< প্রথম রাজাবলি 22 >
1 তিন বছর অরাম ও ইস্রায়েলের মধ্যে কোনও যুদ্ধ হয়নি।
Παρήλθον δε τρία έτη άνευ πολέμου αναμέσον της Συρίας και του Ισραήλ.
2 কিন্তু তৃতীয় বছরে যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজার সাথে দেখা করতে গেলেন।
Κατά δε το τρίτον έτος κατέβη Ιωσαφάτ ο βασιλεύς του Ιούδα προς τον βασιλέα του Ισραήλ.
3 ইস্রায়েলের রাজা তাঁর কর্মকর্তাদের বললেন, “তোমরা কি জানো না যে রামোৎ-গিলিয়দ আমাদেরই, আর তাও আমরা অরামের রাজার হাত থেকে সেটি পুনরাধিকার করার জন্য কিছুই করছি না?”
Και είπεν ο βασιλεύς του Ισραήλ προς τους δούλους αυτού, Εξεύρετε ότι η Ραμώθ-γαλαάδ είναι ημών, και ημείς σιωπώμεν εις το να λάβωμεν αυτήν εκ της χειρός του βασιλέως της Συρίας;
4 তাই তিনি যিহোশাফটকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি আমার সাথে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে যাবেন?” যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে উত্তর দিলেন, “আমি, আপনারই মতো, আমার প্রজারাও আপনার প্রজাদেরই মতো, তথা আমার ঘোড়াগুলি আপনার ঘোড়াগুলির মতোই।”
Και είπε προς τον Ιωσαφάτ, Έρχεσαι μετ' εμού διά να πολεμήσωμεν την Ραμώθ-γαλαάδ; Και είπεν ο Ιωσαφάτ προς τον βασιλέα του Ισραήλ, Εγώ είμαι καθώς συ, ο λαός μου καθώς ο λαός σου, οι ίπποι μου καθώς οι ίπποι σου.
5 কিন্তু যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে এও বললেন, “প্রথমে সদাপ্রভুর কাছে পরামর্শ চেয়ে নিন।”
Και είπεν ο Ιωσαφάτ προς τον βασιλέα του Ισραήλ, Ερώτησον, παρακαλώ, τον λόγον του Κυρίου σήμερον.
6 অতএব ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের—প্রায় চারশো জনকে—একত্রিত করলেন, এবং তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, নাকি বিরত থাকব?” “যান,” তারা উত্তর দিয়েছিল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি মহারাজের হাতে তুলে দেবেন।”
Και συνήθροισεν ο βασιλεύς του Ισραήλ τους προφήτας, περίπου τετρακοσίους άνδρας, και είπε προς αυτούς, να υπάγω εναντίον της Ραμώθ-γαλαάδ να πολεμήσω, ή να απέχω; οι δε είπον, Ανάβα, και ο Κύριος θέλει παραδώσει αυτήν εις την χείρα του βασιλέως.
7 কিন্তু যিহোশাফট জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর এমন কোনও ভাববাদী আর নেই, যাঁর কাছে আমরা খোঁজখবর নিতে পারব?”
Και είπεν ο Ιωσαφάτ, Δεν είναι ενταύθα έτι προφήτης του Κυρίου, διά να ερωτήσωμεν δι' αυτού;
8 ইস্রায়েলের রাজা, যিহোশাফটকে উত্তর দিলেন, “আরও একজন ভাববাদী আছেন, যার মাধ্যমে আমরা সদাপ্রভুর কাছে খোঁজখবর নিতে পারি, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, যেহেতু সে কখনোই আমার বিষয়ে ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু সবসময় খারাপ ভাববাণীই করে। সে হল যিম্লের ছেলে মীখায়।” “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন। “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন।
Και είπεν ο βασιλεύς του Ισραήλ προς τον Ιωσαφάτ, Είναι έτι άνθρωπός τις, Μιχαίας, ο υιός του Ιεμλά, διά του οποίου δυνάμεθα να ερωτήσωμεν τον Κύριον· πλην μισώ αυτόν· διότι δεν προφητεύει καλόν περί εμού, αλλά κακόν. Και είπεν ο Ιωσαφάτ, Ας μη λαλή ο βασιλεύς ούτως.
9 তখন ইস্রায়েলের রাজা কর্মকর্তাদের মধ্যে একজনকে ডেকে বললেন, “এক্ষুনি গিয়ে যিম্লের ছেলে মীখায়কে ডেকে আনো।”
Και εκάλεσεν ο βασιλεύς του Ισραήλ ένα ευνούχον και είπε, Σπεύσον να φέρης Μιχαίαν τον υιόν του Ιεμλά.
10 রাজপোশাক পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট, দুজনেই শমরিয়ার সিংহদুয়ারের কাছে খামারবাড়িতে তাদের সিংহাসনে বসেছিলেন, এবং ভাববাদীরা সবাই তাদের সামনে ভাববাণী করে যাচ্ছিল।
Ο δε βασιλεύς του Ισραήλ και Ιωσαφάτ ο βασιλεύς του Ιούδα εκάθηντο, έκαστος επί του θρόνου αυτού, ενδεδυμένοι στολάς, εν τόπω ανοικτώ κατά την είσοδον της πύλης της Σαμαρείας· και πάντες οι προφήται προεφήτευον έμπροσθεν αυτών.
11 ইত্যবসরে কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় লোহার দুটি শিং তৈরি করল এবং সে ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘অরামীয়রা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এগুলি দিয়েই আপনি তাদের গুঁতাবেন।’”
Και Σεδεκίας ο υιός του Χαναανά είχε κάμει εις εαυτόν σιδηρά κέρατα· και είπεν, Ούτω λέγει Κύριος· Διά τούτων θέλεις κερατίσει τους Συρίους, εωσού συντελέσης αυτούς.
12 অন্যান্য সব ভাববাদীও একই ভাববাণী করল। “রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করুন এবং বিজয়ী হোন,” তারা বলল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
Και πάντες οι προφήται προεφήτευον ούτω, λέγοντες, Ανάβα εις Ραμώθ-γαλαάδ και ευοδού· διότι ο Κύριος θέλει παραδώσει αυτήν εις την χείρα του βασιλέως.
13 যে দূত মীখায়কে ডাকতে গেল, সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই কোনও আপত্তি না জানিয়ে রাজার পক্ষে সফলতার ভাববাণী করছে। আপনার কথাও যেন তাদেরই মতো হয়, এবং আপনিও সুবিধাজনক কথাই বলুন।”
Και ο μηνυτής, όστις υπήγε να καλέση τον Μιχαίαν, είπε προς αυτόν, λέγων, Ιδού τώρα, οι λόγοι των προφητών φανερόνουσιν εξ ενός στόματος καλόν περί του βασιλέως· ο λόγος σου λοιπόν ας ήναι ως ο λόγος ενός εξ εκείνων, και λάλησον το καλόν.
14 কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, সদাপ্রভু আমাকে যা বলেছেন, আমি তাঁকে শুধু সেকথাই বলতে পারব।”
Ο δε Μιχαίας είπε, Ζη Κύριος, ό,τι μοι είπη ο Κύριος, τούτο θέλω λαλήσει.
15 তিনি সেখানে পৌঁছানোর পর রাজামশাই তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করব, কি না?” “আক্রমণ করে জয়ী হোন,” তিনি উত্তর দিলেন, “কারণ সদাপ্রভু মহারাজের হাতে সেটি তুলে দেবেন।”
Ήλθε λοιπόν προς τον βασιλέα. Και είπεν ο βασιλεύς προς αυτόν, Μιχαία, να υπάγωμεν εις Ραμώθ-γαλαάδ διά να πολεμήσωμεν, ή να απέχωμεν; Ο δε απεκρίθη προς αυτόν, Ανάβα και ευοδού· διότι ο Κύριος θέλει παραδώσει αυτήν εις την χείρα του βασιλέως.
16 রাজা তাঁকে বললেন, “কতবার আমি তোমাকে দিয়ে শপথ করাব যে তুমি সদাপ্রভুর নামে আমাকে সত্যিকথা ছাড়া আর কিছুই বলবে না?”
Και είπε προς αυτόν ο βασιλεύς, Έως ποσάκις θέλω σε ορκίζει, να μη λέγης προς εμέ παρά την αλήθειαν εν ονόματι Κυρίου;
17 তখন মীখায় উত্তর দিলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি, ইস্রায়েলীরা সবাই পাহাড়ের উপর পালকবিহীন মেষের পালের মতো হয়ে আছে, এবং সদাপ্রভু বলেছেন, ‘এই লোকজনের কোনও মনিব নেই। শান্তিতে যে যার ঘরে ফিরে যাক।’”
Ο δε είπεν, είδον πάντα τον Ισραήλ διεσπαρμένον επί τα όρη, ως πρόβατα μη έχοντα ποιμένα. Και είπε Κύριος, Ούτοι δεν έχουσι κύριον· ας επιστρέψωσιν έκαστος εις τον οίκον αυτού εν ειρήνη.
18 ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে বলিনি যে সে আমার বিষয়ে কখনও ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু শুধু খারাপ ভাববাণীই করে?”
Και είπεν ο βασιλεύς του Ισραήλ προς τον Ιωσαφάτ, Δεν σοι είπα έτι δεν θέλει προφητεύσει καλόν περί εμού, αλλά κακόν;
19 মীখায় আরও বললেন, “এজন্য সদাপ্রভুর এই বাক্য শুনুন: আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং স্বর্গের জনতা তাঁর চারদিকে, তাঁর ডানদিকে ও বাঁদিকে দাঁড়িয়ে আছে।
Και ο Μιχαίας είπεν, Άκουσον λοιπόν τον λόγον του Κυρίου. Είδον τον Κύριον καθήμενον επί του θρόνου αυτού, και πάσαν την στρατιάν του ουρανού παρισταμένην περί αυτόν, εκ δεξιών αυτού και εξ αριστερών αυτού.
20 সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করে সেখানে মরতে যাওয়ার জন্য কে আহাবকে প্ররোচিত করবে?’ “তখন কেউ একথা, কেউ সেকথা বলল।
Και είπε Κύριος, Τις θέλει απατήσει τον Αχαάβ, ώστε να αναβή και να πέση εν Ραμώθ-γαλαάδ; Και ο μεν είπεν ούτως, ο δε είπεν ούτως.
21 শেষে, একটি আত্মা এগিয়ে এসে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আমি তাকে লোভ দেখাব।’
Και εξήλθε το πνεύμα και εστάθη ενώπιον Κυρίου και είπεν, Εγώ θέλω απατήσει αυτόν.
22 “কিন্তু কীভাবে? সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন। “‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা হব,’ সে বলল। “‘তাকে লোভ দেখাতে তুমি সফল হবে,’ সদাপ্রভু বললেন। ‘যাও, ওরকমই করো।’
Και είπε Κύριος προς αυτό, Τίνι τρόπω; Και είπε, Θέλω εξέλθει και θέλω είσθαι πνεύμα ψεύδους εν τω στόματι πάντων των προφητών αυτού. Και είπε Κύριος, Θέλεις απατήσει και έτι θέλεις κατορθώσει· έξελθε και κάμε ούτω.
23 “তাই এখন সদাপ্রভু আপনার এইসব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা দিয়েছেন। সদাপ্রভু আপনার জন্য বিপর্যয়ের বিধান দিয়েছেন।”
Τώρα λοιπόν, ιδού, ο Κύριος έβαλε πνεύμα ψεύδους εν τω στόματι πάντων τούτων των προφητών σου, και ο Κύριος ελάλησε κακόν επί σε.
24 তখন কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরেছিল। “সদাপ্রভুর কাছ থেকে আসা আত্মা তোর সাথে কথা বলার জন্য কোন পথে আমার কাছ থেকে গেলেন?” সে জিজ্ঞাসা করল।
Τότε πλησιάσας Σεδεκίας ο υιός του Χαναανά, ερράπισε τον Μιχαίαν επί την σιαγόνα και είπε, Διά ποίας οδού επέρασε το Πνεύμα του Κυρίου απ' εμού, διά να λαλήση προς σε;
25 মীখায় উত্তর দিলেন, “সেদিনই তুমি তা জানতে পারবে, যেদিন তুমি ভিতরের ঘরে গিয়ে লুকাবে।”
Και είπεν ο Μιχαίας, Ιδού, θέλεις ιδεί, καθ' ην ημέραν θέλεις εισέρχεσθαι από ταμείου εις ταμείον διά να κρυφθής.
26 ইস্রায়েলের রাজা তখন আদেশ দিলেন, “মীখায়কে নগরের শাসনকর্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দাও
Και είπεν ο βασιλεύς του Ισραήλ, Πιάσατε τον Μιχαίαν και επαναφέρετε αυτόν προς Αμών τον άρχοντα της πόλεως και προς Ιωάς τον υιόν του βασιλέως·
27 এবং তাদের বোলো, ‘রাজা একথাই বলেছেন: একে জেলখানায় রেখে দাও এবং যতদিন না আমি নিরাপদে ফিরে আসছি, ততদিন একে রুটি ও জল ছাড়া আর কিছুই দিয়ো না।’”
και είπατε, Ούτω λέγει ο βασιλεύς· Βάλετε τούτον εις την φυλακήν και τρέφετε αυτόν με άρτον θλίψεως και με ύδωρ θλίψεως, εωσού επιστρέψω εν ειρήνη.
28 মীখায় ঘোষণা করলেন, “আপনি যদি নিরাপদে কখনও ফিরে আসেন, তবে জানবেন, সদাপ্রভু আমার মাধ্যমে কথা বলেননি।” পরে তিনি আরও বললেন, “ওহে লোকজন, তোমরা সবাই আমার কথাগুলি মনে গেঁথে রাখো!”
Και είπεν ο Μιχαίας, Εάν τωόντι επιστρέψης εν ειρήνη, ο Θεός δεν ελάλησε δι' εμού. Και είπεν, Ακούσατε σεις, πάντες οι λαοί.
29 অতএব ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দে চলে গেলেন।
Και ανέβη ο βασιλεύς του Ισραήλ και Ιωσαφάτ ο βασιλεύς του Ιούδα εις Ραμώθ-γαλαάδ.
30 ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাক পরে থাকুন।” এইভাবে ইস্রায়েলের রাজা ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধে গেলেন।
Και είπεν ο βασιλεύς του Ισραήλ προς τον Ιωσαφάτ, Εγώ θέλω μετασχηματισθή και εισέλθει εις την μάχην· συ δε ενδύθητι την στολήν σου. Και μετεσχηματίσθη ο βασιλεύς του Ισραήλ και εισήλθεν εις την μάχην.
31 ইত্যবসরে অরামের রাজা তাঁর রথের বত্রিশজন সেনাপতিকে আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া, ছোটো বা বড়ো, কোনো লোকের সাথে যুদ্ধ করবে না।”
Ο δε βασιλεύς της Συρίας είχε προστάξει τους τριάκοντα δύο αμαξάρχας αυτού, λέγων, Μη πολεμείτε μήτε μικρόν μήτε μέγαν, αλλά μόνον τον βασιλέα του Ισραήλ.
32 রথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিল, “ইনিই নিশ্চয় ইস্রায়েলের রাজা।” তাই তাঁকে আক্রমণ করার জন্য তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু যিহোশাফট যখন চিৎকার করে উঠেছিলেন,
Και ως είδον οι αμαξάρχαι τον Ιωσαφάτ, τότε αυτοί είπον, Βεβαίως ούτος είναι ο βασιλεύς του Ισραήλ. Και περιεστράφησαν διά να πολεμήσωσιν αυτόν· αλλ' ο Ιωσαφάτ ανεβόησεν.
33 রথের সেনাপতিরা যখন দেখেছিল যে তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন, তারা তাঁর পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
Ιδόντες δε οι αμαξάρχαι ότι δεν ήτο ο βασιλεύς του Ισραήλ, επέστρεψαν από της καταδιώξεως αυτού.
34 কিন্তু কেউ একজন আন্দাজে ধনুক চালিয়ে ইস্রায়েলের রাজার দেহে যেখানে বর্মের ঘেরাটোপ ছিল না, সেখানেই আঘাত করে বসেছিল। রাজামশাই তাঁর রথের সারথিকে বললেন, “রথের মুখ ঘুরিয়ে আমাকে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে নিয়ে যাও। আমি আহত হয়েছি।”
Άνθρωπος δε τις, τοξεύσας ασκόπως, εκτύπησε τον βασιλέα του Ισραήλ μεταξύ των αρθρώσεων του θώρακος· ο δε είπε προς τον ηνίοχον αυτού, Στρέψον την χείρα σου και έκβαλέ με εκ του στρατεύματος· διότι επληγώθην.
35 সারাদিন ধরে তুমুল যুদ্ধ চলেছিল, এবং অরামীয়দের দিকে মুখ করে রাজামশাইকে তাঁর রথে ঠেস দিয়ে খাড়া করে রাখা হল। তাঁর ক্ষতস্থান থেকে ঝরে পড়া রক্তে রথের মেঝে ভেসে গেল, এবং সেই সন্ধ্যায় তিনি মারা গেলেন।
Και η μάχη εμεγαλύνθη εν τη ημέρα εκείνη· ο δε βασιλεύς ίστατο επί της αμάξης αντικρύ των Συρίων, και προς το εσπέρας απέθανε· και το αίμα έρρεεν εκ της πληγής εις τον κόλπον της αμάξης.
36 সূর্য যখন অস্ত যাচ্ছিল, তখন সৈন্যদলে এই হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছিল, “প্রত্যেকে নিজের নিজের নগরে ফিরে যাও। প্রত্যেকে নিজের নিজের দেশে ফিরে যাও!”
Και περί την δύσιν του ηλίου έγεινε διακήρυξις εν τω στρατοπέδω, λέγουσα, Έκαστος εις την πόλιν αυτού και έκαστος εις τον τόπον αυτού.
37 অতএব রাজামশাই মারা গেলেন ও তাঁর দেহ শমরিয়ায় আনা হল, এবং লোকেরা তাঁকে সেখানেই কবর দিয়েছিল।
Και απέθανεν ο βασιλεύς και εκομίσθη εις Σαμάρειαν· και ενεταφίασαν τον βασιλέα εν Σαμαρεία.
38 তারা শমরিয়ার একটি পুকুরে রথটি ধুয়েছিল (যেখানে বারবণিতারা স্নান করত), আর সদাপ্রভুর ঘোষিত কথানুসারে কুকুরেরা তাঁর রক্ত চেটে খেয়েছিল।
Και έπλυναν την άμαξαν εις το υδροστάσιον της Σαμαρείας· έπλυναν έτι και τα όπλα αυτού· και έγλειψαν οι κύνες το αίμα αυτού, κατά τον λόγον του Κυρίου, τον οποίον ελάλησεν.
39 আহাবের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, এছাড়াও তিনি যা যা করলেন, যে প্রাসাদ তিনি তৈরি করলেন ও হাতির দাঁত দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন, এবং যেসব নগর তিনি সুরক্ষিত করলেন—তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
Αι δε λοιπαί των πράξεων του Αχαάβ και πάντα όσα έκαμε, και ο ελεφάντινος οίκος τον οποίον ωκοδόμησε και πάσαι αι πόλεις, τας οποίας έκτισε, δεν είναι γεγραμμένα εν τω βιβλίω των χρονικών των βασιλέων του Ισραήλ;
40 আহাব তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন। তাঁর ছেলে অহসিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
Και εκοιμήθη ο Αχαάβ μετά των πατέρων αυτού, και εβασίλευσεν αντ' αυτού Οχοζίας ο υιός αυτού.
41 ইস্রায়েলের রাজা আহাবের রাজত্বের চতুর্থ বছরে আসার ছেলে যিহোশাফট যিহূদায় রাজা হলেন।
Ο δε Ιωσαφάτ ο υιός του Ασά εβασίλευσεν επί τον Ιούδα, το τέταρτον έτος του Αχαάβ βασιλέως του Ισραήλ.
42 যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঁচিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অসূবা। তিনি শিলহির মেয়ে ছিলেন।
Ο Ιωσαφάτ ήτο τριάκοντα πέντε ετών ηλικίας ότε εβασίλευσε· και εβασίλευσεν εικοσιπέντε έτη εν Ιερουσαλήμ· το δε όνομα της μητρός αυτού ήτο Αζουβά, θυγάτηρ του Σιλεΐ.
43 সবকিছুতেই তিনি তাঁর বাবা আসার পথে চলেছিলেন এবং সেগুলি থেকে সরে যাননি; সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তিনি তাই করলেন। অবশ্য প্রতিমাপূজার উঁচু উঁচু স্থানগুলি সরানো হয়নি, এবং লোকজন তখনও সেগুলিতে পশুবলি উৎসর্গ করে যাচ্ছিল ও ধূপও জ্বালিয়ে যাচ্ছিল।
Και περιεπάτησεν εις πάσας τας οδούς Ασά του πατρός αυτού· δεν εξέκλινεν απ' αυτών, πράττων το ευθές ενώπιον του Κυρίου. Οι υψηλοί όμως τόποι δεν αφηρέθησαν· ο λαός εθυσίαζεν έτι και εθυμίαζεν εν τοις υψηλοίς τόποις.
44 ইস্রায়েলের রাজার সঙ্গেও যিহোশাফটের শান্তি বজায় ছিল।
Και είχεν ειρήνην ο Ιωσαφάτ μετά του βασιλέως του Ισραήλ.
45 যিহোশাফটের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তিনি যা যা অর্জন করলেন ও তাঁর সামরিক উজ্জ্বল সব কীর্তি—তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
Αι δε λοιπαί των πράξεων του Ιωσαφάτ, και τα κατορθώματα αυτού όσα έκαμε, και οι πόλεμοι αυτού, δεν είναι γεγραμμένα εν τω βιβλίω των χρονικών των βασιλέων του Ιούδα;
46 তাঁর বাবা আসার রাজত্বকালে দেবদাসদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার পরেও দেশে যেসব দেবদাস থেকে গেল, যিহোশাফট তাদেরও দূর করে দিলেন।
Και το υπόλοιπον των σοδομιτών, το εναπολειφθέν εν ταις ημέραις Ασά του πατρός αυτού, αυτός εξήλειψεν από της γης.
47 ইদোমে তখন কোনও রাজা ছিল না; একজন প্রাদেশিক শাসনকর্তা সেখানে শাসন চালাচ্ছিলেন।
Τότε δεν υπήρχε βασιλεύς εν Εδώμ· διοικητής ήτο βασιλεύς.
48 ইত্যবসরে ওফীর থেকে সোনা আনার জন্য যিহোশাফট বাণিজ্যতরির এক নৌবহর তৈরি করলেন, কিন্তু সেগুলির আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি—কারণ ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলি সমুদ্রে ডুবে গেল।
Ο Ιωσαφάτ έκαμε πλοία εν Θαρσείς, διά να πλεύσωσιν εις Οφείρ διά χρυσίον· πλην δεν υπήγον, διότι τα πλοία συνετρίφθησαν εν Εσιών-γάβερ.
49 সেই সময় আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকজন আপনার লোকজনের সাথে সমুদ্রে পাড়ি দিক,” কিন্তু যিহোশাফট এতে রাজি হননি।
Τότε είπεν Οχοζίας ο υιός του Αχαάβ προς τον Ιωσαφάτ, Ας υπάγωσιν οι δούλοί μου μετά των δούλων σου εις τα πλοία· ο Ιωσαφάτ όμως δεν ηθέλησε.
50 পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাদেরই সাথে তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
Και εκοιμήθη ο Ιωσαφάτ μετά των πατέρων αυτού και ετάφη μετά των πατέρων αυτού εν τη πόλει Δαβίδ του πατρός αυτού· εβασίλευσε δε αντ' αυτού Ιωράμ ο υιός αυτού.
51 যিহূদার রাজা যিহোশাফটের রাজত্বের সতেরতম বছরে আহাবের ছেলে অহসিয় শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি দুই বছর ইস্রায়েলে রাজত্ব করলেন।
Οχοζίας ο υιός του Αχαάβ εβασίλευσεν επί τον Ισραήλ εν Σαμαρεία, το δέκατον έβδομον έτος του Ιωσαφάτ βασιλέως του Ιούδα· και εβασίλευσε δύο έτη επί τον Ισραήλ.
52 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তাই করলেন, কারণ তিনি তাঁর বাবা, মা, ও নবাটের ছেলে সেই যারবিয়ামের পথেই চলেছিলেন, যারা ইস্রায়েলকে দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন।
Και έπραξε τα πονηρά ενώπιον του Κυρίου, και περιεπάτησεν εις την οδόν του πατρός αυτού και εις την οδόν της μητρός αυτού και εις την οδόν του Ιεροβοάμ υιού του Ναβάτ, όστις έκαμε τον Ισραήλ να αμαρτήση·
53 তিনি তাঁর বাবার মতোই বায়ালের সেবা ও পুজো করলেন, এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন।
διότι ελάτρευσε τον Βάαλ και προσεκύνησεν αυτόν, και παρώργισε Κύριον τον Θεόν του Ισραήλ, κατά πάντα όσα έπραξεν ο πατήρ αυτού.