< ১ম করিন্থীয় 10 >
1 কারণ ভাইবোনেরা, আমি চাই না, তোমরা এ বিষয়ে অজ্ঞাত থাকো যে, আমাদের পিতৃপুরুষেরা সকলে সেই মেঘের নিচে ছিলেন এবং তাঁরা সকলে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছিলেন।
2 তাঁরা সবাই মোশির উদ্দেশে মেঘে ও সমুদ্রে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন।
3 তাঁরা সকলে একই আত্মিক খাদ্যগ্রহণ করেছিলেন এবং একই আত্মিক পানীয় পান করেছিলেন।
4 কারণ তাঁরা তাঁদের সঙ্গে পথ চলেছিলেন সেই আত্মিক শৈল থেকে পান করতেন এবং সেই শৈল ছিলেন খ্রীষ্ট।
5 তবুও, ঈশ্বর তাঁদের অধিকাংশদের প্রতিই সন্তুষ্ট ছিলেন না; তাই, তাঁদের দেহ মরুপ্রান্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রইল।
6 এখন এ সমস্ত বিষয় দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়েছিল, যেন তাঁদের মতো আমরাও মন্দ বিষয়ে আসক্ত না হই।
7 তাঁদের মধ্যে যেমন কিছু প্রতিমাপূজক ছিল, তোমরা তাঁদের মতো হোয়ো না, যেমন লেখা আছে: “লোকেরা ভোজনপান করার জন্য বসে পড়ল, তারপর উঠে পরজাতীয়দের মতো হুল্লোড়ে মত্ত হল।”
8 তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ যেমন অনৈতিক যৌনাচারে মত্ত হয়েছিল এবং একদিনে তেইশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, আমরাও যেন তেমনই ব্যভিচার না করি।
9 তাঁদের কেউ কেউ যেমন মশীহের পরীক্ষা করেছিল ও সাপের কামড়ে মৃত্যুবরণ করেছিল, আমরাও যেন তেমন না করি।
10 আবার তাদের কেউ কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করে যেমন মৃত্যুদূতের দ্বারা নিহত হয়েছিল, তোমরাও তেমন কোরো না।
11 এসব বিষয় তাঁদের প্রতি দৃষ্টান্তস্বরূপ ঘটেছিল এবং আমাদের সতর্ক করার জন্যই সেগুলি লেখা হয়েছে—যাদের উপরে শেষ সময় এসে উপস্থিত হয়েছে। (aiōn )
12 তাই, তোমরা যদি মনে করো যে, তোমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছ, সতর্ক থেকো, যেন তোমাদের পতন না ঘটে।
13 মানুষের কাছে সাধারণভাবে যেমন ঘটে থাকে, তা ছাড়া অন্য কোনো প্রলোভন তোমাদের প্রতি ঘটেনি। আর ঈশ্বর বিশ্বস্ত। তোমরা যা সহ্য করতে পারো, তার অতিরিক্ত কোনো প্রলোভনে তিনি তোমাদের পড়তে দেবেন না। কিন্তু তোমরা যখন প্রলোভিত হও, তিনিই তোমাদের রক্ষা পাওয়ার পথও করে দেবেন, যেন তার মধ্যেও তোমরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারো।
14 সেই কারণে, আমার প্রিয় বন্ধুরা, তোমরা প্রতিমাপূজা থেকে পালিয়ে যাও।
15 তোমাদের বিচক্ষণ মনে করেই আমি একথা বলছি; আমি যা বলি, তা তোমরা নিজেরাই বিচার করো।
16 ধন্যবাদ দেওয়ার যে পানপাত্রটি নিয়ে আমরা ধন্যবাদ দিই, তা কি খ্রীষ্টের রক্তের সহভাগিতা নয়? আবার, যে রুটি আমরা ভেঙে থাকি, তা কি খ্রীষ্টের দেহের সহভাগিতা নয়?
17 কারণ, আমরা যারা অনেকে, আমরা এক রুটি, একই দেহ, কারণ আমরা সকলেই এক রুটি থেকে অংশগ্রহণ করে থাকি।
18 ইস্রায়েল জাতির বিষয়ে বিবেচনা করে দেখো: যারা বিভিন্ন বলির মাংস আহার করে, তারা কি যজ্ঞবেদিতে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠে না?
19 তাহলে আমি একথাই বোঝাতে চাইছি যে, প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা খাবারের কী মূল্য? বা কোনো প্রতিমারই বা কী মূল্য?
20 কিছুই নয়, কিন্তু যারা প্রতিমাপূজা করে তাদের নিবেদিত সব বলি ভূতদের উদ্দেশে নিবেদিত হয়, ঈশ্বরের উদ্দেশে নয়। আর আমি চাই না যে তোমরা ভূতদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী হও।
21 তোমরা একইসঙ্গে প্রভুর পানপাত্র ও ভূতদের পানপাত্র থেকে অংশগ্রহণ করতে পারো না।
22 আমরা কি প্রভুর ঈর্ষা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি? আমরা কি তাঁর চেয়েও শক্তিমান?
23 “সব কিছুকেই অনুমোদন দেওয়া যায়,” কিন্তু সবকিছু উপকারী নয়। “সবকিছুই অনুমোদনযোগ্য,” কিন্তু সবকিছু গঠনমূলক নয়।
24 কোনো ব্যক্তিই যেন স্বার্থচেষ্টা না করে, বরং অপরের মঙ্গল করার চেষ্টা করে।
25 বিবেকের প্রশ্ন না তুলে মাংসের বাজারে যা বিক্রি হয়, তা ভোজন করো।
26 কারণ, “এই জগৎ ও তার মধ্যে থাকা সবকিছু, সব প্রভুরই।”
27 যদি কোনো অবিশ্বাসী ব্যক্তি, কোনও ভোজে তোমাদের আমন্ত্রণ করে ও তোমরা সেখানে যেতে চাও, তাহলে বিবেকের প্রশ্ন না তুলে, তোমাদের সামনে যা রাখা হয়, তাই ভোজন করো।
28 কিন্তু কেউ যদি তোমাদের বলে, “এ প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা বলি,” তাহলে যে বলল, সেই ব্যক্তির জন্য ও বিবেকের কারণে তোমরা তা ভোজন কোরো না।
29 আমি বলতে চাই, এই বিবেক তোমাদের নয়, কিন্তু সেই ব্যক্তির। কারণ আমার স্বাধীনতা কেন অপরের বিবেকের দ্বারা বিচারিত হবে?
30 ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে যদি আমি আহার গ্রহণ করি, তাহলে যার জন্য আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই, তার জন্য আমার নিন্দা করা হবে কেন?
31 অতএব, তোমরা ভোজন, কি পান, বা যা কিছুই করো, সবকিছুই ঈশ্বরের গৌরবের জন্য করো।
32 ইহুদি, গ্রিক, কি ঈশ্বরের মণ্ডলী, কারও জন্য তোমরা বিঘ্নের কারণ হোয়ো না,
33 যেমন আমিও সব উপায়ে সব মানুষকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করি। কারণ আমি নিজের মঙ্গলের চেষ্টা করি না, কিন্তু বহু মানুষের জন্য করি, যেন তারা পরিত্রাণ লাভ করে।