< ১ম করিন্থীয় 1 >
1 পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর আহূত প্রেরিতশিষ্য ও আমাদের ভাই সোস্থিনি,
2 করিন্থে অবস্থিত ঈশ্বরের মণ্ডলীর প্রতি, খ্রীষ্ট যীশুতে যাদের শুচিশুদ্ধ ও পবিত্ররূপে আহ্বান করা হয়েছে তাদের প্রতি, সেই সঙ্গে যারা সর্বত্র আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ডাকে, তাদের সকলের প্রতি; তিনি তাদের ও আমাদেরও প্রভু।
3 আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্তুক।
4 খ্রীষ্ট যীশুতে যে অনুগ্রহ তোমাদের দেওয়া হয়েছে, সেজন্য আমি প্রতিনিয়ত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই।
5 কারণ তাঁতেই তোমরা—তোমাদের সমস্ত কথাবার্তায় ও তোমাদের সমস্ত জ্ঞানে—সর্বতোভাবে সমৃদ্ধ হয়েছ।
6 কারণ খ্রীষ্ট সম্পর্কে আমাদের সাক্ষ্য তোমাদের মধ্যে স্বীকৃত হয়েছে।
7 এই কারণে যখন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছ, তোমাদের মধ্যে কোনও আত্মিক বরদানের অভাব ঘটেনি।
8 তিনিই শেষ পর্যন্ত তোমাদের সবল রাখবেন, যেন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দিনে অনিন্দনীয় থাকতে পারো।
9 ঈশ্বর, যিনি তাঁর পুত্র, আমাদের প্রভু, যীশু খ্রীষ্টের সহভাগিতায় তোমাদের আহ্বান করেছেন, তিনি বিশ্বাসযোগ্য।
10 ভাইবোনেরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাদের কাছে নিবেদন করছি, তোমরা সকলে পরস্পর অভিন্নমত হও, যেন তোমাদের মধ্যে কোনোরকম দলাদলি না হয় এবং তোমরা যেন মনে ও চিন্তায় সম্পূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকো।
11 আমার ভাইবোনরা, ক্লোয়ীর পরিজনদের মধ্যে কয়েকজন আমাকে এই সংবাদ দিয়েছে যে, তোমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ আছে।
12 আমি যা বলতে চাই, তা হল এই: তোমাদের মধ্যে একজন বলে, “আমি পৌলের অনুসারী,” অন্য একজন বলে, “আমি আপল্লোর অনুসারী,” আরও একজন বলে, “আমি কৈফার অনুসারী”; এছাড়াও অন্য একজন বলে, “আমি খ্রীষ্টের অনুসারী।”
13 খ্রীষ্ট কি বিভাজিত হয়েছেন? পৌল কি তোমাদের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়েছে? তোমরা কি পৌলের নামে বাপ্তাইজিত হয়েছ?
14 আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে, ক্রীষ্প ও গায়ো ছাড়া তোমাদের মধ্যে আমি কাউকে বাপ্তিষ্ম দিইনি,
15 তাই কেউই বলতে পারে না যে, তোমরা আমার নামে বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করেছ।
16 (হ্যাঁ, আমি স্তেফানার পরিজনদেরও বাপ্তিষ্ম দিয়েছি, এছাড়া আর কাউকে যে আমি বাপ্তিষ্ম দিয়েছি, তা আমার মনে পড়ে না।)
17 কারণ খ্রীষ্ট আমাকে বাপ্তিষ্ম দেওয়ার জন্য পাঠাননি, কিন্তু সুসমাচার প্রচারের জন্য—কিন্তু তা মানবিক জ্ঞানের বাক্য দিয়ে নয় কারণ এতে খ্রীষ্টের ক্রুশের পরাক্রম ক্ষুণ্ণ হয়।
18 কারণ যারা ধ্বংস হচ্ছে সেই ক্রুশের বার্তা তাদের কাছে মূর্খতা, কিন্তু আমরা যারা পরিত্রাণ লাভ করছি, এই বাক্য হল ঈশ্বরের পরাক্রমস্বরূপ।
19 কারণ একথা লেখা আছে: “আমি জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট করব, বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি ব্যর্থ করব।”
20 জ্ঞানবান মানুষ কোথায়? বিধানের শিক্ষকই বা কোথায়? এই যুগের দার্শনিক কোথায়? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেননি? (aiōn )
21 কারণ, যেহেতু ঈশ্বরের জ্ঞান অনুসারে জগৎ তার জ্ঞানে তাঁকে জানতে পারেনি, তাই যা প্রচারিত হয়েছিল সেই মূর্খতার মাধ্যমে যারা বিশ্বাস করে ঈশ্বর তাদের পরিত্রাণ দিতে প্রীত হলেন।
22 ইহুদিরা অলৌকিক বিভিন্ন চিহ্ন দাবি করে এবং গ্রিকেরা জ্ঞানের খোঁজ করে,
23 কিন্তু আমরা ক্রুশবিদ্ধ খ্রীষ্টকে প্রচার করি; তিনি ইহুদিদের কাছে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ ও অইহুদিদের কাছে মূর্খতাস্বরূপ।
24 কিন্তু ইহুদি ও গ্রিক নির্বিশেষে, ঈশ্বর যাদের আহ্বান করেছেন, তাদের কাছে খ্রীষ্টই হলেন ঈশ্বরের পরাক্রম ও ঈশ্বরের জ্ঞান।
25 কারণ ঈশ্বরের মূর্খতা মানুষের জ্ঞান থেকেও বেশি জ্ঞানসম্পন্ন এবং ঈশ্বরের দুর্বলতা মানুষের শক্তি থেকেও বেশি শক্তিশালী।
26 ভাইবোনেরা, ভেবে দেখো, যখন তোমাদের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা কী ছিলে? মানবিক মানদণ্ড অনুসারে, তোমরা অনেকেই জ্ঞানী ছিলে না; অনেকেই প্রভাবশালী ছিলে না; অনেকেই অভিজাত বংশীয় ছিলে না।
27 কিন্তু ঈশ্বর জগতের মূর্খ বিষয়গুলি মনোনীত করলেন, যেন জ্ঞানীদের লজ্জা দেন; ঈশ্বর জগতের দুর্বল বিষয়গুলি মনোনীত করলেন, যেন শক্তিসম্পন্ন বিষয়গুলিকে লজ্জিত করেন।
28 তিনি জগতের যা কিছু নিচুস্তরের, যা কিছু তুচ্ছ, আবার যেসব বিষয় কিছুই নয়, সেইসব বিষয় মনোনীত করলেন, যেন যা কিছু আছে সেগুলিকে নাকচ করেন,
29 যেন কোনো মানুষ তাঁর সামনে গর্ব করতে না পারে।
30 তাঁরই কারণে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি আমাদের জন্য হয়েছেন ঈশ্বর থেকে জ্ঞান—অর্থাৎ, আমাদের ধার্মিকতা, পবিত্রতা ও মুক্তি।
31 অতএব, যেমন লেখা আছে, “যে গর্ব করে, সে প্রভুতেই গর্ব করুক।”