< ১ম করিন্থীয় 2 >
1 ভাইবোনেরা, আমি যখন তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম, আমি কোনো বাক্যের অলংকার ব্যবহার বা জ্ঞানের উৎকৃষ্টতায় তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সাক্ষ্য ঘোষণা করতে যাইনি।
And I, brethren, when I came to you, came not in loftiness of speech or of wisdom, declaring unto you the testimony of Christ.
2 কারণ আমি মনস্থির করেছিলাম, তোমাদের সঙ্গে থাকার সময়, আমি যীশু খ্রীষ্ট ও তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ বলে জানা ছাড়া আর কিছুই জানতে চাইব না।
For I judged not myself to know anything among you, but Jesus Christ, and him crucified.
3 আমি দুর্বলতায় ও ভয়ে এবং মহাকম্পিত হয়ে তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম।
And I was with you in weakness, and in fear, and in much trembling.
4 আমার বার্তা ও আমার প্রচার কোনও জ্ঞানের বা প্রেরণা দেওয়ার বাক্যযুক্ত ছিল না, কিন্তু ছিল পবিত্র আত্মার পরাক্রমের প্রদর্শনযুক্ত,
And my speech and my preaching was not in the persuasive words of human wisdom, but in shewing of the Spirit and power;
5 যেন তোমাদের বিশ্বাস মানবীয় জ্ঞানের উপরে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে ঈশ্বরের পরাক্রমের উপরে হয়।
That your faith might not stand on the wisdom of men, but on the power of God.
6 যারা পরিণত তাদের কাছে আমরা জ্ঞানের কথা বলে থাকি, তা কিন্তু এই যুগের জ্ঞান অনুযায়ী নয় বা এই যুগের শাসকদেরও নয়, যারা ক্রমেই মূল্যহীন হয়ে পড়ছেন। (aiōn )
Howbeit we speak wisdom among the perfect: yet not the wisdom of this world, neither of the princes of this world that come to nought; (aiōn )
7 না, আমরা ঈশ্বরের গোপন জ্ঞানের কথা বলি, যে নিগূঢ়তত্ত্ব গুপ্ত ছিল, যা সময় শুরু হওয়ার আগেই ঈশ্বর আমাদের মহিমার জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন। (aiōn )
But we speak the wisdom of God in a mystery, a wisdom which is hidden, which God ordained before the world, unto our glory: (aiōn )
8 এই যুগের শাসকদের কেউই তা বুঝতে পারেননি, কারণ যদি পারতেন, তাহলে তাঁরা মহিমার প্রভুকে ক্রুশবিদ্ধ করতেন না। (aiōn )
Which none of the princes of this world knew; for if they had known it, they would never have crucified the Lord of glory. (aiōn )
9 কিন্তু, যেমন লেখা আছে, “কোনো চোখ যা দেখেনি, কোনো কান যা শোনেনি, কোনো মানুষের মনে যা আসেনি, যারা তাঁকে ভালোবাসে, ঈশ্বর তাদের জন্য তাই প্রস্তুত করেছেন।”
But, as it is written: That eye hath not seen, nor ear heard, neither hath it entered into the heart of man, what things God hath prepared for them that love him.
10 কিন্তু ঈশ্বর, তাঁর আত্মার দ্বারা, সেসব আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন। আত্মা সকল বিষয়ের, এমনকি, ঈশ্বরের নিগূঢ় বিষয়গুলিও অনুসন্ধান করেন।
But to us God hath revealed them, by this Spirit. For the Spirit searcheth all things, yea, the deep things of God.
11 কারণ মানুষের অন্তরের আত্মা ছাড়া কোনো মানুষের চিন্তা কে জানতে পারে? একইভাবে, ঈশ্বরের চিন্তাভাবনা ঈশ্বরের আত্মা ছাড়া আর কেউই জানতে পারে না।
For what man knoweth the things of a man, but the spirit of a man that is in him? So the things also that are of God no man knoweth, but the Spirit of God.
12 আমরা জগতের আত্মাকে লাভ করিনি, কিন্তু লাভ করেছি সেই আত্মাকে, যিনি ঈশ্বর থেকে নির্গত হয়েছেন, যেন আমরা বুঝতে পারি, ঈশ্বর বিনামূল্যে আমাদের কী দান করেছেন।
Now we have received not the spirit of this world, but the Spirit that is of God; that we may know the things that are given us from God.
13 আমরা একথাই বলি, মানুষের জ্ঞান দ্বারা আমাদের শেখানো ভাষায় নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মার দ্বারা শেখানো ভাষায়, যা আত্মিক বিভিন্ন সত্যকে আত্মিক ভাষায় ব্যক্ত করে।
Which things also we speak, not in the learned words of human wisdom; but in the doctrine of the Spirit, comparing spiritual things with spiritual.
14 প্রাকৃতিক মানুষ ঈশ্বরের আত্মা থেকে আগত বিষয়গুলি গ্রহণ করতে পারে না, কারণ সেসব তার কাছে মূর্খতা। সে সেগুলি বুঝতেও পারে না, কারণ সেগুলিকে আত্মিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হয়।
But the sensual man perceiveth not these things that are of the Spirit of God; for it is foolishness to him, and he cannot understand, because it is spiritually examined.
15 আত্মিক চেতনা সম্পন্ন মানুষ সব বিষয়েরই বিচার করে, কিন্তু সে স্বয়ং কোনো মানুষের বিচারাধীন হয় না।
But the spiritual man judgeth all things; and he himself is judged of no man.
16 “কারণ প্রভুর মন কে জানতে পেরেছে, যে তাঁকে পরামর্শ দান করতে পারে?” কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে।
For who hath known the mind of the Lord, that we may instruct him? But we have the mind of Christ.