< প্রথম রাজাবলি 22 >

1 তিন বছর অরাম ও ইস্রায়েলের মধ্যে কোনও যুদ্ধ হয়নি।
Drie jaren bleef het nu rustig, en was er geen oorlog tussen Aram en Israël.
2 কিন্তু তৃতীয় বছরে যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজার সাথে দেখা করতে গেলেন।
Maar toen in het derde jaar koning Josafat van Juda bij den koning van Israël op bezoek was,
3 ইস্রায়েলের রাজা তাঁর কর্মকর্তাদের বললেন, “তোমরা কি জানো না যে রামোৎ-গিলিয়দ আমাদেরই, আর তাও আমরা অরামের রাজার হাত থেকে সেটি পুনরাধিকার করার জন্য কিছুই করছি না?”
sprak de koning van Israël tot zijn hof: Weet gij wel, dat Rama in Gilad van ons is? En wij blijven maar rustig zitten, in plaats van het den koning van Aram te ontnemen.
4 তাই তিনি যিহোশাফটকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি আমার সাথে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে যাবেন?” যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে উত্তর দিলেন, “আমি, আপনারই মতো, আমার প্রজারাও আপনার প্রজাদেরই মতো, তথা আমার ঘোড়াগুলি আপনার ঘোড়াগুলির মতোই।”
En hij vroeg Josafat: Wilt gij met mij ten strijde trekken naar Rama in Gilad? En Josafat verzekerde den koning van Israël: Ik en gij zijn één; mijn volk is uw volk en mijn paarden zijn uw paarden!
5 কিন্তু যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে এও বললেন, “প্রথমে সদাপ্রভুর কাছে পরামর্শ চেয়ে নিন।”
Toch verzocht Josafat den koning van Israël: Vraag echter eerst, wat Jahweh zegt.
6 অতএব ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের—প্রায় চারশো জনকে—একত্রিত করলেন, এবং তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, নাকি বিরত থাকব?” “যান,” তারা উত্তর দিয়েছিল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি মহারাজের হাতে তুলে দেবেন।”
Toen ontbood de koning van Israël de profeten, tezamen ongeveer vier honderd man. Hij vroeg hun: Zal ik tegen Rama in Gilad ten strijde trekken, of niet? Zij antwoordden: Trek op; Jahweh levert het aan den koning over.
7 কিন্তু যিহোশাফট জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর এমন কোনও ভাববাদী আর নেই, যাঁর কাছে আমরা খোঁজখবর নিতে পারব?”
Maar Josafat vroeg: Is hier geen profeet van Jahweh meer, dien we kunnen raadplegen?
8 ইস্রায়েলের রাজা, যিহোশাফটকে উত্তর দিলেন, “আরও একজন ভাববাদী আছেন, যার মাধ্যমে আমরা সদাপ্রভুর কাছে খোঁজখবর নিতে পারি, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, যেহেতু সে কখনোই আমার বিষয়ে ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু সবসময় খারাপ ভাববাণীই করে। সে হল যিম্লের ছেলে মীখায়।” “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন। “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন।
De koning van Israël antwoordde: Er is nog één man, door wien wij Jahweh kunnen raadplegen. Maar ik heb een hekel aan hem; want hij voorspelt mij nooit iets goeds, altijd maar kwaad. Het is Mikájehoe, de zoon van Jimla. Maar Josafat zei: De koning moet zo iets niet zeggen.
9 তখন ইস্রায়েলের রাজা কর্মকর্তাদের মধ্যে একজনকে ডেকে বললেন, “এক্ষুনি গিয়ে যিম্লের ছেলে মীখায়কে ডেকে আনো।”
Toen riep de koning van Israël een kamerdienaar en zei: Haal vlug Mikájehoe, den zoon van Jimla.
10 রাজপোশাক পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট, দুজনেই শমরিয়ার সিংহদুয়ারের কাছে খামারবাড়িতে তাদের সিংহাসনে বসেছিলেন, এবং ভাববাদীরা সবাই তাদের সামনে ভাববাণী করে যাচ্ছিল।
Intussen waren de koning van Israël en Josafat, de koning van Juda, in ambtsgewaad op hun tronen gaan zitten, op de open plaats bij de poort van Samaria, en bleven al de profeten voor hen profeteren.
11 ইত্যবসরে কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় লোহার দুটি শিং তৈরি করল এবং সে ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘অরামীয়রা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এগুলি দিয়েই আপনি তাদের গুঁতাবেন।’”
Een zekere Sidki-ja, de zoon van Kenaäna, had zich ijzeren horens gemaakt, en zeide: Zo spreekt Jahweh! Hiermee zult gij de Arameën neerstoten tot verdelgens toe.
12 অন্যান্য সব ভাববাদীও একই ভাববাণী করল। “রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করুন এবং বিজয়ী হোন,” তারা বলল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
Al de andere profeten profeteerden hetzelfde en riepen: Trek op naar Rama in Gilad! Gij zult zeker slagen; want Jahweh heeft het aan den koning overgeleverd.
13 যে দূত মীখায়কে ডাকতে গেল, সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই কোনও আপত্তি না জানিয়ে রাজার পক্ষে সফলতার ভাববাণী করছে। আপনার কথাও যেন তাদেরই মতো হয়, এবং আপনিও সুবিধাজনক কথাই বলুন।”
De bode, die Mikájehoe was gaan roepen, zeide tot hem: Zie eens; eenstemmig hebben de profeten den koning een gunstig antwoord gegeven; laat ook uw antwoord zijn als het hunne, en voorspel iets goeds.
14 কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, সদাপ্রভু আমাকে যা বলেছেন, আমি তাঁকে শুধু সেকথাই বলতে পারব।”
Maar Mikájehoe zeide: Zo waar Jahweh leeft; wat Jahweh mij zegt, zal ik spreken!
15 তিনি সেখানে পৌঁছানোর পর রাজামশাই তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করব, কি না?” “আক্রমণ করে জয়ী হোন,” তিনি উত্তর দিলেন, “কারণ সদাপ্রভু মহারাজের হাতে সেটি তুলে দেবেন।”
Toen hij nu bij den koning gekomen was, zeide deze tot hem: Mikájehoe, zullen wij naar Rama in Gilad ten strijde trekken of niet? Hij antwoordde hem: Trek op; ge zult zeker slagen; want Jahweh heeft het aan u overgeleverd.
16 রাজা তাঁকে বললেন, “কতবার আমি তোমাকে দিয়ে শপথ করাব যে তুমি সদাপ্রভুর নামে আমাকে সত্যিকথা ছাড়া আর কিছুই বলবে না?”
De koning snauwde hem toe: Hoe dikwijls moet ik u bezweren, mij in de naam van Jahweh niets dan de waarheid te zeggen?
17 তখন মীখায় উত্তর দিলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি, ইস্রায়েলীরা সবাই পাহাড়ের উপর পালকবিহীন মেষের পালের মতো হয়ে আছে, এবং সদাপ্রভু বলেছেন, ‘এই লোকজনের কোনও মনিব নেই। শান্তিতে যে যার ঘরে ফিরে যাক।’”
Maar nu sprak hij: Ik zag heel Israël over de bergen verstrooid als schapen zonder herder! En Jahweh sprak: Ze hebben geen heer; laat ze rustig naar huis terugkeren!
18 ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে বলিনি যে সে আমার বিষয়ে কখনও ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু শুধু খারাপ ভাববাণীই করে?”
Toen zei de koning van Israël tot Josafat: Heb ik het u niet gezegd? Hij voorspelt mij nooit iets goeds, altijd maar kwaad.
19 মীখায় আরও বললেন, “এজন্য সদাপ্রভুর এই বাক্য শুনুন: আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং স্বর্গের জনতা তাঁর চারদিকে, তাঁর ডানদিকে ও বাঁদিকে দাঁড়িয়ে আছে।
Maar Mikájehoe sprak: Dat is niet waar! Luister niettemin naar het woord van Jahweh! Ik zag Jahweh op zijn troon, met het hemelse heir rechts en links om Hem heen.
20 সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করে সেখানে মরতে যাওয়ার জন্য কে আহাবকে প্ররোচিত করবে?’ “তখন কেউ একথা, কেউ সেকথা বলল।
Jahweh vroeg: Wie wil Achab overhalen, naar Rama in Gilad op te trekken, om daar te sneuvelen? En de een zei zus, de ander zo.
21 শেষে, একটি আত্মা এগিয়ে এসে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আমি তাকে লোভ দেখাব।’
Toen trad er een geest naar voren, ging voor Jahweh staan en zeide: Ik wil hem overhalen. Jahweh vroeg hem: Hoe?
22 “কিন্তু কীভাবে? সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন। “‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা হব,’ সে বলল। “‘তাকে লোভ দেখাতে তুমি সফল হবে,’ সদাপ্রভু বললেন। ‘যাও, ওরকমই করো।’
Hij antwoordde: Ik ga een leugengeest worden in de mond van al zijn profeten. Toen sprak Jahweh: Ge moogt hem bewerken, en ge zult slagen ook; ga heen en doe het.
23 “তাই এখন সদাপ্রভু আপনার এইসব ভাববাদীর মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা দিয়েছেন। সদাপ্রভু আপনার জন্য বিপর্যয়ের বিধান দিয়েছেন।”
Welnu, thans heeft Jahweh een leugengeest in de mond van al uw profeten gelegd, omdat Jahweh uw verderf heeft besloten.
24 তখন কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরেছিল। “সদাপ্রভুর কাছ থেকে আসা আত্মা তোর সাথে কথা বলার জন্য কোন পথে আমার কাছ থেকে গেলেন?” সে জিজ্ঞাসা করল।
Maar nu trad Sidki-jáhoe, de zoon van Kenaäna, vooruit, gaf Mikájehoe een slag in het gezicht, en zeide: Wat; zou de geest van Jahweh mij hebben verlaten, om te spreken tot u?
25 মীখায় উত্তর দিলেন, “সেদিনই তুমি তা জানতে পারবে, যেদিন তুমি ভিতরের ঘরে গিয়ে লুকাবে।”
Mikájehoe antwoordde: Dat zult ge gewaar worden, wanneer ge van huis tot huis zult vluchten, om u te verbergen.
26 ইস্রায়েলের রাজা তখন আদেশ দিলেন, “মীখায়কে নগরের শাসনকর্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দাও
Nu sprak de koning van Israël: Neem Mikájehoe gevangen, en breng hem bij de stadsvoogd Amon en bij prins Joasj.
27 এবং তাদের বোলো, ‘রাজা একথাই বলেছেন: একে জেলখানায় রেখে দাও এবং যতদিন না আমি নিরাপদে ফিরে আসছি, ততদিন একে রুটি ও জল ছাড়া আর কিছুই দিয়ো না।’”
Zeg hun: De koning beveelt, hem gevangen te houden en hem slecht eten en drinken te geven, tot hij ongedeerd terugkomt.
28 মীখায় ঘোষণা করলেন, “আপনি যদি নিরাপদে কখনও ফিরে আসেন, তবে জানবেন, সদাপ্রভু আমার মাধ্যমে কথা বলেননি।” পরে তিনি আরও বললেন, “ওহে লোকজন, তোমরা সবাই আমার কথাগুলি মনে গেঁথে রাখো!”
Maar Mikájehoe sprak: Als gij ongedeerd terugkomt, heeft Jahweh niet door mij gesproken.
29 অতএব ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দে চলে গেলেন।
Zo trok dus de koning van Israël, met koning Josafat van Juda, naar Rama in Gilad.
30 ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাক পরে থাকুন।” এইভাবে ইস্রায়েলের রাজা ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধে গেলেন।
Maar de koning van Israël zei tot Josafat: Ik wil verkleed de strijd ingaan, doch gij kunt uw eigen kleren wel aanhouden. Hierop verkleedde de koning van Israël zich, voor hij ten strijde trok.
31 ইত্যবসরে অরামের রাজা তাঁর রথের বত্রিশজন সেনাপতিকে আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া, ছোটো বা বড়ো, কোনো লোকের সাথে যুদ্ধ করবে না।”
Nu had de koning van Aram zijn twee en dertig bevelhebbers van de strijdwagens de opdracht gegeven: Valt niemand aan, wie het ook zij, maar alleen den koning van Israël.
32 রথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিল, “ইনিই নিশ্চয় ইস্রায়েলের রাজা।” তাই তাঁকে আক্রমণ করার জন্য তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু যিহোশাফট যখন চিৎকার করে উঠেছিলেন,
Toen zij nu Josafat zagen, dachten ze: Dat is zeker de koning van Israël. En ze vielen op hem aan. Maar Josafat hief een krijgsgeschreeuw aan,
33 রথের সেনাপতিরা যখন দেখেছিল যে তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন, তারা তাঁর পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
waardoor ze bemerkten, dat hij de koning van Israël niet was. Daarom lieten zij hem met rust.
34 কিন্তু কেউ একজন আন্দাজে ধনুক চালিয়ে ইস্রায়েলের রাজার দেহে যেখানে বর্মের ঘেরাটোপ ছিল না, সেখানেই আঘাত করে বসেছিল। রাজামশাই তাঁর রথের সারথিকে বললেন, “রথের মুখ ঘুরিয়ে আমাকে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে নিয়ে যাও। আমি আহত হয়েছি।”
Intussen richtte iemand op goed geluk af zijn boog, en trof den koning van Israël tussen de voegen van het pantser. Deze beval toen zijn wagenmenner: Wend de teugels, en breng mij van het slagveld; want ik ben gewond.
35 সারাদিন ধরে তুমুল যুদ্ধ চলেছিল, এবং অরামীয়দের দিকে মুখ করে রাজামশাইকে তাঁর রথে ঠেস দিয়ে খাড়া করে রাখা হল। তাঁর ক্ষতস্থান থেকে ঝরে পড়া রক্তে রথের মেঝে ভেসে গেল, এবং সেই সন্ধ্যায় তিনি মারা গেলেন।
Maar omdat de strijd toen juist op zijn hevigst was, moest de koning tegenover de Arameën rechtop in zijn wagen blijven staan, ofschoon het bloed uit zijn wonde in de bak van de wagen neersijpelde. Tegen de avond echter stierf hij.
36 সূর্য যখন অস্ত যাচ্ছিল, তখন সৈন্যদলে এই হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছিল, “প্রত্যেকে নিজের নিজের নগরে ফিরে যাও। প্রত্যেকে নিজের নিজের দেশে ফিরে যাও!”
En nog voor zonsondergang ging de kreet door het leger: Iedereen terug naar zijn stad, iedereen terug naar zijn land;
37 অতএব রাজামশাই মারা গেলেন ও তাঁর দেহ শমরিয়ায় আনা হল, এবং লোকেরা তাঁকে সেখানেই কবর দিয়েছিল।
de koning is dood! In Samaria aangekomen, begroef men den koning;
38 তারা শমরিয়ার একটি পুকুরে রথটি ধুয়েছিল (যেখানে বারবণিতারা স্নান করত), আর সদাপ্রভুর ঘোষিত কথানুসারে কুকুরেরা তাঁর রক্ত চেটে খেয়েছিল।
en toen men de wagen uitspoelde bij de vijver van Samaria, waar lichtekooien aan het baden waren, likten de honden zijn bloed op. Zo werd het woord vervuld, dat Jahweh gesproken had.
39 আহাবের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, এছাড়াও তিনি যা যা করলেন, যে প্রাসাদ তিনি তৈরি করলেন ও হাতির দাঁত দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন, এবং যেসব নগর তিনি সুরক্ষিত করলেন—তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
De verdere geschiedenis van Achab, met al wat hij deed, ook de bouw van het ivoren paleis en de versterking der steden, is beschreven in het boek der kronieken van de koningen van Israël.
40 আহাব তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন। তাঁর ছেলে অহসিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
Achab ging bij zijn vaderen te ruste, en zijn zoon Achazja volgde hem op.
41 ইস্রায়েলের রাজা আহাবের রাজত্বের চতুর্থ বছরে আসার ছেলে যিহোশাফট যিহূদায় রাজা হলেন।
In het vierde jaar der regering van Achab over Israël werd Josafat, de zoon van Asa, koning van Juda.
42 যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঁচিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অসূবা। তিনি শিলহির মেয়ে ছিলেন।
Josafat was vijf en dertig jaar oud, toen hij koning werd, en hij regeerde vijf en twintig jaar te Jerusalem. Zijn moeder heette Azoeba, en was de dochter van Sjilchi.
43 সবকিছুতেই তিনি তাঁর বাবা আসার পথে চলেছিলেন এবং সেগুলি থেকে সরে যাননি; সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তিনি তাই করলেন। অবশ্য প্রতিমাপূজার উঁচু উঁচু স্থানগুলি সরানো হয়নি, এবং লোকজন তখনও সেগুলিতে পশুবলি উৎসর্গ করে যাচ্ছিল ও ধূপও জ্বালিয়ে যাচ্ছিল।
In alles volgde hij het voorbeeld van zijn vader Asa, zonder daarvan af te wijken; zo deed hij wat recht was in de ogen van Jahweh. Alleen werden de offerhoogten niet afgeschaft, zodat het volk er bleef offeren en wierook branden.
44 ইস্রায়েলের রাজার সঙ্গেও যিহোশাফটের শান্তি বজায় ছিল।
Josafat leefde in vrede met den koning van Israël.
45 যিহোশাফটের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তিনি যা যা অর্জন করলেন ও তাঁর সামরিক উজ্জ্বল সব কীর্তি—তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
De verdere geschiedenis van Josafat, met de heldendaden, die hij verrichtte, en de oorlogen, die hij voerde, is beschreven in het boek der kronieken van de koningen van Juda.
46 তাঁর বাবা আসার রাজত্বকালে দেবদাসদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার পরেও দেশে যেসব দেবদাস থেকে গেল, যিহোশাফট তাদেরও দূর করে দিলেন।
De verminkten, die tijdens de regering van zijn vader Asa nog waren overgebleven, verwijderde hij uit het land.
47 ইদোমে তখন কোনও রাজা ছিল না; একজন প্রাদেশিক শাসনকর্তা সেখানে শাসন চালাচ্ছিলেন।
Er was toen geen koning in Edom, maar een stadhouder
48 ইত্যবসরে ওফীর থেকে সোনা আনার জন্য যিহোশাফট বাণিজ্যতরির এক নৌবহর তৈরি করলেন, কিন্তু সেগুলির আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি—কারণ ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলি সমুদ্রে ডুবে গেল।
van koning Josafat. Deze bouwde een Tarsjisjvloot, om daarmee naar Ofir te varen om goud. Maar hij voer niet uit, daar de vloot schipbreuk leed bij Esjon-Géber.
49 সেই সময় আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকজন আপনার লোকজনের সাথে সমুদ্রে পাড়ি দিক,” কিন্তু যিহোশাফট এতে রাজি হননি।
Toen zei Achazja, de zoon van Achab, tot Josafat: Laat mijn volk met het uwe de schepen bemannen; maar Josafat weigerde.
50 পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাদেরই সাথে তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
Josafat ging bij zijn vaderen te ruste, en werd in de stad van zijn vader David bij zijn vaderen begraven. Zijn zoon Joram volgde hem op.
51 যিহূদার রাজা যিহোশাফটের রাজত্বের সতেরতম বছরে আহাবের ছেলে অহসিয় শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি দুই বছর ইস্রায়েলে রাজত্ব করলেন।
In het zeventiende jaar der regering van Josafat over Juda werd Achazja, de zoon van Achab, te Samaria koning van Israël. Twee jaar regeerde hij over Israël.
52 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তাই করলেন, কারণ তিনি তাঁর বাবা, মা, ও নবাটের ছেলে সেই যারবিয়ামের পথেই চলেছিলেন, যারা ইস্রায়েলকে দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন।
Hij deed wat kwaad was in de ogen van Jahweh, en volgde het wangedrag na van zijn vader en moeder en dat van Jeroboam, den zoon van Nebat, die Israël tot zonde had verleid.
53 তিনি তাঁর বাবার মতোই বায়ালের সেবা ও পুজো করলেন, এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন।
Hij diende Báal en boog zich voor hem neer; zo tergde hij Jahweh, Israëls God, juist zoals zijn vaderen het hadden gedaan.

< প্রথম রাজাবলি 22 >