
52 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তাই করলেন, কারণ তিনি তাঁর বাবা, মা, ও নবাটের ছেলে সেই যারবিয়ামের পথেই চলেছিলেন, যারা ইস্রায়েলকে দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন।
و آنچه درنظر خداوند ناپسند بود، بجامی آورد و به طریق پدرش و طریق مادرش وطریق یربعام بن نباط که اسرائیل را مرتکب گناه ساخته بود، سلوک می‌نمود.۵۲
53 তিনি তাঁর বাবার মতোই বায়ালের সেবা ও পুজো করলেন, এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন।
و بعل را خدمت نموده، او را عبادت کرد و بر‌حسب هر‌چه پدرش عمل نموده بود، خشم یهوه خدای اسرائیل را به هیجان آورد.۵۳

< প্রথম রাজাবলি 22 >